04-01-2023, 03:14 PM
পরদিন সকালে ওস্তাদ জেলে পাঁচীর বাড়িতে আসে। পাঁচী আর বাবুল ওস্তাদ জেলেরর সাথে মিটিংয়ে বসে।
পাঁচী- ‘ওস্তাদ আপনি মাদক স্মাগলিংয়ের সমস্ত ঘটনা খুলে বলুন। কিভাবে কি হয়?
ওস্তাদ- ‘গভীর সাগরে যাওয়ার পর বার্মিজ ট্রলার থেকে আমাদের ট্রলারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। যে মাঝিরা ক্ষ্যাপ দিতে মানে মাল আনতে রাজি হয় তাদেরকে মাল তুলে দেয়া হয়। বার্মিজ পার্টির মাল হলে ২০% কমিশন, মাল সাধারণত হয় হিরোইন অথবা ইয়াবা বড়ি। যে মাঝি ক্ষ্যাপ দিতে রাজি হয় ওরা তার ছবি তুলে রাখে। মোবাইল নম্বর নেয় আর কবে ঘাটে ভিড়বে তা জেনে নেয়। ট্রলার ঘাটে ভেড়ার পর সাধারণত ঐদিনই মহেশখালীতে কেউ একজন মাঝির সাথে যোগাযোগ করে, নিদৃষ্ট কিছু কথা বললে (পাসকোড) তখন তাকে মাঝি মাল বুঝাই দেয়। ঐ লোক মাঝিকে নগদ কমিশন দিয়া দেয়। আর এই কমিশনের ১% মাঝি পাবে। বাদ বাকি সব মহাজনের। মাঝির ১% থেকে আবার ট্রলারের অন্য সব জেলেরা ২০০০ টাকা করে পাবে, বাকিটা ওস্তাদ মাঝির।
পাঁচী- ‘পুলিশ বা অন্য কেউ ঝামেলা করেনা’?
ওস্তাদ- ‘সাগরে তো আর পুলিশ নাই, সাগরে থাকে কোস্টগার্ড, তারা ধরতে পারলে ঝামেলা আছে, মাল নিয়া যায়, গ্রেফতার করে। আর ধরা না পইরা মহেশখালী আসতে পারলে পুলিশে কিছু কয়না কারণ পুলিশেও কমিশন খায়’।
বাবুল- ‘কোস্ট গার্ড কমিশন খায় না’?
ওস্তাদ- ‘কোস্ট গার্ডের সব অফিসার কমিশন খায়না, মাঝে মাঝে ২/১ অফিসার ঘুষ খেয়ে মাঝিদের ছেড়ে দেয় তবে মাল কেউ ফেরত দেয়না। ধরা পরলে মাল সবাই নিয়ে যায়’।
পাঁচী- ‘আপনি কতবার এই ক্ষ্যাপ দিয়েছেন’?
ওস্তাদ- ‘আমি জীবনেও এই ক্ষ্যাপ দেই নাই, আর কোনোদিন দেবও না। কয়টা টাকাই বা পাওয়া যায়? তার জন্য আজীবন মানুষের কথা শুনতে হবে, আর এখন নাকি সরকার আইন করছে স্মাগলিং করতে গিয়া ধরা পরলে মৃত্যুদণ্ড’।
পাঁচী- ‘কি পরিমান মাঝিরা স্মাগলিং করে’?
ওস্থাদ- ‘তিনশ সোয়া তিনশ ট্রলারের ভিতর মাত্র ৩০-৪০ জন’।
পাঁচী- ‘এদের সবাই কি বড়লোক’?
ওস্তাদ- ‘মজার ব্যাপার হল এদের অবস্থা অন্যদের চাইতে খারাপ। এদের বিপদ আপদ লেগেই থাকে। এই পুলিশে ধরে, এই ডিবিতে ধরে, এই কোস্টগার্ডে ধরে আর ধরা পরতে না চাইলে এদেরকে টাকা দেও’।
পাঁচী- ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এই ব্যাবসা করবনা। আমার ট্রলার, আমার ইঞ্জিন দিয়ে আমার দেশে মাদক ঢুকানো হবে তা আমি মানব না’। পাঁচীর কথা শুনে বাবুল অবাক হয়ে যায়। সে পাঁচীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
পাঁচী- ‘ওস্তাদ আপনি মাদক স্মাগলিংয়ের সমস্ত ঘটনা খুলে বলুন। কিভাবে কি হয়?
