25-01-2023, 01:13 PM
পরের দিনের ঘটনা, আজ আমি সকালে জাফরকে দরজা থেকে বিদায় দেবার সময় চা নিয়ে এসেছি। কিন্তু জাফর খেতে চাইল না। কেননা তার অফিসের সময় হয়ে যাচ্ছে। আমি নাছোড়বান্দা। না খাইয়ে ছাড়ছি না।
এভাবে জোরাজুরি করার সময় হঠাৎ কিশোর কাকা সিড়ি বেয়ে নামলেন। আমি তাকে দেখে সালাম দিলাম।
-কি হচ্ছে?
-আর বলবেন না কাকা, জাফর চা খেতে চাচ্ছে না। আমি এত কষ্ট করে বানালাম।
জাফরঃ কাকা, আজ সিড়ি বেয়ে?
কিশোর কাকাঃ আরে বাপু , লিফট্টা সকাল থেকেই কাজ করছে না। লোক খবর পাঠানো হয়েছে । দুপুরের পরে আসবে।
জাফরঃ কি মুশকিল।
আমিঃ আমার তো সবজি আনতে আজ জীবন বের হয়ে যাবে।
কীশোর কাকাঃ সে তোমার এত চিন্তা করা লাগবে না।আমাকে লিস্টটা দাও দেখি
অনেক জোরাজোড়ি করার পর জাফর তাকে লিস্ট দেওয়ার জন্য আমাকে বলল। তারপর আমি কাকার হাতে লিস্টটা ধরিয়ে দিতেই জাফর আর কাকা নেমে পড়ল যার যার উদ্দেশে ।
আমি যথারীতি ঘর বিছানা গোছাতে শুরু করলাম। তারপর হাল্কা শাওয়ার নিলাম। শাওয়ার থেকে বের হয়ে চুল গুলো বাতাসে শুকাচ্ছি এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠল। আমি একটা সেলোয়ার কামিজ পড়া । বেশ টাইট। অবশ্য আমি সব সম্য ফিটিংস পড়ি । যার কারনে দেহের আকার ভালো মত বোঝা যায়। জাফরও তাই পছন্দ করে। আমি দরজা খুলে দিয়ে সবজির বাগান দেখতে পেলাম। আর বাগানের পিছনে কিশোর কাকা। বাজারের হরেক রকম সবজি নিয়ে তিনি হাজির। লিস্টের বাইরেও অন্যান্য সবজি এনেছেন। এমত অবস্থায় তাকে চা খেতে না সাধাটা রীতিমত অপরাধ। আমি সাধলাম। ভেবেছিলাম খাবেন না। তবে আমাকে ভুল প্রমাণ করে দিতে চা খাওয়ার জন্য সম্মত হলেন । কাকাকে ভিতরে এতে সোফায় বসিয়ে আমি চা বানাতে গেলাম। কিন্তু ২ মিনিট যেতে না যেতেই তিনি হাজির কিচেনে।
কিছু লাগবে কাকা?
আরে না! একা মানুষ, সারাদিন বাসায় একা থাকি। তোমার বাসায় যখন এসেছি তাই ভাবলাম একা বসে না থেকে গল্প করি কিচেনে এসে
তা বলুন! রান্না কে করে আপনার?
কে আর ! আমি নিজেই। তোমাদের বিয়ের কত দিন হলো?
এই প্রায় বছর দুই।
আমি খেয়াল করছিলাম কাকা আমার বুকে তাকাচ্ছিলেন। আমি বুঝতে পারলাম আমি ওড়না নিয়ে আসিনি। তবে এখন আর ওড়না আনতে যাওয়া টা আরো বেশি লজ্জার। আমি কথা বলে যাচ্ছিলাম। হাজার হলেও পুরুষ মানুষ। আর কাকার বয়সী । আমি আর মাথা ঘামালাম না।
কাকা চা খেয়ে বাসা থেকে চলে যাচ্ছিল। আমি তখন সব্জির টাকার কথা তুলতেই “আরে আমাকে না হয় রান্না হলে সামান্য পরিমাণ দিও”
আমিও বুঝলাম কাকার খেতে খুব অসুবিধা হয়। রাতে জাফর আসার পর জাফর সব শুনে বলল
বউ মরা লোক! নিজেই বা আর কি রান্না করে! তুমি একটু খেয়াল রেখ। আমার তো সন্দেহ উনি আদৌ রান্না পারেন কিনা!
