20-02-2023, 11:06 AM
জীবনে বড় হওয়ার দরকার আছে।
এতটাই বড় হতে হবে, যাতে গোস্বামী বাবুর মেয়ের বিয়েতে শহরের নামী কোনও পাঁচতারা হোটেলে ভেটকি পাতুড়ি এবং মটন কষা খেয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করা যায়, ঠিক তেমনি ও পাড়ার হারাধনের ছোট নাতির বৌভাতে মাছ ভাত আর শাক চচ্চড়ি খেয়েও দিব্যি স্বস্তির ঢেকুর তোলা যায়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, উডল্যান্ডসের জুতো পরে যেমন মুম্বাই শহরের 'Altamount Road' বরাবর হাঁটা যায়, তেমনি হাওয়াই চপ্পল পরে গ্রামের মেঠো রাস্তায় হাঁটতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, কোলকাতার মিত্র ক্যাফেতে যেমন চিংড়ির কাটলেট তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়, ঠিক তেমনি পাড়ার যতীনের চায়ের দোকানে অনায়াসে গরম চায়ে চুমুক দেওয়া যায়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, 'Ray and dale' ব্র্যান্ডের পোশাক পরে শুধু মহানগরীর দুর্গা পুজো পরিক্রমা করলেই হবে না, পাজামা স্যান্ডো পরে গ্রামের সরস্বতী পূজোর বিসর্জনেও সামিল হতে হবে।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, এয়ার এশিয়া কিংবা ইন্ডিগোর উড়ানে যেমন রাজস্থান ট্যুরে যেতে হবে, তেমনি অফিস ফিরতি বাড়ির পথে রবীনের টোটোতে ঠেসাঠেসি করে তিনজনের সীটে চারজন বসতে কুণ্ঠিত হওয়া চলবে না।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, বাড়ির ওয়াশ রুমে গীজারের জলে স্নান যেমন উপভোগ করা যায়, তেমনি প্রয়োজনে গ্রামের এঁদো পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করতেও যেন দ্বিধা বোধ না হয়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, কোলকাতার বুক ফেয়ারে ভিক্টর হুগোর 'লা মিজারেবল' খুঁজলেই চলবে না, রেলস্টেশনের বাইরের বইয়ের দোকানে ঝুলতে থাকা চটি বইটাও পড়তে হবে বইকি!
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যেমন নামী রেস্তোরাঁয় হুল্লোড় করা যায়, তেমনি পাড়ার হরিনাম সংকীর্তনের শেষ দিনে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে সিন্নি প্রাসাদ খেতেও পিছপা না হতে হয়।
জীবনে বড় হতে হবে।
কিন্তু এতটাও বড় হওয়া বোধ হয় নিষ্প্রয়োজন যাতে, পার্ক অ্যাভিনিউয়ের বডি স্প্রে করেছি বলে, ভিড় লোকাল ট্রেনে পাশের ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত ঘর্মাক্ত লোকটিকে দেখে নাক সিঁটকোতে হবে।
জীবনে এতটা বড় না হওয়ায় বাঞ্ছনীয় যাতে শৈশবের সহপাঠী যারা আজ ভাগ্যের পরিহাসে জীবন যুদ্ধে খানিকটা ব্যাকফুটে আছে তাদের দেখেও পরিচয় না দিয়ে না দেখার ভান করতে হয়।
জীবন তো একটাই। তাই শুধু বড় হলেই চলবে না। জীবনে ছোট হওয়ার স্বাদ অনাস্বাদিত থেকে যাবে যে ;
কী, তাই তো?
Bourses
এতটাই বড় হতে হবে, যাতে গোস্বামী বাবুর মেয়ের বিয়েতে শহরের নামী কোনও পাঁচতারা হোটেলে ভেটকি পাতুড়ি এবং মটন কষা খেয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করা যায়, ঠিক তেমনি ও পাড়ার হারাধনের ছোট নাতির বৌভাতে মাছ ভাত আর শাক চচ্চড়ি খেয়েও দিব্যি স্বস্তির ঢেকুর তোলা যায়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, উডল্যান্ডসের জুতো পরে যেমন মুম্বাই শহরের 'Altamount Road' বরাবর হাঁটা যায়, তেমনি হাওয়াই চপ্পল পরে গ্রামের মেঠো রাস্তায় হাঁটতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, কোলকাতার মিত্র ক্যাফেতে যেমন চিংড়ির কাটলেট তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়, ঠিক তেমনি পাড়ার যতীনের চায়ের দোকানে অনায়াসে গরম চায়ে চুমুক দেওয়া যায়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, 'Ray and dale' ব্র্যান্ডের পোশাক পরে শুধু মহানগরীর দুর্গা পুজো পরিক্রমা করলেই হবে না, পাজামা স্যান্ডো পরে গ্রামের সরস্বতী পূজোর বিসর্জনেও সামিল হতে হবে।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, এয়ার এশিয়া কিংবা ইন্ডিগোর উড়ানে যেমন রাজস্থান ট্যুরে যেতে হবে, তেমনি অফিস ফিরতি বাড়ির পথে রবীনের টোটোতে ঠেসাঠেসি করে তিনজনের সীটে চারজন বসতে কুণ্ঠিত হওয়া চলবে না।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, বাড়ির ওয়াশ রুমে গীজারের জলে স্নান যেমন উপভোগ করা যায়, তেমনি প্রয়োজনে গ্রামের এঁদো পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করতেও যেন দ্বিধা বোধ না হয়।
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, কোলকাতার বুক ফেয়ারে ভিক্টর হুগোর 'লা মিজারেবল' খুঁজলেই চলবে না, রেলস্টেশনের বাইরের বইয়ের দোকানে ঝুলতে থাকা চটি বইটাও পড়তে হবে বইকি!
জীবনে এতটাই বড় হতে হবে যে, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যেমন নামী রেস্তোরাঁয় হুল্লোড় করা যায়, তেমনি পাড়ার হরিনাম সংকীর্তনের শেষ দিনে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে সিন্নি প্রাসাদ খেতেও পিছপা না হতে হয়।
জীবনে বড় হতে হবে।
কিন্তু এতটাও বড় হওয়া বোধ হয় নিষ্প্রয়োজন যাতে, পার্ক অ্যাভিনিউয়ের বডি স্প্রে করেছি বলে, ভিড় লোকাল ট্রেনে পাশের ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত ঘর্মাক্ত লোকটিকে দেখে নাক সিঁটকোতে হবে।
জীবনে এতটা বড় না হওয়ায় বাঞ্ছনীয় যাতে শৈশবের সহপাঠী যারা আজ ভাগ্যের পরিহাসে জীবন যুদ্ধে খানিকটা ব্যাকফুটে আছে তাদের দেখেও পরিচয় না দিয়ে না দেখার ভান করতে হয়।
জীবন তো একটাই। তাই শুধু বড় হলেই চলবে না। জীবনে ছোট হওয়ার স্বাদ অনাস্বাদিত থেকে যাবে যে ;
কী, তাই তো?
Bourses