26-02-2023, 04:22 PM
৫….
মনিশার চোখের ভাষা পড়ার মত ক্ষমতা আমার মত অধমের নেই। আমরা রুমে ফিরলাম । দিন তিনেক পর আবার ফিরে এলাম জ্যামের শহরে ।
যেভাবে চলে সে ভাবেই চলতে লাগলো আমাদের জীবন। আজ ৩ মাস হলো মনিষা আমার সাথে আছে। আমাদের মাঝে এক ধরনের আলাদা বোঝাপোড়া হয়ে গেছে। যে কেউ বাসায় এসে আমাদের দেখলে ভাববে আমরা স্বামী স্ত্রী । আমি সকাল বেলা অফিস যাই । মনিষা আমার জন্য অপেক্ষা করে । আমি ফিরলে সে আমাকে তার সারা দিনের জমানো গল্প শোনায় আমি বিমোহিত হয়ে সেই গল্প শুনি।ছুটির দিনে আমরা বাইরে বেড়াতে যাই। ওর সকল চাওয়া পুরন করা যেন আমার সবচেয়ে বড় কাজ। আমি অফিস থেকে ফেড়ার সাথে সাথে সে আমার জন্য কফি নিয়ে হাজির হবে। এটা তার নিত্য দিনের কাজ। আশেপাশের ফ্লাটের সবার ধারনা আমরা স্বামী স্ত্রী।মনিষা মোটামুটি তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতো আমি তা জানি। হটাৎ একদিন সকালে মনিষার মা ফোন করেছে তার বাবা নাকি খুব অসুস্থ । মনিষার উচিত তার বাবার এই শেষ সময় তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া। মনিষা ব্যাকুল হয়ে পড়লো । কান্না করছে মেয়েটা ।
রেহান প্লিজ আমাকে বাবার কাছে নিয়ে চলো ।
হ্যা মনিষা নিয়ে যাবো।
মনিষা দ্রুত রেডি হতে চলে গেল । আমি অঝিসে ফোন দিলাম ছুটি নিলাম ।
আমি ড্রাইভিং করছি মনিষা আমার পাশে বসা ।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রয়েছে। আমার মাথায় তখন একটাই ভয় তাহলে কি মনিষাকে হারাতে যাচ্ছি। ওর বাড়িতে গেলে কি আর ও ফিরবে। না তা সম্ভব নয় । এই একটা ভয় আমাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।
আমি কি মনিষাকে বলে দেব আমি ওকে কতটা ভালোবাসি। কিন্তু ও যদি অন্য কিছু মনে করে। আমি পারবো না শেষে এখন যে সম্পর্ক তাও যদি নষ্ট হয়ে যায় ।
সকালে রওনা দিয়ে মনিষার গ্রামের বাড়ি পৌছালাম সন্ধ্যার দিকে। সবাই মনিষাকে দেখে অনেক খুশি হলো আমাকে ও অতি আদরে ঘরে নিয়ে গেল তারা । একটু পর দেখি একজন মনিষার সামনে এসে দাড়ালো মনিষা বলে উঠলো বাবা । বুঝলাম এটা মনিষার বাবা । কিন্তু তিনি তো অসুস্ত । কিন্তু সে তো একদম সুস্থ দেখছি। মনিষার বাবা আমার সামনে এসে বসলো আমাকে বললো নাম। আমি বললাম রেহান। দেখলাম রুমে কয়েকজন লোক ঢুকলো । কিছু বুঝে ওঠার আগেই হিংস্র পশুর মত আমার উপর লাফিয়ে পড়লো । মনিষা চিৎকার করে আমার দিকে দৌড়ে আসতে চাইলো ওর বাবা ওকে আটকে ধরলো। মনিষা চিৎকার করে কাদছে আমাকে ছাড়তে বলছে।
বাবা ওর কোন দোষ নেই আমি ওর সাথে যায় নি বাবা । ওকে ছেড়ে দাও। ও আর কোন দিন এখানে আসবে না বাবা ওকে ছেড়ে দাও বাবা। আমি ওর কাছে যাবো না বাবা।
মারতে মারতে আমাকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলেছে আমার শরীরে উপর শুধু লাথি আর লাথি পড়ছে । ঠোট আর গাল ফেটে রক্ত পড়ছে। পেটটা প্রচন্ড ব্যথা করছে। মনিষা ওর বাবার পা জরিয়ে ধরলো
বাবা ওকে ছেড়ে দাও বাবা ওর কোন দোষ নেই আমি একা গিয়েছিলাম বাবা।
মনিষার বাবা তাদের ইসারা করলো তারা আমাকে মারা বন্ধ করলো । আমি শুধু মনিষাকে দেখছি মেয়েটা আমার জন্য কাদছে। এটা কি আমার সৌভাগ্য । আমার গাল বেয়ে রক্ত পড়ছে সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা।
