23-02-2023, 09:28 PM
(১)
আলগা করে ঘরের কোণে লেগে থাকা রঙবিহীন ঝুলের মতো একটুকরো বিষাদ প্রায়শই অমর্ত্যর সঙ্গে থাকে। নেরোল্যাক আর এশিয়ান পেইন্টসের অনেক আগে চুণকাম করা ঘরের গন্ধ বা প্লাস্টিক পেইন্টের রঙের কথা মনে পড়ে তার। ইদানীংকালে কিছু ভাবনার ফর্ম আসে তার মনে। কোভিডের দু'বছর সে কী কী করেছে, কেমন করে সময় কাটিয়েছে, কী লিখেছে .. এইসব ফর্ম অনলাইনে আসে। সেগুলো ডাউনলোড করে অমর্ত্য হতভম্ব হয়ে বসে থাকে। কী করবে, কেন করবে কিছুই বুঝতে পারেনা। আর প্রতি পদক্ষেপে সেই প্রলম্বিত বিষাদ ছায়ার মতো তার সঙ্গে ঘোরে .. যেন তার দ্বৈতসত্তা। যদিও রাত্রিবেলা ছায়া দেখা যায় না, সে কী থাকে না! অবশ্যই থাকে .. শুধু তাকে দেখা যায় না।
অদিতি চলে যাওয়ার পর কোভিডের প্রথম একমাস ঘর থেকে বাইরে পা ফেলেনি অমর্ত্য। তারপর ধীরে ধীরে বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেছে সে। হাঁটতে গিয়ে সে দেখতো কাছাকাছি মুদির দোকানগুলির আধা ঝাঁপ ফেলা .. কখন পুলিশ এসে পেটাবে সেই ভয়ে। একটা নির্দিষ্ট পরিধির মধ্যে হাঁটতো অমর্ত্য .. একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম পর্যন্ত। যেন তার বাইরে ওৎ পেতে বসে আছে অচেনা জগতের সেই অনির্দেশ্য ভাইরাস। তারপর একদিন সে দেখলো দুরদুরান্ত থেকে হেঁটে আসছে এক মেয়ে।ঘর্মাক্ত মুখ .. সারা শহর হেঁটে বেড়ায় সে। সাহস বাড়লো তার। গন্ডির বাইরে বেরোলো আধো অন্ধকার রাস্তায়। সেইসব নির্জন রাস্তা, সারমেয়দের আর দু'চারজন পথচারী, তার সঙ্গে সেই গাঢ় অন্ধকারের কথা ভাবনার ফর্মে লিখতে পারেনি বা চায়নি অমর্ত্য।
সেই সারমেয়দের কেউ কেউ তার সঙ্গে ভাব করে। একজন ছিলো সাদা-কালো ছানা .. একটু দুর্বল। ল্যাম্পপোস্টের দিকে মুখ করে কেমন ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতো। একদিন বাইক চাপা পড়ে মরে গেলো। দু'দিন বাদে বাইক চাপা পড়লো তার চঞ্চলা সহদরাটিও। তাদের কথাও সেই ভাবনার ফর্মে ভরা সম্ভব হয়নি অমর্ত্যর পক্ষে। উন্মত্তের মতো বাইক চালাতে দেখলে অমর্ত্যর খুব ভয় করে আজকাল। রাস্তায় এক পাগলিনী বসে থাকতো .. এটিএমের সামনে। আরেকজন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে সে একদিন দেখেছিলো তারস্বরে চিৎকার করে কাঁদতে। অমন প্রাণফাটা কান্না অমর্ত্য আগে শোনেনি কখনও। তারপর সেদিনকার কথা মনে পড়লো, যেদিন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটিকে ট্র্যান্সপোর্টের বাসের পিছনে ডেকে নিয়ে যাচ্ছিলো তিনজন লোক।
কিন্তু সবাইকে তো আর এক দাঁড়িপাল্লায় ফেলে বিচার করা যায় না! সামনের বহুতলে এক নাইটগার্ড ছিলেন। দেখা হলে কুশল বিনিময় হতো। "কেমন আছেন?" "আজ তো বেশ শীত পড়েছে" বা "পুজো এসে গেলো" এই জাতীয় কথোপকথন। ভদ্রলোকের মেয়েটি গতবছর মাধ্যমিক দিয়েছে। তার সঙ্গে আর দেখা হয় না। অনেক চেষ্টা করেও তার খোঁজ পায়নি অমর্ত্য, হয়তো চাকরিটাই চলে গেছে তার। এক সন্ধেবেলা শহর ভেসে যাওয়া ঝড়জলের প্রলয়ঙ্কর রাতে অমর্ত্যর সামনে দেবদূতের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রিক্সাচালক। ভিজে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে তার রিক্সায় উঠে বাড়ি ফিরেছিলো সে। কোনও বেশি পয়সা চাননি তিনি। এখনও দেখা হলে একমুখ হেসে জিজ্ঞেস করেন, " ভালো আছেন?" এইসব দেখে আবার সবকিছু নতুন করে ভাবতে ইচ্ছে করে অমর্ত্যর। অদিতি কী এখনও মোরিগাঁওতে তার ঘরে বসে "নাগিন" সিরিয়াল দেখে? সে চলে যাওয়ার পর এ বাড়িতে আর টিভি চলেনি। কিন্তু, কিন্তু সে তো আর নেই, কোত্থাও নেই - হাজার চিৎকার করে ডাকলেও আর কোনোদিন ফিরে আসবেনা .. ভাবনার ঘোর কাটলো অমর্ত্যর।
★★★★
পরীক্ষার হলে অন্য কলেজের ছাত্রদের সিট পড়েছে।খুব নির্বিকার মুখে কেউ কেউ জানালো, "এই সাবজেক্টটা কী তাই তো জানি না.." কথাগুলো শুনে আবারও ভয় করতে শুরু করলো অমর্ত্যর। কলেজ থেকে ফেরার পথে বড় রাস্তার মোড়ের দোকানটা থেকে মোমো কিনলো সে। মোমো-বিক্রেতা ঈষৎ ভারী চেহারার নারীটির কর্মদক্ষতা , তার নাকফুলে উজ্জ্বল আলোর ছটা থেকে অমর্ত্য প্রাণশক্তি আহরণ করার চেষ্টা করলো। প্রায় জলের মতো একটা তরল দেখিয়ে সহকারীটি জিজ্ঞাসা করল, "স্যুপ দেবো?" ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালো অমর্ত্য।
ফতেমা আর সুলতার সঙ্গে মাঝে মাঝে গল্প করে সে।তারা ঘর সংসারের কথা বলতে বলতে কাজ করে। মাতাল বর বার বার ফোন করলে সুলতা ফোনটা কেটে দিয়ে তারপর সুইচ অফ্ করে রেখে বলে, "শালা ঢ্যামনা .. ঢং মারাচ্ছে।" তার প্রেমিকেরও ফোন আসে। তাকেও যথেচ্ছ গাল দিয়ে নিজের শাড়ির পিন ঠিক করে সে। ফতেমা তাদের গরুদের কথা বলে। হাম্বা ডাক শুনতে পায় অমর্ত্য। সবকিছু ভুলে ভালো থাকার চেষ্টা করে সে। একদিন ওদের সঙ্গে ছাদে গিয়ে মুড়িমাখা দিয়ে পিকনিক করা হবে ঠিক হয়। সর্ষের তেলের মৃদু ঝাঁজ আর কাঁচা পেঁয়াজকুচির ঠিকঠাক মিশ্রণের ওপর একটা দুপুরের কোয়ালিটি নির্ভর করে। বাদামগুলো পুটপুট করে মুখে পড়বে আর দড়িতে মেলা অদিতির ভিজে শাড়ি থেকে জল পড়বে টুপ টুপ করে। আর তৎক্ষণাৎ ও খিলখিল করে হেসে উঠে বলবে, "আমাকে না নিয়ে পিকনিক করার এটাই তোমার শাস্তি।" কিন্তু কোথায় সে? কোথায় অদিতি? এই সবকিছু ভাবনার সেই ডাউনলোড করা ফর্মে লিখতে পারেনা অমর্ত্য।
লিখতে পারেনা ঘুম ভেঙে উঠে অলস বিলাসিতায়, নিজের মনকে 'আর দশমিনিট' এইটুকু বলে চোখ বুজে পড়ে থাকা। এখানে এখনও ফেরিওয়ালা হেঁকে যায়, "পুরোনো, ফাটা মোবাইলের বদলে চিনামাটির গ্লাস, কাপ, বাসন হবেএএএ .." মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গতে নিরাপত্তা খোঁজে অমর্ত্য। বেশি কথা বলতে হয় না। তারা গান করে, গল্প করে আর একপাশে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে নিজের ভাবনার অতলে তলিয়ে যায় সে। সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহত, আহতদের কথা আর ভাবতে চায় না অমর্ত্য। কেটে ফেলা হাজার গাছের স্মৃতি রাখতে চায় না সে। বরং ভাবতে চেষ্টা করে নতুন দেখা ওয়েব সিরিজটায় কে ভালো .. প্রাইমা না ঈশা! গোষ্ঠী নিরাপত্তার কথা আর ভাবতে চায় না অমর্ত্য .. ব্যক্তি নিরাপত্তার ভ্রমে খাবি খায়।
