25-12-2022, 01:10 PM
রূপান্তর:১৩
বাবুল ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে কক্সবাজারে আসল। এসে ৪০-৪৫ বছর বয়স্ক এক ডাক্তারের সাথে পাঁচীর ঘা নিয়ে কথা বলল। অনেক বুঝিয়ে বলার পরে ডাক্তার অতিরিক্ত ভিজিটের বিনিময়ে ফেসবুকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পাঁচীর ঘা দেখতে রাজি হল। ঠিক হল ২/১ দিন পর ডক্তারের সাথে ভিডিও কলে কথা হবে।
ডাক্তেরের চেম্বার থেকে বের হয়ে বাবুল apple এর শো-রুমে ঢুকল। কেনা কাটার পর রাত্রে মহেশখালী ফিরে আসল।
বাড়িতে ঢোকার পর পাঁচী বলল ‘দেখিতো বাবা কি কিনছ, আমারে একটু দেখাও’।
বাবুল পাঁচীর রুমে ঢুকে তার পকেট থেকে একটা iphone seven plus বের করে পাঁচীকে দিয়ে বলল ‘মা এইটা আপনার জন্য কিনেছি’।
পাঁচী মোবাইল দেখে তাজ্জব হয়ে গেল আর বলল, ‘আমি মূর্খ মানুষ কি এই মোবাইল চালাতে পারি?’
বাবুল- ‘মা আপনি মূর্খ না, আর এই মোবাইল চালানো সহজ আমি আপনাকে শিখিয়ে দেব’।
পাঁচী- ‘তুমি কেন নাই বাবা?’
বাবুল- ‘হাঁ মা, আমিও একটা কিনেছি, আর এই হল আমার ল্যাপটপ’ বলে সে একটা Macbook Pro বের করল।
পাঁচী- ‘তুমি না কইলা কম্পুটার কিনবা?’
বাবুল- ‘হ মা এইটাই কম্পিউটার, আর এই যে এই কয়টাকা ফিরছে আর এই যে হিসাব’ বলে সে পাঁচীর হাতে হাজার ২০ এর মত টাকা আর apple এর তিনটি ভাউচার ধরিয়ে দেয়।
পাঁচী বাবুলের গালে ঠাস করে একটা চড় দেয়। চড় দিয়ে কেদে ফেলে বলে, ‘তোর কাছে টাকার হিসাব আর টাকা ফেরত চাইছে কে?’
চড় খেয়ে বাবুলের মুখ কালো হয়ে যায়। সে মন খারাপ করে উল্টো দিকে ঘুরে রুম থেকে বের হয়ে যেতে থাকে। এমন সময় পাঁচী তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়।
বাবুল পাঁচীর ডাক শুনে পাঁচীর দিকে ঘুরলেই পাঁচী তাকে জড়িয়ে ধরে, জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে ‘বাবা আমার ছেলে নাই, তোরে ছেলে ডাকছি। তুই আমারে কষ্ট দেস কেন?
বাবুল বোঝে তার কোথাও ভুল হয়েছে! তাই সে বলে ‘মা আমি আপনাকে কোথায় কষ্ট দিলাম?’
পাঁচী- ‘তুই টাকার হিসাব আর টাকা ফেরত দিলি কেন?’
বাবুল বুঝতে পারল পাঁচী মনে আঘাত পেয়েছে তাই সে বলল ‘মা আমারতো কোনো খরচ নাই, তাই টাকা আমি রাইখা কি করব? টাকা যখন দরকার হয় তখন তো আপনি আমাকে দেন। আর হিসাব দিছি এই কারণে যে, টাকাতো আপনার না যদি আপনার হিসাব দেয়া লাগে, তাই’।
পাঁচী- ‘আমারে হিসাব দেয়া লাগবেনা। আর কোনো পোলা কি কোনোদিন তার মারে টাকা পয়সার হিসাব দেয়?’
বাবুল- ‘মা আমার ভুল হয়েছে, আমি ক্ষমা চাই’।
পাঁচী- ‘থাক আর ক্ষমা চাওয়া লাগবেনা’ বলে সে টাকাটা বাবুলের পকেটে ঢুকিয়ে দেয় আর বাবুলকে বলে ‘কই দেখাতো কি কম্পুটার কিনা আনলি?’
পাঁচী আর বাবুল ল্যাপটপ অন করে দেখতে থাকে এমন সময় ভিখু ঘরে ঢুকে। সে বলে ‘ঐটা দিয়া কি হইব’?
পাঁচী- ভিখুকে বলে ‘তুই যা না বুঝছ তাই নিয়া কথা বলস ক্যান? আর এই দেখ পোলায় আমারে কি মোবাইল কিনা দিছে?’
