31-12-2022, 03:11 PM
এরপর তারা গেল খাওয়ার ঘরের দিকে । সেখানে In charge মহারাজের সাথে লীনার পরিচয় হ’ল । মহারাজ তাদেরকে স্যান্ডউইচ আর চা খাওয়ালেন । তারা যখন হাত ধুচ্ছিল তখন শুনল শঙ্খের আওয়াজ । অনুপম বলল, “ঠাকুরের আরতির সময় হয়ে গেছে । চল মন্দিরে বসি । আরতি দেখে যাব ।”
মন্দিরে ঢুকে লীনা অবাক । কি সুন্দর পরিবেশ । একপাশে মহিলারা আর এক পাশে পুরুষ ভক্তরা শৃঙ্খলিত, শান্ত ভাবে বসে আছেন । কোন আওয়াজ নেই । সবার দৃষ্টি সামনের দিকে । লীনা তাকাল সামনের দিকে । সেখানে, গর্ভমন্দিরে, ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি । কি সুন্দর মূর্তি । শান্ত, কোমল দৃষ্টি । যেন সকলকে কাছে ডাকছে । মূর্তিটি একটি বেদির ওপর বসানো । বেদিতে একটি পদ্মফুল খোদাই করা । যেন ঠাকুর পদ্মফুলের ওপর বসে আছেন । সুন্দর করে কাপড় পড়ানো । গলায় রজনীগন্ধার মালা । তাঁর বাঁদিকে মা সারদাদেবির ছবি বসানো । মাকেও সুন্দর করে কাপড় পরানো । মায়ের গলায় সোনার হার । আর ঠাকুরের ডানদিকে স্বামীজির ছবি । স্বামীজিকে গেরুয়া রঙের কাপড় পরিয়েছে ।
তারা জায়গা করে বসল । শুরু হল “খণ্ডন-ভব-বন্ধন” গান । লীনা দেখল ঠাকুরের সামনে আসনে যে সন্ন্যাসী বসেছিলেন তিনি উঠে আরতি শুরু করেছেন । একে একে প্রদীপ, শঙ্খ, বস্ত্র, পুষ্প আর চামর দিয়ে আরতি হল । এরপর “ওঁ হ্রীঁ ঋতং” আর “সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে” গানের পর ঠাকুর-মা-স্বামীজির জয় দিয়ে শেষ হ’ল । (এসব কিছু সেদিন লীনা বোঝেনি । পড়ে জেনেছিল । প্রথমদিন সে শুধু সবকিছু মুগ্ধ হয়ে দেখেছিল ।) এরপর সকলে প্রণাম করে ধীরে ধীরে বাইরে বেরতে থাকল । আবার কেউ কেউ বসে রইল । তারা দুজনে বাইরে বেড়িয়ে এল । অনুপম তাকে নিয়ে গেল Book Stall –এ । সেখানে লীনা অনুপমের কাছ থেকে তিনটি বই উপহার পেল । এরপর তারা ফিরে গেল ।
মন্দিরে ঢুকে লীনা অবাক । কি সুন্দর পরিবেশ । একপাশে মহিলারা আর এক পাশে পুরুষ ভক্তরা শৃঙ্খলিত, শান্ত ভাবে বসে আছেন । কোন আওয়াজ নেই । সবার দৃষ্টি সামনের দিকে । লীনা তাকাল সামনের দিকে । সেখানে, গর্ভমন্দিরে, ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি । কি সুন্দর মূর্তি । শান্ত, কোমল দৃষ্টি । যেন সকলকে কাছে ডাকছে । মূর্তিটি একটি বেদির ওপর বসানো । বেদিতে একটি পদ্মফুল খোদাই করা । যেন ঠাকুর পদ্মফুলের ওপর বসে আছেন । সুন্দর করে কাপড় পড়ানো । গলায় রজনীগন্ধার মালা । তাঁর বাঁদিকে মা সারদাদেবির ছবি বসানো । মাকেও সুন্দর করে কাপড় পরানো । মায়ের গলায় সোনার হার । আর ঠাকুরের ডানদিকে স্বামীজির ছবি । স্বামীজিকে গেরুয়া রঙের কাপড় পরিয়েছে ।
তারা জায়গা করে বসল । শুরু হল “খণ্ডন-ভব-বন্ধন” গান । লীনা দেখল ঠাকুরের সামনে আসনে যে সন্ন্যাসী বসেছিলেন তিনি উঠে আরতি শুরু করেছেন । একে একে প্রদীপ, শঙ্খ, বস্ত্র, পুষ্প আর চামর দিয়ে আরতি হল । এরপর “ওঁ হ্রীঁ ঋতং” আর “সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে” গানের পর ঠাকুর-মা-স্বামীজির জয় দিয়ে শেষ হ’ল । (এসব কিছু সেদিন লীনা বোঝেনি । পড়ে জেনেছিল । প্রথমদিন সে শুধু সবকিছু মুগ্ধ হয়ে দেখেছিল ।) এরপর সকলে প্রণাম করে ধীরে ধীরে বাইরে বেরতে থাকল । আবার কেউ কেউ বসে রইল । তারা দুজনে বাইরে বেড়িয়ে এল । অনুপম তাকে নিয়ে গেল Book Stall –এ । সেখানে লীনা অনুপমের কাছ থেকে তিনটি বই উপহার পেল । এরপর তারা ফিরে গেল ।