27-01-2023, 06:28 PM
প্রথম অধ্যায়ঃ
ভিডিও অ্যালবামে রূপরেখা তৈরিঃ
পরিচ্ছেদ - ১ঃ চৌধুরী ভিলার ড্রয়িংরুম
বিকেল প্রায় পাঁচটা , চৌধুরী ভিলার বাইরের মহলে সুবিশাল ড্রয়িংরুমে মুখোমুখি বসে আছেন রাজনারায়ণ চৌধুরী ও নীললোহিত ( পরবর্তীতে এঁকে আমরা নীল বলেই ডাকবো ) । রাজনারায়ণবাবু নীলকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি ভিডিও অ্যালবামটায় কি কি চান এবং কেমনভাবে চান। নীল সব শুনে ঘাড় নেড়ে বলে -
- " সবইতো বুঝলাম, কিন্তু বাড়ির সকলে বিশেষ করে মহিলারা কি তাঁদের অন্তরের গোপন কথা অকপটে ক্যামেরার সামনে স্বীকার করবেন? তাঁরা সেটা যদি না করেন তাহলে আপনি যেটা চাইছেন সেটা ফুলফিল হবে না।আমি সমস্ত ব্যাপারটাই একটা নতুন অ্যাঙ্গেলে করবো। আমি বা আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট যখন তখন আপনার বাড়িতে আসব এবং আপনার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবো। আমার ক্যামেরা যখন কারুর উপর ফোকাস করবো তখন তিনি বাড়িতে প্রতিদিন যেমন কাটান তেমনভাবেই ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াবেন , কোনো কৃত্রিম অভিনয় করতে পারবেন না।
আমার ভিডিও অ্যালবামটা আর পাঁচটা ভিডিও অ্যালবামের মতো শুধুমাত্র কৃত্রিম হাসির টুকরো দিয়ে সাজানো থাকবে না। তাতে প্রত্যেকের জীবনের হাসি থাকবে , থাকবে চোখের জল , বুকের গভীরে জমে থাকা না বলা অন্ধকার , আরও কত কি ? আপনি যদি রাজী থাকেন তো বলুন , না হলে আমি এই অ্যাসাইনমেন্ট নেবো না।"
সবেমাত্র সত্তর ছাড়ানো রাজনারায়ণবাবু যৌবনে ছবি আঁকা ও ভালো ছবির পিছনে তীব্র প্যাশান নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। আজ নীলের চোখে তিনি তাঁর যৌবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়ে এক কথায় রাজী হয়ে যান এবং মুচকি হেসে বলেন ,
-- " আলবাৎ বলবে , আমি এখনই সবাইকে বলে দিচ্ছি।"
-- " থাক্ এখনই বলতে হবে না , সময় মতো অবশ্যই বলে দেবেন। এখন আমাকে আপনার পারিবারিক অ্যালবামটা দিন এবং সেইসঙ্গে পরিবারের সকল সদস্য সম্পর্কে একটা ধারণা দিন। "
কথা বলতে বলতেই এ বাড়ির খাস চাকর রামু দুজনের জন্য চা আর গরম গরম সিঙ্গাড়া দিয়ে গেল।
-- " নাও গরম থাকতে থাকতে চা আর সিঙাড়া খেতে থাকো। আর আমি তোমাকে সকল সদস্য সম্পর্কে একটা আভাস দিই। " - বলে উঠলেন রাজনারায়ণবাবু।
রাজনারায়ণবাবুর কাছ থেকে পারিবারিক অ্যালবাম এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও চৌধুরী ভিলার প্রত্যেক সদস্যের প্রোফাইল নোটডাউন করে নিয়ে নীল যখন নমস্কার জানিয়ে চৌধুরী ভিলা থেকে বিদায় নিল তখন রাত প্রায় আটটা। চৌধুরী ভিলা থেকে বের হয়ে নীল ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট বিপাশাকে ফোন করে জানালো আজ অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতে। একটা বড়ো কাজ ও হাতে নিয়েছি, এই কাজটা আমাদের দুজনের কাছেই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জের মতো, এটাতে আমাদের সফল হতেই হবে। আগামীকাল সময়ে অফিস চলে এসো তখন সব আলোচনা করে নেব।
