08-01-2023, 07:05 PM
অভিযোগ
#পর্ব: ১
খালাতো বোনের ড্রেস চেই,ঞ্জ করার সময় তার রুমে নাকি উঁ,কি দিছিলাম। সেই অপ*রা*ধে আজ ৩ দিন ধরে একটা ঘরে ব*ন্দি আমি। আ,টকে রাখা হয়েছে৷
তিনদিনে কোনো খাবারও দেয়নি।
মেঘলা আমাদের বাসায়ই থাকে। তাই ব্যাপারটা পরিবারের মধ্যেই আছে। বাইরে ছড়ালে মেয়েটার ব*দ*নাম হতো। কিন্তু আমি এসব কিছুই করিনি।
মেঘলা আব্বুর কাছে বি*চার দিলো আর আব্বুও তার কথা বিশ্বাস করে নিলো। আমার কথা কেউ শুনলোই না, উল্টা আব্বু স্টি*লের লা*ঠি দিয়ে মা,রলো আমাকে৷ আম্মুও কিছু বললো না। তবে উনার চোখেও ঘৃ*ণা। মাও বিশ্বাস করে নিয়েছে আমি এই কাজটা করেছি।
ছাদের অন্ধকার ঘরটাতে
হা,ত বেঁ,ধে দরজায় তা,লা লাগিয়ে রাখা হইছে আমাকে।
তিনদিন ধরে না খেয়ে থাকায় শ,রীরটা ভেঙে পড়েছে। মাথা ব্য*থা আর গ্যা*স্টিক তো আছেই।
মেঘলার কথা মনে পড়তেই ল,জ্জা লাগতেছে। মেয়েটা সামান্য একটা ভু,লের জন্য এতবড় মি,থ্যে বললো আব্বুর কাছে।৷ আমি পা*গল হয়ে গেছি প্রায়, ড্রা*গ নেইনা তিনদিন হলো।
আপনারা ভাবছেন আমার আব্বু আম্মুই বা কেমন?
তারা এরকম ছিলেন না। কিন্তু তারাও বাধ্য হয়েছেন
এমন হতে। দুবছর আগে ইন্টার পরীক্ষায় ফে,ল করার পর থেকে তারা এমন হয়ে গেছেন। অবশ্য ফে,ল করার কারণ ছিলো। নুসরাত।
বুঝতেই তো পারছেন কেনো। সে চলে যাওয়ার পর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি আমি। এতোটাই আস,ক্ত ছিলাম যে তাকে ভুলতে আমার ড্রা*গ নেওয়ার প্রয়োজন হলো।
তারপর থেকে আব্বু আম্মু কেউ আমাকে আগের মতো ভালোবাসেনা। আর মেঘলার সাথে তো কখনোই পড়েনা আমার। কোনো একটা ভু,ল পেলেই সে আমাকে শা*স্তি দিয়েই যাবে। ছোট খাটো থেকে হলেও এবারের শা*স্তি*টা একটু বেশিই হয়ে গেছে।
আব্বু যখন আমাকে মা,রছিলো তখন তার দিকে তাকাইছিলাম।
তার মুখে স্পষ্ট হাসি দেখতে পেয়ে আমি আর তাকাইনি। চোখ নামিয়ে নিয়ে মার স,হ্য করেছি।
প্রত্যেকটা আ*ঘা*ত চোখ থেকে র*ক্ত কান্না বের করে এনেছে। বারবার বলেও কাজ হয়নি৷ আমি মা*দ*কা*স*ক্ত। করতেও পারি। আর মেঘলা ভুল বলবেনা। এটা তাদের ধারণা নয় বিশ্বাস। যেই সময়টায় আমার পরিবারের সা,পো,র্ট দরকার সেই সময়ই তারা আমাকে বন্ধ রুমে আ,টকে রেখেছে। দ,ম বন্ধ হয়ে আসছে সত্যি। তৃ,ষ্ণায় গলা শু,কিয়ে গেছে। একফোঁটা পানিও নেই ঘরে৷ অবশ্য বৃষ্টি হলে একটু পানি পাওয়া যেতো উপরে একটু ফুটা আছে ওখান দিয়ে পানি পড়ে।
আজ চতুর্থ দিন। কেউ একবার দেখতেও আসেনি আমাকে। বাড়ির কু*কু*রটা দুদিন না দেখলে তারও খোঁজ নেয়। আর আমিতো আ,স্ত একটা মানুষ!! যদিও তারা আর এখন আমাকে মানুষ ভাবেনা তাই হয়তো।
এই ভাবে কয়টা দিন কেটেছে জানি না। কারণ যখন আমার জ্ঞা,ন ফিরলো তখন দেখি আমি নিজের রুমে শুয়ে আছি। প্রচ,ন্ড ক্লা,ন্ত লাগছে। নিজের শরীরটাই আলগাতে পারছি না। শরীরের প্রতিটা অংশ ব্য,থায় জ*র্জ*রিত।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম মেঘলার আমার রুমে এলো। আমার চোখ খোলা দেখে মেঘলা ব্য,ঙ্গ করে হাসলো।
_কিরে বেঁ,চে আছিস? আমরা তো মনে করেছিলাম ম*রে গেছিস।
মেঘলার কথাটা শুনেই চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। এ বাড়ির মানুষজন আমায় এতটা ঘৃ*ণা করে!! কোন প*শু যদি অ,সুস্থ হয় তাকে ও তো ডাক্তার দেখানো হয়। আর আমাকে তারা? হয়ত তারা মৃ*ত্যুই কা,মনা করেছিল আমার।
আমি মেঘলাকে কোন মতে বললামঃ- অনেক ক্ষু,ধা পেয়েছে একটু খেতে দিবি??
