21-02-2023, 04:53 PM
মার্ঝল ভেলোসিটি
gamerboyrony
(একটি বৈধ প্রেমের অবৈধ কাহিনী)
“ক্লিক” করে একটা শব্দ হল, এই শব্দটা নতুন নয় ভিক্টর ব্রাউনে’র কাছে, আগ্নেয়াস্ত্রের হ্যামার্*’টা কক্* করলো, এবং সেটা তার পিছনে তাক করা চুপ থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু বলার আগেই তাকে একটা মুখোশ পড়িয়ে দেওয়া হল। হাতে হাতকড়ার মত কিছু। হয়তো চাইলে সে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা সে করতে পারত কিন্তু এই আগন্তুকদের আগমনটা জানা অত্যন্ত জরুরি ছিল তাই সেও চুপ করে থাকল। তাকে নিয়ে গিয়ে একটা গাড়িতে বসানো হল। গাড়ি চলতে শুরু করল। একটি মাঝবয়সী গলা শোনা গেল “বস এই মালটা’কে রহমান এর ড়েরায় নেবো কি?”
“শালে চুতিয়ে, চুতিয়ে হি রহোগে কিতনি মরতবা কাহা কে, প্ল্যান বাইরে’র মালের সামনে বকবি না। শালা ১০ বছরে’র বেশি এই লাইনে এখনও সেই”। বস বলতে যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে সে একজন মহিলা, সেটি তার কণ্ঠস্বরে পরিষ্কার। ভিক্টর মুখোশের মধ্যে দিয়ে অস্পষ্ট হলেও যা বুঝতে পারল যে গাড়িতে কম করে হলেও তাকে নিয়ে ৫ জন আছে। গাড়ি বিকট শব্দ করে ব্রেক কষলও।
“আবে ভোসড়ি কে গাড়ি কিউ রোকি?”
“বস আগে মামুদের রাস্তে’পে নাকা-বন্দি আছে, সামনে আজাদের ফ্ল্যাটে কিছু-টাইম রুকে যাই, হাওয়া গরম আছে একটু রুকতে হবে”। এবার মহিলা কণ্ঠস্বর’টি বলে উঠলো, “ঠিক আছে জলদি কর যা করার, আওর গাড়ি কো আয়সে জাগহ রাখনা কে নিকলনে মে আসানি হো”। ভিক্টর বুঝলও গাড়ি থেকে নামতে হবে এবার। তাকে নিয়ে গিয়ে বসানো হল একটি চেয়ারে এবং হাতকড়া চেয়ারের হাতলে বেধে দেওয়া হল। একজন তার মুখোশ’টি খুলে দিল। ঘরে সেরকম আসবাব বলতে কিছু নেয়। একটা খাট, কিছু চেয়ার আর একটা ফিজ্র এবং একটি দেয়াল আলমারি। তার সামনে জারা তার মধ্যে চার জন মাস্তান গোছের মাঝবয়সী সবাই প্রায় পাঠানি কুর্তা ও কামিজ এ। তবে ভিক্টরে’র নজর জার দিক থেকে সরছিল না সে হচ্ছে এই গ্যং’র বস এক বছর ২৫’র যুবতি। গায়ে একটি টি শার্ট তার ওপর একটি ডেনিম শার্ট চড়ানো বোতাম গুলো খোলা ও পড়নে ছাই রংয়ের ফেড্* জিনস প্যান্ট। চুলগুলো পনিটেল্* করে বাধা। টি শার্ট’র মাঝে ঝুলছে অভিএটর সানগ্লাস। হাতের চেটোতে একটা ট্যাটু, ইংরেজি অক্ষরে লেখা “ডবলু”। পায়ে স্নিকারস্*। চোখ মুখ টানা টানা টিকালো নাক, কানে ছোট দুল নাকে নথ। গায়ের রং ধবধবে ফরসা এক কথায় শেবতবর্ন। আজ এ রকম কেন লাগছে ভিক্টরে’র, মেয়ে কি দেখিনি সে না দেখেছে এরকম লাস্যময়ী অনেক দেখেছে তবে তার দিক থেকে নজর ও ভাবনা সরছে না কেন। যাই হোক না কেন এই মেয়েটি শত হলেও তো ক্রিমিনাল, একজন সমাজবিরোধী। এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে হতাঠ একসময় দরজায় শব্দ একবার না বেশ কিছু বার। মেয়েটির ইশারায় সবাই তাদের পজিশন নিল বন্দুক নিয়ে। হাতে তাদের বেরের্টা ৯ ম.