28-02-2023, 04:25 PM
৬।
আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। ঘর থেক অফিস। অফিস থেকে ঘর। আমার নিত্য দিনের কাজ হয়ে উঠলো। ঘরে ফিরলেই আমি মনিষাকে দেখতে পাই সারা রাত আমি তার সাথে কথা বলি।
শরীরের অবস্থা খারাপ। দুচোখের নিচে কালি পরে গেছে। ওজন ৬ কেজি কমে গেছে। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ৬ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। আমি ঘুমাই সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টা।
সারদিন মাথা ব্যথা।
বুঝলাম এ ভাবে চলতে থাকলে আমি দ্রতই মরে যাবো।
হটাৎ একদিন বাবা মা এলেন। আমাকে দেখে তারা অবাক এ কি অবস্থা আমার।
মা তো কেদেই দিলো। তাদের ধারনা আমি নেশা করা শুরু করেছি। বাবা বললেন চল আমাদের সাথে থাকবি তোর চাকরি করতে হবে না।
আমি কোন রকমে তাদের সামাল দিলাম।
তাদের কষ্ট দেখে আমার ও কষ্ট লাগলো। না নিজেকে সামলাতে হবে। আমাকে এ সব থেকে বের হতে হবে। আমার একটা স্বাভাবিক জীবন প্রয়োজন।
একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো প্রয়োজন।
সময় করে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলাম।
সব খুলে বললাম তাকে।
ডাক্তার ঃ তার মানে আপনি তাকে দেখতে পারছেন।
হুমম।
সব সময়।
না যখন আমি একা বাড়িতে থাকি।
এখন কি দেখতে পারছেন।
না।
হুমম।বুঝলাম। আপনি মেয়েটিকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। সে আপনার কাছে নেই। তাই আপনার সাব-কনশাস মাইন্ড মেয়েটিকে আপনার সামনে উপস্থাপন করে।দেখুন এমন কেস সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে আমার আপনাকে উপদেশ আপনি মেয়েটাকে বলে দিন। আপনি তাকে ভালোবাসেন। দেখুন মেয়েটি হ্যা অথবা না যে কোন একটি উত্তর তো দেবে। এতে আপনার সাব-কনশাস মাইন্ডে তার প্রভাব পড়বে। আর কিছুদিন রেস্টের চিন্তা করুন।
পারলে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। পরিবার আত্নীয় স্বজনের সাথে কথা বলুন। তাদের সাথে সময় কাটান। যতটা সম্ভব মেয়েটিকে ভুলে থাকুন। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আর আমি কিছু ওষুধ রিকমেন্ড করছি। টাইমলি ওষুধ গুলো নিন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন। আর আবার যদি আপনার সামনে সেই মেয়েকে দেখেন তাহলে তাকে ইগনোর করুন। তাকে দেখেও না দেখার ভান করুন এবং তার সাথে কোন প্রকার কথা বলবেন না।
আমি চলে এলাম ফ্লাটে। পরদিন বাবা মা চলে গেলেন আমাকে বারবার সাথে নিতে চাইলেন। আমি বললাম অফিসে ছুটি নেই। বহু কষ্টে তাদের বুঝিয়ে বিদায় দিলাম।
রাতে সুয়ে রয়েছি। মনিষা আমার পাশে সুয়ে আছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ভাবলেশহীন ভাবে। আমি ডাক্তারের কথা মত তার সাথে কোন কথা বলছি না। তাকে ইগনোর করছি। ডাক্তার হাই পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ দিয়েছে।
কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।
হাটাৎ দেখলাম মনিষা। তার হাত পা শিকল দিয়ে বাধা। মনিষা কাদছে। আমাকে ডাকছে। কোথায় তুমি রেহান আমাকে নিয়ে যাও তোমার কাছে। আমি যে তোমার অপেক্ষা করছি।
