13-01-2023, 12:47 AM
#___Part___7
.
.
হাসপাতালে গিয়ে দেখি স্যারের বাসার সবাই আছে সাথে বর্ষা ও।সবাইকে দেখছি আম্মুকে তো দেখছি না।
মাথার ভেতর অনেকগুলো জটিল প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ডাঃ বেরিয়ে এলেন।ডাঃ মামনি কেমন আছে?শুভ্র স্যার ডাঃ আংকেল কে আসতে দেখে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
ভয়ের কিছু নেই।অতিরিক্ত টেনশনের কারণে এমন হয়েছে।
কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করছে হয়তো।আমি কিছু ঔষুধ প্রেসক্রিপ করে দিচ্ছি সময় মতো খাওয়াবেন।
.
ডাক্তার আর স্যারের বলা কথাগুলো আমার মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।মামনি মানে?স্যার তো আম্মুকেই আম্মু বলে।সবাই আছে,তাহলে আম্মু কোথায়?বর্ষা কে দেখে মনে হচ্ছে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে।
দৌড় দিয়ে কেবিনে ঢুকে গেলাম যেখান থেকে ডাক্তার বের হলেন।আর কেউ নয় আমার আম্মুই যে বেডে শুয়ে আছে।আম্মা ছাড়া যে এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই।বাপি ও উপরে চলে গেলেন আমাদের রেখে,সেই থেকে আম্মুই আমাদের কাছে সব।বাবা মা দুটোই।
কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি আমাদের।
সেই আম্মুর কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাচঁব।
,
কান্না করতে করতে আমার হে্চকি উঠে যাচ্ছে।আমি কান্না করতে পারিনা।দম বন্ধ হয়ে আসে।শুনেছি কান্না করতে পারলে নাকি ভেতরের কষ্ট টা কিছুটা হলে নাকি কমে।
কিন্তু আমি তো পারি না তা।আমার কান্নার শব্দে আম্মুর ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
--আরে পাগলি মেয়ে কান্না করছিস কেনো?আমি কি মরে গেছি নাকি।
--আম্মুউউউহহহ,,মায়ের মুখে মরার কথা শুনে আমার কান্নার শব্দ টা আরো বেড়ে গেলো 5G স্পিডে।অক্সিজেন ছাড়া আমাদের বেচে থাকা কখনোই সম্ভব নয় আর আমার অক্সিজেন হলো আমার মা।
,
আম্মু সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় চলে আসিতেছিলাম কিন্তু কামাল আঙ্কেল জোর করে উনাদের বাসায় নিয়ে এলেন।আর আঙ্কেলদের পাশের ফ্ল্যাটেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।এত করে বললাম আমরা আমাদের বাসাতেই থাকতে পারবো তারপরেও উনি শুনলেন না।জোর করে নিয়ে এলেন।মামনি,শোভা টা হয়েছে আঙ্কেলের মতো।
,
--ভাই সাহেব!!এতকিছু করার কোনো দরকার ছিল না।আমরা আমাদের বাসাতেই থাকতে পারতাম আপনি শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলেন আমাদের জন্য।
--কিসের কষ্ট?কোনো কষ্ট হয়নি।আমার অনেক আগেই আপনাদেরকে এখানে আনা উচিত ছিল।যাই হোক আজ থেকে এটাও আপনার বাসা।
---ঠিক তা নয়।ওর আব্বু মারা যাবার পর থেকে আপনি কম করেননি আমাদের জন্য।এ যুগে এমন বন্ধু পায় কজন বলুন?ওর আপন ভাইয়েরাও এমন করেনি কখনো।আমাদের সব সময় ছায়ার মতো করে আগলে রেখেছেন।
--বাদ দিন তো ভাবি।আপনার এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।ডাক্তার কি বলছে আপনি শোনেনি? একদম টেনশন করা যাবে না।যে কোনো সময় আপনার হার্ট ব্লক হতে পারে।
