09-01-2023, 07:24 PM
#___Part___3
.
.
আমার তো খুশিতে লুঙ্গী ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে যে আমি আমার ক্রাশ অভির সাথে এতক্ষণ ছিলাম।
আচ্ছা, এটা আমার কল্পনা নয় তো?চোখ খুললেই হারিয়ে যাবে?হাতে চিমটি কেটে,,ওমাগোোোোোোোোোো,,,,,
তারমানে এটা আমার স্বপ্ন নয় বাস্তব।ইশশশশশশ
আমার এতো খুশি লাগে ক্রে,,,,(শোভা)
.
---আজকের মতো তো ডেভিলটার হাত থেকে বেচে গেছি জানি না,,আগামীকাল কে আমার কপালে কি আছে।
যাই থাকে থাকুক,আগামীকালকের টা আগামীকাল ভাবা যাবে।আপাতত এখন আমার একটু ঘুমের দরকার।
ভার্সিটি থেকে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লো ঋতু,,
বর্ষার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো,,চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে,,,,
-কি হয়েছে কি?এভাবে আমার স্বাদের ঘুম টা ভাঙ্গলি কেনো??
--ওলেেে আমাল নবাবজাদির স্বাদের ঘুম রে,,,,
এই তোর বরের টাকার সার্ভেন্ট পাইছোস আমায়?সব কাজ আমি একাই করবো,আর তুই শুয়ে বসে গিলবি।(বর্ষা)
---ঐ বস্তার ঘরের বস্তা,তোর সাহস তো কম না?আমারে কথা শুনাস।(আমি)
--হুহহহহহহহ
---আমার কাঁচা ঘুমটা দিল ভাঙা দিলো শাঁকচুন্নি টা,,
কিছুক্ষণ বসে থেকে অলসতা কেটে ফোন টা হাতে নিয়ে আমার চোখ তো কপালে?
৪:৩৫ মিনিট বাজে।তার মানে ভার্সিটি থেকে এসে আমি ৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাইছি।এদিকে এখন আবার ক্ষিদেয় যায় যায় অবস্থা।পেটের মধ্যে কিছু দিতে হবে তার আগে বড় কথা গোসল করা টা জরুরি।ইশশশশ!!আজকে যোহরের নামায টা কাযা হয়ে গেলো আমার।
গোসল শেষ করে ডাইনিং এ বসলাম পেটে কিছু দেয়ার জন্য,নইলে ইন্দুর মামা রা যে রেস শুরু করছে?
,
যেই না মুখে এক লোকমা ভাত তুলে দিয়েছি ওমনি আম্মা কোথা থেকে যেনো এসে সামনে হাজির হলো।
---তোর কি সংসারের কোনো কাজ কর্মই করতে মন চায় না।আমি একা একজন মানুষ সব দিকেই খেয়াল রাখতে হয়।
বয়স হয়ে যাচ্ছে কবে মারা যাবো না জানি।এতো বলি করে বিয়ের কথা কে শুনে কার কথা।মরার আগে মনে হয় না আর মেয়ের জামাইয়ের মুখ দেখে যেতে পারবো।,,,,,
---উফফফহহহহহহ!!আম্মা তুমি একটু থামবা?সব সময় তোমার এসব আর শুনতে ভাল্লাগে না।
দেখছোই তো খেতে বসেছি,একটু শান্তিমতো খেতে দিবা তো নাকি?
