16-02-2023, 04:45 PM
একা ঘরে মধুমিতাকে নিয়ে বসে একটা বই হাতে নিয়ে প্রবীর তার কাজ সারতে থাকে ৷ " তুই চঞ্চলাকে চিনিস তোর কলেজে পড়ে ?" মধুমিতা ভয় পেয়ে যায় ৷ বাকিরা বাড়ির বাইরে সবজি বাগানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেসোর প্রশংসা করতে থাকে ৷ মিনিট ৫ পর প্রবীর বেরিয়ে আসে ৷ মাসি চা দিয়ে যায় সবাইকে ৷ " কি প্লান হলো তোমাদের ? আমার বাড়িতে প্লান ছাড়া তো আসো না !" সরোজ হেসে বলে " আরে চৌধুরীদের পুকুরের একটা মাছ ধরার লিজ যোগাড় করে দাও না মেসোকে বলে? " মেসো ওই পুকুরের কমিটি সেক্রেটারি ৷ মাসি " বলে দেখব কাল পরশু আয় !" বলে ঘরের ভিতরে কাজ করতে চলে যায় ৷ বোলতার মত চারজন গুন গুন করে কাপ প্লেট রেখে মাসি আসি বলে বেরিয়ে যায় ৷ বলাইয়ের দোকানে সিগারেট খেতে খেতে কথা ওঠে ৷ নিশিকান্তর কোড নাম তৈরি হয়ে যায় রাঘব বোয়াল ৷ আর চঞ্চলার চিংড়ি ৷ চঞ্চলা বৃহস্পতিবার আর রবিবার বিশালাক্ষী মন্দিরে যায় ৷ আর সোম বুধ শুক্র পড়তে যায় বিজন স্যার এর কাছে ইংলিশ ৷ বিজন বাবু আবার অখিল বাবুর বিশেষ বন্ধু ৷ এক বছরের বড় হলেও মধুমিতার খবর যোগাড় করতে কষ্ট হয় না ৷ সব খবর প্রায় পেয়ে গেছে কপিল ৷ নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার আর রবিবার মন্দিরে গিয়ে হত্যে দিয়ে বসে থাকে কপিল ৷ দেখা হলেও কথা হয় না ৷ চঞ্চলা মাঝে মাঝে কপিলকে দেখলেও কোনো আকার ইঙ্গিত করে না ৷ দিন যায় মাস কেটে যায় ৷ কিন্তু কপিল এগিয়ে চঞ্চলাকে কিছু বলার চেষ্টা করে না ৷ দু মাস কেটে যায় ৷ সবাই ঠাণ্ডা হয়ে যায় চঞ্চলাকে নিয়ে ৷ মনে মনে গুমরে ওঠে কপিল ৷ এই হার যেন তাকে কুরে কুরে খেতে থাকে ৷ বাধ্য হয়ে চলে যায় বিজন কাকুর বাড়িতে ৷ অনেক সময় কাটিয়ে চঞ্চলার সামনে জাহির করে তার বাবার সম্পর্ক ৷ বিজন বাবু সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন, এর নাম অনির্বাণ, অখিল বাবুর ছেলে, BTECH পড়ছে ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ চঞ্চলা এই প্রথম দেখে কপিলকে মুচকি হাঁসে ৷ নতুন আসার আলো জেগে ওঠে কপিলের মনে ৷ কপিলকে কপিল বলেই চেনে চঞ্চলা কিন্তু ওর আসল নাম অনির্বাণ সে জানে না ৷ এদিকে চঞ্চলার বন্ধু মহলেও অনির্বাণ নাম টা ঘুরে ফিরে আসতে থাকে ৷ চঞ্চলা একটু চঞ্চল হয়ে ওঠে ৷ মন থেকে মেনে নিতে চাইলেও পারে না যেন কোন দ্বিধায় ৷ কোনো এক শূন্যতা তাকে গ্রাস করে ৷ সেদিন রবিবার ৷ ভাঙ্গা মন নিয়ে মন্দিরের এক কোনে বসে আপন মনে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে থাকে কপিল ৷ আজ যা হয় হোক তাকে জানাবে যে তার আর চঞ্চলার প্রতি লালসা নেই ৷ তাকে শুধু মন থেকে ভালবাসে ৷ তার হ্যাঁ বা না তে আজ তার আর কিছু এসে যায় না ৷ হালকা গোলাপি চুড়িদার পড়ে হেঁটে মন্দিরে ঢোকে চঞ্চলা ৷ কপিলকে দেখে সংযত হয়েই মন্দিরে ঢুকে যায় ৷ কপিল বেরিয়ে আসে মন্দির থেকে ৷ একটু পরে চঞ্চলাকে একা পেয়ে জিজ্ঞাসা করে " এক মিনিটের জন্য তোমার সাথে কথা বলতে পারি ? " চঞ্চলা