নিজের জন্য নাহলে মেয়ে দুটোর কথা ভেবে হলেও নিজের শরীরের যত্ন নিন।আপনি ছাড়া যে ওদের আর কেউ নেই এই নিষ্ঠুর দুনিয়াতে।আপনি বরং রেস্ট করুন আমি শুভ্রর মাকে বলছি খাবার পাঠাতে।
,
অনেকদিন হলো এখন আমরা স্যারের থুক্কু আঙ্কেলের বাসাতেই থাকি।আর আমাদের আগের বাসাটা ভাড়া দেওয়া আছে।
এখানকার সবাই কত্তভালো।সবাই কত্ত আদর করে আমায়।আর ঐ বজ্জাত গুমরামুখো টা কথায় কথায় আমায় বকা দেয়।একটু ও ভালোবাসে না আমায়।রাতদিন শুধু পড়া পড়া করে আমার মাথা খাবে।বই পোকা থুক্কু পড়ার পোকা একটা।আমার এসব বোরিং পড়া মরা ভাল্লাগেনা।
মনচায় তো শুধু রাতদিন ইতিপু,রিতুপু,উষাপু,সাথীপুর গল্পগুলা পড়ি।আমি আবার সেই লেবেলের গল্পখোর।আমায় যদি কেউ বলে তোকে আজ খেতে দেওয়া হবে না।সারাদিন গল্প পড়বি তো আমার মতো খুশি মনে হয়না আর কেউ হবে না।কিন্তু আমার একটা ভাঙ্গা কপাল আছে না?কথায় আছে না কানার কপালে ধন(নেগেটিভলি নিবেন না কেউ আশা করি) মিলে না।আমার পড়ার টেবিল থেকে সব উপন্যাসের বই সরিয়ে ফেলছে সেই সাথে আমার সাধের মোবাইল ডাও কাইড়ে নিছে বজ্জাত চুড়েল স্যার টা।
কিছু বলতেও পারিনা আবার সইতেও পারিনা।আমার মা পারে তো বজ্জাত টারে মাথায় তুলে নাচে।গা জ্বলে যায় এমন আদিখ্যেতা দেখে।
কি এমন একটা বালের বোরিং লাইফ।তেজপাতা করে দিলো একেবারে ডাইনোসর টা।
"মাঝেমাঝে মনে হয় পালিয়ে যাই কোথাও কিন্তু গাড়ি ভাড়ার অভাবে যেতে পারি না "
এত রসকষহীন কোনো মানুষ হয় নাকি বুঝি না বাপু।
,
রাত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের খেলা দেখছিলাম।টানটান উত্তেজনা পর্বে যখন যখন কেউ আউট হয়ে যায় তখন
--হোয়াট দ্যাাাাাাাা?(শুভ্র)
--দিজ ইজ বোল্ড থুক্কু আউট স্যার।
--ইডিয়ট
--সেতা খায় না মাথায় দেয় স্যার থুক্কু আঙ্কেলের ছেলে?
--হোয়াট দ্যা ল্যাংগুয়েজ
--হুররর মিয়া খালি ইংরেজি কন ফরফর করে মুখে বাতাস ঢুকতে দেন।ওমন দুই চারটা ইংরেজি আমরাও কইতে জানি হুহহ।
,
প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে এবং নিয়ে আসবে।কত্তদিন হলো বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়া হয় না।এত অত্যাচার করলে আমি আর মনে হয় বেশিদিন বাচঁবো না।আগামীকাল নুপুরের বিয়ে।তিন বছর রিলেশনের পরে নীল ভাইয়ার সাথে ফাইনালি বিয়ের পিরিতে বসছে।নুপু আসলেই অনেক লাকী।নীল ভাইয়া নুপু কে অনেক ভালোবাসে।
একদিন আগে যাওয়ার জন্য কত্ত করে বলে দিল।একমাত্র কলিজার টুকরা বেস্টির বিয়ে বলে কথা।না জানি সাতদিন আগে থেকেই নাচ শুরু করে দিব।মেক আপ শেকাপ করবো।
হলুদের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সবাই মিলে,মেয়েরা লাল পারের হলুদ শাড়ি।কাচা ফুলের গহনা পড়বো আর ছেলেরা পড়বে ম্যাচিং হলুদ শাড়ি।
