06-01-2023, 12:46 PM
শিলাবতী
TamalGhosh
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে বালক সত্যজিৎ রায়কে তার মা সুপ্রভা দেবী একবার নিয়ে গিয়েছিলেন । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ পরম স্নেহের সাথে পিতৃহারা-বালক সত্যজিৎকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে, তার কুশল শুধালেন । তখন বালক সত্যজিৎ কবিগুরুর সান্নিধ্যে এসে, তার খোলা ডায়রিতে কবিকে দুই-চার ছত্র কবিতার কলি লিখে দিতে বারবার অনুরোধ করে । বিশ্বকবি সত্যজিতের হাত থেকে তার ডায়রিটা পরম মমতা ভরে নিয়ে, আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে লেখনীমুখে সৃষ্টি করলেন :
আমাদের ঘরের অঙ্গনে, মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে যে অনাবিল সৌন্দর্য রয়েছে, তার অপরূপ রূপ-ঐশ্বর্য আস্বাদনের কথা বিশ্বকবি বালক সত্যজিৎকে বলেছিলেন । ভবিষ্যতে কবির এই মহত্তম বাণীর কি সুফল ফলেছিল তা আমরা সকলেই জানি । পথের পাঁচালি থেকে মহাপথিক সত্যজিতের জয়যাত্রার শুভারম্ভ, আগন্তুকে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছানো – এক স্বর্ণোজ্জ্বল, বর্ণময় ইতিহাস ।
TamalGhosh
ভূমিকা ১
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে বালক সত্যজিৎ রায়কে তার মা সুপ্রভা দেবী একবার নিয়ে গিয়েছিলেন । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ পরম স্নেহের সাথে পিতৃহারা-বালক সত্যজিৎকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে, তার কুশল শুধালেন । তখন বালক সত্যজিৎ কবিগুরুর সান্নিধ্যে এসে, তার খোলা ডায়রিতে কবিকে দুই-চার ছত্র কবিতার কলি লিখে দিতে বারবার অনুরোধ করে । বিশ্বকবি সত্যজিতের হাত থেকে তার ডায়রিটা পরম মমতা ভরে নিয়ে, আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে লেখনীমুখে সৃষ্টি করলেন :
“বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু ।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু ।।”
আমাদের ঘরের অঙ্গনে, মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে যে অনাবিল সৌন্দর্য রয়েছে, তার অপরূপ রূপ-ঐশ্বর্য আস্বাদনের কথা বিশ্বকবি বালক সত্যজিৎকে বলেছিলেন । ভবিষ্যতে কবির এই মহত্তম বাণীর কি সুফল ফলেছিল তা আমরা সকলেই জানি । পথের পাঁচালি থেকে মহাপথিক সত্যজিতের জয়যাত্রার শুভারম্ভ, আগন্তুকে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছানো – এক স্বর্ণোজ্জ্বল, বর্ণময় ইতিহাস ।