11-01-2023, 08:56 PM
#__Part__6
.
.
কিরে রসুন তুই কি কখনো বড় হবি না?
--ভাইয়া প্লিজজ ডোন্ট কল মি রসুন।মাই নেম ইজ রশনি।ঋতু রশনি?
--ওলে আমাল ঋতু রশনি লে
.
অভি ভাইয়ার সাথে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম।ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় রাত ২ টা বেজে গেলো।কতক্ষণ ঘুমিয়েছি তা জানিনা।বর্ষার ঐতিহাসিক চিল্লানীতে আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।কোথায় স্বপ্নে দেখছিলাম আমার ক্রাশ শেখ সাদির সাথে আমি বসুন্ধরায় বসে বসে রোমাঞ্চ করছি আর হেতি দিলো আমার স্বপ্নের তেরোটা বাজিয়ে।মনডায় চায় কুইট্টালায়।ঐ হাল্ফ টিকেটের বাচ্চু,ট্যাম্পু গ্যারেজ সকাল সকাল দিলি তো আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে।কি হয়েছে কি ষাঁড়েরর মতো থুক্কু ইন্ডিয়ান রাম ছাগির মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছিস কেনো?বাড়িতে ডাকাত ঢুকে কি তোরে কিস করছে নাকি?
ইয়াককককক!!ডাকাত দের খায়ে দায়ে কোনো কাম নাই তোহ তোর মতো ডাইনিরে কিস করবো।
,
তুমি কি পাগল?পুরাই একটা মেন্টাল।আমার মনে হয় তোমার মানসিক প্রবলেম আছে খাড়াও আম্মারে বলে তোমার জন্য ডাঃ মোহাম্মদ আলীর কাছে সিরিয়াল দিয়ে আসি।কি রকম পাগলের মতো অদ্ভুূদ অদ্ভুদ কথা বলো।মানুষজন শুনলে তো তাই ভাববে।
--তুই পাগল,তোর বাপ পাগল,তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী পাগল।
--এই দেখো রাগলে তুমি হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে ফেলো।
আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী পাগল হলে তুমি কি?তুমিও তাদের মধ্যে একজন।
ফালতু প্যাঁচাল পারতে চাইছি না তোমার সাথে।কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি আমি তোমায়। আর তুমি গন্ডারের মতো নাক ডেকে ঘুমিয়েই যাচ্ছ।
---ঐ ট্যাম্পু গ্যারেজ মুখ সামলে কথা বল।আমি না তুই নাক ডাকিস,তোর বাপ থুক্কু তোর বর ডাকে।গরুর মতো ঘ্য ঘ্য করে।
--আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।আমি মেনে নিলাম।এবার দয়া করে একটু ঘড়ির দিকে তাকান তো।দেখুন কয়টা বাজে।
--কয়টা আর বাজবেেেে?একিরে আপু সাত রা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট বাজতে চললো আর তুই কিনা এখন আমায় ডাক দিচ্ছিস?
সাত টা থেকে এনাকন্ডার কাছে পড়া আছে আর আমি কিনা এতো দেরিতে ঘুম থেকে উঠছি।টাইমলি যেতে না পারলে পানিশমেন্ট দিবে তার জন্য।আমি এত ভুল করি কেমনে কে জানে।তাড়াহুড়ো করে ১৫ মিনিটে রেডি হয়ে কোনো রকমে স্যারের সামনে হাজির হলাম।১ ঘন্টা লেট করে এসেছি আমি।
,
সময়মত না আসার জন্য কান ধরে এক পায়ে ভর করে দাড়িয়ে রেখেছে ধলা চিকা টা।আল্লাহ এই ডাইনোসর টার মনে একটু দয়া দাও।
--হোম ওয়ার্ক দেখাও
--কিিি বলছেন স্যার?হোম ওয়ার্ক ছিল কি?