ম., চিনতে অসুবিধে হয় নি ভিক্টরে’র। একজন গিয়ে সন্তর্পণে দরজার আই হোলে চোখ রাখল। সে বললও “আরে এত আমাদের মাসুদ যে”। দরজা খুলতেই একটা অল্পবয়সী যুবক ঢুকে বললও, “বস পুরো এরিয়া জুড়ে মামুদের ফিল্ডিং বেরোনো নামুমকিন লাগছে” মেয়েটি জিঙ্গেস করলো, “মাসুদ খবর পাক্কি হ্যাঁয়?” “বহত বড়ি ডেলিভারি দেনি হ্যাঁয়, এসবার কোই গড়বড় নেহি মাঙতা, জুবের’র বাচ্চাটা’র কাজ নয় তো?” জুবের নামটা ভিক্টরে’র মাথায় নোটেড রইলো। সে ভাবলও দেখা যাক আর কি কি জানা যায়, মনে হচ্ছে রহস্যের ঘনঘটা। মাসুদ বললও “না, বস জুবের পারে না, ওর এত ওবকাত না, আর কিছু টাইম হল ও ধান্দা সামলেছে, জুনেদ এর মত শালা’র এত হেকড়ি নেই, জুনেদ যা করতে পারত, না এর পিছবাড়ে মে এতো দম নেই”। “ওয়াহিদা আপা কে কিছু জানাবার দরকার নেই, সব সাল্টে নেব বাস্* তুমলোগ তৈয়ার রেহনা”।সারা দিনের ক্লান্তি’তে ভিক্টর এর চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, চোখ খুলে রাখার চেষ্টা বৃথা কখন চোখ বন্ধ হয়ে গেল। হঠাত ঘুম ভেঙে গেল দুটো বাচ্ছা’র হাসির আওয়াজে তারা হাসতে হাসতে দৌড়ে একটা ঘরে চলে গেল ভিক্টর ও তাদের অনুসরণ করে গেল, তাদের একজন সেই ঘরের একটা খাটের নিচে লুকলো আরেক জন দেওয়াল আলমারি তে। দুজন মহিলা তাদের খুঁজছে, লুকোচুরি খেলার আনন্দ এ, একদল অনুপ্রবেশকারী’র আবির্ভাব মৃত্যু’র সূচনা মাত্র। পলকে মহিলা দু’টির শরীর শত-ছিদ্র হল তাদের আগ্নেয়াস্ত্রে। খাটে’র নিচের বাচ্চা’টি দৌড়ে ভিক্টরে’র দিকে ছুটে আসতে গেল কিন্তু চোখের পলকে সেই শিশুটি’কে তারা ধরাশায়ী করলো। তার শরীরে’র সমস্ত রক্তে ভিক্টর রক্তাক্ত হয়ে উঠল। সে শত চেষ্টায় রক্ত মুছতে পারছে না। আর পাড়ছে না সে, চিৎকার করে উঠলো আতঙ্কে। তার শ্বাসরোধ হয়ে আসছে, সে তাকিয়ে দেখে যে তার মুখ চেপে রেখেছে একজন। সে তাকিয়ে বুঝতে পারে যে সে এখন সেই ফ্ল্যাটটি’তেই আছে। গুণ্ডাটি তাকে ইশারা’য় চুপ থাকতে বললও, ভিক্টর মাথা নাড়ল। সে আস্তে করে হাত’টা সরিয়ে দিল। তাকিয়ে দেখল এখন সে কিডন্যাপড অবস্থায় ওই ফ্ল্যাট’টিতে আছে। মেয়েটি সবাই’কে ইশারা করলো সজাগ থাকতে। খিদে পাচ্ছিল, তেষ্টাতে গলা শুকিয়ে কাঠ ভিক্টরে’র কিছু বলতে যাবে সে হঠাত লাউডস্পিকারে’র কর্কশ শব্দে সবার