30-12-2022, 10:53 PM
বাবুল থানা থেকে অনেক রাত্র করে বাড়িতে ফিরে। সে বাড়িতে ফিরে এসে পাঁচীকে বলে ‘ভিখুর আশা আজীবনের মত শেষ, যে লোকের নামে ১২ টি খুনের মামলাসহ ৫৬টি মামলা আছে, সে অন্তত এই জীবনে কোনোদিন ছাড়া পাবেনা! মা, আমি জানতাম ভিখু ডাকাত কিন্তু উনি যে এত বড় ডাকাত তা আমি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারিনাই’।
পাঁচী তেমন কোনো মন্তব্য করলনা, অনেকটা চুপচাপ থাকল। বাবুল বিষয়টি খেয়াল করে পাঁচীকে বলে ‘মা, আপনি কি খুব টেনশন করতেছেন? এমন চুপচাপ কেন?’
পাঁচী-‘না বাবা ভিখু হারামজাদার জন্য আমি কোনো টেনশন করিনা, ও ছিল একটা আস্ত শয়তান, আমি টেনশন করতেছি আমাদের এই ব্যাবসা এখন থেকে তোকেই দেখা শুনা করতে হবে। তোর উপর আবার কোনো হামলা না হয়’।
পাঁচীর মুখে এই মুহুর্তে ব্যাবসার কথা শুনে বাবুল অবাক হয়ে গেল। এবং মনে মনে বুঝল ভিখুর সাথে পাঁচীর নিশ্চই কোনো ঝামেলা ছিল। তা নাহলে পাঁচী ভিখুর মামলার ব্যাপারে উকিল-কোর্টের কথা জিজ্ঞাসা না করে ব্যাবসার কথা বলতনা!
বাবুল মুখে বলল- ‘না মা, মহেশখালীতে আমরাই এখন একমাত্র মহাজন, বড় ব্যাবসায়ী। আর কোনো মহাজন নাই, তাই আমি আশা করছি আমার উপর কোনো হামলা হবেনা। আপনি আমাকে আশীর্বাদ করবেন, আমি এখন থেকে এই ব্যাবসা সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে করব। এতে করে আমাদের ব্যাবসা আগের চাইতে অনেক ভালো হবে।
পাঁচী- ‘হ্যাঁ বাবা, তুমি শিক্ষিত ছেলে, ব্যাবসা আমার চাইতে ভালো বুঝবা। ব্যাবসা তুমিই দেখবা। তবে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাকে জানাবা। আর হ্যাঁ বাবা, ব্যায়ামের মেশিন কিনতে চাইছিলা, কিনবা না’?
বাবুল- ‘হ্যাঁ মা, এক সপ্তার ভিতর কক্সবাজার গিয়া ব্যায়ামের মেশিন কিনা আনব। মেশিন কিনা আনলে আপনি আমার কথমত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম সব করবেন। আর মা, আপনাকে আরেকটা কথা বলব তা হলো আপনি যেহেতু ক্লাশ ৮ পাস, তাই এখন থেকে অযথা সময় না কাটিয়ে আমি যে বইগুলার কথা বলব তা পড়বেন, দেখবেন আপনার সময় ভালো কাটবে, এবং সব বিষয়ে আপনার জ্ঞান বাড়বে। এছাড়া আপনি এখন থেকে আস্তে আস্তে কম্পিইউটার চালানো শিখবেন, যখন না পারবেন আমি তো আছিই’।
পাঁচী- ‘ভালো কথা বলছ বাবা, গল্পের বই পড়তে আমার ভালোই লাগে, তা কি বই পড়ব হুমায়ূন আহমেদ?’
বাবুল- ‘আপনি হুমায়ুন আহমেদ পড়তে চাইলে আমি না করবনা, তবে আপনি যখন ভবিষ্যতে বিশ্বসাহিত্য ভালো ভাবে পড়বেন এবং বুঝবেন তখন আপনি নিজেই বুঝবেন যে, “হুমায়ূন আহমেদের বই পড়া মানে সময় নষ্ট করা” আপনি আস্তে আস্তে সব বই পড়বেন, তবে শুরু করবেন রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প দিয়ে, তারপর উপন্যস, কবিতা এরপর সময়ের সাথে সাথে আমি বলব কি পড়তে হবে আর কি পড়তে হবেনা। এখন থেকে আমি যেহেতু ব্যাবসা দেখাশুনা করব আপনি হাতে অফুরুন্ত সময় পাবেন, কিন্তু আপনি আমার রুটিন অনুযায়ী আপনার দিন চালাবেন। আমার রুটিনের বাইরে আপনি উল্টা-পাল্টা কিছু করবেন না’।
পাঁচী- ‘ঠিক আছে বাবা, এখন থেকে তুমি যা বলবা, আমি তাই শুনব, এখন ঘুমাতে যাও রাত্র ১.৩০ বাজে’।
পাঁচী তেমন কোনো মন্তব্য করলনা, অনেকটা চুপচাপ থাকল। বাবুল বিষয়টি খেয়াল করে পাঁচীকে বলে ‘মা, আপনি কি খুব টেনশন করতেছেন? এমন চুপচাপ কেন?’
