Thread Rating:
  • 49 Vote(s) - 3.24 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL মহাবীর্য্য ভাণ্ডার (নবকাহিনী শ্যামলবাবুর আখ্যান প্রকাশিত)
(27-02-2023, 07:22 PM)মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা Wrote:
[Image: 20230227-165634.jpg]


দেখিতে দেখিতে এই মহাবীর্য্য দুইশত রেপুমানের মাইলফলক পার করিয়া দিল! বিগত ১২ই কার্ত্তিক এক রবিবার দ্বিপ্রহরে, "সরলবাবুর সরলতা" শীর্ষক একটী ক্ষুদ্র রম্য কাহিনী লইয়া এই গসিপিতে মহাবীর্য্যের আগমণ! সেইদিবস হইতে আজ ১৪ই ফাল্গুন! কতদিন হইয়া গেল! কিন্তু, মনে হইতেছে এই তো সেইদিন! বুম্বা আসিয়া বলিল, "আপনার অণুগপ্পো পাঠ করিয়া যৎপরোনাস্তি আপ্লুত হইয়াছি!" বাবান ডাকিয়া কহিল, "তব লেখনীতে এমন পুরুষের সারল্যের কথা জানিয়া মনটা খুশী হইয়া গেল!" ডি দে হাঁকিয়া বলিল, "আপনি সাক্ষাৎ মহাবীর্য্য আপনারে প্রণাম!" নেক্সট পেজ বলিল, "সকলই বুঝিলাম তবে সরলবাবুর ন্যয় এমন লোক বাস্তবে থাকিলে তো বিপদ!" সোমনাথদা আবার রমার জমি কত উর্ব্বর উহা লহিয়া কৌতূহলী হইয়াছিলেন। মাটির পিঁপড়ের মতে এমন কাহিনী বিরল! রাউডি সাহেব বলিলেন, "সময়ান্তরের পথিক!" সায়রা দেবী গাল টিপিয়া নাম দিলেন "বীর্য্যজী!" কতশত পাঠকের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হইয়াছিলাম কহা মুশকিল! তাহার পর আনিলাম রাজনন্দিনীর সলিল সমাধি! ব্যস! আর পিছু ফিরিতে হয় নাই! পাঠকদিগের কেহ এই দরিদ্রকে "মহামহোপাধ্যায়" কহিয়াছে তো কেহ "এই অধম দেবলোকের আশীষধন্য" বলিয়াছে! সেদিন হইতে এই মহাবীর্য্য গসিপিকে এমন ভালবাসিয়া ফেলিল যে আর ছাড়িল না! গসিপিও তাহাকে আর ছাড়ে নাই! যাঁহারা একদা পাঠক ছিল তাঁহাদিগের সহিত সম্পর্ক বন্ধনে বান্ধিয়া গেল! কেহ সুহৃদ হইল তো কেহ জ্যেষ্ঠ হইল! জুপিটার আসিয়া 'বন্ধুবর' বলিয়া ডাক দিল। আজ স্মৃতির পাতা যেন ভরিয়া উঠিতেছে। কাক সন প্রতিবার আসিয়া কাহিনী পাঠান্তে দক্ষিণা না দিয়া পলায়ন করে ফের তাহাকে ধরিতে ছুটিতে হয়। বাডি দা আসিয়া অভিমান করেন, "বোষ্টুমীও আসিল না অন্তরা শুনাইতে আর তুমিও আসিলে না বৌঠানের গপ্পো বলিতে! তবুও লাইক দিতেছি, তবুও রেপু দিতেছি!" ছলছল চক্ষে অভিমানের সুর ফুটিয়া উঠে, "দেবশর্ম্মাবাবুকে যে খুঁজিয়া আনিবে তাহাকে চুমু হামি… !!" পোকাদা আসিয়া চুটকি মারিয়া যায়, দুষ্টুছেলের আবার জিজ্ঞাসু মন, বৌদি সতীলক্ষ্মী থাকিবে তো!! সায়রা দেবী "অরসিকেষু মা রসস্য নিবেদনের" কথা বলিয়া যান কখনও ক্ষুব্ধ স্বরে মহাবীর্য্য "কদুমাইটিস" রোগে আক্রান্ত বলিয়া নিদান দেন। বুম্বা, "একটু বড় করিয়া লিখিও অনুজ" বলিয়া অনুযোগ করিলে সঞ্জয়দা কপালে ভ্রাতৃস্নেহের হাত রাখিয়া, "অনেক বড় করিয়া লিখিয়াছে মহাবীর্য্য!" বলিয়া উল্টা বুম্বাকেই ধমক দেন।


কতশত কথা, হোক না ডিজিটালের দুনিয়া, টাইপেই হোক, তবুও তো হইয়াছে। এতশত প্রাপ্তির ভাঁড়ারে আবার আক্ষেপও আছে, নলীন বাবু সেই যে রাগ করিয়াছিলেন আজও তাঁহার গোঁসা ভাঙ্গাইতে পারি নাই! এখনও মানভঞ্জনের চেষ্টা চালাইতেছি!