মনিষার বাবা তাদের ইসারা করতেই তারা আমার ঘাড় ধরে বাইরে বের করে আনলো । আমাকে আমার গাড়ির সামনে এনে ধাক্কা দিয়ে বললো তোর কপাল ভালো রে । আমাদের তো প্লান ছিলো তোকে মেরে মাটি চাপা দেয়া রে । যা ভাগ এখান থেকে । দাদার দয়ায় বেচে গেলি । আমি গাড়িতে উঠলাম শরীরে ব্যাথায় ঠিক মত বসতে পারছি না । দেখলাম রুম থেকে মনিষার বাবা বের হয়ে এলেন তিনি মনিষার হাত ধরে আছে । মনিষার দুই চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। মনিষা আমাকে ইসারা করলো করলো চলে যেতে । আমি গাড়ি স্টাট দিলাম মনিষাকে শেষ বার দেখে নিলাম । এত মার খেয়ে আমার চোখে পানি আসে নি । কিন্তু এবার চলে এলো । শরীরে ব্যথা যে মনের ব্যথার তুলনায় কিছুই না । সমস্ত শরীর ব্যথা । গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্চে। এখান থেকে আমার গ্রামের বাড়ি সব্বোচ্চ ৪০ কিলো মিটার । কিন্তু এ অবস্থায় আমার বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না । ঢাকা এখান থেকে ২৫০ কিমি । তবুও ঢাকার দিকে রওনা দিলাম । আমার শরীরে অবস্থা খারাপ । ড্রাইভিং এ কোন মনোযোগ আমার নেই। আমি কি মনিষাকে এবারে হারিয়ে ফেললাম।
বহু কষ্টে ঢাকায় পৌছালাম । কোন রকমে গাড়িটা র্পাক করে লিফট দিয়ে ফ্লাটে উঠলাম । এ অবস্থায় যদি কেউ আমাকে দেখে নির্ঘাত ভাববে চুরি করতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছি। আমি বিছানায় গিয়ে আছরে পরলাম ব্যাস আমি হারিয়ে গেলাম ঘুমের গভীর অতলে।
আমি আর মনিষা পাহাড়ি একটা রাস্তা দিয়ে হাটছি।
তোমার শরীরে কি খুব ব্যথা রেহান।
না মনিষা তুমি সাথে থাকলে আমার কোন ব্যথা অনুভব হয় না মনিষা।
কিন্তু আমি তো সাথে নেই রেহান।
কই তুমি তো আমার পাশেই দাড়িয়ে আছো।
মনিষা হা হা করে হেসে উঠলো আর চিৎকার করে বলছে আমি নেই রেহান তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলেছো।
মনিষা দৌড়ে গিয়ে পাহাড় থেকে লাফ দিলো । আমি চিৎকার করে তাকে ধরতে গেলাম কিন্তু পারলাম না।
আমি চিৎকার করতে করতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছি।
মনিষা …………..
সারা শরীরে তিব্র ব্যথা অনুভব করলাম । নড়তেই পারছি না । পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা । বহু কষ্টে আমি রান্না ঘর পর্যন্ত গেলাম ।কয়েকটা বিস্কিট খেলাম । গরম পানি দিয়ে গোছল করলাম। কেয়ারটেকার কে দিয়ে খাবার আনালাম ।
কেয়ারটেকার: স্যার আপনারে এ কি অবস্থা ।
বললাম ডাকাতের পাল্লায় পরেছিলাম।
আজ অনেকদিন পর দুপুরের খাবার বাহির থেকে এনে খাচ্ছি।
মনিষার কড়া মানা ছিলো বাহিরের খাবার না খাওয়া।
বারবার মনিষার কথা মনে পড়ছে। মনিষার ফোনে ফোন দিলাম । জানি কল যাবে না । এতক্ষণে হয়তো তারা মনিষার ফোনটা ও কেড়ে নিয়েছে।
আজ ৭ দিন মনিষা আমার সাথে নেই । আমি বুঝতে পারছি আমি ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমি আমার চারপাশে খালি মনিষাকে দেখতে পাই। শুধু মনিষার কথাই শুনতে পাই।
শুধূ ঘর আর অফিস । অফিসে নিজেকে খুব সামলিয়ে রাখি। কিন্ত ঘরে ফিরে আমি মনিষার সাথে কথা বলি। আমি তাকে সব সময় নিজের কাছে দেখতে পাই। একটাই সমস্যা আগে সে কথা বলতো আমি শুনতাম এখন শুধু আমি কথা বলি সে সুনে যায় চুপচাপ।।।।।।