অভির সাথে গল্প করতে করতে শুভ্রের দেয়া হোম ওয়ার্কের কথা মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল একদম।
--ননসেন্স। কোনে কাজ হবে না তোমার দ্বারা।একটা কাজ ও যদি ঠিকমতো করতে পারে।কবে যে বুদ্ধি সুদ্ধি হবে কে জানে।কেয়ার লেস একটা যার দুদিন পরে এক্সাম সে কি না আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হয়েছে আর কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে হবে না।বসো আর এই প্রবলেম গুলো সল্ভ করে দিয়ে যাচ্ছি আমি তুমি করতে থাকো।বুঝতে না পারলে নিচে আন্ডারলাইন করে রাখবে।
আর যতক্ষণ না তোমার ম্যাথ করা সম্পূর্ণ কমপ্লিট হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি এখান থেকে এ পা ও নড়তে পারবে না।আমি বাইরে থেকে দরজা লকড করে রেখে যাচ্ছি।লকড করার কথাটা মিথ্যে বলে গেলাম।জানি ইডিয়েট টা আর দরজার সামনে গিয়ে পরখ করে দেখবে না দরজা টা আদৌ লক আছে নাকি।
,
ডেভিল টা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো।এমন অবিচার আমার সাথে উপরওয়ালা ও সইবে না জানি।পরেছ যখন মোল্লার হাতে একসাথে তো তোমায় খানা খেতেই হবে।
৪র্থ বর্ষের ফাইনাল এক্সামের কারণে আমাদের ক্লাস অফ রাখছে।
,
পরিক্ষার কারণে ক্লাস নাই আজ আমার।গার্ডে ডিউটির জন্য আমার কোনো চাপ নেই।আর আমায় বলেও না কখনো কেউ কেনো জানি না।
টিচার্স রুমে ভার্সিটির ট্যুর নিয়ে আলোচনা বৈঠক চলছে।ব্যবস্থাপণা আর হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ মিলে ১ দিনের ট্যুরে নাটোরের লালপুর গ্রীণ ভ্যালি পার্কে যাবে মেবি এমনটাই তো শোনা গেলো।ক্লাস অফ থাকায় এখনো স্টুডেন্টদের মাঝে এনাউন্স করা হয়নি।শুধু দুই ডিপার্টমেন্ট এর টিচার্স রাই পূর্ব প্ল্যানিং করছে আরকি।
পুরো ভার্সিটির টিচার্সদের মাঝে আমিই একমাত্র শিশু।এ জন্য সবাই আমায় অনেক স্নেহ করে।আর ভার্সিটির বেয়াদব মেয়েগুলো তো আমায় জ্বালিয়ে মারে।
আমার শিক্ষকতার বয়স সবে দুই মাস হতে চললো।শখের বসে এই পেশায় জয়েন করা তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য।
এটা আমি আমার ইনকামের জন্য করিনা।কারণ টা নাহয় অন্য কোনো একদিন জানাবো।
১ম বর্ষের হিসাব বিজ্ঞানের ১ টা সাবজেক্টস ছাড়া অন্য ক্লাস নেই আমার।সিগনেচার টা করে বাসায় চলে এলাম।
,
এর আগে অনেক ট্যুরে গেছি তবে সেটা ফ্যামিলি ট্যুরে।একা একা কখনো যাইনি।ফ্যামিলির সাথে যাওয়ার এক মজা আর ফ্রেন্ডের সাথে যাওয়ার আরেক মজা।কিন্তু আমার মা জননী কে কে বোঝায়?একা কিছুতেই ছাড়বে না।আমিও নাছোড়বান্দা যাবোই।শেষমেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তবে সে দেয়ার থেকে না দেয়াই ভালো।ঐ কান খেরু,ধলা চিকার সাথে কথা বলে পার্মিশন দিয়েছে।আসার আগে হাজার টা জ্ঞানমূলক বাণী বলে দিয়েছে।সব সময় যেনো তাদের গুনধর শুভ্রের সাথে থাকি।সব সময় যেনো তার কথা মতো চলি।আরে আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি।