::;;;;::::;:::: চলবে :::::::::::::::।
#পর্ব: ১
খালাতো বোনের ড্রেস চেই,ঞ্জ করার সময় তার রুমে নাকি উঁ,কি দিছিলাম। সেই অপ*রা*ধে আজ ৩ দিন ধরে একটা ঘরে ব*ন্দি আমি। আ,টকে রাখা হয়েছে৷
তিনদিনে কোনো খাবারও দেয়নি।
মেঘলা আমাদের বাসায়ই থাকে। তাই ব্যাপারটা পরিবারের মধ্যেই আছে। বাইরে ছড়ালে মেয়েটার ব*দ*নাম হতো। কিন্তু আমি এসব কিছুই করিনি।
মেঘলা আব্বুর কাছে বি*চার দিলো আর আব্বুও তার কথা বিশ্বাস করে নিলো। আমার কথা কেউ শুনলোই না, উল্টা আব্বু স্টি*লের লা*ঠি দিয়ে মা,রলো আমাকে৷ আম্মুও কিছু বললো না। তবে উনার চোখেও ঘৃ*ণা। মাও বিশ্বাস করে নিয়েছে আমি এই কাজটা করেছি।
ছাদের অন্ধকার ঘরটাতে
হা,ত বেঁ,ধে দরজায় তা,লা লাগিয়ে রাখা হইছে আমাকে।
তিনদিন ধরে না খেয়ে থাকায় শ,রীরটা ভেঙে পড়েছে। মাথা ব্য*থা আর গ্যা*স্টিক তো আছেই।
মেঘলার কথা মনে পড়তেই ল,জ্জা লাগতেছে। মেয়েটা সামান্য একটা ভু,লের জন্য এতবড় মি,থ্যে বললো আব্বুর কাছে।৷ আমি পা*গল হয়ে গেছি প্রায়, ড্রা*গ নেইনা তিনদিন হলো।
আপনারা ভাবছেন আমার আব্বু আম্মুই বা কেমন?
তারা এরকম ছিলেন না। কিন্তু তারাও বাধ্য হয়েছেন
এমন হতে। দুবছর আগে ইন্টার পরীক্ষায় ফে,ল করার পর থেকে তারা এমন হয়ে গেছেন। অবশ্য ফে,ল করার কারণ ছিলো। নুসরাত।
বুঝতেই তো পারছেন কেনো। সে চলে যাওয়ার পর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি আমি। এতোটাই আস,ক্ত ছিলাম যে তাকে ভুলতে আমার ড্রা*গ নেওয়ার প্রয়োজন হলো।
তারপর থেকে আব্বু আম্মু কেউ আমাকে আগের মতো ভালোবাসেনা। আর মেঘলার সাথে তো কখনোই পড়েনা আমার। কোনো একটা ভু,ল পেলেই সে আমাকে শা*স্তি দিয়েই যাবে। ছোট খাটো থেকে হলেও এবারের শা*স্তি*টা একটু বেশিই হয়ে গেছে।
আব্বু যখন আমাকে মা,রছিলো তখন তার দিকে তাকাইছিলাম।
তার মুখে স্পষ্ট হাসি দেখতে পেয়ে আমি আর তাকাইনি। চোখ নামিয়ে নিয়ে মার স,হ্য করেছি।
প্রত্যেকটা আ*ঘা*ত চোখ থেকে র*ক্ত কান্না বের করে এনেছে। বারবার বলেও কাজ হয়নি৷ আমি মা*দ*কা*স*ক্ত। করতেও পারি। আর মেঘলা ভুল বলবেনা। এটা তাদের ধারণা নয় বিশ্বাস। যেই সময়টায় আমার পরিবারের সা,পো,র্ট দরকার সেই সময়ই তারা আমাকে বন্ধ রুমে আ,টকে রেখেছে। দ,ম বন্ধ হয়ে আসছে সত্যি। তৃ,ষ্ণায় গলা শু,কিয়ে গেছে। একফোঁটা পানিও নেই ঘরে৷ অবশ্য বৃষ্টি হলে একটু পানি পাওয়া যেতো উপরে একটু ফুটা আছে ওখান দিয়ে পানি পড়ে।
আজ চতুর্থ দিন। কেউ একবার দেখতেও আসেনি আমাকে। বাড়ির কু*কু*রটা দুদিন না দেখলে তারও খোঁজ নেয়। আর আমিতো আ,স্ত একটা মানুষ!! যদিও তারা আর এখন আমাকে মানুষ ভাবেনা তাই হয়তো।
এই ভাবে কয়টা দিন কেটেছে জানি না। কারণ যখন আমার জ্ঞা,ন ফিরলো তখন দেখি আমি নিজের রুমে শুয়ে আছি। প্রচ,ন্ড ক্লা,ন্ত লাগছে। নিজের শরীরটাই আলগাতে পারছি না। শরীরের প্রতিটা অংশ ব্য,থায় জ*র্জ*রিত।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম মেঘলার আমার রুমে এলো। আমার চোখ খোলা দেখে মেঘলা ব্য,ঙ্গ করে হাসলো।
_কিরে বেঁ,চে আছিস? আমরা তো মনে করেছিলাম ম*রে গেছিস।
মেঘলার কথাটা শুনেই চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। এ বাড়ির মানুষজন আমায় এতটা ঘৃ*ণা করে!! কোন প*শু যদি অ,সুস্থ হয় তাকে ও তো ডাক্তার দেখানো হয়। আর আমাকে তারা? হয়ত তারা মৃ*ত্যুই কা,মনা করেছিল আমার।
আমি মেঘলাকে কোন মতে বললামঃ- অনেক ক্ষু,ধা পেয়েছে একটু খেতে দিবি??
::;;;;::::;:::: চলবে :::::::::::::::।