ভিডিও অ্যালবামে রূপরেখা তৈরিঃ
পরিচ্ছেদ - ১ঃ চৌধুরী ভিলার ড্রয়িংরুম
বিকেল প্রায় পাঁচটা , চৌধুরী ভিলার বাইরের মহলে সুবিশাল ড্রয়িংরুমে মুখোমুখি বসে আছেন রাজনারায়ণ চৌধুরী ও নীললোহিত ( পরবর্তীতে এঁকে আমরা নীল বলেই ডাকবো ) । রাজনারায়ণবাবু নীলকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি ভিডিও অ্যালবামটায় কি কি চান এবং কেমনভাবে চান। নীল সব শুনে ঘাড় নেড়ে বলে -
- " সবইতো বুঝলাম, কিন্তু বাড়ির সকলে বিশেষ করে মহিলারা কি তাঁদের অন্তরের গোপন কথা অকপটে ক্যামেরার সামনে স্বীকার করবেন? তাঁরা সেটা যদি না করেন তাহলে আপনি যেটা চাইছেন সেটা ফুলফিল হবে না।আমি সমস্ত ব্যাপারটাই একটা নতুন অ্যাঙ্গেলে করবো। আমি বা আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট যখন তখন আপনার বাড়িতে আসব এবং আপনার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবো। আমার ক্যামেরা যখন কারুর উপর ফোকাস করবো তখন তিনি বাড়িতে প্রতিদিন যেমন কাটান তেমনভাবেই ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াবেন , কোনো কৃত্রিম অভিনয় করতে পারবেন না।
আমার ভিডিও অ্যালবামটা আর পাঁচটা ভিডিও অ্যালবামের মতো শুধুমাত্র কৃত্রিম হাসির টুকরো দিয়ে সাজানো থাকবে না। তাতে প্রত্যেকের জীবনের হাসি থাকবে , থাকবে চোখের জল , বুকের গভীরে জমে থাকা না বলা অন্ধকার , আরও কত কি ? আপনি যদি রাজী থাকেন তো বলুন , না হলে আমি এই অ্যাসাইনমেন্ট নেবো না।"
সবেমাত্র সত্তর ছাড়ানো রাজনারায়ণবাবু যৌবনে ছবি আঁকা ও ভালো ছবির পিছনে তীব্র প্যাশান নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। আজ নীলের চোখে তিনি তাঁর যৌবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়ে এক কথায় রাজী হয়ে যান এবং মুচকি হেসে বলেন ,
-- " আলবাৎ বলবে , আমি এখনই সবাইকে বলে দিচ্ছি।"
-- " থাক্ এখনই বলতে হবে না , সময় মতো অবশ্যই বলে দেবেন। এখন আমাকে আপনার পারিবারিক অ্যালবামটা দিন এবং সেইসঙ্গে পরিবারের সকল সদস্য সম্পর্কে একটা ধারণা দিন। "
কথা বলতে বলতেই এ বাড়ির খাস চাকর রামু দুজনের জন্য চা আর গরম গরম সিঙ্গাড়া দিয়ে গেল।
-- " নাও গরম থাকতে থাকতে চা আর সিঙাড়া খেতে থাকো। আর আমি তোমাকে সকল সদস্য সম্পর্কে একটা আভাস দিই। " - বলে উঠলেন রাজনারায়ণবাবু।
রাজনারায়ণবাবুর কাছ থেকে পারিবারিক অ্যালবাম এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও চৌধুরী ভিলার প্রত্যেক সদস্যের প্রোফাইল নোটডাউন করে নিয়ে নীল যখন নমস্কার জানিয়ে চৌধুরী ভিলা থেকে বিদায় নিল তখন রাত প্রায় আটটা। চৌধুরী ভিলা থেকে বের হয়ে নীল ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট বিপাশাকে ফোন করে জানালো আজ অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতে। একটা বড়ো কাজ ও হাতে নিয়েছি, এই কাজটা আমাদের দুজনের কাছেই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জের মতো, এটাতে আমাদের সফল হতেই হবে। আগামীকাল সময়ে অফিস চলে এসো তখন সব আলোচনা করে নেব।