17-01-2023, 10:40 PM
আগের রাতে হঠাৎ পিরিয়ড হওয়ার কারণে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। তবে অনিচ্ছা স্বত্বেও কলেজে যেতে হলো। আম্মু আব্বু দুই জনই কলেজ বাদ দেওয়া একেবারে পছন্দ করে না। আমারও কলেজ অনেক ভালো লাগে, তানিশা-মাইশাদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটে। তবে শরীর ভালো না থাকলে কষ্টটা গায়ে লেগে যায়। আব্বুর গাড়িতে কলেজে গিয়ে পৌঁছালাম। কলেজে ঢুকতেই তানিশা আর মাইশা দৌড়ে আসলো, ‘কিরে কিছু শুনেছিস?’
উত্তেজনায় ওরা দুইজনই কাঁপছিল। আমি বললাম, নাতো কি হয়েছে?
ক্লাস টেনে এক ছেলে আত্মহত্যা করেছে? – তানিশা এক দমেই বলল।
আমিঃ কি বলছিস, এই যুগে এটা কিভাবে সম্ভব? আর কেনই বা করলো?
মাইশাঃ সেটাইতো বলছি। ছেলেটা একটা নোট লিখে গিয়েছে। সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
আমিঃ কি লিখেছে?
তানিশাঃ ছেলেটা দেখতে তেমন ভালো নয়। অনেক দিন ঘুরে একটা মেয়েকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়েছিল। কিন্তু সেই মেয়েটা অন্য ছেলের সাথে সেক্স করেছে।
আমিঃ তাতে কি? সেক্স করতেই পারে। এখনতো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই যে ওর সাথেই সেক্স সবসময় করতে হবে। এর জন্য আত্মহত্যা করতে হয় নাকি? লুজার।
তানিশাঃ ব্যপারটা সেখানে না। এই জন্যইতো আলোচনা।
আমিঃ তাহলে কি?
তানিশাঃ মেয়েটা ছেলেতাকে ভালোবাসতো। হয়তো ওর সাথেই করতো। কিন্তু ওইযে নিয়ম হলো ছেলেরা ১৮ এর আগে কোন প্রকার যৌন কার্যকলাপ করতে পারবে না। আর মেয়েরা চাইলে এটা ১৬ বছরেই করতে পারে।
আমিঃ তো কি হয়েছে?
তানিশাঃ ওরা দুইজনই সমবয়সী ছিল। মেয়েটা সেক্স চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল, তবে ছেলেটারতো কিছু করাই নিষিদ্ধ। তাই মেয়েটা পাশের বাসার এক কাকুর সঙ্গে সেক্সুয়াল সম্পর্ক করে ফেলে। পরে যখন ছেলেটা জানতে পারে, মেয়েটা ওকে অনেক বুঝিয়েছে যে ও ওকেই ভালোবাসে। ওইটা শুধু শারীরিক টান ছিল, কিন্তু ছেলেটা এটা মানতে পারেনি।
আমিঃ কি বলিস।
তানিশাঃ হ্যাঁ। ছেলেটা নোটে লিখে গেছে, ছেলে মেয়েদের জন্য ভিন্ন আইন কেন? সেক্স করলে শুলে চড়াতে হবে এটাই কেমন নিয়ম? একটা ছেলের শারীরিক চাহিদা থাকলে কিভাবে পূর্ণ করবে।
এমন সময় কলেজের ঘণ্টা পড়লো। ক্লাশের মাঝেও এ নিয়ে টুকটাক আলোচনা। শুধু আমরা না ক্লাশের প্রায় সব ছেলেমেয়েই দেখলাম এটা নিয়ে আলোচনা করছে।
কলেজ শেষে গেটের বাইরে যেতেই দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে। দৌড়ে আব্বুকে জড়িয়ে ধরলাম। আব্বু নিজেই ড্রাইভ করে এসেছে। আমি আব্বুর পাশে বসলাম। আমি আব্বুর সঙ্গে সবসময় ফ্রি, বন্ধুর মতই। আমার আব্বুর নাম আক্তার হোসেন। বয়স ৩৯। আমাদের পারিবারিক ব্যবসা আছে ওইটাই দেখাশুনা করে। টুকটাক রাজনিতিও করে। তবে সক্রিয় না। খুবই হ্যান্ডসাম। নিয়মিত জিম করে। আমিও আব্বুর সঙ্গে জিমে যাই।
আমি আব্বুকে বললাম, আব্বু তুমি ঘটনাটা শুনেছ?
আব্বুঃ কোন ঘটনাটা?
আমিঃ ঐযে আত্মহত্যার।
আব্বুঃ হ্যাঁ, ব্যপারটা নিয়ে ভাবছিলাম আমিও।
আমিঃ ওর যুক্তিগুলো কি ফেলে দেবার মত?