ঝিমুনি কেটে উঠলো, “জিনত খান যদি প্রাণে বাচতে চাও তো, আত্মসমর্পণ ছাড়া কোণ পথ নেই, পালানোর চেষ্টা বৃথা। চারিদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিস। দু’মিনিট সময় দিলাম। অস্ত্র নামিয়ে উপরে হাত তুলে চলে আসো, চালাকি করার বোকামি’টা করবে না আশা করি” বলে থেমে গেল পুরুষ কণ্ঠস্বর’টি। “কার্তুজ নিকাল আক্তার, আজ এন সালে মাদারজাত কো এহা ঠোকেঙ্গে” আবার বলে উঠলো জিনত খান ওরফে ‘বস’ “আক্তার সাপ সুঙ্* গেয়া ক্যা? কি বলছি শুনতে পারছিস না?” “না মানে আমরা এই ক’জন আর বাইরে এতজন, আওর এক বার সোচ্* কে দেখিয়ে আপ?” বলে চুপ করে গেল আক্তার। “মেরা ডর হি মেরা ধান্দে কা তাকত্* হ্যাঁয়, আজ যদি আমি আজ পালাই শালা কাল জুবের পরশু অন্যও কেউ, তুমলোগ নিকলনা চাহতে হো ত আভি নিকল যাও, জিনত একাই কাফি এই সব মাদারজাতদের জন্য” বলে জিনত নিজের বেরেটা্* রেডি করলো। “সবাই বস্* তোমার সাথে আছি, যো হোগা দেখা যায়েগা” তারস্বরে বলে উথলো সবাই। এবার সবাই জানলার ধারে পজিশন নিলো, কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়ঙ্কর রকমের গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছে পুলিস বনাম জিনত খানের গ্যাং। এর মধ্যে তিন জন নিহত হয়েছে জিনতের দলের লোকেরা, আক্তার হঠাত গুলী বিদ্ধ হয়ে ছিটকে এসে ভিক্টর’কে নিয়ে চেয়ার সহ পড়ে গেল। সেটা দেখে জিনত চিৎকার করে উথলো রাগে-দুঃখে, খিপ্তগতিতে সে গুলি চালাতে লাগল। এবার তার পালা সেও রেহাই পেল না। তারও দুটি গুলি লাগল, লুটিয়ে পড়ল সে মাটিতে। ভিক্টরে’র হাতটা যেই হাতলে হাতকড়া দিয়ে বাধা ছিল, সেই হাতলটা ভেঙ্গে গেছে আক্তারে’র ওজনে বা হাতল কমজোর থাকার জন্য যাই হোক না কেন সে এখন মুক্ত। সে দেখল মাসুদ মৃত্যুভয়ে কাঁদছে। বাড়ি লক্ষ্য করে অনবরত গুলি-বৃষ্টি হচ্ছে। ভিক্টর একবার ভাবল পালাবে তারপর কি মনে হল, সে পাড়ল না এভাবে প্রস্থান নিতে। জীবনে কেন সে এরকম ভাবছে। সে যানে এটা ঠিক নয়, সে বেআইনি ব্যাপারে জড়িয়ে পড়ছে। না সে আর না ভেবে এগিয়ে দেখল জিনতে্*’র কাঁধে আর হাত ছুঁয়ে গেছে গুলি। নাকের সামনে হাত দিয়ে বোঝা গেল ধড়ে প্রাণ আছে জিনতে্*’র। সে মাসুদে’র কাছে গিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো, “মাসুদ আমরা বেচে বেরবো এখান থেকে, তুমি যাও জিনতে’র খেয়াল রাখো”।“যাও” বলে আবার গর্জে উঠল ভিক্টর। মাসুদ স্তম্ভিত ফিরে পেল, সে মাথা নেড়ে জিনতে’র অসাড় শরীর’টার দিকে এগিয়ে গেল। পড়ে থাকা ৯ম.