মনিশার চোখের ভাষা পড়ার মত ক্ষমতা আমার মত অধমের নেই। আমরা রুমে ফিরলাম । দিন তিনেক পর আবার ফিরে এলাম জ্যামের শহরে ।
যেভাবে চলে সে ভাবেই চলতে লাগলো আমাদের জীবন। আজ ৩ মাস হলো মনিষা আমার সাথে আছে। আমাদের মাঝে এক ধরনের আলাদা বোঝাপোড়া হয়ে গেছে। যে কেউ বাসায় এসে আমাদের দেখলে ভাববে আমরা স্বামী স্ত্রী । আমি সকাল বেলা অফিস যাই । মনিষা আমার জন্য অপেক্ষা করে । আমি ফিরলে সে আমাকে তার সারা দিনের জমানো গল্প শোনায় আমি বিমোহিত হয়ে সেই গল্প শুনি।ছুটির দিনে আমরা বাইরে বেড়াতে যাই। ওর সকল চাওয়া পুরন করা যেন আমার সবচেয়ে বড় কাজ। আমি অফিস থেকে ফেড়ার সাথে সাথে সে আমার জন্য কফি নিয়ে হাজির হবে। এটা তার নিত্য দিনের কাজ। আশেপাশের ফ্লাটের সবার ধারনা আমরা স্বামী স্ত্রী।মনিষা মোটামুটি তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতো আমি তা জানি। হটাৎ একদিন সকালে মনিষার মা ফোন করেছে তার বাবা নাকি খুব অসুস্থ । মনিষার উচিত তার বাবার এই শেষ সময় তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া। মনিষা ব্যাকুল হয়ে পড়লো । কান্না করছে মেয়েটা ।
রেহান প্লিজ আমাকে বাবার কাছে নিয়ে চলো ।
হ্যা মনিষা নিয়ে যাবো।
মনিষা দ্রুত রেডি হতে চলে গেল । আমি অঝিসে ফোন দিলাম ছুটি নিলাম ।
আমি ড্রাইভিং করছি মনিষা আমার পাশে বসা ।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রয়েছে। আমার মাথায় তখন একটাই ভয় তাহলে কি মনিষাকে হারাতে যাচ্ছি। ওর বাড়িতে গেলে কি আর ও ফিরবে। না তা সম্ভব নয় । এই একটা ভয় আমাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।
আমি কি মনিষাকে বলে দেব আমি ওকে কতটা ভালোবাসি। কিন্তু ও যদি অন্য কিছু মনে করে। আমি পারবো না শেষে এখন যে সম্পর্ক তাও যদি নষ্ট হয়ে যায় ।
সকালে রওনা দিয়ে মনিষার গ্রামের বাড়ি পৌছালাম সন্ধ্যার দিকে। সবাই মনিষাকে দেখে অনেক খুশি হলো আমাকে ও অতি আদরে ঘরে নিয়ে গেল তারা । একটু পর দেখি একজন মনিষার সামনে এসে দাড়ালো মনিষা বলে উঠলো বাবা । বুঝলাম এটা মনিষার বাবা । কিন্তু তিনি তো অসুস্ত । কিন্তু সে তো একদম সুস্থ দেখছি। মনিষার বাবা আমার সামনে এসে বসলো আমাকে বললো নাম। আমি বললাম রেহান। দেখলাম রুমে কয়েকজন লোক ঢুকলো । কিছু বুঝে ওঠার আগেই হিংস্র পশুর মত আমার উপর লাফিয়ে পড়লো । মনিষা চিৎকার করে আমার দিকে দৌড়ে আসতে চাইলো ওর বাবা ওকে আটকে ধরলো। মনিষা চিৎকার করে কাদছে আমাকে ছাড়তে বলছে।
বাবা ওর কোন দোষ নেই আমি ওর সাথে যায় নি বাবা । ওকে ছেড়ে দাও। ও আর কোন দিন এখানে আসবে না বাবা ওকে ছেড়ে দাও বাবা। আমি ওর কাছে যাবো না বাবা।
মারতে মারতে আমাকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলেছে আমার শরীরে উপর শুধু লাথি আর লাথি পড়ছে । ঠোট আর গাল ফেটে রক্ত পড়ছে। পেটটা প্রচন্ড ব্যথা করছে। মনিষা ওর বাবার পা জরিয়ে ধরলো
বাবা ওকে ছেড়ে দাও বাবা ওর কোন দোষ নেই আমি একা গিয়েছিলাম বাবা।
মনিষার বাবা তাদের ইসারা করলো তারা আমাকে মারা বন্ধ করলো । আমি শুধু মনিষাকে দেখছি মেয়েটা আমার জন্য কাদছে। এটা কি আমার সৌভাগ্য । আমার গাল বেয়ে রক্ত পড়ছে সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা।