ভিখু- ‘হ পোলায় তো মায়রেই দিব, আমারে তো আর দিব না’
বাবুল কক্সবাজারের ডক্তারের বিষয়টি বলে। আর বলে যে সে আগামীকাল সব দেখিয়ে দেবে কিভাবে ডক্তারের সাথে মোবাইলে ভিডিও কল দিতে হবে।
ভিখু- ‘প্রদীপ, আইজ আমি মহাজনের কাছে গেছিলাম, মহাজন আমারে ব্যাবসা করবার দিবার চাইছে। হালায় আমারে দেইখা ভয় পাইছে। আরেকটু হলেই মুইতা দিত’।
বাবুল ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে কক্সবাজারে আসল। এসে ৪০-৪৫ বছর বয়স্ক এক ডাক্তারের সাথে পাঁচীর ঘা নিয়ে কথা বলল। অনেক বুঝিয়ে বলার পরে ডাক্তার অতিরিক্ত ভিজিটের বিনিময়ে ফেসবুকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পাঁচীর ঘা দেখতে রাজি হল। ঠিক হল ২/১ দিন পর ডক্তারের সাথে ভিডিও কলে কথা হবে।
ডাক্তেরের চেম্বার থেকে বের হয়ে বাবুল apple এর শো-রুমে ঢুকল। কেনা কাটার পর রাত্রে মহেশখালী ফিরে আসল।
বাড়িতে ঢোকার পর পাঁচী বলল ‘দেখিতো বাবা কি কিনছ, আমারে একটু দেখাও’।
বাবুল পাঁচীর রুমে ঢুকে তার পকেট থেকে একটা iphone seven plus বের করে পাঁচীকে দিয়ে বলল ‘মা এইটা আপনার জন্য কিনেছি’।
পাঁচী মোবাইল দেখে তাজ্জব হয়ে গেল আর বলল, ‘আমি মূর্খ মানুষ কি এই মোবাইল চালাতে পারি?’
বাবুল- ‘মা আপনি মূর্খ না, আর এই মোবাইল চালানো সহজ আমি আপনাকে শিখিয়ে দেব’।
পাঁচী- ‘তুমি কেন নাই বাবা?’
বাবুল- ‘হাঁ মা, আমিও একটা কিনেছি, আর এই হল আমার ল্যাপটপ’ বলে সে একটা Macbook Pro বের করল।
পাঁচী- ‘তুমি না কইলা কম্পুটার কিনবা?’
বাবুল- ‘হ মা এইটাই কম্পিউটার, আর এই যে এই কয়টাকা ফিরছে আর এই যে হিসাব’ বলে সে পাঁচীর হাতে হাজার ২০ এর মত টাকা আর apple এর তিনটি ভাউচার ধরিয়ে দেয়।
পাঁচী বাবুলের গালে ঠাস করে একটা চড় দেয়। চড় দিয়ে কেদে ফেলে বলে, ‘তোর কাছে টাকার হিসাব আর টাকা ফেরত চাইছে কে?’
চড় খেয়ে বাবুলের মুখ কালো হয়ে যায়। সে মন খারাপ করে উল্টো দিকে ঘুরে রুম থেকে বের হয়ে যেতে থাকে। এমন সময় পাঁচী তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়।
বাবুল পাঁচীর ডাক শুনে পাঁচীর দিকে ঘুরলেই পাঁচী তাকে জড়িয়ে ধরে, জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে ‘বাবা আমার ছেলে নাই, তোরে ছেলে ডাকছি। তুই আমারে কষ্ট দেস কেন?
বাবুল বোঝে তার কোথাও ভুল হয়েছে! তাই সে বলে ‘মা আমি আপনাকে কোথায় কষ্ট দিলাম?’
পাঁচী- ‘তুই টাকার হিসাব আর টাকা ফেরত দিলি কেন?’
বাবুল বুঝতে পারল পাঁচী মনে আঘাত পেয়েছে তাই সে বলল ‘মা আমারতো কোনো খরচ নাই, তাই টাকা আমি রাইখা কি করব? টাকা যখন দরকার হয় তখন তো আপনি আমাকে দেন। আর হিসাব দিছি এই কারণে যে, টাকাতো আপনার না যদি আপনার হিসাব দেয়া লাগে, তাই’।
পাঁচী- ‘আমারে হিসাব দেয়া লাগবেনা। আর কোনো পোলা কি কোনোদিন তার মারে টাকা পয়সার হিসাব দেয়?’
বাবুল- ‘মা আমার ভুল হয়েছে, আমি ক্ষমা চাই’।
পাঁচী- ‘থাক আর ক্ষমা চাওয়া লাগবেনা’ বলে সে টাকাটা বাবুলের পকেটে ঢুকিয়ে দেয় আর বাবুলকে বলে ‘কই দেখাতো কি কম্পুটার কিনা আনলি?’
পাঁচী আর বাবুল ল্যাপটপ অন করে দেখতে থাকে এমন সময় ভিখু ঘরে ঢুকে। সে বলে ‘ঐটা দিয়া কি হইব’?
পাঁচী- ভিখুকে বলে ‘তুই যা না বুঝছ তাই নিয়া কথা বলস ক্যান? আর এই দেখ পোলায় আমারে কি মোবাইল কিনা দিছে?’
ভিখু- ‘হ পোলায় তো মায়রেই দিব, আমারে তো আর দিব না’
বাবুল কক্সবাজারের ডক্তারের বিষয়টি বলে। আর বলে যে সে আগামীকাল সব দেখিয়ে দেবে কিভাবে ডক্তারের সাথে মোবাইলে ভিডিও কল দিতে হবে।
ভিখু- ‘প্রদীপ, আইজ আমি মহাজনের কাছে গেছিলাম, মহাজন আমারে ব্যাবসা করবার দিবার চাইছে। হালায় আমারে দেইখা ভয় পাইছে। আরেকটু হলেই মুইতা দিত’।