ম. টা তুলে নিলো ভিক্টর, যেন যমদূতে’র মৃতুযুদ্ধে’র প্রতিযোগিতায় ওয়াল্ডকার্ড এর্ণ্টি, কিছুক্ষণে চলল আরও যুদ্ধ এক এক করে সব লক্ষ্য শবে পরিণত হল। একজন র্ক্র্যাকশটে্*’র সামনে কলকাতা’র পুলিশে’র দম শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগল না। ভিক্টর এতক্ষণ দম ফেলার সময় পায় নি। সে মাসুদ কে জিঙ্গেস করলো, “তুমি ঠিক আছো তো? জিনতে’র কি অবস্থা?” “বস্*’র অল্প হোস্* আছে, ডক্তোরে’র কাছে জলদি পোহৌছনা্* পড়েগা্*, ওরনা দেড় হয়ে যাবে”। ভিক্টর বললও “হুম, তুমি কাঁধে তুলে নাও জিনত্*’কে আমি গাড়ি বেড় করছি, আর কেরোসিন বা পেট্রোল জাতিও কিছু আছে ফ্ল্যাটে?”। একটা বড় ডিবে এনে বলল মাসুদ, “ইয়ে রহা ঘাস-লেট কি ডিব্বা, পর ক্যা হোগা এসকা”? ভিক্টর শুধু বললও “দেখতে যাও”। পুরো ফ্ল্যাটটা’তে অগ্নি-সংযোগ করে গাড়িতে গিয়ে স্টার্ট দিল। চাবি ড্যাসবোর্ড ছিল না হলে স্পার্কে চালু করতে হত। মাসুদ জিনত্*’কে গাড়িতে শুইয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে গেল, সেই মূহুর্তে একজন মৃতপ্রায় অফিসারে’র বন্ধুকে’র শিকার হল মাসুদ। শেষবারে’র মত সেদিন গর্জে উঠে ভিক্টরে’র শান্ত করে দিল শেষ অফিসার’কে। ভিক্টর মাসুদের মৃতদেহ’টি নিয়ে পুলিশ’দের মৃত-শবের মাঝে রেখে, একটা জিপে’র পেট্রোল ট্যাঙ্কে’র মুখ খুলে তাতে অগ্নিসংযোগ করে দিল যাতে সব দেহ জ্বলে যায় এবং এভাবেই গাড়ি নিয়ে রাতে’র গভীরে অদৃশ্য হয়ে যায় তারা।
gamerboyrony
(একটি বৈধ প্রেমের অবৈধ কাহিনী)
“ক্লিক” করে একটা শব্দ হল, এই শব্দটা নতুন নয় ভিক্টর ব্রাউনে’র কাছে, আগ্নেয়াস্ত্রের হ্যামার্*’টা কক্* করলো, এবং সেটা তার পিছনে তাক করা চুপ থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু বলার আগেই তাকে একটা মুখোশ পড়িয়ে দেওয়া হল। হাতে হাতকড়ার মত কিছু। হয়তো চাইলে সে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা সে করতে পারত কিন্তু এই আগন্তুকদের আগমনটা জানা অত্যন্ত জরুরি ছিল তাই সেও চুপ করে থাকল। তাকে নিয়ে গিয়ে একটা গাড়িতে বসানো হল। গাড়ি চলতে শুরু করল। একটি মাঝবয়সী গলা শোনা গেল “বস এই মালটা’কে রহমান এর ড়েরায় নেবো কি?”
“শালে চুতিয়ে, চুতিয়ে হি রহোগে কিতনি মরতবা কাহা কে, প্ল্যান বাইরে’র মালের সামনে বকবি না। শালা ১০ বছরে’র বেশি এই লাইনে এখনও সেই”। বস বলতে যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে সে একজন মহিলা, সেটি তার কণ্ঠস্বরে পরিষ্কার। ভিক্টর মুখোশের মধ্যে দিয়ে অস্পষ্ট হলেও যা বুঝতে পারল যে গাড়িতে কম করে হলেও তাকে নিয়ে ৫ জন আছে। গাড়ি বিকট শব্দ করে ব্রেক কষলও।
“আবে ভোসড়ি কে গাড়ি কিউ রোকি?”
