31-12-2022, 01:50 PM
রবিবার ছুটির দিন । ছুটির দিনে অনুপম সাধারণতঃ কোথাও যায় না । বাড়ীতেই কাটায় । বিশেষ দরকার থাকলে তবেই বাইরে বের হয় । আসলে সারা সপ্তাহ অফিসের কাজে এত ব্যস্ত থাকতে হয় । দিনের বেশির ভাগ সময়ই অফিসে কাটে । তখন বাড়িটা যেন শুধুমাত্র শোবার যায়গায় পরিণত হয় । তাই রবিবার বাবা-মার সাথেই সারাদিন কাটায় । বিকালে সবাই মিলে বের হয় । বিকেল, সন্ধ্যা কাটিয়ে রাত্রে বাইরে খেয়ে তারপর তারা বাড়ি ফেরে । সে দিন রাত্রে বাড়িতে নো রান্না-বান্না ।
এক রবিবার দুপুরে বাবা-মার সাথে সে খাচ্ছে । খাওয়া শুরু হবার কিছুক্ষন পর মা তাকে বলল – “ একটা সম্বন্ধ এসেছে । মেয়েটি শিক্ষিতা, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে । ওরা দিল্লীতেই থাকে ।” অনুপম খাওয়া থামিয়ে বলল, “ আবার ওসব কেন ? তোমাদের তো বলেই দিয়েছি আমার ফাইনাল ডিসিশন ।” মা বলল, “ সে তো জানি । তাই এতদিন কিছু বলিনি । ওদেরকেও জানিয়ে দিয়েছিলাম । কিন্তু ওরা এত করে বলছে, তাই তোকে একবার শোনালাম ।” কিছুক্ষন থেমে আবার বলল, “ওদের সাথে কথা বলে তোর বাবার আর আমার খুব ভালো লেগেছে ।” অনুপমের বাবা বলল, “ হ্যাঁ ওরা সত্যই ভদ্দলোক । আর মেয়েটিও বেশ মিষ্টি । আমার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে ।”
অনুপম – “বাঃ, এর মধ্যে মেয়ে দেখা ইত্যাদি সব হয়ে গেছে । আর বাকি কি আছে ?”
মা – “মেয়েটি সত্যই খুব ভালো রে । তোকে খুব শ্রদ্ধা করে । তোর বাবার কাছ থেকে তোর ছোটবেলার অনেক কথা আগ্রহ নিয়ে জেনেছে ।”
অনুপম অবাক হয়ে – “আমার কথা ? আমাকে কি করে চিনল ?”
মা – “তোর অফিসে কাজ করে ।”
অনুপমের বুকটা কেঁপে উঠল মুখে বলল – “আমার অফিসে ? কি নাম ?”
মা – “লীনা, দেবলীনা রায় ।”
অনুপম কিছুক্ষন চুপচাপ বসে রইল তারপর আস্তে আস্তে উঠে গেল । তার চোখের সামনে হরিণীর সেই ডাগর ডাগর চোখ দুটি ভেসে বেড়াতে লাগল । তার বুকের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করল । সে বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে । আগে তো কোনদিন এরকম হয়নি ? অনেক মেয়ের সাথেই তো আলাপ হয়েছে বা অনেকের সাথেই কাজ করেছে । তার অফিসে আরো অনেক মেয়েই তো আছে যাদের সাথে সে অনেক দিন ধরে কাজ করছে । এ মেয়েটির কথা কেন যে বার বার মনে আসে ? রাত্রে শোবার সময় চোখ বুজলে ঐ হরিণীর চোখ দুটো কেন যে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে । তাকে একটু শক্ত হতেই হবে । মনটা আজকাল বড় বেয়ারা হয়ে উঠেছে । মনটাকে শাসন করতে হবে । হে মন তুই ওসব দিকে যাস না ।
এক রবিবার দুপুরে বাবা-মার সাথে সে খাচ্ছে । খাওয়া শুরু হবার কিছুক্ষন পর মা তাকে বলল – “ একটা সম্বন্ধ এসেছে । মেয়েটি শিক্ষিতা, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে । ওরা দিল্লীতেই থাকে ।” অনুপম খাওয়া থামিয়ে বলল, “ আবার ওসব কেন ? তোমাদের তো বলেই দিয়েছি আমার ফাইনাল ডিসিশন ।” মা বলল, “ সে তো জানি । তাই এতদিন কিছু বলিনি । ওদেরকেও জানিয়ে দিয়েছিলাম । কিন্তু ওরা এত করে বলছে, তাই তোকে একবার শোনালাম ।” কিছুক্ষন থেমে আবার বলল, “ওদের সাথে কথা বলে তোর বাবার আর আমার খুব ভালো লেগেছে ।” অনুপমের বাবা বলল, “ হ্যাঁ ওরা সত্যই ভদ্দলোক । আর মেয়েটিও বেশ মিষ্টি । আমার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে ।”
অনুপম – “বাঃ, এর মধ্যে মেয়ে দেখা ইত্যাদি সব হয়ে গেছে । আর বাকি কি আছে ?”
মা – “মেয়েটি সত্যই খুব ভালো রে । তোকে খুব শ্রদ্ধা করে । তোর বাবার কাছ থেকে তোর ছোটবেলার অনেক কথা আগ্রহ নিয়ে জেনেছে ।”
অনুপম অবাক হয়ে – “আমার কথা ? আমাকে কি করে চিনল ?”
মা – “তোর অফিসে কাজ করে ।”
অনুপমের বুকটা কেঁপে উঠল মুখে বলল – “আমার অফিসে ? কি নাম ?”
মা – “লীনা, দেবলীনা রায় ।”
অনুপম কিছুক্ষন চুপচাপ বসে রইল তারপর আস্তে আস্তে উঠে গেল । তার চোখের সামনে হরিণীর সেই ডাগর ডাগর চোখ দুটি ভেসে বেড়াতে লাগল । তার বুকের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করল । সে বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে । আগে তো কোনদিন এরকম হয়নি ? অনেক মেয়ের সাথেই তো আলাপ হয়েছে বা অনেকের সাথেই কাজ করেছে । তার অফিসে আরো অনেক মেয়েই তো আছে যাদের সাথে সে অনেক দিন ধরে কাজ করছে । এ মেয়েটির কথা কেন যে বার বার মনে আসে ? রাত্রে শোবার সময় চোখ বুজলে ঐ হরিণীর চোখ দুটো কেন যে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে । তাকে একটু শক্ত হতেই হবে । মনটা আজকাল বড় বেয়ারা হয়ে উঠেছে । মনটাকে শাসন করতে হবে । হে মন তুই ওসব দিকে যাস না ।