---তোকে খেতে কে নিষেধ করছে?আমার কথা তো তোর ভালোই লাগে না কোনো সময়।
----ধুরররররররর,,,খাবোই না আমি।(বলেই ভাতের প্লেট টা ছুড়ে মেরে রাগে গজগজ করতে করতে ডাইনীং ছেড়ে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো।)
এ দিকে পেছন পেছন ডেকেই চলেছেন ঋতুর আম্মা,,,,,
বড্ড জেদি আর একগুঁয়ে স্বভাবের।একদম ওর বাবার মতো হয়েছে।
,
ধমক দিয়ে কিছু বলতেও পারি না।বাপ মরা মেয়েটা আমার কষ্ট পাবে।কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি।
কখনো বলতে যেনো না পারে আজ আমার বাবা থাকলে এটা হতে পারতো না।আমরা মানুষেরা বড়ই অদ্ভুদ এক প্রাণী।
যে থাকবে না,মানে বর্তমানে যে অনুপস্থিত।সে হোক না খারাপ তখন তারই গুনগান গাইবে।আপনি যতোই তাকে কলিজা কেটে খাওয়ান না কেনো একটু কমতি হলেই হলো।
,
অনেক রাত হয়ে গেছে ক্ষিদেয় এদিকে আমার তো করুন অবস্থা।তখন ঐভাবে রাগ করে না চলে আসলেও পারতাম।
আসলে আমার রাগ হলে একদম মাথা কাজ করে না।যখন রাগ টা একটু কমে তখন অনুপ্ত হই নিজের ব্যবহারের জন্য।
এমন টা না করলেও পারতাম।কিন্তু অনুতপ্ত হয়ে কি লাভ?যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।
আম্মা তখনকার বিহাভের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে জানি।কিন্তু কি করবো বলুন।খুব ভালোবাসি আমি আমার আম্মা কে।নিজের থেকেও বেশি।খুব কষ্ট হয়,ভেতরটা দুমড়ে মুছড়ে যায় আম্মার মুখে মরার কথা শুনলে।স্বার্থপরের মতো বাবা আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে।এই আম্মা ছাড়া যে আমার দুনিয়া টাই অন্ধকার।
বাবা মারা গেলে মা তার বুঁকের মধ্যে সন্তানকে আগলে রাখে।মা বাবা দূজনেরই ভূমিকা পালন করে।কিন্তু মা মরে গেলে কখনোই একজন বাবা মায়ের মতো করে আগলে রাখতে পারেনা।এই পৃথিবীতে যাদের বাবা মা বেচে নেই তারাই জানে একমাত্র মা বাবার অভাব টা।
যাই একটু দেখে আসি আম্মা কি করছে,,
আমি জানি এখন আমার অভাগি মা টা খাওয়ার টেবিলে আমার জন্য খাওয়ার নিয়ে বসে বসে চোখের পানিতে বুঁক ভাসাচ্ছে।
হুমমম,,ঠিকই বলেছি।
উহুম উহুমমম,,,,আজকে মনে হয় আমাদের বাড়িটা কারো চোখের পানির বন্যার প্লাবনে ডুবে যাবে।
আমার কথার আওয়াজ পেয়ে আম্মা উপরে তাকাঁলো।
---ওহহ আম্মা, আমার না খুব ক্ষিদে পেয়েছে।
--তো আমি কি করবো?
---একটু কি খাইয়ে দিবা??
---কেনো নিজে খেতে পারস না?
---তুমি খাইয়ে দিবা কি না তাই বলো।
--পারবো না।নিজের হাত দিয়া খা,,
---আচ্ছা, ঠিক আছে।কাউকে কষ্ট করে আর আমারে খাইয়ে দেওয়া লাগবে না।আমি তো আর নিজের মেয়ে না।পরের মেয়েকে কি কেউ খাইয়ে দেয়।আমার আব্বু থাকলে ঠিকই খাইয়ে দিতো।(আরেকটু রাগানোর জন্য বললাম)
---তো যা নাহ,তোর বাপ কে কবর থেকে তুলে নিয়ে আয়।
আমায় বলিস কেন?
এভাবে আমি প্রতিদিনই আম্মাকে রাগিয়ে দেই,,আম্মাকে রাগাতে আমার ভালো লাগে।
,
ঘুম থেকে উঠতে আজকেও লেট,ক্লাস শুরু হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি।এমনিতেই আজকে লেট তার উপরে ১ম ক্লাস টাই ঐ বদ রাগি এনাকন্ডা টার।আমারে তো আজ পরোটার সাথে জেলি বানিয়ে খাবে।
আল্লাহ তুমি আমারে বাঁচাও
এই ডেভিলের হাত থেকে নয়তো দড়ি ফালাও আমি উপরে উঠে যায়।তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম।
ব্রেকফাস্ট না করার জন্য আম্মা পেছন থেকে চিল্লিয়েই যাচ্ছে।আমার আবার না খেয়ে থাকলে সমস্যা হয়।
,
অলরেডি ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ১৫ মিনিট আগে।
জল্লাদের বংশ টা লেকচার দিয়ে যাচ্ছে।আর সবাই মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছে।শুনছে বললে ভুল হবে সব লুচ্চি মাইয়্যাগুলো স্যারের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে।পারে তো মনে হয় স্যারকে গিলে খাবে।
.
