29-12-2022, 04:07 PM
পরদিন বাবুল যে ট্রলারে সমুদ্রে গিয়েছিল সেই ট্রলারের ১২ জন জেলে, মাঝী ২২ কেজি ওজনের এক ভেটকি মাছ (কোরাল মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Lates Calcarifier) নিয়ে ভিখুর বাড়িতে আসল। বাবুল তাদের সবাইকে আপনি এবং ওস্তাদ জেলেকে ওস্তাদ বলেই সন্মোধন করল। জেলেদের আনা মাছ দেখে পাঁচী ভীষণ খুশি হল। বাবুল জেলেদের জিজ্ঞাসা করল ‘এই মাছ কোথায় পেলেন? এই মাছ তো জালে ধরা পরেনাই’। জেলেরা বলল ‘সরকার, ২২ দিন সাগরে থাকলেও আপনি মাছ চিনিলেন না! দেখতেছেন না এই মাছ একেবারে তাজা! আজকে সকালে চ্যানেলের মুখে ধরা পরেছে। আমরা কিনা আনছি’। পাঁচী জেলেদের মাছ কিনে আনার জন্য তিরষ্কার করল এবং মাছের দাম কত টাকা তা জানতে চাইল।
জেলেরা পাঁচীকে বলে ‘তারা আজ মহাজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসেছে। খালি হাতে দাওয়াত খেতে যাওয়া জেলে পাড়ার নিয়মে নাই। আর মাছের দাম আমরা বলবনা, কেননা এই মাছের এতই দাম যে তা শুনে আপনি আমাদের আরেকবার গালাগালি করবেন’। এই কথা শুনে পাঁচী এবং বাবুল কিছুক্ষণ মন খুলে হাসে।
হরেক আইটেম দিয়ে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া শেষে পাঁচী সবার হাতে একটি করে ইনভেলপ ধরিয়ে দেয়। বয়সে সবার ছোট যে জেলে নাম তার কিছলু, সে পাঁচীকে জিজ্ঞাসা করে ‘আপনি বখশিশ দিতে চাইছিলেন, বখশিশ দিবেন না?’ এই কথা শুনে সবাই আবার হেসে উঠে। তখন পাঁচী বলে ‘তোমার হাতে যে খাম দিলাম ঐ খামের ভিতর পাঁচ হাজার টাকা আছে’। তখন কিছলু আবার জিজ্ঞাসা করে ‘টাকা খামে দিছেন ক্যান?’
পাঁচী- ‘টাকা খামে ভরে দেয়া ভদ্রতা। আমি নিজেও জানতাম না, আমার বাবায় আমারে শিখাইছে’ এই বলে পাঁচী বাবুলের দিকে তাকায়।
ওস্তাদ জেলে তখন বাবুলকে বলে ‘বাবা তোমার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখমু। সমুদ্রের ২২ দিনে তুমি সব জেলেরে আপনি বলছ, কাউরে তুমি বা তুই বল নাই আর আমারে ওস্তাদ বাদে অন্য কিছু ডাক নাই। আইজও তুমি তোমার বাড়িতে আমরা আসার পরেও জাইলা গো আপনি আর আমারে ওস্তাদ ডাকতেছ!’ এই বলে ওস্তাদ জেলে কেদে দেয়।
বাবুল- ‘সমুদ্র আর বাসা বলে কথা না, আপনি আমার সারা জীবনের ওস্তাদ, যতদিন বাইচা থাকব আমি আপনারে ওস্তাদ বইলাই ডাকব। আপনি আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন আমি যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারি’। এই বলে বাবুল ওস্তাদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে যায়।
ওস্তাদ তখন বাবুলকে পা ধরতে না দিয়ে তার বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে আর জোরে জোরে শব্দ করে কাঁদতে থাকে। এই কান্না কষ্টের কান্না না, এই কান্না আনন্দের কান্না।
জেলেরা পাঁচীকে বলে ‘তারা আজ মহাজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসেছে। খালি হাতে দাওয়াত খেতে যাওয়া জেলে পাড়ার নিয়মে নাই। আর মাছের দাম আমরা বলবনা, কেননা এই মাছের এতই দাম যে তা শুনে আপনি আমাদের আরেকবার গালাগালি করবেন’। এই কথা শুনে পাঁচী এবং বাবুল কিছুক্ষণ মন খুলে হাসে।
হরেক আইটেম দিয়ে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া শেষে পাঁচী সবার হাতে একটি করে ইনভেলপ ধরিয়ে দেয়। বয়সে সবার ছোট যে জেলে নাম তার কিছলু, সে পাঁচীকে জিজ্ঞাসা করে ‘আপনি বখশিশ দিতে চাইছিলেন, বখশিশ দিবেন না?’ এই কথা শুনে সবাই আবার হেসে উঠে। তখন পাঁচী বলে ‘তোমার হাতে যে খাম দিলাম ঐ খামের ভিতর পাঁচ হাজার টাকা আছে’। তখন কিছলু আবার জিজ্ঞাসা করে ‘টাকা খামে দিছেন ক্যান?’
পাঁচী- ‘টাকা খামে ভরে দেয়া ভদ্রতা। আমি নিজেও জানতাম না, আমার বাবায় আমারে শিখাইছে’ এই বলে পাঁচী বাবুলের দিকে তাকায়।
ওস্তাদ জেলে তখন বাবুলকে বলে ‘বাবা তোমার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখমু। সমুদ্রের ২২ দিনে তুমি সব জেলেরে আপনি বলছ, কাউরে তুমি বা তুই বল নাই আর আমারে ওস্তাদ বাদে অন্য কিছু ডাক নাই। আইজও তুমি তোমার বাড়িতে আমরা আসার পরেও জাইলা গো আপনি আর আমারে ওস্তাদ ডাকতেছ!’ এই বলে ওস্তাদ জেলে কেদে দেয়।
বাবুল- ‘সমুদ্র আর বাসা বলে কথা না, আপনি আমার সারা জীবনের ওস্তাদ, যতদিন বাইচা থাকব আমি আপনারে ওস্তাদ বইলাই ডাকব। আপনি আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন আমি যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারি’। এই বলে বাবুল ওস্তাদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে যায়।
ওস্তাদ তখন বাবুলকে পা ধরতে না দিয়ে তার বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে আর জোরে জোরে শব্দ করে কাঁদতে থাকে। এই কান্না কষ্টের কান্না না, এই কান্না আনন্দের কান্না।