হটাৎ ঘুম ভেঙে গেল। না আর পারছি না আমি মনিষার কাছে যাবো। আর বললো আমি ওকে ভালোবাসি। এতে কি হয় হবে। ওর বাবা হয়তো এবার আমাকে মেরেই ফেলবে তবুও সেটাই হোক। রাত তখন ৪ টা। কাপড় চোপড় একটা ব্যাগে নিয়ে বের হয়ে গেলাম। কল্যানপুরে জেলা শহরের একটা বাস আছে ভোর ৫.৩০ মিনিটে। এখন ৪.৩০ আর ১ ঘন্টা ওয়েট করতে হবে।
৫.৩০ বাজে বাস ছেড়ে দিল। পৌছালাম তখন দুপুর ১ টা বাজে। বাস থেকে নেমে একটা অটো করে চলে গেলাম মনিষার বাড়ির দিকে। মনিষার বাড়ির কাছে যেতেই দেখি দরজা তালা দেয়া। এখন কি করি কাকে জিঙেস করি। কেউ তো নেই।
এমন সময় পেছন থেকে।
কে আপনি এখানে কি করছেন। এই বাড়িতে কেউ নেই। তারা একটা কাজে বাইরে গেছে।
আমি ঘুরে দাড়ালাম।
একটা মেয়ে পিছনে মেয়েটা যেন আমাকে দেখে চমকে উঠলো।
আপনি আপনি রেহান তাই না।
হুমম কেন।
মনিষার মোবাইলে আপনার ছবি দেখেছিলাম।আমি মনিষার চাচাতো বোন।
মনিষা কোথায়।
মনিষার কালকে বিয়ে। গতবার ও পালায় চলে গিয়েছিলো তাই ওর বিয়ের জন্য অন্য যায়গায় নিয়ে চলে গেছে কাকা [মনিষার বাবা]।
কোথায় নিয়ে গেছে আপনি জানেন।
হ্যা জানি আমারই আরেক কাকার বাড়িতে। সেখান কারই একটি ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।
কোথায়, কোথায় সে বাসা।
আপনি কি গিয়ে কিছু করতে পারবেন। এমনিতেই কাকা আপনার উপর প্রচন্ড রেগে আছেন।
জীবন গেলে যাবে কিন্তু আমার মনিষার সাথে দেখা যে করতেই হবে। ওকে যে একটা কথা আমাকে বলতেই হবে।
কি কথা। তাকে ভালোবাসেন সেই কথা।
চমকে উঠলাম আমি। কি আপনি কি ভাবে জানেন।আমি কি বলবো।
মনিষা নিজেও যে সেই কথা বলার অপেক্ষায় আছে। আপনার উপর তার অনেক ভরসা তার বিশ্বাস আপনি তাকে নিয়ে যাবেন। কারন সে জানে আপনি তাকে ভালবাসেন।
মানে।
মানে রেহান সাহেব মেয়েদের যে একটা তৃতীয় নয়ন থাকে। সেটা দিয়ে তারা ঠিকিই বুঝতে পারে কে তার প্রতি কি মনোভাব রাখে।
এখন কোথায় মনিষা।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা তে।
মেয়েটি আমাকে পুরো ঠিকানা খুব সুন্দর করে বললো। আমি মোবাইলের নোটে সেভ করে নিলাম।
ধন্যবাদ। আমি তাহলে আসি এখন।
শুনুন রেহান সাহেব, আমার যে চাচার বাড়ি কুড়িগ্রাম তিনি কিন্তু ৩ বারের চেয়ারম্যান। পুরো গ্রামের লোকেরা তাকে খুব মানে। তাই খুব সাবধান।
ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। আপনি তাহলে।
মাইশা। মনিষার চাচাতো বোন।
ধন্যবাদ। আপু অনেক ধন্যবাদ।
যান তাড়াতাড়ি যান কাল রাতে বিয়ে। দেখুন কিছু করতে পারেন কি না।
আমি কুড়িগ্রাম রওনা দিলাম। কুড়িগ্রাম পৌছালাম সন্ধ্যা ৭ টায়।
কুড়িগ্রাম সদর থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রায় ২১ কিলো মিটার। তার মধ্যে আমাকে যেতে হবে একটি গ্রামে। তাই রাতটি আমি কুড়িগ্রামে সদরের একটা হোটেলে কাটিয়ে দিলাম।
পর দিন ভোর বেলা আমি নাগেশ্বরী চলে গেলাম। গ্রাম খুজে পেতে বেশি কষ্ট পেতে হলো না। তিন বারের চেয়ারম্যান বাড়ি সবাই চেনে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বাড়ি দেখিয়ে দিলো। বিয়ে বিয়ে বাড়ি আমেজ এই বাড়িটা দেখাই যাচ্ছে। আমি বাড়ির দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি অনিশ্চয়তার সাথে কি হবে আমার সাথে।।।।।।।
আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। ঘর থেক অফিস। অফিস থেকে ঘর। আমার নিত্য দিনের কাজ হয়ে উঠলো। ঘরে ফিরলেই আমি মনিষাকে দেখতে পাই সারা রাত আমি তার সাথে কথা বলি।
শরীরের অবস্থা খারাপ। দুচোখের নিচে কালি পরে গেছে। ওজন ৬ কেজি কমে গেছে। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ৬ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। আমি ঘুমাই সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টা।
সারদিন মাথা ব্যথা।
বুঝলাম এ ভাবে চলতে থাকলে আমি দ্রতই মরে যাবো।
হটাৎ একদিন বাবা মা এলেন। আমাকে দেখে তারা অবাক এ কি অবস্থা আমার।
মা তো কেদেই দিলো। তাদের ধারনা আমি নেশা করা শুরু করেছি। বাবা বললেন চল আমাদের সাথে থাকবি তোর চাকরি করতে হবে না।
আমি কোন রকমে তাদের সামাল দিলাম।
তাদের কষ্ট দেখে আমার ও কষ্ট লাগলো। না নিজেকে সামলাতে হবে। আমাকে এ সব থেকে বের হতে হবে। আমার একটা স্বাভাবিক জীবন প্রয়োজন।
একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো প্রয়োজন।
সময় করে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলাম।
সব খুলে বললাম তাকে।
ডাক্তার ঃ তার মানে আপনি তাকে দেখতে পারছেন।
হুমম।
সব সময়।
না যখন আমি একা বাড়িতে থাকি।
এখন কি দেখতে পারছেন।
না।
হুমম।বুঝলাম। আপনি মেয়েটিকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। সে আপনার কাছে নেই। তাই আপনার সাব-কনশাস মাইন্ড মেয়েটিকে আপনার সামনে উপস্থাপন করে।দেখুন এমন কেস সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে আমার আপনাকে উপদেশ আপনি মেয়েটাকে বলে দিন। আপনি তাকে ভালোবাসেন। দেখুন মেয়েটি হ্যা অথবা না যে কোন একটি উত্তর তো দেবে। এতে আপনার সাব-কনশাস মাইন্ডে তার প্রভাব পড়বে। আর কিছুদিন রেস্টের চিন্তা করুন।
পারলে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। পরিবার আত্নীয় স্বজনের সাথে কথা বলুন। তাদের সাথে সময় কাটান। যতটা সম্ভব মেয়েটিকে ভুলে থাকুন। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আর আমি কিছু ওষুধ রিকমেন্ড করছি। টাইমলি ওষুধ গুলো নিন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন। আর আবার যদি আপনার সামনে সেই মেয়েকে দেখেন তাহলে তাকে ইগনোর করুন। তাকে দেখেও না দেখার ভান করুন এবং তার সাথে কোন প্রকার কথা বলবেন না।
আমি চলে এলাম ফ্লাটে। পরদিন বাবা মা চলে গেলেন আমাকে বারবার সাথে নিতে চাইলেন। আমি বললাম অফিসে ছুটি নেই। বহু কষ্টে তাদের বুঝিয়ে বিদায় দিলাম।
রাতে সুয়ে রয়েছি। মনিষা আমার পাশে সুয়ে আছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ভাবলেশহীন ভাবে। আমি ডাক্তারের কথা মত তার সাথে কোন কথা বলছি না। তাকে ইগনোর করছি। ডাক্তার হাই পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ দিয়েছে।
কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।
হাটাৎ দেখলাম মনিষা। তার হাত পা শিকল দিয়ে বাধা। মনিষা কাদছে। আমাকে ডাকছে। কোথায় তুমি রেহান আমাকে নিয়ে যাও তোমার কাছে। আমি যে তোমার অপেক্ষা করছি।