অনার্সে পড়ি।আজ বিয়ে দিলে কাল দুই পোলার মা হমু আর এখনো আমায় এতো নজরদারী করে।ভাল্লাগে না আমার এসব।বাস জার্নি করতে আমার বেশ ভালোই লাগে।তবে জানালার পাশের সীট না হলে কি আর বাস জার্নির মজা থাকে?সারা রাস্তা প্রকৃতি বিলাশ করতে করতে যাবো কত্ত প্ল্যান করে রেখেছি।পুরো রাস্তা ফ্রেন্ডসদের সাথে এনজয় করতে করতে যাবো। সব প্ল্যানে পানি ঢেলে দিলো ঐ ডাইনোসর টা।বডি গার্ডের মতো চিপকে বসে আছে আমার সাথে।বাসে ওঠার আগেই বমি বন্ধের ঔষুধ খাইয়ে দিছে।
আমার অবশ্য এমন রেকর্ড নাই তারপরেও বলা তো আর যায় না কখন কি হয়।জানালার পাশের সীট টা আমায় দিয়ে উনি আমার পাশের সীটে বসে আছে।
এত্ত কেয়ারে আমার খুশিতে কান্না পাচ্ছে।ট্যুরে যাচ্ছি কোথায় একটু আমোদ প্রমোদ করবো তা না কুচকি মুরগির মতো বসে থাকো।
,
সেন্টার ফ্রুট চিবোচ্ছি আর কানে হেডফোন ঢুকিয়ে নিউজ ফিড স্ক্রল করছিলাম। এছাড়া আর কি করবো?আমার সব ফ্রেন্ডস রা কত্ত মজা করছে আর আমি?ভাবতেই কান্না পাচ্ছে আমার।
পাবনা শহর থেকে লালপুরের দূরত্ব বেশি না।ঘন্টা দুয়েক লাগে।(প্রায়)
গন্তব্যের কাছাকাছি আসতেই আমার সামনের সারি তে কে যেনো গরগর করে বমি করে দিলো।তা দেখো আমার কেমন যেনো গা গুলিয়ে যাচ্ছিল।বেহুশ হয়ে বমি করে দিলাম স্যারের গায়ের উপর।এটা একটা খুব খারাপ জিনিস।গাড়িতে উঠার আগে স্যার অনেকবার নিষেধ করছিল ভাজা পোড়া খেতে।কে শুনে কার কথা।চিপস আর চানাচুর সামনে থাকলে আমার হুশ থাকে না।
গাড়ি থামিয়ে আগে আমায় কুলি করিয়ে দিলো।আমার মুখ হাত পরিষ্কার করে দিলো নিজ হাতে।অন্য সময় হলে রাগ করতো কিন্তু এখন একবারো টু শব্দ টাও করলো না।
তারপরে নিজেও ফ্রেশ হয়ে পরনের পোশাক টা বদলে নিলো।
,
কিছুক্ষণ পরেই আমরা আমাদের গ্রীণ ভ্যালিতে পৌঁছালাম। নাটোর রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন,সিংড়া চলনবিল,লালপুরের লাল সাগর,নাটোর শিশু পার্ক,সাহারা প্লাজা শিশু পার্ক,
বনলতা সেন, রানী ভবানী,মিনি কক্সবাজার পাটুল আর কাচাগোল্লার জন্য আগে থেকেই দেশবাসীর কাছে বিখ্যাত হয়ে আছে নাটোর। এবার নাটোরকে আরো এক ধাপ রাঙিয়ে তুলতে দেশের বিপুল সংখ্যক বিনোদনপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের মনের খোরাক মেটাতে নাটোরের লালপুরে তৈরি হয়েছে গ্রীনভ্যালী পার্ক। উদ্বোধনের আগেই যা দর্শনার্থী ও বিনোদন প্রেমীদের নজরে এসেছে।
নান্দনিক সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ এই পার্ক...মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।দেখলেই পরাণ টা জুরে যায়।
আশা করি এই পার্কের সৌন্দর্য আপনাদের ও মুগ্ধ করবে আমাদের মতো।
অনেক মজা করেছি তবে সব সময় ছায়ার মতো শুভ্র স্যার আমায় আগলে রেখেছেন।হয়তো মাকে দেয়া কথা রাখতেই।
,
বাসায় রওনা হওয়ার আগেই স্যারের ফোনে একটা কল আসলো।জানিনা কল টা কার ছিল।তারপর থেকেই কেনো জানি উনার মুখ টা আমাবস্যার মতো কালো হয়ে গেলো।
টিচার্সদের সাথে কথা বলে আমাকে নিয়ে রওনা হলেন পাবনার উদ্দেশ্যে।আমি নিরব দর্শকের মতো ছাড়ের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছি।কারণ আমার হাতটা শক্ত করে স্যারের হাতের মুঠোয় বন্দি।যেনো ছেড়ে দিলেই আমি ছুটে পালাবো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
To be Continue.......
