17-02-2023, 05:59 PM
মানুষের চাহিদার শেষ নেই ৷ তাই চঞ্চলা আর কপিল নিজেদের চাহিদা নিজেরাই মিটিয়ে নিত তাদেরই নানা ফন্দি ফিকিরে ৷ প্রবীর এর টিউশন সেন্টারএ প্রবীর ব্যস্ত হয়ে পড়লেও সপ্তাহের একদিনে সরোজ আর ব্রতীন একে অপরকে দেখে শুনে রাখত ৷ মধুমিতাকে ব্রতীন আজও বলতে পারে নি যে তাকেই ভালোবেসে গেছে এত কটা বছর ৷ নেই নেই করে ৬টা বছর কম নয় ৷ সরোজ পোস্ট অফিসে চাকরি পেয়েছে ৷ সেটাই তার কাছে লটারি ৷ কিন্তু কপিল দলছুটের মত চাকরি নিয়ে চলে গেছে হামবুর্গ ৷ সে ভালো চাকরি পেয়েছে বলে অখিল বাবু শহরের নামী লোকেদের নিয়ে পার্টি করেছেন ৷ সেখানে নিশিকান্ত বাবুকে দেখা যায় নি ৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো গল্পের শেষ দৃশ্য টি যেটা নাকি আমরা কেউই ভাবতে পারি না ৷ শহরের কোর্টে বেশ ভিড় সোমবার ৷ তার চেয়ে বড় খবর অনির্বাণ মজুমদারকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে ৷ নিশিকান্ত ই মামলা করেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই ৷ নাম করা উকিল বিপিন বাবু প্রশ্ন করলেন " তুমি কি চঞ্চলা সর্দারকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাস করেছ দীর্ঘদিন ধরে?" অনির্বাণ সাথে সাথে উত্তর দেয় "না।" "তাকে কি তুমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে তাকে তুমি বিয়ে করবে?" অনির্বাণ উত্তর দেয় না, মাথা নেড়ে জানায় "হ্যাঁ!" যদিও অনির্বাণ কোনদিনও চঞ্চলাকে প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাকে বিয়ে করবে ৷ অপর পক্ষের উকিল প্রশ্ন করে নিশিকান্ত কে " অখিল বাবুর স্ত্রী আপনাকে কথা দিয়েছিলেন যে তার ছেলের সাথেই আপনার মেয়ের বিয়ে দেবেন ?" নিশিকান্ত হ্যাঁ জবাব দেয় ৷ অনির্বাণের মাকে বা চঞ্চলাকে কাওকে আদালতে আসতে হয় না ৷ সাক্ষ্য প্রমাণে অনির্বাণের ৫-৬ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে ৷ তার উপর আসছে ফাগুনে তার সাথে বৈশালীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ৷ কার্ড দেয়াও প্রায় শেষ ৷ এর মধ্যে এত কিছু ঝামেলা সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন অখিল বাবু ৷
নিশিকান্তর মেয়ের প্রতি অবিচারের ন্যায়বিচার বেশি বড় না অখিল বাবুর নিজের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করা বড় তা সমাজের মোড়কে উত্তর খুঁজে পাওয়া শক্ত হবে ৷ কিন্তু অনির্বাণের মা বা চঞ্চলা কেউই প্রাধান্য পাবে না হয় তো হিসেবের খাতায় ৷ নিভৃতে নিশ্বাস ফেলে চঞ্চলা ঘরের বারান্দার খুঁটি ধরে আঁকড়ে থাকবে ৷ সেতো চায় নি তার সহবাসের খসড়া শহরের আদালতে চর্চা হোক ৷ তার মনে কোনো