20-02-2023, 06:56 AM
নীলিমা মনোযোগ দিয়ে ওর শ্বশুরের কথা শুনছিল এতক্ষণ। তার কথা শেষ হতেই ও বলল-
বাবা, আমার কারণেই আজ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব।
নয়ন বাবু খুশি হয়ে বললেন, সত্যি বউমা! তুমি করবে তো?
নীলিমাও আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে বলল,
অবশ্যই করব।
- পূজাটা একটু কঠিন। কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। তুমি তৈরি হয়ে নাও। সবিতা (নীলিমার ননদ) তোমাকে সব বুঝিয়ে দেবে।
নীলিমার কথায় আশ্বস্ত হয়ে নয়ন বাবু ওর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। নীলিমা তৈরি হবার ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিল না। তখনি সবিতা প্রবেশ করল।
তখনি সবিতা প্রবেশ করল ঘরে।
- কই ভাবী, এখনও বাথরুমে গেলে না?
-বাথরুমে যাব কেন!! নীলিমা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
- বাবা তোমাকে কিছুই বলেনি। ও আচ্ছা, আমিও তো একটা গাধা। যদি বলতই, তাহলে আমাকে আবার তোমাকে বুঝিয়ে বলার জন্য পাঠাত নাকি!! গুরুজী পূজার নিয়মকানুন বলে দিয়েছেন। বাবা তোমাকে বলতে লজ্জা পাচ্ছিলেন তাই আমাকে বুঝিয়ে দিতে বলল...
- কি এমন কথা যে বাবা আমাকে বলতে লজ্জা পাচ্ছে!!
নীলিমা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
সবিতা হেসে দিয়ে বলল, আরেহ, তেমন কিছু না। শুধু প্রথম শর্তটা ই একটু লজ্জার। প্রথম শর্তে বলেছেন, তার সহযোগিনী সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে হবে।
- তো এটাতে লজ্জার কী হল! তাছাড়া আমি কি অপরিষ্কার?
নীলিমার গাল টেনে দিয়ে সবিতা বলল, আরে...পরিষ্কার মানে, তোমার অযাচিত লোমটোম কিছু থাকতে পারবে না। এই হল কথা।
নীলিমা এবার বুঝতে পারল। কিন্তু মনে সামান্য খটকা লাগল; পূজার জন্য এসব করতে হবে কেন!!!
যাক, গুরুজীদের কতো নিয়মকানুন। এটাও তার একটা হবে হয়ত।
মুখে হাসি টেনে নীলিমা বলল,
ও আচ্ছা, আর কী কী শর্ত দিয়েছেন উনি?
- আগামী সাতদিন তোমার গুরুজীর সঙ্গে উপরে থাকতে হবে। এই সাতদিনে কেউ তোমার মুখ দেখতে পারবে না গুরুজী ছাড়া।
এই শর্ত শুনে নীলিমা আৎকে উঠল।
বলিস কি, আমি গুরুজীর সঙ্গে থাকব মানে! উনার সাথে শুতেও হবে নাকি আমাকে??
সবিতা জোরে হেসে বলল, আমার পাগলী ভাবী, তার সাথে শুতে যাবে কেন তুমি। উপরের চিলেকোঠা তো অনেক বড়। মাঝে ছোট একটা পার্টিশনও আছে। তুমি একপাশে শুবে, গুরুজী একপাশে শুবে। অবশ্য তোমার যদি গুরুজীর সাথে শুতে মন চায়...
সবিতার মাথায় একটা ধাক্কা দিয়ে নীলিমা বলল, খুব পেকেছিস হ্যাঁ?
এবার বল, আমাদের খাওয়াদাওয়া কিভাবে হবে? গোসল বাথরুম নাহয় উপরেই আছে।
- খাওয়াদাওয়ার চিন্তা তোমাদের করতে হবে না। খাওয়ার সময় হলে আমি যেয়ে দরজায় খাবার রেখে আসব। তুমি শুধু সময়মত দরজা থেকে খাবার নিয়ে যাবে। বাকী শর্তগুলো শোন, সময় বেশি নেই, আজ থেকে ই পূজা শুরু হবে। বাবা পুজাসামগ্রী আনতে গেছেন বাইরে।
- আচ্ছা, ঠিক আছে বল, আর কী কী করতে হবে?
নীলিমা নড়েচড়ে বসে জিজ্ঞেস করল।
- গুরুজী প্রত্যেকটা কথা মানতে হবে। ভুলেও যাতে এক কথা দু'বার বলতে না হয়।
এই সাতদিন পূজার জন্য নির্ধারিত পোশাক ছাড়া অন্য কোনকিছু পরিধান করা যাবে না।
গুরুজী যখন ধ্যানে থাকবে কোনভাবে ই তা ভাঙ্গা যাবে না।
গুরুজীর ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না।
- শেষ হয়েছে শর্ত, নাকি আরও কিছু বাকী আছে?