পাঁচী-‘না বাবা ভিখু হারামজাদার জন্য আমি কোনো টেনশন করিনা, ও ছিল একটা আস্ত শয়তান, আমি টেনশন করতেছি আমাদের এই ব্যাবসা এখন থেকে তোকেই দেখা শুনা করতে হবে। তোর উপর আবার কোনো হামলা না হয়’।
পাঁচীর মুখে এই মুহুর্তে ব্যাবসার কথা শুনে বাবুল অবাক হয়ে গেল। এবং মনে মনে বুঝল ভিখুর সাথে পাঁচীর নিশ্চই কোনো ঝামেলা ছিল। তা নাহলে পাঁচী ভিখুর মামলার ব্যাপারে উকিল-কোর্টের কথা জিজ্ঞাসা না করে ব্যাবসার কথা বলতনা!
বাবুল মুখে বলল- ‘না মা, মহেশখালীতে আমরাই এখন একমাত্র মহাজন, বড় ব্যাবসায়ী। আর কোনো মহাজন নাই, তাই আমি আশা করছি আমার উপর কোনো হামলা হবেনা। আপনি আমাকে আশীর্বাদ করবেন, আমি এখন থেকে এই ব্যাবসা সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে করব। এতে করে আমাদের ব্যাবসা আগের চাইতে অনেক ভালো হবে।
পাঁচী- ‘হ্যাঁ বাবা, তুমি শিক্ষিত ছেলে, ব্যাবসা আমার চাইতে ভালো বুঝবা। ব্যাবসা তুমিই দেখবা। তবে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাকে জানাবা। আর হ্যাঁ বাবা, ব্যায়ামের মেশিন কিনতে চাইছিলা, কিনবা না’?
বাবুল- ‘হ্যাঁ মা, এক সপ্তার ভিতর কক্সবাজার গিয়া ব্যায়ামের মেশিন কিনা আনব। মেশিন কিনা আনলে আপনি আমার কথমত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম সব করবেন। আর মা, আপনাকে আরেকটা কথা বলব তা হলো আপনি যেহেতু ক্লাশ ৮ পাস, তাই এখন থেকে অযথা সময় না কাটিয়ে আমি যে বইগুলার কথা বলব তা পড়বেন, দেখবেন আপনার সময় ভালো কাটবে, এবং সব বিষয়ে আপনার জ্ঞান বাড়বে। এছাড়া আপনি এখন থেকে আস্তে আস্তে কম্পিইউটার চালানো শিখবেন, যখন না পারবেন আমি তো আছিই’।
পাঁচী- ‘ভালো কথা বলছ বাবা, গল্পের বই পড়তে আমার ভালোই লাগে, তা কি বই পড়ব হুমায়ূন আহমেদ?’
বাবুল- ‘আপনি হুমায়ুন আহমেদ পড়তে চাইলে আমি না করবনা, তবে আপনি যখন ভবিষ্যতে বিশ্বসাহিত্য ভালো ভাবে পড়বেন এবং বুঝবেন তখন আপনি নিজেই বুঝবেন যে, “হুমায়ূন আহমেদের বই পড়া মানে সময় নষ্ট করা” আপনি আস্তে আস্তে সব বই পড়বেন, তবে শুরু করবেন রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প দিয়ে, তারপর উপন্যস, কবিতা এরপর সময়ের সাথে সাথে আমি বলব কি পড়তে হবে আর কি পড়তে হবেনা। এখন থেকে আমি যেহেতু ব্যাবসা দেখাশুনা করব আপনি হাতে অফুরুন্ত সময় পাবেন, কিন্তু আপনি আমার রুটিন অনুযায়ী আপনার দিন চালাবেন। আমার রুটিনের বাইরে আপনি উল্টা-পাল্টা কিছু করবেন না’।
পাঁচী- ‘ঠিক আছে বাবা, এখন থেকে তুমি যা বলবা, আমি তাই শুনব, এখন ঘুমাতে যাও রাত্র ১.৩০ বাজে’।