“বস আগে মামুদের রাস্তে’পে নাকা-বন্দি আছে, সামনে আজাদের ফ্ল্যাটে কিছু-টাইম রুকে যাই, হাওয়া গরম আছে একটু রুকতে হবে”। এবার মহিলা কণ্ঠস্বর’টি বলে উঠলো, “ঠিক আছে জলদি কর যা করার, আওর গাড়ি কো আয়সে জাগহ রাখনা কে নিকলনে মে আসানি হো”। ভিক্টর বুঝলও গাড়ি থেকে নামতে হবে এবার। তাকে নিয়ে গিয়ে বসানো হল একটি চেয়ারে এবং হাতকড়া চেয়ারের হাতলে বেধে দেওয়া হল। একজন তার মুখোশ’টি খুলে দিল। ঘরে সেরকম আসবাব বলতে কিছু নেয়। একটা খাট, কিছু চেয়ার আর একটা ফিজ্র এবং একটি দেয়াল আলমারি। তার সামনে জারা তার মধ্যে চার জন মাস্তান গোছের মাঝবয়সী সবাই প্রায় পাঠানি কুর্তা ও কামিজ এ। তবে ভিক্টরে’র নজর জার দিক থেকে সরছিল না সে হচ্ছে এই গ্যং’র বস এক বছর ২৫’র যুবতি। গায়ে একটি টি শার্ট তার ওপর একটি ডেনিম শার্ট চড়ানো বোতাম গুলো খোলা ও পড়নে ছাই রংয়ের ফেড্* জিনস প্যান্ট। চুলগুলো পনিটেল্* করে বাধা। টি শার্ট’র মাঝে ঝুলছে অভিএটর সানগ্লাস। হাতের চেটোতে একটা ট্যাটু, ইংরেজি অক্ষরে লেখা “ডবলু”। পায়ে স্নিকারস্*। চোখ মুখ টানা টানা টিকালো নাক, কানে ছোট দুল নাকে নথ। গায়ের রং ধবধবে ফরসা এক কথায় শেবতবর্ন। আজ এ রকম কেন লাগছে ভিক্টরে’র, মেয়ে কি দেখিনি সে না দেখেছে এরকম লাস্যময়ী অনেক দেখেছে তবে তার দিক থেকে নজর ও ভাবনা সরছে না কেন। যাই হোক না কেন এই মেয়েটি শত হলেও তো ক্রিমিনাল, একজন সমাজবিরোধী। এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে হতাঠ একসময় দরজায় শব্দ একবার না বেশ কিছু বার। মেয়েটির ইশারায় সবাই তাদের পজিশন নিল বন্দুক নিয়ে। হাতে তাদের বেরের্টা ৯ ম.ম., চিনতে অসুবিধে হয় নি ভিক্টরে’র। একজন গিয়ে সন্তর্পণে দরজার আই হোলে চোখ রাখল। সে বললও “আরে এত আমাদের মাসুদ যে”। দরজা খুলতেই একটা অল্পবয়সী যুবক ঢুকে বললও, “বস পুরো এরিয়া জুড়ে মামুদের ফিল্ডিং বেরোনো নামুমকিন লাগছে” মেয়েটি জিঙ্গেস করলো, “মাসুদ খবর পাক্কি হ্যাঁয়?” “বহত বড়ি ডেলিভারি দেনি হ্যাঁয়, এসবার কোই গড়বড় নেহি মাঙতা, জুবের’র বাচ্চাটা’র কাজ নয় তো?” জুবের নামটা ভিক্টরে’র মাথায় নোটেড রইলো। সে ভাবলও দেখা যাক আর কি কি জানা যায়, মনে হচ্ছে রহস্যের ঘনঘটা। মাসুদ বললও “না, বস জুবের পারে না, ওর এত ওবকাত না, আর কিছু টাইম হল ও ধান্দা সামলেছে, জুনেদ এর মত শালা’র এত হেকড়ি নেই, জুনেদ যা করতে পারত, না এর পিছবাড়ে মে এতো দম নেই”। “ওয়াহিদা আপা কে কিছু জানাবার দরকার নেই, সব সাল্টে নেব বাস্* তুমলোগ তৈয়ার রেহনা”।