বিয়েতে চার বান্ধপ্পি মিলে একই সাজ দিবো।যাতে করে আমাদের জিজু মহাশয় তাক লাগিয়ে যায়।বিয়ে বাড়ি থেকে বরের ভাইয়েরা মানে আমাগো বিয়ান রা আসবে তাদের সাথে ফ্লার্টিং করবো।কত্ত প্ল্যানিং করেছি সবাই মিলে আর সব শেষে কি হলো?এ জন্যই কোনো কিছু নিয়ে এত এক্সাইটেড হতে নেই।আমি অনেক খেয়াল করে দেখেছি যে আমি যে বিষয় টা নিয়ে বেশি উত্তেজিত থাকি দিন শেষে ফল হিসেবে শূন্য পাই।
এই তো সেদিন ফ্রেন্ডস রা মিলে রাত জেগে জেগে প্ল্যানিং করলাম আমরা সিলেট ট্যুরে যাব সাতদিনের।চাঁদাও দিলাম,শপিং ও করলাম কিন্তু পরে আর যাওয়া হলো না আমাদের কোনো কারণে।
,
আম্মার কাছে গিয়ে বলায়য় আম্মা স্ট্রেট বলে দিলো গেলে শুভ্র কে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
--আম্মুউউউউহহহহহহহ
--কি হয়েছে এত চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?
--আমি একাই যাব।
--নাহ বললাম না?
--আমি কি সেই দু বছরের শিশু নাকি যে সব সময় বডি গার্ড নিয়ে ঘুরতে হবে আমার।একা চলতে পারি না?একটা অনার্স পড়ুয়া মেয়ে কে শাসন করো যেভাবে মনে আমি ছোট্ট সান্জু।
--আমি ওত শত বুঝিনা।শুভ্র কে নিয়ে গেলে যাবি নয়তো কানের গরে প্যানপ্যান করবি না।
মুড অফ করে বসে রইলাম ঘরে।কান্না করতে করতে চোখ ফুলে গেছে।হারামি গুলা বারবার ফোন দিচ্ছে।সবাই আগে থেকে চলে গেছে আমি বাদে।
.
.
.
.
হাসপাতালে গিয়ে দেখি স্যারের বাসার সবাই আছে সাথে বর্ষা ও।সবাইকে দেখছি আম্মুকে তো দেখছি না।
মাথার ভেতর অনেকগুলো জটিল প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ডাঃ বেরিয়ে এলেন।ডাঃ মামনি কেমন আছে?শুভ্র স্যার ডাঃ আংকেল কে আসতে দেখে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
ভয়ের কিছু নেই।অতিরিক্ত টেনশনের কারণে এমন হয়েছে।
কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করছে হয়তো।আমি কিছু ঔষুধ প্রেসক্রিপ করে দিচ্ছি সময় মতো খাওয়াবেন।
.
ডাক্তার আর স্যারের বলা কথাগুলো আমার মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।মামনি মানে?স্যার তো আম্মুকেই আম্মু বলে।সবাই আছে,তাহলে আম্মু কোথায়?বর্ষা কে দেখে মনে হচ্ছে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে।
দৌড় দিয়ে কেবিনে ঢুকে গেলাম যেখান থেকে ডাক্তার বের হলেন।আর কেউ নয় আমার আম্মুই যে বেডে শুয়ে আছে।আম্মা ছাড়া যে এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই।বাপি ও উপরে চলে গেলেন আমাদের রেখে,সেই থেকে আম্মুই আমাদের কাছে সব।বাবা মা দুটোই।
কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি আমাদের।
সেই আম্মুর কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাচঁব।
,
কান্না করতে করতে আমার হে্চকি উঠে যাচ্ছে।আমি কান্না করতে পারিনা।দম বন্ধ হয়ে আসে।শুনেছি কান্না করতে পারলে নাকি ভেতরের কষ্ট টা কিছুটা হলে নাকি কমে।
কিন্তু আমি তো পারি না তা।আমার কান্নার শব্দে আম্মুর ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
--আরে পাগলি মেয়ে কান্না করছিস কেনো?আমি কি মরে গেছি নাকি।
--আম্মুউউউহহহ,,মায়ের মুখে মরার কথা শুনে আমার কান্নার শব্দ টা আরো বেড়ে গেলো 5G স্পিডে।অক্সিজেন ছাড়া আমাদের বেচে থাকা কখনোই সম্ভব নয় আর আমার অক্সিজেন হলো আমার মা।