ওস্তাদ- ‘গভীর সাগরে যাওয়ার পর বার্মিজ ট্রলার থেকে আমাদের ট্রলারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। যে মাঝিরা ক্ষ্যাপ দিতে মানে মাল আনতে রাজি হয় তাদেরকে মাল তুলে দেয়া হয়। বার্মিজ পার্টির মাল হলে ২০% কমিশন, মাল সাধারণত হয় হিরোইন অথবা ইয়াবা বড়ি। যে মাঝি ক্ষ্যাপ দিতে রাজি হয় ওরা তার ছবি তুলে রাখে। মোবাইল নম্বর নেয় আর কবে ঘাটে ভিড়বে তা জেনে নেয়। ট্রলার ঘাটে ভেড়ার পর সাধারণত ঐদিনই মহেশখালীতে কেউ একজন মাঝির সাথে যোগাযোগ করে, নিদৃষ্ট কিছু কথা বললে (পাসকোড) তখন তাকে মাঝি মাল বুঝাই দেয়। ঐ লোক মাঝিকে নগদ কমিশন দিয়া দেয়। আর এই কমিশনের ১% মাঝি পাবে। বাদ বাকি সব মহাজনের। মাঝির ১% থেকে আবার ট্রলারের অন্য সব জেলেরা ২০০০ টাকা করে পাবে, বাকিটা ওস্তাদ মাঝির।
পাঁচী- ‘পুলিশ বা অন্য কেউ ঝামেলা করেনা’?
ওস্তাদ- ‘সাগরে তো আর পুলিশ নাই, সাগরে থাকে কোস্টগার্ড, তারা ধরতে পারলে ঝামেলা আছে, মাল নিয়া যায়, গ্রেফতার করে। আর ধরা না পইরা মহেশখালী আসতে পারলে পুলিশে কিছু কয়না কারণ পুলিশেও কমিশন খায়’।
বাবুল- ‘কোস্ট গার্ড কমিশন খায় না’?
ওস্তাদ- ‘কোস্ট গার্ডের সব অফিসার কমিশন খায়না, মাঝে মাঝে ২/১ অফিসার ঘুষ খেয়ে মাঝিদের ছেড়ে দেয় তবে মাল কেউ ফেরত দেয়না। ধরা পরলে মাল সবাই নিয়ে যায়’।
পাঁচী- ‘আপনি কতবার এই ক্ষ্যাপ দিয়েছেন’?
ওস্তাদ- ‘আমি জীবনেও এই ক্ষ্যাপ দেই নাই, আর কোনোদিন দেবও না। কয়টা টাকাই বা পাওয়া যায়? তার জন্য আজীবন মানুষের কথা শুনতে হবে, আর এখন নাকি সরকার আইন করছে স্মাগলিং করতে গিয়া ধরা পরলে মৃত্যুদণ্ড’।
পাঁচী- ‘কি পরিমান মাঝিরা স্মাগলিং করে’?
ওস্থাদ- ‘তিনশ সোয়া তিনশ ট্রলারের ভিতর মাত্র ৩০-৪০ জন’।
পাঁচী- ‘এদের সবাই কি বড়লোক’?
ওস্তাদ- ‘মজার ব্যাপার হল এদের অবস্থা অন্যদের চাইতে খারাপ। এদের বিপদ আপদ লেগেই থাকে। এই পুলিশে ধরে, এই ডিবিতে ধরে, এই কোস্টগার্ডে ধরে আর ধরা পরতে না চাইলে এদেরকে টাকা দেও’।
পাঁচী- ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এই ব্যাবসা করবনা। আমার ট্রলার, আমার ইঞ্জিন দিয়ে আমার দেশে মাদক ঢুকানো হবে তা আমি মানব না’। পাঁচীর কথা শুনে বাবুল অবাক হয়ে যায়। সে পাঁচীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।