দেখিতে দেখিতে সেই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে টলোমলো করিতে করিতে চলা মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা আজ দ্বিশতকের এক মহীরুহে পরিণত হইল! তুমি আমার লেখা পড়িতে না পার, কিন্তু, আমার নাম তুমি শুনিয়াছ! আমার নাম তুমি জানিয়াছ! আমার মন্তব্যে তুমি হাসিয়াছ! রাগিয়াছ! আবার খুশীও হইয়াছ! আমিই সেই মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা! যাহাকে তুমি পরিত্যাগ করিতে পার কিন্তু অগ্রাহ্য করিতে পার না! আর, তাহার কারণ, এই রেপুটেশন! ইহাই এই প্রতিটি রেপুটেশনের মাহাত্ম্য! যাহার একেকটিতে অজস্র পাঠকের ভালবাসা লুকাইয়া আছে, লুকাইয়া আছে বিস্তর কালির ক্ষয় আর কাগজের অপচয়! এই সেই রেপুটেশন যাহা জুপিটারের কথায় কেবল লেখক চরণেই নিবেদিত হয়। আর আমি! আমিই সেই লেখক! সেই সকল লেখকদিগের একজন এই মহাবীর্য্য! যাহার সরলবাবু পড়িয়া তোমার কপোলে হাসি আসিয়াছে, যাহার রাজনন্দিনী পড়িয়া তুমি কাঁদিয়াছ, যাহার অচিন্ত্যের গপ্পো শুনিয়া তুমি বিহ্বল হইয়াছ, যাহার বিজয়ের কাহিনী পাঠে তুমি আপ্লুত হইয়াছ, আর, আর যাহার বৌদিকাহিনী পড়িয়া তুমি আদিরসে মজিয়াছ! 
কিন্তু আমি যে কেবল লেখক তাহা নহে, আমি তো পাঠকও! বলা যাইতে পারে সবচাইতে দামী পাঠক, যে কাহিনী পাঠান্তে মতামত রাখিয়া যায়, যে লেখককে এই রেপুটেশনের স্বাদ নিত্য চাখায়! যে সদম্ভে ঘোষণা করে, চটি কাহিনী বলিয়া কিছু হয় না, কেবল কাহিনী হয়। কাম নির্ভর কাহিনী আর কাম বর্জ্জিত কাহিনী ইহাই কেবল তফাৎ নইলে সাদা আর কালোয় তেমন প্রভেদ নাই।

আর সেই সাদা কালোর মিশেলে সবুজ রঙ্গের ২০০ সংখ্যাখানি আজ জ্বলজ্বল করিতেছে, কতবার যে দেখিলাম তাহার ইয়ত্ত্বা নাই! জানিতাম হইবে, কিন্তু কবে হইবে! ১৯০তে আসিয়া আর তর সইতেছিল না! যে কাক সনকে গরু খুঁজা খুঁজিতে গিয়া আমার দম ফুরাইয়া যায় সেই কাক সনই হাসিয়া দুইবার সজোরে ঠেলা মারিয়া দুইশতের গণ্ডিতে ঢুকাইয়া দিল। উপরন্তু ঘোষণা করিয়া দিল ইহার পর হইতে আর খুঁজিতে হইবে না আমার চারণভূমিতে আপনার ক্ষেতখানিও ঢুকাইয়া লইব! 
এতকথা কেন লিখিলাম! লিখিলাম কারণ দুইশত রেপুটেশনের পিছনে একটী সুদীর্ঘ সময়ের বৃত্ত আছে আর সেই বৃত্তের পরিধি হইতে কেন্দ্র অবধি কেহ গেলে দেখিতে পাইবে একজন লেখক যখন এই দুইশত মান অর্জ্জন করে তখন কেবল উহা তাহার একা নহে, তাহার এই দুইশত রেপুটেশনের যাত্রাকালে যুক্ত হওয়া সেই সকল পাঠক, সকল মিত্র, সকলের মিলিত প্রয়াসের যোগফল হইল এই সুবিশাল রেপুটেশন। তাহাদের ভালবাসা, আশীর্ব্বাদ, মান অভিমান সকলের সম্মিলিত রূপ এই দুইশত রেপুটেশন। আর আমি শ্রী মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা সেই যাত্রাখানি করিয়াছিলাম, সেই যাত্রার সমস্ত ক্ষণগুলি বাঁচিয়াছিলাম, সেই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্তে নিঃশ্বাস লইয়াছিলাম! এক বিন্দু রঙ আজ রামধনুর রঙ্গে রাঙ্গিল আমায়। মহাবীর্য্য আজ সঞ্জীবিত হইল। তাহার কলম আরেকবার কাগজে বসিল আর সে লিখিয়া চলিল আরেক যাত্রার খোঁজে। আরেকটা শতেক পার করিতে। আরও নূতন কাহিনী রচিতে। আর যাইতে যাইতে বলিয়া গেল,

"লেখকের লিখিতে বড়ই কষ্ট, ভাবিতে ভাবিতে সন্ধ্যা হয়, লিখিতে লিখিতে সকাল। তবুও লেখক তো লেখে পাঠকেরই নিমিত্ত। তাই সময় করিয়া আগামী রবিবার প্রাতেঃ বা শনিবার সন্ধ্যায় ভাণ্ডারে দর্শন দিয়া যাইবেন আপনারে নিত্য নূতন কাহিনী শুনাইব।"


ভাল থাকিবেন। 

বিনীত,

এই দু'শো থেকে একদিন দুই হাজার তারপর দুই হাজার থেকে দুই লক্ষ রেপুটেশন অর্জনকারীদের মধ্যে তোমার নাম থাকুক, এই প্রার্থনাই করি। তোমার এই চলার পথে আমার মতো কিছু পাবলিক আসবে যাবে, কিন্তু একটাই অনুরোধ .. সর্বদা সৎ থেকো নিজের লক্ষ্যে .. তবেই তোমার সফলতাকে সবাই কৃতিত্ব দিতে বাধ্য হবে। keep it up ..
[+] 3 users Like Bumba_1's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: মহাবীর্য্য ভাণ্ডার - by Bumba_1 - 28-02-2023, 11:33 AM



Users browsing this thread: 45 Guest(s)