,
আম্মু সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় চলে আসিতেছিলাম কিন্তু কামাল আঙ্কেল জোর করে উনাদের বাসায় নিয়ে এলেন।আর আঙ্কেলদের পাশের ফ্ল্যাটেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।এত করে বললাম আমরা আমাদের বাসাতেই থাকতে পারবো তারপরেও উনি শুনলেন না।জোর করে নিয়ে এলেন।মামনি,শোভা টা হয়েছে আঙ্কেলের মতো।
,
--ভাই সাহেব!!এতকিছু করার কোনো দরকার ছিল না।আমরা আমাদের বাসাতেই থাকতে পারতাম আপনি শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলেন আমাদের জন্য।
--কিসের কষ্ট?কোনো কষ্ট হয়নি।আমার অনেক আগেই আপনাদেরকে এখানে আনা উচিত ছিল।যাই হোক আজ থেকে এটাও আপনার বাসা।
---ঠিক তা নয়।ওর আব্বু মারা যাবার পর থেকে আপনি কম করেননি আমাদের জন্য।এ যুগে এমন বন্ধু পায় কজন বলুন?ওর আপন ভাইয়েরাও এমন করেনি কখনো।আমাদের সব সময় ছায়ার মতো করে আগলে রেখেছেন।
--বাদ দিন তো ভাবি।আপনার এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।ডাক্তার কি বলছে আপনি শোনেনি? একদম টেনশন করা যাবে না।যে কোনো সময় আপনার হার্ট ব্লক হতে পারে।
নিজের জন্য নাহলে মেয়ে দুটোর কথা ভেবে হলেও নিজের শরীরের যত্ন নিন।আপনি ছাড়া যে ওদের আর কেউ নেই এই নিষ্ঠুর দুনিয়াতে।আপনি বরং রেস্ট করুন আমি শুভ্রর মাকে বলছি খাবার পাঠাতে।
,
অনেকদিন হলো এখন আমরা স্যারের থুক্কু আঙ্কেলের বাসাতেই থাকি।আর আমাদের আগের বাসাটা ভাড়া দেওয়া আছে।
এখানকার সবাই কত্তভালো।সবাই কত্ত আদর করে আমায়।আর ঐ বজ্জাত গুমরামুখো টা কথায় কথায় আমায় বকা দেয়।একটু ও ভালোবাসে না আমায়।রাতদিন শুধু পড়া পড়া করে আমার মাথা খাবে।বই পোকা থুক্কু পড়ার পোকা একটা।আমার এসব বোরিং পড়া মরা ভাল্লাগেনা।
মনচায় তো শুধু রাতদিন ইতিপু,রিতুপু,উষাপু,সাথীপুর গল্পগুলা পড়ি।আমি আবার সেই লেবেলের গল্পখোর।আমায় যদি কেউ বলে তোকে আজ খেতে দেওয়া হবে না।সারাদিন গল্প পড়বি তো আমার মতো খুশি মনে হয়না আর কেউ হবে না।কিন্তু আমার একটা ভাঙ্গা কপাল আছে না?কথায় আছে না কানার কপালে ধন(নেগেটিভলি নিবেন না কেউ আশা করি) মিলে না।আমার পড়ার টেবিল থেকে সব উপন্যাসের বই সরিয়ে ফেলছে সেই সাথে আমার সাধের মোবাইল ডাও কাইড়ে নিছে বজ্জাত চুড়েল স্যার টা।
কিছু বলতেও পারিনা আবার সইতেও পারিনা।আমার মা পারে তো বজ্জাত টারে মাথায় তুলে নাচে।গা জ্বলে যায় এমন আদিখ্যেতা দেখে।
কি এমন একটা বালের বোরিং লাইফ।তেজপাতা করে দিলো একেবারে ডাইনোসর টা।
"মাঝেমাঝে মনে হয় পালিয়ে যাই কোথাও কিন্তু গাড়ি ভাড়ার অভাবে যেতে পারি না "
এত রসকষহীন কোনো মানুষ হয় নাকি বুঝি না বাপু।
,
রাত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের খেলা দেখছিলাম।টানটান উত্তেজনা পর্বে যখন যখন কেউ আউট হয়ে যায় তখন
--হোয়াট দ্যাাাাাাাা?(শুভ্র)
--দিজ ইজ বোল্ড থুক্কু আউট স্যার।
--ইডিয়ট
--সেতা খায় না মাথায় দেয় স্যার থুক্কু আঙ্কেলের ছেলে?