.
.
কিরে রসুন তুই কি কখনো বড় হবি না?
--ভাইয়া প্লিজজ ডোন্ট কল মি রসুন।মাই নেম ইজ রশনি।ঋতু রশনি?
--ওলে আমাল ঋতু রশনি লে
.
অভি ভাইয়ার সাথে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম।ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় রাত ২ টা বেজে গেলো।কতক্ষণ ঘুমিয়েছি তা জানিনা।বর্ষার ঐতিহাসিক চিল্লানীতে আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।কোথায় স্বপ্নে দেখছিলাম আমার ক্রাশ শেখ সাদির সাথে আমি বসুন্ধরায় বসে বসে রোমাঞ্চ করছি আর হেতি দিলো আমার স্বপ্নের তেরোটা বাজিয়ে।মনডায় চায় কুইট্টালায়।ঐ হাল্ফ টিকেটের বাচ্চু,ট্যাম্পু গ্যারেজ সকাল সকাল দিলি তো আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে।কি হয়েছে কি ষাঁড়েরর মতো থুক্কু ইন্ডিয়ান রাম ছাগির মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছিস কেনো?বাড়িতে ডাকাত ঢুকে কি তোরে কিস করছে নাকি?
ইয়াককককক!!ডাকাত দের খায়ে দায়ে কোনো কাম নাই তোহ তোর মতো ডাইনিরে কিস করবো।
,
তুমি কি পাগল?পুরাই একটা মেন্টাল।আমার মনে হয় তোমার মানসিক প্রবলেম আছে খাড়াও আম্মারে বলে তোমার জন্য ডাঃ মোহাম্মদ আলীর কাছে সিরিয়াল দিয়ে আসি।কি রকম পাগলের মতো অদ্ভুূদ অদ্ভুদ কথা বলো।মানুষজন শুনলে তো তাই ভাববে।
--তুই পাগল,তোর বাপ পাগল,তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী পাগল।
--এই দেখো রাগলে তুমি হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে ফেলো।
আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী পাগল হলে তুমি কি?তুমিও তাদের মধ্যে একজন।
ফালতু প্যাঁচাল পারতে চাইছি না তোমার সাথে।কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি আমি তোমায়। আর তুমি গন্ডারের মতো নাক ডেকে ঘুমিয়েই যাচ্ছ।
---ঐ ট্যাম্পু গ্যারেজ মুখ সামলে কথা বল।আমি না তুই নাক ডাকিস,তোর বাপ থুক্কু তোর বর ডাকে।গরুর মতো ঘ্য ঘ্য করে।
--আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।আমি মেনে নিলাম।এবার দয়া করে একটু ঘড়ির দিকে তাকান তো।দেখুন কয়টা বাজে।
--কয়টা আর বাজবেেেে?একিরে আপু সাত রা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট বাজতে চললো আর তুই কিনা এখন আমায় ডাক দিচ্ছিস?
সাত টা থেকে এনাকন্ডার কাছে পড়া আছে আর আমি কিনা এতো দেরিতে ঘুম থেকে উঠছি।টাইমলি যেতে না পারলে পানিশমেন্ট দিবে তার জন্য।আমি এত ভুল করি কেমনে কে জানে।তাড়াহুড়ো করে ১৫ মিনিটে রেডি হয়ে কোনো রকমে স্যারের সামনে হাজির হলাম।১ ঘন্টা লেট করে এসেছি আমি।
,
সময়মত না আসার জন্য কান ধরে এক পায়ে ভর করে দাড়িয়ে রেখেছে ধলা চিকা টা।আল্লাহ এই ডাইনোসর টার মনে একটু দয়া দাও।
--হোম ওয়ার্ক দেখাও
--কিিি বলছেন স্যার?হোম ওয়ার্ক ছিল কি?