নীলিমা মজা করে জানতে চাইল।
- আপাতত এই ই। যাও, ভালভাবে গোসল করে পরিষ্কার হয়ে নাও। সবিতা চোখ টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। নীলিমা চোখ মটকে বাথরুমে ঢুকে পড়ল।
বাবা, আমার কারণেই আজ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব।
নয়ন বাবু খুশি হয়ে বললেন, সত্যি বউমা! তুমি করবে তো?
নীলিমাও আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে বলল,
অবশ্যই করব।
- পূজাটা একটু কঠিন। কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। তুমি তৈরি হয়ে নাও। সবিতা (নীলিমার ননদ) তোমাকে সব বুঝিয়ে দেবে।
নীলিমার কথায় আশ্বস্ত হয়ে নয়ন বাবু ওর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। নীলিমা তৈরি হবার ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিল না। তখনি সবিতা প্রবেশ করল।
তখনি সবিতা প্রবেশ করল ঘরে।
- কই ভাবী, এখনও বাথরুমে গেলে না?
-বাথরুমে যাব কেন!! নীলিমা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
- বাবা তোমাকে কিছুই বলেনি। ও আচ্ছা, আমিও তো একটা গাধা। যদি বলতই, তাহলে আমাকে আবার তোমাকে বুঝিয়ে বলার জন্য পাঠাত নাকি!! গুরুজী পূজার নিয়মকানুন বলে দিয়েছেন। বাবা তোমাকে বলতে লজ্জা পাচ্ছিলেন তাই আমাকে বুঝিয়ে দিতে বলল...
- কি এমন কথা যে বাবা আমাকে বলতে লজ্জা পাচ্ছে!!
নীলিমা অবাক হয়ে জানতে চাইল।
সবিতা হেসে দিয়ে বলল, আরেহ, তেমন কিছু না। শুধু প্রথম শর্তটা ই একটু লজ্জার। প্রথম শর্তে বলেছেন, তার সহযোগিনী সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে হবে।
- তো এটাতে লজ্জার কী হল! তাছাড়া আমি কি অপরিষ্কার?
নীলিমার গাল টেনে দিয়ে সবিতা বলল, আরে...পরিষ্কার মানে, তোমার অযাচিত লোমটোম কিছু থাকতে পারবে না। এই হল কথা।
নীলিমা এবার বুঝতে পারল। কিন্তু মনে সামান্য খটকা লাগল; পূজার জন্য এসব করতে হবে কেন!!!
যাক, গুরুজীদের কতো নিয়মকানুন। এটাও তার একটা হবে হয়ত।
মুখে হাসি টেনে নীলিমা বলল,
ও আচ্ছা, আর কী কী শর্ত দিয়েছেন উনি?
- আগামী সাতদিন তোমার গুরুজীর সঙ্গে উপরে থাকতে হবে। এই সাতদিনে কেউ তোমার মুখ দেখতে পারবে না গুরুজী ছাড়া।
এই শর্ত শুনে নীলিমা আৎকে উঠল।
বলিস কি, আমি গুরুজীর সঙ্গে থাকব মানে! উনার সাথে শুতেও হবে নাকি আমাকে??
সবিতা জোরে হেসে বলল, আমার পাগলী ভাবী, তার সাথে শুতে যাবে কেন তুমি। উপরের চিলেকোঠা তো অনেক বড়। মাঝে ছোট একটা পার্টিশনও আছে। তুমি একপাশে শুবে, গুরুজী একপাশে শুবে। অবশ্য তোমার যদি গুরুজীর সাথে শুতে মন চায়...
সবিতার মাথায় একটা ধাক্কা দিয়ে নীলিমা বলল, খুব পেকেছিস হ্যাঁ?
এবার বল, আমাদের খাওয়াদাওয়া কিভাবে হবে? গোসল বাথরুম নাহয় উপরেই আছে।
- খাওয়াদাওয়ার চিন্তা তোমাদের করতে হবে না। খাওয়ার সময় হলে আমি যেয়ে দরজায় খাবার রেখে আসব। তুমি শুধু সময়মত দরজা থেকে খাবার নিয়ে যাবে। বাকী শর্তগুলো শোন, সময় বেশি নেই, আজ থেকে ই পূজা শুরু হবে। বাবা পুজাসামগ্রী আনতে গেছেন বাইরে।
- আচ্ছা, ঠিক আছে বল, আর কী কী করতে হবে?
নীলিমা নড়েচড়ে বসে জিজ্ঞেস করল।
- গুরুজী প্রত্যেকটা কথা মানতে হবে। ভুলেও যাতে এক কথা দু'বার বলতে না হয়।
এই সাতদিন পূজার জন্য নির্ধারিত পোশাক ছাড়া অন্য কোনকিছু পরিধান করা যাবে না।
গুরুজী যখন ধ্যানে থাকবে কোনভাবে ই তা ভাঙ্গা যাবে না।
গুরুজীর ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না।
- শেষ হয়েছে শর্ত, নাকি আরও কিছু বাকী আছে?
নীলিমা মজা করে জানতে চাইল।
- আপাতত এই ই। যাও, ভালভাবে গোসল করে পরিষ্কার হয়ে নাও। সবিতা চোখ টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। নীলিমা চোখ মটকে বাথরুমে ঢুকে পড়ল।