হটাৎ ঘুম ভেঙে গেল। না আর পারছি না আমি মনিষার কাছে যাবো। আর বললো আমি ওকে ভালোবাসি। এতে কি হয় হবে। ওর বাবা হয়তো এবার আমাকে মেরেই ফেলবে তবুও সেটাই হোক। রাত তখন ৪ টা। কাপড় চোপড় একটা ব্যাগে নিয়ে বের হয়ে গেলাম। কল্যানপুরে জেলা শহরের একটা বাস আছে ভোর ৫.৩০ মিনিটে। এখন ৪.৩০ আর ১ ঘন্টা ওয়েট করতে হবে।
৫.৩০ বাজে বাস ছেড়ে দিল। পৌছালাম তখন দুপুর ১ টা বাজে। বাস থেকে নেমে একটা অটো করে চলে গেলাম মনিষার বাড়ির দিকে। মনিষার বাড়ির কাছে যেতেই দেখি দরজা তালা দেয়া। এখন কি করি কাকে জিঙেস করি। কেউ তো নেই।
এমন সময় পেছন থেকে।
কে আপনি এখানে কি করছেন। এই বাড়িতে কেউ নেই। তারা একটা কাজে বাইরে গেছে।
আমি ঘুরে দাড়ালাম।
একটা মেয়ে পিছনে মেয়েটা যেন আমাকে দেখে চমকে উঠলো।
আপনি আপনি রেহান তাই না।
হুমম কেন।
মনিষার মোবাইলে আপনার ছবি দেখেছিলাম।আমি মনিষার চাচাতো বোন।
মনিষা কোথায়।
মনিষার কালকে বিয়ে। গতবার ও পালায় চলে গিয়েছিলো তাই ওর বিয়ের জন্য অন্য যায়গায় নিয়ে চলে গেছে কাকা [মনিষার বাবা]।
কোথায় নিয়ে গেছে আপনি জানেন।
হ্যা জানি আমারই আরেক কাকার বাড়িতে। সেখান কারই একটি ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।
কোথায়, কোথায় সে বাসা।
আপনি কি গিয়ে কিছু করতে পারবেন। এমনিতেই কাকা আপনার উপর প্রচন্ড রেগে আছেন।
জীবন গেলে যাবে কিন্তু আমার মনিষার সাথে দেখা যে করতেই হবে। ওকে যে একটা কথা আমাকে বলতেই হবে।
কি কথা। তাকে ভালোবাসেন সেই কথা।
চমকে উঠলাম আমি। কি আপনি কি ভাবে জানেন।আমি কি বলবো।
মনিষা নিজেও যে সেই কথা বলার অপেক্ষায় আছে। আপনার উপর তার অনেক ভরসা তার বিশ্বাস আপনি তাকে নিয়ে যাবেন। কারন সে জানে আপনি তাকে ভালবাসেন।
মানে।
মানে রেহান সাহেব মেয়েদের যে একটা তৃতীয় নয়ন থাকে। সেটা দিয়ে তারা ঠিকিই বুঝতে পারে কে তার প্রতি কি মনোভাব রাখে।
এখন কোথায় মনিষা।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা তে।
মেয়েটি আমাকে পুরো ঠিকানা খুব সুন্দর করে বললো। আমি মোবাইলের নোটে সেভ করে নিলাম।
ধন্যবাদ। আমি তাহলে আসি এখন।
শুনুন রেহান সাহেব, আমার যে চাচার বাড়ি কুড়িগ্রাম তিনি কিন্তু ৩ বারের চেয়ারম্যান। পুরো গ্রামের লোকেরা তাকে খুব মানে। তাই খুব সাবধান।
ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। আপনি তাহলে।
মাইশা। মনিষার চাচাতো বোন।
ধন্যবাদ। আপু অনেক ধন্যবাদ।
যান তাড়াতাড়ি যান কাল রাতে বিয়ে। দেখুন কিছু করতে পারেন কি না।
আমি কুড়িগ্রাম রওনা দিলাম। কুড়িগ্রাম পৌছালাম সন্ধ্যা ৭ টায়।
কুড়িগ্রাম সদর থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রায় ২১ কিলো মিটার। তার মধ্যে আমাকে যেতে হবে একটি গ্রামে। তাই রাতটি আমি কুড়িগ্রামে সদরের একটা হোটেলে কাটিয়ে দিলাম।
পর দিন ভোর বেলা আমি নাগেশ্বরী চলে গেলাম। গ্রাম খুজে পেতে বেশি কষ্ট পেতে হলো না। তিন বারের চেয়ারম্যান বাড়ি সবাই চেনে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বাড়ি দেখিয়ে দিলো। বিয়ে বিয়ে বাড়ি আমেজ এই বাড়িটা দেখাই যাচ্ছে। আমি বাড়ির দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি অনিশ্চয়তার সাথে কি হবে আমার সাথে।।।।।।।