সারা দিনের ক্লান্তি’তে ভিক্টর এর চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, চোখ খুলে রাখার চেষ্টা বৃথা কখন চোখ বন্ধ হয়ে গেল। হঠাত ঘুম ভেঙে গেল দুটো বাচ্ছা’র হাসির আওয়াজে তারা হাসতে হাসতে দৌড়ে একটা ঘরে চলে গেল ভিক্টর ও তাদের অনুসরণ করে গেল, তাদের একজন সেই ঘরের একটা খাটের নিচে লুকলো আরেক জন দেওয়াল আলমারি তে। দুজন মহিলা তাদের খুঁজছে, লুকোচুরি খেলার আনন্দ এ, একদল অনুপ্রবেশকারী’র আবির্ভাব মৃত্যু’র সূচনা মাত্র। পলকে মহিলা দু’টির শরীর শত-ছিদ্র হল তাদের আগ্নেয়াস্ত্রে। খাটে’র নিচের বাচ্চা’টি দৌড়ে ভিক্টরে’র দিকে ছুটে আসতে গেল কিন্তু চোখের পলকে সেই শিশুটি’কে তারা ধরাশায়ী করলো। তার শরীরে’র সমস্ত রক্তে ভিক্টর রক্তাক্ত হয়ে উঠল। সে শত চেষ্টায় রক্ত মুছতে পারছে না। আর পাড়ছে না সে, চিৎকার করে উঠলো আতঙ্কে। তার শ্বাসরোধ হয়ে আসছে, সে তাকিয়ে দেখে যে তার মুখ চেপে রেখেছে একজন। সে তাকিয়ে বুঝতে পারে যে সে এখন সেই ফ্ল্যাটটি’তেই আছে। গুণ্ডাটি তাকে ইশারা’য় চুপ থাকতে বললও, ভিক্টর মাথা নাড়ল। সে আস্তে করে হাত’টা সরিয়ে দিল। তাকিয়ে দেখল এখন সে কিডন্যাপড অবস্থায় ওই ফ্ল্যাট’টিতে আছে। মেয়েটি সবাই’কে ইশারা করলো সজাগ থাকতে। খিদে পাচ্ছিল, তেষ্টাতে গলা শুকিয়ে কাঠ ভিক্টরে’র কিছু বলতে যাবে সে হঠাত লাউডস্পিকারে’র কর্কশ শব্দে সবার ঝিমুনি কেটে উঠলো, “জিনত খান যদি প্রাণে বাচতে চাও তো, আত্মসমর্পণ ছাড়া কোণ পথ নেই, পালানোর চেষ্টা বৃথা। চারিদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিস। দু’মিনিট সময় দিলাম। অস্ত্র নামিয়ে উপরে হাত তুলে চলে আসো, চালাকি করার বোকামি’টা করবে না আশা করি” বলে থেমে গেল পুরুষ কণ্ঠস্বর’টি। “কার্তুজ নিকাল আক্তার, আজ এন সালে মাদারজাত কো এহা ঠোকেঙ্গে” আবার বলে উঠলো জিনত খান ওরফে ‘বস’ “আক্তার সাপ সুঙ্* গেয়া ক্যা? কি বলছি শুনতে পারছিস না?” “না মানে আমরা এই ক’জন আর বাইরে এতজন, আওর এক বার সোচ্* কে দেখিয়ে আপ?” বলে চুপ করে গেল আক্তার। “মেরা ডর হি মেরা ধান্দে কা তাকত্* হ্যাঁয়, আজ যদি আমি আজ পালাই শালা কাল জুবের পরশু অন্যও কেউ, তুমলোগ নিকলনা চাহতে হো ত আভি নিকল যাও, জিনত একাই কাফি এই সব মাদারজাতদের জন্য” বলে জিনত নিজের বেরেটা্* রেডি করলো। “সবাই বস্* তোমার সাথে আছি, যো হোগা দেখা যায়েগা” তারস্বরে বলে উথলো সবাই। এবার সবাই জানলার ধারে পজিশন নিলো, কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়ঙ্কর রকমের গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছে পুলিস বনাম জিনত খানের গ্যাং। এর মধ্যে তিন জন নিহত হয়েছে জিনতের দলের লোকেরা, আক্তার হঠাত গুলী বিদ্ধ হয়ে ছিটকে এসে