নাটক প্রস্তুতির শেষ সময়ে, ছবি এডিটে বা লিখনের সময় নিরাপত্তা বলয় ছিঁড়ে, নিজেকে প্রায় ছিটকে দিয়ে যে তীব্র, তীক্ষ্ণ সময় যায়, সেই উল্লাসের শেষে নিজেকে ন্যাতানো বেলুনের মতো লাগে তার। দীর্ঘদিন ক্লান্তির কাজল পরে খুব বেশি উৎফুল্ল চোখে তাকানো যায় না। আসলে মানুষের জীবনে কোনও আনন্দ খুব দীর্ঘস্থায়ী নয়। অথবা আনন্দের কাছে অতিরিক্ত আশা থাকে মানুষের। মাঝে মাঝে সে নিজের মনকে এই বলে সান্তনা দেয় - বেশি আশা করি বলে আমরা এত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি, এত অস্থির, এত অশান্ত। কিন্তু নিজেকে ক্রমাগত কাউনসিলিং করে ভালো থাকার চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা অমর্ত্য।
★★★★
এটা নিয়ে চার নম্বর হলো। রক্তটা রুমালে মুছে ফেলে মুখে একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো অমর্ত্যর। রুমালটা এরপর পরম যত্নে ভাঁজ করে রেখে দিলো তার প্যান্টের পকেটে। তারপর ধীরে সুস্থে মুন্নার নিথর শরীরটা ঢেকে ফেললো উদ্বাস্তু চাদরে। নির্জন গলিটাতে অল্প হ্যালোজেনের আলো চুঁইয়ে নেমেছে পাশের বড় রাস্তা থেকে। তাতেই দেখা গেলো লালচে হয়ে উঠছে নোংরা চাদরখানা। একটা বিরক্তি ফুটে উঠলো অমর্ত্যর মুখমন্ডলে, "রক্ত .. শীট্ ! যে চারজন নষ্ট করেছিলো তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় তার স্ত্রী অদিতির সতীত্ব এবং তাকে হত্যা করেছিলো .. এই ব্যক্তিই তো তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা। এইসব নোংরা, বিকৃতমনষ্ক, দুর্বৃত্তদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই .." এইরূপ স্বগতোক্তি করে উঠে পড়লো সে। তার এখন অনেক কাজ বাকী .. অনেক কাজ। মোটে তো চারটে হলো! এই চার একদিন চারশো হবে, তারপর চার হাজার, তারপর... চাপা উত্তেজনায় আর ভাবতে পারে না অমর্ত্য। ফাঁকা করে দেবে, এই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে এইসব নরপিশাচদের। ঠিক যেমন ওরা তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে, চিহ্ন রাখেনি তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় অদিতির।
আর মাত্র দুটো গলির পরেই তার বাড়ি .. তার 'আস্তানা'। বছর দুই আগের 'স্বপ্ন পূরণ' নাম পাল্টে এমন নামই রেখেছে সে। পাড়ায় অনেকেই তাকে জিজ্ঞাসা করে, "অমর্ত্য .. বাড়ির নামটাও বদলে ফেললে শেষ অব্দি? তবে ঠিকই করেছ, যা গেলো তোমার উপর দিয়ে!" অধ্যাপক অমর্ত্য বসু চুপ করে থাকে সে সময় .. লম্বা শ্বাস ফেলে শুধু। মৃদুস্বরে প্রশ্নকর্তার কুশল সমাচার করে ধীর পায়ে এগোয়। এহেন বরাবরের লাজুক মৃদু স্বভাবের মানুষ অমর্ত্য তার এই দ্বৈতসত্তায় নিজের ওপর নিজেই যেন প্রসন্ন হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রফুল্লমনে গ্রীল বসানো বারান্দা পেরিয়ে কাঠের দরজা বন্ধ করে সে ঢুকে পড়ে নিজের বাড়িতে।
বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে তার আলকোজ্জ্বল শয়নকক্ষে দেওয়ালে টাঙানো একটা ছবির সামনে দাঁড়ালো অমর্ত্য। ছবিটার উপরে একটা টাটকা রজনীগন্ধার মালা ঝুলছে .. আজ সন্ধ্যেতেই যেটা কিনে এনেছে সে। ছবির মানুষটার মুখে এখনও লেগে রয়েছে একঝলক হাসি .. তার স্ত্রী অদিতি। যার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিলো পৌষমেলায়। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হয়ে গিয়েছিল অমর্ত্যর। হারাতে চায়নি অদিতিকে। তাই তাদের গেস্ট হাউসের সামনের বাগানটায় অদিতিকে একা দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিলো, "ঠিকানা আর ফোন নম্বরটা দিও। বাঁশি আমার হারিয়ে গেছে ভিড়ে। অজস্র সে ক্লান্ত কলরবে, ধুলি-মলিন সুর বসেছে ধীরে। রাস্তা চেনা, অচেনা সব লোক, হাসি তোমার সামলে রেখো তুলে। চোখে আমার ভরিয়ে দিও রঙ, যদি দ্যাখো যাচ্ছি বেবাক ভুলে। আপাতত ঝাপসা লাগে সব, মোবাইল হাতে ফোন নম্বর খুঁজি। আর যা কিছু বদল হলো বলে, তোমায় ছাড়া আমার আর একটা দিনও চলবে না .. এটা বুঝি।"
কোনোদিন তীব্র গন্ধ সহ্য হয়নি অদিতির। মনে পড়ে ফুলশয্যার রাতে এই রজনীগন্ধার গন্ধে যেন কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছিল সে। মালাটা ফটোর উপর থেকে তৎক্ষণাৎ খুলে ফেললো অমর্ত্য। ছোটোখাটো ব্যাপারেও অদিতির ভালোবাসার শাসন মনে পড়ে আজও। হঠাৎ করেই চোয়ালদুটো শক্ত হয়ে উঠলো অমর্ত্যর। কলেজের ছাত্র রাজনীতির একটা নোংরা ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছিলো সে। জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচনের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে ভোটের দিন বোমাবাজিতে এক নিরীহ ছাত্রের মৃত্যু হয়। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী অমর্ত্যর বয়ানে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় রুলিং পার্টির নেতা এলাকার বিধায়কের ছেলে মুন্না এবং তার তিন সঙ্গীকে।
অনেক শাসানি, অনেক হুমকিতেও নিজের বয়ান বদল করেনি অমর্ত্য। তারপর যেদিন সন্ধ্যের আলো আঁধারিতে দুটো লোক অদিতিকে হটাৎ করে বাস টার্মিনাসের পিছনের অন্ধকার গলিটার মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ব্লাউস ছিঁড়ে ফালাফালা করে দেয়। শাড়ি, সায়া তুলে কোমর থেকে জোর করে নিচে নামিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে চলে যায় তার নিন্মাঙ্গের অন্তর্বাস। যাওয়ার আগে "এটা ট্রেলার ছিলো .. যদি এরপরেও আপনি আপনার বয়ান উইথড্র না করেন, তাহলে কিন্তু পরেরবার পুরো সিনেমা দেখিয়ে দেবো .." এইরূপ হুমকিপূর্ণ চিঠিটা দলা পাকিয়ে গুঁজে দিয়ে যায় অদিতির ব্রায়ের ভিতরে। আতঙ্কিত, ভীতসন্ত্রস্ত অদিতি কোনোরকমে শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে লজ্জা নিবারন করে একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
বারংবার অমর্ত্যকে এইসব ঝামেলার মধ্যে না জড়াতে অনুরোধ করে তার স্ত্রী অদিতি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল অমর্ত্যর। নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে, নিজের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে যেদিন সে ঠিক করে আগামীকাল পুলিশের কাছে গিয়ে সে তার দেওয়া বয়ান ফিরিয়ে নেবে, এমন কি শুধু তাই নয় কলেজে চাকরিটাও ছেড়ে দেবে। সেদিন রাতেই ঘটে গিয়েছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।