শুনেও না শোনার ভান করে ৷ কপিল কাতর স্বরে জিজ্ঞাসা করে " প্লিস এক মিনিট " ৷ একটা গলির ভিতরে ঢুকে পড়ে চঞ্চলা। কপিলকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসা করে " কি ব্যাপার এই ভাবে আমাকে গত ৬ মাস ধরে ফলো করছেন কেন ? এসব আমি পছন্দ করি না ৷ যদি কিছু বলার থাকে আমার বাবাকে বলবেন, আর আমি যেন না দেখি আপনি আমার পিছন ধরেছেন এই ভাবে ৷ তাহলে আমি বাড়িতে জানাতে বাধ্য হব ৷"
রাগে মাথা গরম হয়ে ওঠে কপিলের ৷ মাথা নিচু করে নীরবে শুনে নেয় সব কথা ৷ বাইক চালিয়ে বাড়ি গিয়ে মার কাছে মার কোলে মাথা রাখে সে ৷ তার মা তাকে চেনেন ৷ ছেলে তার খারাপ নয় ৷ সব জানায় কপিল ৷ চঞ্চলার মন জয় করতে পারে না ব্যর্থ কপিল ৷ তার মা আশ্বাস দেন তিনি নিশিকান্তর সাথে কথা বলবেন ৷ এদিকে এই ঘটনার পর ব্রতীন, প্রবীর রেগে কাই হয়ে আছে চঞ্চলার উপর ৷ চরম জেদ নিয়ে দিন রাত পড়াশুনা করছে কপিল ৷ সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা ৷ পরীক্ষার পর চরম অপমানের বদলা নেবে সবাই ৷ এদিকে চঞ্চলাও পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ সব কিছু ঠিকঠাক মিটে গেলেই বাধবে দক্ষ যজ্ঞ ৷ এক মাসের ঘমাসান পরীক্ষার পর পরিতৃপ্তি নিয়ে চঞ্চলার দিকে মন দিতেই কপিল অদ্ভুত এক পরিবর্তন লক্ষ্য করে ৷ আর তার চঞ্চলার উপর সে আকর্ষণ খুঁজে পায় না ৷ এক দু সপ্তাহ কেটেছে নিজেই মাকে বলে দেয় " মা তুমি আর নিশিকান্তর কাছে যেও না ৷ তার দরকার নেই !" মা চমকে ওঠে ৷ যে ছেলে চঞ্চলা বললে পাগল সে কিনা যেতে না করছে ৷ " কেনরে ওর কি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?" "না মা ওর ওই মেয়ের পিছনে যাওয়ার ইচ্ছা নেই " বলেই পাস কাটিয়ে দেয় কপিল ৷
রাগে মাথা গরম হয়ে ওঠে কপিলের ৷ মাথা নিচু করে নীরবে শুনে নেয় সব কথা ৷ বাইক চালিয়ে বাড়ি গিয়ে মার কাছে মার কোলে মাথা রাখে সে ৷ তার মা তাকে চেনেন ৷ ছেলে তার খারাপ নয় ৷ সব জানায় কপিল ৷ চঞ্চলার মন জয় করতে পারে না ব্যর্থ কপিল ৷ তার মা আশ্বাস দেন তিনি নিশিকান্তর সাথে কথা বলবেন ৷ এদিকে এই ঘটনার পর ব্রতীন, প্রবীর রেগে কাই হয়ে আছে চঞ্চলার উপর ৷ চরম জেদ নিয়ে দিন রাত পড়াশুনা করছে কপিল ৷ সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা ৷ পরীক্ষার পর চরম অপমানের বদলা নেবে সবাই ৷ এদিকে চঞ্চলাও পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ সব কিছু ঠিকঠাক মিটে গেলেই বাধবে দক্ষ যজ্ঞ ৷ এক মাসের ঘমাসান পরীক্ষার পর পরিতৃপ্তি নিয়ে চঞ্চলার দিকে মন দিতেই কপিল অদ্ভুত এক পরিবর্তন লক্ষ্য করে ৷ আর তার চঞ্চলার উপর সে আকর্ষণ খুঁজে পায় না ৷ এক দু সপ্তাহ কেটেছে নিজেই মাকে বলে দেয় " মা তুমি আর নিশিকান্তর কাছে যেও না ৷ তার দরকার নেই !" মা চমকে ওঠে ৷ যে ছেলে চঞ্চলা বললে পাগল সে কিনা যেতে না করছে ৷ " কেনরে ওর কি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?" "না মা ওর ওই মেয়ের পিছনে যাওয়ার ইচ্ছা নেই " বলেই পাস কাটিয়ে দেয় কপিল ৷