অভির সাথে গল্প করতে করতে শুভ্রের দেয়া হোম ওয়ার্কের কথা মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল একদম।
--ননসেন্স। কোনে কাজ হবে না তোমার দ্বারা।একটা কাজ ও যদি ঠিকমতো করতে পারে।কবে যে বুদ্ধি সুদ্ধি হবে কে জানে।কেয়ার লেস একটা যার দুদিন পরে এক্সাম সে কি না আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হয়েছে আর কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে হবে না।বসো আর এই প্রবলেম গুলো সল্ভ করে দিয়ে যাচ্ছি আমি তুমি করতে থাকো।বুঝতে না পারলে নিচে আন্ডারলাইন করে রাখবে।
আর যতক্ষণ না তোমার ম্যাথ করা সম্পূর্ণ কমপ্লিট হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি এখান থেকে এ পা ও নড়তে পারবে না।আমি বাইরে থেকে দরজা লকড করে রেখে যাচ্ছি।লকড করার কথাটা মিথ্যে বলে গেলাম।জানি ইডিয়েট টা আর দরজার সামনে গিয়ে পরখ করে দেখবে না দরজা টা আদৌ লক আছে নাকি।
,
ডেভিল টা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো।এমন অবিচার আমার সাথে উপরওয়ালা ও সইবে না জানি।পরেছ যখন মোল্লার হাতে একসাথে তো তোমায় খানা খেতেই হবে।
৪র্থ বর্ষের ফাইনাল এক্সামের কারণে আমাদের ক্লাস অফ রাখছে।
,
পরিক্ষার কারণে ক্লাস নাই আজ আমার।গার্ডে ডিউটির জন্য আমার কোনো চাপ নেই।আর আমায় বলেও না কখনো কেউ কেনো জানি না।
টিচার্স রুমে ভার্সিটির ট্যুর নিয়ে আলোচনা বৈঠক চলছে।ব্যবস্থাপণা আর হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ মিলে ১ দিনের ট্যুরে নাটোরের লালপুর গ্রীণ ভ্যালি পার্কে যাবে মেবি এমনটাই তো শোনা গেলো।ক্লাস অফ থাকায় এখনো স্টুডেন্টদের মাঝে এনাউন্স করা হয়নি।শুধু দুই ডিপার্টমেন্ট এর টিচার্স রাই পূর্ব প্ল্যানিং করছে আরকি।
পুরো ভার্সিটির টিচার্সদের মাঝে আমিই একমাত্র শিশু।এ জন্য সবাই আমায় অনেক স্নেহ করে।আর ভার্সিটির বেয়াদব মেয়েগুলো তো আমায় জ্বালিয়ে মারে।
আমার শিক্ষকতার বয়স সবে দুই মাস হতে চললো।শখের বসে এই পেশায় জয়েন করা তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য।
এটা আমি আমার ইনকামের জন্য করিনা।কারণ টা নাহয় অন্য কোনো একদিন জানাবো।
১ম বর্ষের হিসাব বিজ্ঞানের ১ টা সাবজেক্টস ছাড়া অন্য ক্লাস নেই আমার।সিগনেচার টা করে বাসায় চলে এলাম।
,
এর আগে অনেক ট্যুরে গেছি তবে সেটা ফ্যামিলি ট্যুরে।একা একা কখনো যাইনি।ফ্যামিলির সাথে যাওয়ার এক মজা আর ফ্রেন্ডের সাথে যাওয়ার আরেক মজা।কিন্তু আমার মা জননী কে কে বোঝায়?একা কিছুতেই ছাড়বে না।আমিও নাছোড়বান্দা যাবোই।শেষমেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তবে সে দেয়ার থেকে না দেয়াই ভালো।ঐ কান খেরু,ধলা চিকার সাথে কথা বলে পার্মিশন দিয়েছে।আসার আগে হাজার টা জ্ঞানমূলক বাণী বলে দিয়েছে।সব সময় যেনো তাদের গুনধর শুভ্রের সাথে থাকি।সব সময় যেনো তার কথা মতো চলি।আরে আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি।