--হোয়াট দ্যা ল্যাংগুয়েজ
--হুররর মিয়া খালি ইংরেজি কন ফরফর করে মুখে বাতাস ঢুকতে দেন।ওমন দুই চারটা ইংরেজি আমরাও কইতে জানি হুহহ।
,
প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে এবং নিয়ে আসবে।কত্তদিন হলো বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়া হয় না।এত অত্যাচার করলে আমি আর মনে হয় বেশিদিন বাচঁবো না।আগামীকাল নুপুরের বিয়ে।তিন বছর রিলেশনের পরে নীল ভাইয়ার সাথে ফাইনালি বিয়ের পিরিতে বসছে।নুপু আসলেই অনেক লাকী।নীল ভাইয়া নুপু কে অনেক ভালোবাসে।
একদিন আগে যাওয়ার জন্য কত্ত করে বলে দিল।একমাত্র কলিজার টুকরা বেস্টির বিয়ে বলে কথা।না জানি সাতদিন আগে থেকেই নাচ শুরু করে দিব।মেক আপ শেকাপ করবো।
হলুদের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সবাই মিলে,মেয়েরা লাল পারের হলুদ শাড়ি।কাচা ফুলের গহনা পড়বো আর ছেলেরা পড়বে ম্যাচিং হলুদ শাড়ি।
বিয়েতে চার বান্ধপ্পি মিলে একই সাজ দিবো।যাতে করে আমাদের জিজু মহাশয় তাক লাগিয়ে যায়।বিয়ে বাড়ি থেকে বরের ভাইয়েরা মানে আমাগো বিয়ান রা আসবে তাদের সাথে ফ্লার্টিং করবো।কত্ত প্ল্যানিং করেছি সবাই মিলে আর সব শেষে কি হলো?এ জন্যই কোনো কিছু নিয়ে এত এক্সাইটেড হতে নেই।আমি অনেক খেয়াল করে দেখেছি যে আমি যে বিষয় টা নিয়ে বেশি উত্তেজিত থাকি দিন শেষে ফল হিসেবে শূন্য পাই।
এই তো সেদিন ফ্রেন্ডস রা মিলে রাত জেগে জেগে প্ল্যানিং করলাম আমরা সিলেট ট্যুরে যাব সাতদিনের।চাঁদাও দিলাম,শপিং ও করলাম কিন্তু পরে আর যাওয়া হলো না আমাদের কোনো কারণে।
,
আম্মার কাছে গিয়ে বলায়য় আম্মা স্ট্রেট বলে দিলো গেলে শুভ্র কে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
--আম্মুউউউউহহহহহহহ
--কি হয়েছে এত চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?
--আমি একাই যাব।
--নাহ বললাম না?
--আমি কি সেই দু বছরের শিশু নাকি যে সব সময় বডি গার্ড নিয়ে ঘুরতে হবে আমার।একা চলতে পারি না?একটা অনার্স পড়ুয়া মেয়ে কে শাসন করো যেভাবে মনে আমি ছোট্ট সান্জু।
--আমি ওত শত বুঝিনা।শুভ্র কে নিয়ে গেলে যাবি নয়তো কানের গরে প্যানপ্যান করবি না।
মুড অফ করে বসে রইলাম ঘরে।কান্না করতে করতে চোখ ফুলে গেছে।হারামি গুলা বারবার ফোন দিচ্ছে।সবাই আগে থেকে চলে গেছে আমি বাদে।
.
.