খেদ নেই ৷ তার সার্থক জনমে কারোর গৃহিনী হয়েই বাকি জীবন কাটাতে হবে, যে ভাবে কাটে তার মা বা অখিলবাবুর স্ত্রীর ৷ প্রশ্ন করলে সৎ উত্তর পাওয়া যাবে না হয়ত কপিলের মুখ থেকে ৷ আর কপিলের চাহিদার খাতায় চঞ্চলার অবদান ভাস্বর হয়ে থাকবে কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে ৷ তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার কলঙ্ক থেকে কপিল পাপ পুণ্যের বিচার করবে কি না তা হয়ত আমরা জানতে পারব না ৷ হয়ত চঞ্চলা অনির্বাণকে এক সুতোতে বাঁধলে অনির্বাণের মার চোখের জল ব্যর্থ যেত না ৷ মামলায় হার জিতকে পরোক্ষ ধরে নিয়ে নিশিকান্তকে ফইজুল এর কথা মেনে চঞ্চলার বিয়ে দিতে হত ৷
এক দিন সন্ধেবেলা নিশ্চয়ই এমন অনির্বাণদের জীবনে বিয়ের সানাই বাজবে। আর এমন সন্ধ্যায় মুখ গুজে বালিশ আঁকড়ে অনেক চঞ্চলা মুখ গুমরে কাঁদতে থাকবে ৷ সার্থক জনম নিয়ে এমন সন্তানদের মা বাবারা কতই না স্বপ্ন দেখে ৷ বাস্তব সত্যি কঠোর ৷ আসুন না বাস্তবকে স্বপ্ন বলে ভুলে যাই কে বলেছে বাঁচতে হবে শুধু বাস্তবের হাত ধরে !
(শেষ)
নিশিকান্তর মেয়ের প্রতি অবিচারের ন্যায়বিচার বেশি বড় না অখিল বাবুর নিজের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করা বড় তা সমাজের মোড়কে উত্তর খুঁজে পাওয়া শক্ত হবে ৷ কিন্তু অনির্বাণের মা বা চঞ্চলা কেউই প্রাধান্য পাবে না হয় তো হিসেবের খাতায় ৷ নিভৃতে নিশ্বাস ফেলে চঞ্চলা ঘরের বারান্দার খুঁটি ধরে আঁকড়ে থাকবে ৷ সেতো চায় নি তার সহবাসের খসড়া শহরের আদালতে চর্চা হোক ৷ তার মনে কোনো খেদ নেই ৷ তার সার্থক জনমে কারোর গৃহিনী হয়েই বাকি জীবন কাটাতে হবে, যে ভাবে কাটে তার মা বা অখিলবাবুর স্ত্রীর ৷ প্রশ্ন করলে সৎ উত্তর পাওয়া যাবে না হয়ত কপিলের মুখ থেকে ৷ আর কপিলের চাহিদার খাতায় চঞ্চলার অবদান ভাস্বর হয়ে থাকবে কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে ৷ তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার কলঙ্ক থেকে কপিল পাপ পুণ্যের বিচার করবে কি না তা হয়ত আমরা জানতে পারব না ৷ হয়ত চঞ্চলা অনির্বাণকে এক সুতোতে বাঁধলে অনির্বাণের মার চোখের জল ব্যর্থ যেত না ৷ মামলায় হার জিতকে পরোক্ষ ধরে নিয়ে নিশিকান্তকে ফইজুল এর কথা মেনে চঞ্চলার বিয়ে দিতে হত ৷
এক দিন সন্ধেবেলা নিশ্চয়ই এমন অনির্বাণদের জীবনে বিয়ের সানাই বাজবে। আর এমন সন্ধ্যায় মুখ গুজে বালিশ আঁকড়ে অনেক চঞ্চলা মুখ গুমরে কাঁদতে থাকবে ৷ সার্থক জনম নিয়ে এমন সন্তানদের মা বাবারা কতই না স্বপ্ন দেখে ৷ বাস্তব সত্যি কঠোর ৷ আসুন না বাস্তবকে স্বপ্ন বলে ভুলে যাই কে বলেছে বাঁচতে হবে শুধু বাস্তবের হাত ধরে !
(শেষ)