22-01-2023, 04:02 PM
(22-01-2023, 03:06 PM)Sanjay Sen Wrote: সবার মতো হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলাতে পারিনা আমি, তাই ভুল আমি ধরবোই। এই নিখুঁত মাখনের মতো পর্বের একেবারে শেষের দিকে সুজাতার বাড়াবাড়িটা অতি নাটকীয় হয়ে গেছে ওই সমস্ত সস্তার উপন্যাসগুলোর মতো। হয়তো এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে কিংবা হয়তো সুজাতা রাগের মাথায় কথাগুলো বলে ফেলেছে (যেটা তুমি পর্বের মধ্যেও উল্লেখ করেছ), তবু বলবো - যে ছেলেটাকে ছোটবেলা থেকে মানুষ করলো সুজাতা, আজ একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে (আদেও নষ্ট হবে বলে মনে হয় না, কারণ ওরা দুজনই নায়ক নায়িকা, যতই টগর নামের একজন অসাধারণ চরিত্র থাকুক না কেন এই উপন্যাসে) কিছু না শুনে গোগোলের অতীত তুলে এত সাংঘাতিক কথাগুলো না বললেও পারতো। তবে পরের পর্বে সাংঘাতিক কিছু ধামাকা হতে চলেছে এটা বেশ বুঝতে পারছি, তাই অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার উপন্যাসে পাঠকবন্ধুদের মধ্যে কেউ হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলায় না। ভালো হলে সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়, খারাপ হলে সমালোচনা করতে পিছ'পা হয় না তোমার মতোই। আমি বুঝতে পারছি সুজাতার এই ব্যবহারে তো তোমরা প্রত্যেকেই অবাক হয়েছো এবং কিঞ্চিত রাগও হয়েছে হয়তো ওঁর উপর। তার কারণ প্রথম থেকেই সুজাতাকে সবদিক দিয়ে পারফেক্ট দেখানো হয়েছে .. হাজার প্রলোভনে, হাজার বিপদেও কোনো ভুল পদক্ষেপ সে গ্রহণ করেনি। কিন্তু সবাই তো সব সময় তাদের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে পারেনা। বুঝতেই পারা যাচ্ছে এক্ষেত্রে একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। মানুষ মাত্রই তো ভুল করে, সুজাতাও করেছে। দেখা যাক, এরপর কি হয় .. সঙ্গে থাকো এবং পড়তে থাকো।
(22-01-2023, 03:24 PM)Baban Wrote: সঞ্জয় দার কথা গুলো আমারও মনে হয়েছিল। তাই ওনাকে ভুল বলা যায়না। কারণ হটাৎ করেই যেন এতটা রিয়াক্ট করে ফেললো সুজাতা। এর আগে ঝড় কি কম বয়ে গেছে ওদের ওপর দিয়ে। আজ শেষে এইটা কিনা একটা সব ভেঙে দিয়ে চলে গেলো? নারী হয়ে ওপর নারী যে কিনা তার সন্তানকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে তার কষ্ট সহ্য করতে না পারা অবশ্যই বুঝতে পারছি। সাথে মা হিসেবে সন্তানের ও তার জীবনে আসন্ন হিয়ার সুখ নিয়ে ভাবা স্বাভাবিক আর সেখানে কোনোরকম সমস্যা আসলে মায়ের মন চঞ্চল হয়ে উঠবে সেটাও ঠিক। কিন্তু এইভাবে রিয়াক্ট করে ফেলাটা চোখে লেগেছিলো আমারও।
আমি টগরকে এখানে আনতে চাইনা। ওকে নিয়ে যা বলার আগের মতামতেই বলেছি। কিন্তু এটা ভেবে আমি কালকে এই ব্যাপারটা তুলিনি যে মাও তো নারী ও মানুষ সর্বোপরি। সেও ভুল করতে পারে। মাও তো সামান্য দোষে রেগে গিয়ে সন্তানকে একটু বেশিই শাস্তি দিয়ে দেয়। হয়তো রাগ অন্য কারোর ওপর সেটা বেরিয়ে যায় ছেলের / মেয়ের ওপর। জীবন সংগ্রামে অনবরত লড়তে থাকা সংগ্রামী মানুষটাও হয়তো এমন নিজের অন্তরে লুকানো অন্ধকারকে আজ বেরিয়ে আসতে দিয়েছে। কিন্তু সত্যিই এটা চোখে লেগেছে আমারও।
বাকি বাবা আর কিছু বলবোনা। পরের পর্বে কি একটা বোম্ব ফেলবে কে জানে লেখক
যথার্থ বলেছো, শুধু এর সঙ্গে একটা কথা সংযোজন করি .. হয়তো সুজাতা গোগোলকে গর্ভে ধারণ করেনি বলে তোমাদের বেশি করে চোখে লাগছে ব্যাপারটা। হয়তো তোমাদের মনে হচ্ছে সে লঘু পাপে (আসলে কোনো পাপই নয়) গুরুদণ্ড দিয়ে দিলো। কিন্তু সুজাতা যদি গোগোলের নিজের মা হতো, তাহলে কি তোমরা এমনই মনে করতে? অনেক সময় আমাদের অভিভাবকরা ভুলবশত আমাদের তিরস্কার করে এবং পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ভুল স্বীকার করে নেয়। দেখা যাক এই ক্ষেত্রে কি হয় ..