23-01-2023, 10:19 PM
(23-01-2023, 12:35 PM)Baban Wrote: কি বলছেন দাদা!! এ যে দেখি আমার কল্পনা আর বাস্তব মিলেমিশে একাকার!
তবে জেনে কোথাও যেন ভালো লাগছে এই ভেবে আমার চিন্তা গুলো একেবারে অতিরঞ্জিত অবাস্তব নয়, তার একটা সত্য রূপ আছে। তা ঠিক হয়েছিল বলতে পারেন? যদি অসুবিধা না থাকে তাহলেই।
সাথে থাকুন ❤
ধন্যবাদ দাদা এই অধমের কথা শুনতে চাওয়ার জন্য
প্রথমেই কিছু কথা বলছি আমি ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না যা আমি নিজ চোখে দেখি না তা কখনোই বিশ্বাস করি না তারপরেও কিছু কিছু ঘটনার কথা মনে হলে সব তালগোল পাকিয়ে যায়। সে রকম কিছু আমার অভিজ্ঞতার কথা আমি বলতে যাচ্ছি। যদি কেউ ভাবে আমি ঢপ মারছি তাহলে কিছু করার নেই।
আগে আমার কিছু সাহসের নমুনা বলছি আমি একসময় ড্রিন্স করতাম বন্ধুদের সাথে কিন্তু আমাদের যেখানে বসবাস সেখানে ঐরকম জায়গার অভাব যেখানে বাচ্চারা বসে মাল টানতে পারবে তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে আমাদের শহরের মহা শ্মশানে বশে মাল টানতাম মাঝে মধ্যে ভোলাবাবার প্রসাদ (সিদ্ধি) খেতাম অনেক রাত করে ফিরেছি কোনও দিন রাত একটা কোনও দিন রাত দুটো । সবচেয়ে আমার পছন্দের সময় ছিল অমাবশ্যার সময় শ্মশান কালি মন্দিরে বশে মার পূজো দেখতে দেখতে বাবা টান মারা উফ এখনো ইচ্ছে হয় ঐ সময়ে চলে যেতে । তা আশা করি বুঝতেই পারছেন কেমন ছিলাম।
তো আগেই বলেছি S.B.I এর বন্ধুর কথাতে চলে গেলাম ভোর বেলা চারটার ট্রেন ধরে চললাম সকাল ৮ টাই ট্রেন থেকে নেমে আবার গাড়িতে তো গন্তব্য পৌঁছতে পৌঁছতে ১০'৩০ টা বেজে গেছে তার পর সারা দিন কাজ কাজ আর কাজ আমি কি করবো বাইরে যাই সুখটান দি সময় কাটানোর জন্য, branch এ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল, তারপর আবার কাজ কাজ তো এভাবেই ৪ টা বেজে গেল কিন্তু কাজ শেষ হয় নি । ম্যানেজার স্যার এসে বললেন ৬ টাতে শহরে যাওয়ার লাস্ট ট্রেন এদিকে কাজ শেষ হয় নি। তারপর বন্ধু বললো কাজতো এখনও শেষ হয়নি যদি কাজ শেষ না করে যাই তা হলে আবার আসতে হবে আর ট্রেনও ধরতে পারবো না গাড়িও ঠিকঠাক পাবো না তার থেকে ভালো এখানেই রাত্রি থেকে যাই কাজ শেষ করে সকালের ট্রেনে বাড়ি রাত্রিটা কোনও হোটেলে থেকে যাব । আমিও ভাবলাম ঠিক আছে থেকেই যাই এসেছি যখন এতো দুর যখন এসেপড়েছি তখন কাজ শেষ না করে যাওয়া উচিত হবে না। যেটা ভাবা সেটাই করলাম। প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেল কাজ শেষ করতে করতে এদিকে ম্যানেজার স্যার আমাদের থাকার জন্য হোটেল ঠিক করে দিলেন। আমরা হোটেলে গিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমাতে গেলাম তাড়াতাড়ি কারন সকাল ৮ টার ট্রেন ধরবো। ঠিক রাত পৌনে বারোটা হবে হঠাৎই কে যানি আমাদের রুমের দরজার ঠক ঠক করলো আমার এবং বন্ধুর ঘুম ভেঙ্গে গেল বের হয়ে দেখি কেউ নেই। একজন আরেক জনকে দেখছি ব্যাপারটা কি হলো দরজা বন্ধ করে আবার ঘুমুতে আসলাম কিন্তু হঠাৎই মনে হলো বারান্দা দিয়ে কেউ দৌড়ে চলে গেছে আবার বের হলাম এবারও কাউকে দেখলাম না। আবার দরজা বন্ধ করে রুমে কিছু সময় পড়ে মনে হলো আমাদের মাথার উপরের রুমের কিছু হচ্ছে কেউ যেন ঠাস ঠাস করে আউআজ করছে সাথে খিন মেয়ের গলার শব্দ সাহস করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে গেলাম কি হচ্ছে দেখার জন্য ওমা গিয়ে দেখি হিসেব মত যে রুম থেকে শব্দ আসার কথা ঐ রুম তালা বন্ধ আরে এটা আবার কি ভাবে হয় এর ভেতর রাত দুটো বেজে গেছে । বন্ধু পাড়ে না কেঁদ দেবে। আমি ওকে সাহস দিয়ে গেলাম কাউন্টারে জিজ্ঞেস করার জন্য যে এই সব কি হচ্ছে গিয়ে দেখি নিচে কোনও স্টাফ নেই যে যার রুমের ঘুমোতে চলে গেছে আর ঐদিকে কুকুরের কান্না রাস্তায় অনবরত চলছে সেই 12 টা থেকে কি আর করার চলে আসলাম রুমের মধ্যেই। তারপর ভোর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলছে এদিকে মাঝে মাঝে আবার নূপুরের আউআজ ভাবেন একবার অজপাড়া গাঁয়ে । ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল ছেড়ে দিলাম। তারপর রাস্তায় কিনারে চায়ের দোকানে যখন চা খেতে খেতে কথা বলছি তখন ঐ চাওলা এমন ভাবে আমাদের দেখছিল যেন আমাদের মাথায় সিং গজিয়েছে।
ওখান থেকে চলে আসার পর খবর নিয়ে জানতে পারলাম ঐ হোটেলে তখন পর্যন্ত আট জন সুইসাইড করেছে। আর এটা শুরু হয়েছিল হোটেলের আগের মালিক তার এক ১২ বছরের কাজের মেয়েকে হত্যা করা দিয়ে। ঐ হোটেল রাত ১০ টার পর সকাল অব্দি কোনও রুম সার্ভিস দেয় না।
এটা ছাড়াও আরো তিনটা মারাত্মক অভিজ্ঞতা সাক্ষী হয়ে ছিলাম । তার ভেতর একটা খবরতো সত্যতা জানার জন্য ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি থেকে এসেছিল। ঐ গুলি নিয়ে আরেক দিন বলবো দাদা। বিশ্বাস করা না করা আপনার উপর আমি শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম।
আমাকে আমার মত থাকতে দাও