.
.
.
.
আমার তো খুশিতে লুঙ্গী ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে যে আমি আমার ক্রাশ অভির সাথে এতক্ষণ ছিলাম।
আচ্ছা, এটা আমার কল্পনা নয় তো?চোখ খুললেই হারিয়ে যাবে?হাতে চিমটি কেটে,,ওমাগোোোোোোোোোো,,,,,
তারমানে এটা আমার স্বপ্ন নয় বাস্তব।ইশশশশশশ
আমার এতো খুশি লাগে ক্রে,,,,(শোভা)
.
---আজকের মতো তো ডেভিলটার হাত থেকে বেচে গেছি জানি না,,আগামীকাল কে আমার কপালে কি আছে।
যাই থাকে থাকুক,আগামীকালকের টা আগামীকাল ভাবা যাবে।আপাতত এখন আমার একটু ঘুমের দরকার।
ভার্সিটি থেকে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লো ঋতু,,
বর্ষার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো,,চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে,,,,
-কি হয়েছে কি?এভাবে আমার স্বাদের ঘুম টা ভাঙ্গলি কেনো??
--ওলেেে আমাল নবাবজাদির স্বাদের ঘুম রে,,,,
এই তোর বরের টাকার সার্ভেন্ট পাইছোস আমায়?সব কাজ আমি একাই করবো,আর তুই শুয়ে বসে গিলবি।(বর্ষা)
---ঐ বস্তার ঘরের বস্তা,তোর সাহস তো কম না?আমারে কথা শুনাস।(আমি)
--হুহহহহহহহ
---আমার কাঁচা ঘুমটা দিল ভাঙা দিলো শাঁকচুন্নি টা,,
কিছুক্ষণ বসে থেকে অলসতা কেটে ফোন টা হাতে নিয়ে আমার চোখ তো কপালে?
৪:৩৫ মিনিট বাজে।তার মানে ভার্সিটি থেকে এসে আমি ৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাইছি।এদিকে এখন আবার ক্ষিদেয় যায় যায় অবস্থা।পেটের মধ্যে কিছু দিতে হবে তার আগে বড় কথা গোসল করা টা জরুরি।ইশশশশ!!আজকে যোহরের নামায টা কাযা হয়ে গেলো আমার।
গোসল শেষ করে ডাইনিং এ বসলাম পেটে কিছু দেয়ার জন্য,নইলে ইন্দুর মামা রা যে রেস শুরু করছে?
,
যেই না মুখে এক লোকমা ভাত তুলে দিয়েছি ওমনি আম্মা কোথা থেকে যেনো এসে সামনে হাজির হলো।
---তোর কি সংসারের কোনো কাজ কর্মই করতে মন চায় না।আমি একা একজন মানুষ সব দিকেই খেয়াল রাখতে হয়।
বয়স হয়ে যাচ্ছে কবে মারা যাবো না জানি।এতো বলি করে বিয়ের কথা কে শুনে কার কথা।মরার আগে মনে হয় না আর মেয়ের জামাইয়ের মুখ দেখে যেতে পারবো।,,,,,
---উফফফহহহহহহ!!আম্মা তুমি একটু থামবা?সব সময় তোমার এসব আর শুনতে ভাল্লাগে না।
দেখছোই তো খেতে বসেছি,একটু শান্তিমতো খেতে দিবা তো নাকি?
