06-02-2023, 09:48 PM
ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না কী লিখিব। অনবদ্য ভাবে শেষ হইল গোলকধাঁধায় গোগোল নামের এই মহাপোন্যাস। বলিতে গেলে একটি মহাখণ্ড তাহার চক্র সম্পূর্ণ করিল। অরুন্ধতী দেবীর দেবীরূপে আগমণ হইতেও বড় ঝটকা ইন্সপেক্টর সেনগুপ্তের বিদেহী হইয়া যাওয়ায়। কিন্তু দুরাত্মা কামরাজের অন্তিম মুহূর্তের কথা শুনিবার সময়ও কেন জানি ওই পাষণ্ডের প্রতি বিন্দুমাত্র করুণা হয় নাই।
মিলনে সমাপ্তি আসিল ইহা সবচাইতে বড় পাওনা। কেন জানি ভয় হইতে ছিল বিরহ না আসে শেষ মুহূর্তের ট্যুইস্ট আনিতে তাহা আসে নাই দেখিয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম। পর্ণার বক্তব্যের বয়ান বেশ সুন্দর লাগিল। সে যে বাস্তবিক অলৌকিক কিছু দেখিয়াছে তাহা বেশ সুন্দরভাবে বুঝাইয়াছে।
আরেকটি বেশ মন কাড়িল গোগোলের শেষের মানসিকতা। সে যদি অনায়াসে ফিরিত অতি নাটকীয় হইত তাহা হয় নাই। ভাষার বুনোট লইয়া বলার কিছু নাই, শব্দ চয়নে অনবদ্য মুন্সীয়ানা প্রতিবারের মত এই পর্ব্বেও রহিয়াছে। সব মিলিয়া আমার মনের মতই ইতি যবনিকা পড়িয়াছে।
গসিপিতে বহু অনন্য কাহিনীর নির্ম্মাণ ঘটিয়াছে, ভবিষ্যতে বহু কাহিনীর নির্ম্মাণ ঘটিবে। কিছু নির্ম্মিত হইবে অখাদ্য কিছু অনবদ্য হিসাবে আর দুয়েকটা হইবে অনন্য! এই কাহিনী সেই অনন্যতার বৃত্ত স্পর্শ করিয়া দিল। আমি জানি নাই সম্ভব নহে কী না কিন্তু যদি এক্সট্রিমের মত একটা আলাদা হল অব্ ফেম বলিয়া বিভাগ খোলা হয় এবং তাহাতে যে সমস্ত কাহিনী এই অনন্য হওয়ার নজির স্পর্শ করে তাঁহাদের ঠাঁই হইবে তো দূর্দান্ত হয়। কোনদিন এই উপন্যাস গুলি হারাইয়া যাইবে না। এই মহাবীর্য্যের মত যে যত পরেই গসিপিতে আসুক সে এক লহমায় গোলোকধাঁধায় ঢুকিয়া যাইবে। পড়িবে গোগোল হিয়ার যাত্রা, মাণিক সামন্তের পাষন্ডতা, কামরাজের ভয়ঙ্করতা। আর ভাবিবে যে একজন বুম্বা নামের সে কী সৃষ্টিই না করিয়াছে। তাহার মসী খুব ঘষিত আর তাহাতে প্রতিটা লাইন জীবনকে স্পর্শ করিয়া মরমে পশিত। ধন্যবাদ হে লেখক এই অধমকে এমন কাহিনী পড়িবার সৌভাগ্য দিবা নিমিত্ত। তোমার সৃষ্টি অমর তুমি মহান বুম্বা তুমি মহান।
মিলনে সমাপ্তি আসিল ইহা সবচাইতে বড় পাওনা। কেন জানি ভয় হইতে ছিল বিরহ না আসে শেষ মুহূর্তের ট্যুইস্ট আনিতে তাহা আসে নাই দেখিয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম। পর্ণার বক্তব্যের বয়ান বেশ সুন্দর লাগিল। সে যে বাস্তবিক অলৌকিক কিছু দেখিয়াছে তাহা বেশ সুন্দরভাবে বুঝাইয়াছে।
আরেকটি বেশ মন কাড়িল গোগোলের শেষের মানসিকতা। সে যদি অনায়াসে ফিরিত অতি নাটকীয় হইত তাহা হয় নাই। ভাষার বুনোট লইয়া বলার কিছু নাই, শব্দ চয়নে অনবদ্য মুন্সীয়ানা প্রতিবারের মত এই পর্ব্বেও রহিয়াছে। সব মিলিয়া আমার মনের মতই ইতি যবনিকা পড়িয়াছে।
গসিপিতে বহু অনন্য কাহিনীর নির্ম্মাণ ঘটিয়াছে, ভবিষ্যতে বহু কাহিনীর নির্ম্মাণ ঘটিবে। কিছু নির্ম্মিত হইবে অখাদ্য কিছু অনবদ্য হিসাবে আর দুয়েকটা হইবে অনন্য! এই কাহিনী সেই অনন্যতার বৃত্ত স্পর্শ করিয়া দিল। আমি জানি নাই সম্ভব নহে কী না কিন্তু যদি এক্সট্রিমের মত একটা আলাদা হল অব্ ফেম বলিয়া বিভাগ খোলা হয় এবং তাহাতে যে সমস্ত কাহিনী এই অনন্য হওয়ার নজির স্পর্শ করে তাঁহাদের ঠাঁই হইবে তো দূর্দান্ত হয়। কোনদিন এই উপন্যাস গুলি হারাইয়া যাইবে না। এই মহাবীর্য্যের মত যে যত পরেই গসিপিতে আসুক সে এক লহমায় গোলোকধাঁধায় ঢুকিয়া যাইবে। পড়িবে গোগোল হিয়ার যাত্রা, মাণিক সামন্তের পাষন্ডতা, কামরাজের ভয়ঙ্করতা। আর ভাবিবে যে একজন বুম্বা নামের সে কী সৃষ্টিই না করিয়াছে। তাহার মসী খুব ঘষিত আর তাহাতে প্রতিটা লাইন জীবনকে স্পর্শ করিয়া মরমে পশিত। ধন্যবাদ হে লেখক এই অধমকে এমন কাহিনী পড়িবার সৌভাগ্য দিবা নিমিত্ত। তোমার সৃষ্টি অমর তুমি মহান বুম্বা তুমি মহান।