তা আমি দেখে নিব ঠিক একদিন। আর দেখি আমি সময় পেলে আমাদের দুই ফ্লোরের জন্য রান্নার লোক খুজব।
এভাবে জোরাজুরি করার সময় হঠাৎ কিশোর কাকা সিড়ি বেয়ে নামলেন। আমি তাকে দেখে সালাম দিলাম।
-কি হচ্ছে?
-আর বলবেন না কাকা, জাফর চা খেতে চাচ্ছে না। আমি এত কষ্ট করে বানালাম।
জাফরঃ কাকা, আজ সিড়ি বেয়ে?
কিশোর কাকাঃ আরে বাপু , লিফট্টা সকাল থেকেই কাজ করছে না। লোক খবর পাঠানো হয়েছে । দুপুরের পরে আসবে।
জাফরঃ কি মুশকিল।
আমিঃ আমার তো সবজি আনতে আজ জীবন বের হয়ে যাবে।
কীশোর কাকাঃ সে তোমার এত চিন্তা করা লাগবে না।আমাকে লিস্টটা দাও দেখি
অনেক জোরাজোড়ি করার পর জাফর তাকে লিস্ট দেওয়ার জন্য আমাকে বলল। তারপর আমি কাকার হাতে লিস্টটা ধরিয়ে দিতেই জাফর আর কাকা নেমে পড়ল যার যার উদ্দেশে ।
আমি যথারীতি ঘর বিছানা গোছাতে শুরু করলাম। তারপর হাল্কা শাওয়ার নিলাম। শাওয়ার থেকে বের হয়ে চুল গুলো বাতাসে শুকাচ্ছি এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠল। আমি একটা সেলোয়ার কামিজ পড়া । বেশ টাইট। অবশ্য আমি সব সম্য ফিটিংস পড়ি । যার কারনে দেহের আকার ভালো মত বোঝা যায়। জাফরও তাই পছন্দ করে। আমি দরজা খুলে দিয়ে সবজির বাগান দেখতে পেলাম। আর বাগানের পিছনে কিশোর কাকা। বাজারের হরেক রকম সবজি নিয়ে তিনি হাজির। লিস্টের বাইরেও অন্যান্য সবজি এনেছেন। এমত অবস্থায় তাকে চা খেতে না সাধাটা রীতিমত অপরাধ। আমি সাধলাম। ভেবেছিলাম খাবেন না। তবে আমাকে ভুল প্রমাণ করে দিতে চা খাওয়ার জন্য সম্মত হলেন । কাকাকে ভিতরে এতে সোফায় বসিয়ে আমি চা বানাতে গেলাম। কিন্তু ২ মিনিট যেতে না যেতেই তিনি হাজির কিচেনে।
কিছু লাগবে কাকা?
আরে না! একা মানুষ, সারাদিন বাসায় একা থাকি। তোমার বাসায় যখন এসেছি তাই ভাবলাম একা বসে না থেকে গল্প করি কিচেনে এসে
তা বলুন! রান্না কে করে আপনার?
কে আর ! আমি নিজেই। তোমাদের বিয়ের কত দিন হলো?
এই প্রায় বছর দুই।
আমি খেয়াল করছিলাম কাকা আমার বুকে তাকাচ্ছিলেন। আমি বুঝতে পারলাম আমি ওড়না নিয়ে আসিনি। তবে এখন আর ওড়না আনতে যাওয়া টা আরো বেশি লজ্জার। আমি কথা বলে যাচ্ছিলাম। হাজার হলেও পুরুষ মানুষ। আর কাকার বয়সী । আমি আর মাথা ঘামালাম না।
কাকা চা খেয়ে বাসা থেকে চলে যাচ্ছিল। আমি তখন সব্জির টাকার কথা তুলতেই “আরে আমাকে না হয় রান্না হলে সামান্য পরিমাণ দিও”
আমিও বুঝলাম কাকার খেতে খুব অসুবিধা হয়। রাতে জাফর আসার পর জাফর সব শুনে বলল
বউ মরা লোক! নিজেই বা আর কি রান্না করে! তুমি একটু খেয়াল রেখ। আমার তো সন্দেহ উনি আদৌ রান্না পারেন কিনা!
তা আমি দেখে নিব ঠিক একদিন। আর দেখি আমি সময় পেলে আমাদের দুই ফ্লোরের জন্য রান্নার লোক খুজব।