---তোকে খেতে কে নিষেধ করছে?আমার কথা তো তোর ভালোই লাগে না কোনো সময়।
----ধুরররররররর,,,খাবোই না আমি।(বলেই ভাতের প্লেট টা ছুড়ে মেরে রাগে গজগজ করতে করতে ডাইনীং ছেড়ে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো।)
এ দিকে পেছন পেছন ডেকেই চলেছেন ঋতুর আম্মা,,,,,
বড্ড জেদি আর একগুঁয়ে স্বভাবের।একদম ওর বাবার মতো হয়েছে।
,
ধমক দিয়ে কিছু বলতেও পারি না।বাপ মরা মেয়েটা আমার কষ্ট পাবে।কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি।
কখনো বলতে যেনো না পারে আজ আমার বাবা থাকলে এটা হতে পারতো না।আমরা মানুষেরা বড়ই অদ্ভুদ এক প্রাণী।
যে থাকবে না,মানে বর্তমানে যে অনুপস্থিত।সে হোক না খারাপ তখন তারই গুনগান গাইবে।আপনি যতোই তাকে কলিজা কেটে খাওয়ান না কেনো একটু কমতি হলেই হলো।
,
অনেক রাত হয়ে গেছে ক্ষিদেয় এদিকে আমার তো করুন অবস্থা।তখন ঐভাবে রাগ করে না চলে আসলেও পারতাম।
আসলে আমার রাগ হলে একদম মাথা কাজ করে না।যখন রাগ টা একটু কমে তখন অনুপ্ত হই নিজের ব্যবহারের জন্য।
এমন টা না করলেও পারতাম।কিন্তু অনুতপ্ত হয়ে কি লাভ?যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।
আম্মা তখনকার বিহাভের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে জানি।কিন্তু কি করবো বলুন।খুব ভালোবাসি আমি আমার আম্মা কে।নিজের থেকেও বেশি।খুব কষ্ট হয়,ভেতরটা দুমড়ে মুছড়ে যায় আম্মার মুখে মরার কথা শুনলে।স্বার্থপরের মতো বাবা আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে।এই আম্মা ছাড়া যে আমার দুনিয়া টাই অন্ধকার।
বাবা মারা গেলে মা তার বুঁকের মধ্যে সন্তানকে আগলে রাখে।মা বাবা দূজনেরই ভূমিকা পালন করে।কিন্তু মা মরে গেলে কখনোই একজন বাবা মায়ের মতো করে আগলে রাখতে পারেনা।এই পৃথিবীতে যাদের বাবা মা বেচে নেই তারাই জানে একমাত্র মা বাবার অভাব টা।
যাই একটু দেখে আসি আম্মা কি করছে,,
আমি জানি এখন আমার অভাগি মা টা খাওয়ার টেবিলে আমার জন্য খাওয়ার নিয়ে বসে বসে চোখের পানিতে বুঁক ভাসাচ্ছে।
হুমমম,,ঠিকই বলেছি।
উহুম উহুমমম,,,,আজকে মনে হয় আমাদের বাড়িটা কারো চোখের পানির বন্যার প্লাবনে ডুবে যাবে।
আমার কথার আওয়াজ পেয়ে আম্মা উপরে তাকাঁলো।
---ওহহ আম্মা, আমার না খুব ক্ষিদে পেয়েছে।
--তো আমি কি করবো?
---একটু কি খাইয়ে দিবা??
---কেনো নিজে খেতে পারস না?
---তুমি খাইয়ে দিবা কি না তাই বলো।
--পারবো না।নিজের হাত দিয়া খা,,
---আচ্ছা, ঠিক আছে।কাউকে কষ্ট করে আর আমারে খাইয়ে দেওয়া লাগবে না।আমি তো আর নিজের মেয়ে না।পরের মেয়েকে কি কেউ খাইয়ে দেয়।আমার আব্বু থাকলে ঠিকই খাইয়ে দিতো।(আরেকটু রাগানোর জন্য বললাম)
---তো যা নাহ,তোর বাপ কে কবর থেকে তুলে নিয়ে আয়।
আমায় বলিস কেন?
এভাবে আমি প্রতিদিনই আম্মাকে রাগিয়ে দেই,,আম্মাকে রাগাতে আমার ভালো লাগে।
,
ঘুম থেকে উঠতে আজকেও লেট,ক্লাস শুরু হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি।এমনিতেই আজকে লেট তার উপরে ১ম ক্লাস টাই ঐ বদ রাগি এনাকন্ডা টার।আমারে তো আজ পরোটার সাথে জেলি বানিয়ে খাবে।
আল্লাহ তুমি আমারে বাঁচাও
এই ডেভিলের হাত থেকে নয়তো দড়ি ফালাও আমি উপরে উঠে যায়।তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম।
ব্রেকফাস্ট না করার জন্য আম্মা পেছন থেকে চিল্লিয়েই যাচ্ছে।আমার আবার না খেয়ে থাকলে সমস্যা হয়।
,
অলরেডি ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ১৫ মিনিট আগে।
জল্লাদের বংশ টা লেকচার দিয়ে যাচ্ছে।আর সবাই মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছে।শুনছে বললে ভুল হবে সব লুচ্চি মাইয়্যাগুলো স্যারের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে।পারে তো মনে হয় স্যারকে গিলে খাবে।
.
.
.