আব্বুঃ না, তবে এটাতো দেশ থেকে রেপ কমানোর জন্য কড়া হয়েছে। তুমিতো জানোই প্রাচীন কালে কতো মেয়ে রেপ হতো তার ইয়াত্তা নেই। এর ১০০ ভাগের এক ভাগও মিডিয়ায় আসতো না। মেয়েরা লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলত না। ছেলেরা এসব সুযোগ নিত। তাই একটু কড়াকড়ি আইন করা হয়েছে।
আমিঃ ঠিক আছে। তবে সার্ভারেতো সব রেকর্ড থাকে, চাইলেই কে কি করেছে তা দেখতে পারে। তাদের ধরে শাস্তি দিবে। তাহলে এই আইন না করলে হয়না।
আব্বুঃ এটা তুমি ঠিক বলেছ। দেখা যাক কি হয়। সারা পৃথিবীতে এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ছেলেটার যুক্তি সবাই ভেবে দেখছে। আজ সংসদেও এটা নিয়ে নাকি আলোচনা হবে শুনলাম। এ জন্যই একটু আগে অফিস থেকে চলে আসলাম। ৫টায় অধিবেশন। দেখতে হবে।
আমিঃ হুম একটা কিছু হওয়া দরকার।
আব্বুঃ তোমারতো দেখা যায় এটা নিয়ে আগ্রহ। নাকি তোমার সমবয়সী কেউকে মনে ধরেছে? (হাসি)
আমিঃ কি বল আব্বু। আমার এমন কিছু হলে সবার আগে তোমাকে বলবো। আর আমি ১৮ এর আগে সেক্স করবো না। কারণ আমি ডাক্তার হতে চাই। এখন করলেতো আমি এই সুযোগটা পাবো না।
আব্বুঃ হ্যাঁ, মামুনি। এইতো আর আর দুই বছর। ১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে অনেক সুবিধা পাবে।
আমিঃ আব্বু, আচ্ছা সেক্সের সঙ্গে এই সকল সুবিধার কি সম্পর্ক, আমি এটা বুঝে উঠতে পারিনা।
আব্বুঃ তেমন কোন সম্পর্ক নেই। এটা আসলে আনুগত্যের ব্যাপার। তুমি যদি সরকারি সকল আইন ১৮ বছর পর্যন্ত মেনে চলো। তার মানে তুমি বাকি জীবনেও সব ঠিকঠাক ভাবে মানবে। এটা ধরে নেওয়া হয়। তোমার বয়সেই ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভুল করে। এ সময় যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে বাকি জীবনে সব ভালো ভাবেই পার করে।
আমিঃ তুমি হয়তো ঠিকই বলেছ। তবে ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে।
এরপর আর তেমন কথা হলোনা। আমি চুপচাপ রাস্তার দুই পাশে দেখতে দেখতে বাসায় চলে আসলাম।
উত্তেজনায় ওরা দুইজনই কাঁপছিল। আমি বললাম, নাতো কি হয়েছে?
ক্লাস টেনে এক ছেলে আত্মহত্যা করেছে? – তানিশা এক দমেই বলল।
আমিঃ কি বলছিস, এই যুগে এটা কিভাবে সম্ভব? আর কেনই বা করলো?
মাইশাঃ সেটাইতো বলছি। ছেলেটা একটা নোট লিখে গিয়েছে। সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
আমিঃ কি লিখেছে?
তানিশাঃ ছেলেটা দেখতে তেমন ভালো নয়। অনেক দিন ঘুরে একটা মেয়েকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়েছিল। কিন্তু সেই মেয়েটা অন্য ছেলের সাথে সেক্স করেছে।
আমিঃ তাতে কি? সেক্স করতেই পারে। এখনতো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই যে ওর সাথেই সেক্স সবসময় করতে হবে। এর জন্য আত্মহত্যা করতে হয় নাকি? লুজার।
তানিশাঃ ব্যপারটা সেখানে না। এই জন্যইতো আলোচনা।
আমিঃ তাহলে কি?
তানিশাঃ মেয়েটা ছেলেতাকে ভালোবাসতো। হয়তো ওর সাথেই করতো। কিন্তু ওইযে নিয়ম হলো ছেলেরা ১৮ এর আগে কোন প্রকার যৌন কার্যকলাপ করতে পারবে না। আর মেয়েরা চাইলে এটা ১৬ বছরেই করতে পারে।
আমিঃ তো কি হয়েছে?