মনিষার বাবা তাদের ইসারা করতেই তারা আমার ঘাড় ধরে বাইরে বের করে আনলো । আমাকে আমার গাড়ির সামনে এনে ধাক্কা দিয়ে বললো তোর কপাল ভালো রে । আমাদের তো প্লান ছিলো তোকে মেরে মাটি চাপা দেয়া রে । যা ভাগ এখান থেকে । দাদার দয়ায় বেচে গেলি । আমি গাড়িতে উঠলাম শরীরে ব্যাথায় ঠিক মত বসতে পারছি না । দেখলাম রুম থেকে মনিষার বাবা বের হয়ে এলেন তিনি মনিষার হাত ধরে আছে । মনিষার দুই চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। মনিষা আমাকে ইসারা করলো করলো চলে যেতে । আমি গাড়ি স্টাট দিলাম মনিষাকে শেষ বার দেখে নিলাম । এত মার খেয়ে আমার চোখে পানি আসে নি । কিন্তু এবার চলে এলো । শরীরে ব্যথা যে মনের ব্যথার তুলনায় কিছুই না । সমস্ত শরীর ব্যথা । গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্চে। এখান থেকে আমার গ্রামের বাড়ি সব্বোচ্চ ৪০ কিলো মিটার । কিন্তু এ অবস্থায় আমার বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না । ঢাকা এখান থেকে ২৫০ কিমি । তবুও ঢাকার দিকে রওনা দিলাম । আমার শরীরে অবস্থা খারাপ । ড্রাইভিং এ কোন মনোযোগ আমার নেই। আমি কি মনিষাকে এবারে হারিয়ে ফেললাম।
বহু কষ্টে ঢাকায় পৌছালাম । কোন রকমে গাড়িটা র্পাক করে লিফট দিয়ে ফ্লাটে উঠলাম । এ অবস্থায় যদি কেউ আমাকে দেখে নির্ঘাত ভাববে চুরি করতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছি। আমি বিছানায় গিয়ে আছরে পরলাম ব্যাস আমি হারিয়ে গেলাম ঘুমের গভীর অতলে।
আমি আর মনিষা পাহাড়ি একটা রাস্তা দিয়ে হাটছি।
তোমার শরীরে কি খুব ব্যথা রেহান।
না মনিষা তুমি সাথে থাকলে আমার কোন ব্যথা অনুভব হয় না মনিষা।
কিন্তু আমি তো সাথে নেই রেহান।
কই তুমি তো আমার পাশেই দাড়িয়ে আছো।
মনিষা হা হা করে হেসে উঠলো আর চিৎকার করে বলছে আমি নেই রেহান তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলেছো।
মনিষা দৌড়ে গিয়ে পাহাড় থেকে লাফ দিলো । আমি চিৎকার করে তাকে ধরতে গেলাম কিন্তু পারলাম না।
আমি চিৎকার করতে করতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছি।
মনিষা …………..
সারা শরীরে তিব্র ব্যথা অনুভব করলাম । নড়তেই পারছি না । পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা । বহু কষ্টে আমি রান্না ঘর পর্যন্ত গেলাম ।কয়েকটা বিস্কিট খেলাম । গরম পানি দিয়ে গোছল করলাম। কেয়ারটেকার কে দিয়ে খাবার আনালাম ।
কেয়ারটেকার: স্যার আপনারে এ কি অবস্থা ।
বললাম ডাকাতের পাল্লায় পরেছিলাম।
আজ অনেকদিন পর দুপুরের খাবার বাহির থেকে এনে খাচ্ছি।
মনিষার কড়া মানা ছিলো বাহিরের খাবার না খাওয়া।
বারবার মনিষার কথা মনে পড়ছে। মনিষার ফোনে ফোন দিলাম । জানি কল যাবে না । এতক্ষণে হয়তো তারা মনিষার ফোনটা ও কেড়ে নিয়েছে।
আজ ৭ দিন মনিষা আমার সাথে নেই । আমি বুঝতে পারছি আমি ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমি আমার চারপাশে খালি মনিষাকে দেখতে পাই। শুধু মনিষার কথাই শুনতে পাই।
শুধূ ঘর আর অফিস । অফিসে নিজেকে খুব সামলিয়ে রাখি। কিন্ত ঘরে ফিরে আমি মনিষার সাথে কথা বলি। আমি তাকে সব সময় নিজের কাছে দেখতে পাই। একটাই সমস্যা আগে সে কথা বলতো আমি শুনতাম এখন শুধু আমি কথা বলি সে সুনে যায় চুপচাপ।।।।।।