ভিক্টর’কে নিয়ে চেয়ার সহ পড়ে গেল। সেটা দেখে জিনত চিৎকার করে উথলো রাগে-দুঃখে, খিপ্তগতিতে সে গুলি চালাতে লাগল। এবার তার পালা সেও রেহাই পেল না। তারও দুটি গুলি লাগল, লুটিয়ে পড়ল সে মাটিতে। ভিক্টরে’র হাতটা যেই হাতলে হাতকড়া দিয়ে বাধা ছিল, সেই হাতলটা ভেঙ্গে গেছে আক্তারে’র ওজনে বা হাতল কমজোর থাকার জন্য যাই হোক না কেন সে এখন মুক্ত। সে দেখল মাসুদ মৃত্যুভয়ে কাঁদছে। বাড়ি লক্ষ্য করে অনবরত গুলি-বৃষ্টি হচ্ছে। ভিক্টর একবার ভাবল পালাবে তারপর কি মনে হল, সে পাড়ল না এভাবে প্রস্থান নিতে। জীবনে কেন সে এরকম ভাবছে। সে যানে এটা ঠিক নয়, সে বেআইনি ব্যাপারে জড়িয়ে পড়ছে। না সে আর না ভেবে এগিয়ে দেখল জিনতে্*’র কাঁধে আর হাত ছুঁয়ে গেছে গুলি। নাকের সামনে হাত দিয়ে বোঝা গেল ধড়ে প্রাণ আছে জিনতে্*’র। সে মাসুদে’র কাছে গিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো, “মাসুদ আমরা বেচে বেরবো এখান থেকে, তুমি যাও জিনতে’র খেয়াল রাখো”।“যাও” বলে আবার গর্জে উঠল ভিক্টর। মাসুদ স্তম্ভিত ফিরে পেল, সে মাথা নেড়ে জিনতে’র অসাড় শরীর’টার দিকে এগিয়ে গেল। পড়ে থাকা ৯ম.ম. টা তুলে নিলো ভিক্টর, যেন যমদূতে’র মৃতুযুদ্ধে’র প্রতিযোগিতায় ওয়াল্ডকার্ড এর্ণ্টি, কিছুক্ষণে চলল আরও যুদ্ধ এক এক করে সব লক্ষ্য শবে পরিণত হল। একজন র্ক্র্যাকশটে্*’র সামনে কলকাতা’র পুলিশে’র দম শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগল না। ভিক্টর এতক্ষণ দম ফেলার সময় পায় নি। সে মাসুদ কে জিঙ্গেস করলো, “তুমি ঠিক আছো তো? জিনতে’র কি অবস্থা?” “বস্*’র অল্প হোস্* আছে, ডক্তোরে’র কাছে জলদি পোহৌছনা্* পড়েগা্*, ওরনা দেড় হয়ে যাবে”। ভিক্টর বললও “হুম, তুমি কাঁধে তুলে নাও জিনত্*’কে আমি গাড়ি বেড় করছি, আর কেরোসিন বা পেট্রোল জাতিও কিছু আছে ফ্ল্যাটে?”। একটা বড় ডিবে এনে বলল মাসুদ, “ইয়ে রহা ঘাস-লেট কি ডিব্বা, পর ক্যা হোগা এসকা”? ভিক্টর শুধু বললও “দেখতে যাও”। পুরো ফ্ল্যাটটা’তে অগ্নি-সংযোগ করে গাড়িতে গিয়ে স্টার্ট দিল। চাবি ড্যাসবোর্ড ছিল না হলে স্পার্কে চালু করতে হত। মাসুদ জিনত্*’কে গাড়িতে শুইয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে গেল, সেই মূহুর্তে একজন মৃতপ্রায় অফিসারে’র বন্ধুকে’র শিকার হল মাসুদ। শেষবারে’র মত সেদিন গর্জে উঠে ভিক্টরে’র শান্ত করে দিল শেষ অফিসার’কে। ভিক্টর মাসুদের মৃতদেহ’টি নিয়ে পুলিশ’দের মৃত-শবের মাঝে রেখে, একটা জিপে’র পেট্রোল ট্যাঙ্কে’র মুখ খুলে তাতে অগ্নিসংযোগ করে দিল যাতে সব দেহ জ্বলে যায় এবং এভাবেই গাড়ি নিয়ে রাতে’র গভীরে অদৃশ্য হয়ে যায় তারা।