অনার্সে পড়ি।আজ বিয়ে দিলে কাল দুই পোলার মা হমু আর এখনো আমায় এতো নজরদারী করে।ভাল্লাগে না আমার এসব।বাস জার্নি করতে আমার বেশ ভালোই লাগে।তবে জানালার পাশের সীট না হলে কি আর বাস জার্নির মজা থাকে?সারা রাস্তা প্রকৃতি বিলাশ করতে করতে যাবো কত্ত প্ল্যান করে রেখেছি।পুরো রাস্তা ফ্রেন্ডসদের সাথে এনজয় করতে করতে যাবো। সব প্ল্যানে পানি ঢেলে দিলো ঐ ডাইনোসর টা।বডি গার্ডের মতো চিপকে বসে আছে আমার সাথে।বাসে ওঠার আগেই বমি বন্ধের ঔষুধ খাইয়ে দিছে।
আমার অবশ্য এমন রেকর্ড নাই তারপরেও বলা তো আর যায় না কখন কি হয়।জানালার পাশের সীট টা আমায় দিয়ে উনি আমার পাশের সীটে বসে আছে।
এত্ত কেয়ারে আমার খুশিতে কান্না পাচ্ছে।ট্যুরে যাচ্ছি কোথায় একটু আমোদ প্রমোদ করবো তা না কুচকি মুরগির মতো বসে থাকো।
,
সেন্টার ফ্রুট চিবোচ্ছি আর কানে হেডফোন ঢুকিয়ে নিউজ ফিড স্ক্রল করছিলাম। এছাড়া আর কি করবো?আমার সব ফ্রেন্ডস রা কত্ত মজা করছে আর আমি?ভাবতেই কান্না পাচ্ছে আমার।
পাবনা শহর থেকে লালপুরের দূরত্ব বেশি না।ঘন্টা দুয়েক লাগে।(প্রায়)
গন্তব্যের কাছাকাছি আসতেই আমার সামনের সারি তে কে যেনো গরগর করে বমি করে দিলো।তা দেখো আমার কেমন যেনো গা গুলিয়ে যাচ্ছিল।বেহুশ হয়ে বমি করে দিলাম স্যারের গায়ের উপর।এটা একটা খুব খারাপ জিনিস।গাড়িতে উঠার আগে স্যার অনেকবার নিষেধ করছিল ভাজা পোড়া খেতে।কে শুনে কার কথা।চিপস আর চানাচুর সামনে থাকলে আমার হুশ থাকে না।
গাড়ি থামিয়ে আগে আমায় কুলি করিয়ে দিলো।আমার মুখ হাত পরিষ্কার করে দিলো নিজ হাতে।অন্য সময় হলে রাগ করতো কিন্তু এখন একবারো টু শব্দ টাও করলো না।
তারপরে নিজেও ফ্রেশ হয়ে পরনের পোশাক টা বদলে নিলো।
,
কিছুক্ষণ পরেই আমরা আমাদের গ্রীণ ভ্যালিতে পৌঁছালাম। নাটোর রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন,সিংড়া চলনবিল,লালপুরের লাল সাগর,নাটোর শিশু পার্ক,সাহারা প্লাজা শিশু পার্ক,
বনলতা সেন, রানী ভবানী,মিনি কক্সবাজার পাটুল আর কাচাগোল্লার জন্য আগে থেকেই দেশবাসীর কাছে বিখ্যাত হয়ে আছে নাটোর। এবার নাটোরকে আরো এক ধাপ রাঙিয়ে তুলতে দেশের বিপুল সংখ্যক বিনোদনপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের মনের খোরাক মেটাতে নাটোরের লালপুরে তৈরি হয়েছে গ্রীনভ্যালী পার্ক। উদ্বোধনের আগেই যা দর্শনার্থী ও বিনোদন প্রেমীদের নজরে এসেছে।
নান্দনিক সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ এই পার্ক...মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।দেখলেই পরাণ টা জুরে যায়।
আশা করি এই পার্কের সৌন্দর্য আপনাদের ও মুগ্ধ করবে আমাদের মতো।
অনেক মজা করেছি তবে সব সময় ছায়ার মতো শুভ্র স্যার আমায় আগলে রেখেছেন।হয়তো মাকে দেয়া কথা রাখতেই।
,
বাসায় রওনা হওয়ার আগেই স্যারের ফোনে একটা কল আসলো।জানিনা কল টা কার ছিল।তারপর থেকেই কেনো জানি উনার মুখ টা আমাবস্যার মতো কালো হয়ে গেলো।
টিচার্সদের সাথে কথা বলে আমাকে নিয়ে রওনা হলেন পাবনার উদ্দেশ্যে।আমি নিরব দর্শকের মতো ছাড়ের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছি।কারণ আমার হাতটা শক্ত করে স্যারের হাতের মুঠোয় বন্দি।যেনো ছেড়ে দিলেই আমি ছুটে পালাবো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
To be Continue.......