তানিশাঃ ওরা দুইজনই সমবয়সী ছিল। মেয়েটা সেক্স চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল, তবে ছেলেটারতো কিছু করাই নিষিদ্ধ। তাই মেয়েটা পাশের বাসার এক কাকুর সঙ্গে সেক্সুয়াল সম্পর্ক করে ফেলে। পরে যখন ছেলেটা জানতে পারে, মেয়েটা ওকে অনেক বুঝিয়েছে যে ও ওকেই ভালোবাসে। ওইটা শুধু শারীরিক টান ছিল, কিন্তু ছেলেটা এটা মানতে পারেনি।
আমিঃ কি বলিস।
তানিশাঃ হ্যাঁ। ছেলেটা নোটে লিখে গেছে, ছেলে মেয়েদের জন্য ভিন্ন আইন কেন? সেক্স করলে শুলে চড়াতে হবে এটাই কেমন নিয়ম? একটা ছেলের শারীরিক চাহিদা থাকলে কিভাবে পূর্ণ করবে।
এমন সময় কলেজের ঘণ্টা পড়লো। ক্লাশের মাঝেও এ নিয়ে টুকটাক আলোচনা। শুধু আমরা না ক্লাশের প্রায় সব ছেলেমেয়েই দেখলাম এটা নিয়ে আলোচনা করছে।
কলেজ শেষে গেটের বাইরে যেতেই দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে। দৌড়ে আব্বুকে জড়িয়ে ধরলাম। আব্বু নিজেই ড্রাইভ করে এসেছে। আমি আব্বুর পাশে বসলাম। আমি আব্বুর সঙ্গে সবসময় ফ্রি, বন্ধুর মতই। আমার আব্বুর নাম আক্তার হোসেন। বয়স ৩৯। আমাদের পারিবারিক ব্যবসা আছে ওইটাই দেখাশুনা করে। টুকটাক রাজনিতিও করে। তবে সক্রিয় না। খুবই হ্যান্ডসাম। নিয়মিত জিম করে। আমিও আব্বুর সঙ্গে জিমে যাই।
আমি আব্বুকে বললাম, আব্বু তুমি ঘটনাটা শুনেছ?
আব্বুঃ কোন ঘটনাটা?
আমিঃ ঐযে আত্মহত্যার।
আব্বুঃ হ্যাঁ, ব্যপারটা নিয়ে ভাবছিলাম আমিও।
আমিঃ ওর যুক্তিগুলো কি ফেলে দেবার মত?
আব্বুঃ না, তবে এটাতো দেশ থেকে রেপ কমানোর জন্য কড়া হয়েছে। তুমিতো জানোই প্রাচীন কালে কতো মেয়ে রেপ হতো তার ইয়াত্তা নেই। এর ১০০ ভাগের এক ভাগও মিডিয়ায় আসতো না। মেয়েরা লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলত না। ছেলেরা এসব সুযোগ নিত। তাই একটু কড়াকড়ি আইন করা হয়েছে।
আমিঃ ঠিক আছে। তবে সার্ভারেতো সব রেকর্ড থাকে, চাইলেই কে কি করেছে তা দেখতে পারে। তাদের ধরে শাস্তি দিবে। তাহলে এই আইন না করলে হয়না।
আব্বুঃ এটা তুমি ঠিক বলেছ। দেখা যাক কি হয়। সারা পৃথিবীতে এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ছেলেটার যুক্তি সবাই ভেবে দেখছে। আজ সংসদেও এটা নিয়ে নাকি আলোচনা হবে শুনলাম। এ জন্যই একটু আগে অফিস থেকে চলে আসলাম। ৫টায় অধিবেশন। দেখতে হবে।
আমিঃ হুম একটা কিছু হওয়া দরকার।
আব্বুঃ তোমারতো দেখা যায় এটা নিয়ে আগ্রহ। নাকি তোমার সমবয়সী কেউকে মনে ধরেছে? (হাসি)
আমিঃ কি বল আব্বু। আমার এমন কিছু হলে সবার আগে তোমাকে বলবো। আর আমি ১৮ এর আগে সেক্স করবো না। কারণ আমি ডাক্তার হতে চাই। এখন করলেতো আমি এই সুযোগটা পাবো না।
আব্বুঃ হ্যাঁ, মামুনি। এইতো আর আর দুই বছর। ১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে অনেক সুবিধা পাবে।
আমিঃ আব্বু, আচ্ছা সেক্সের সঙ্গে এই সকল সুবিধার কি সম্পর্ক, আমি এটা বুঝে উঠতে পারিনা।
আব্বুঃ তেমন কোন সম্পর্ক নেই। এটা আসলে আনুগত্যের ব্যাপার। তুমি যদি সরকারি সকল আইন ১৮ বছর পর্যন্ত মেনে চলো। তার মানে তুমি বাকি জীবনেও সব ঠিকঠাক ভাবে মানবে। এটা ধরে নেওয়া হয়। তোমার বয়সেই ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভুল করে। এ সময় যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে বাকি জীবনে সব ভালো ভাবেই পার করে।
আমিঃ তুমি হয়তো ঠিকই বলেছ। তবে ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে।
এরপর আর তেমন কথা হলোনা। আমি চুপচাপ রাস্তার দুই পাশে দেখতে দেখতে বাসায় চলে আসলাম।