23-12-2022, 10:14 PM
(23-12-2022, 10:02 PM)Sanjay Sen Wrote: আমি মুগ্ধ, আমি হতবাক, আমি অভিভূত তোমার এই পর্ব পড়ার পর। রহস্য-রোমাঞ্চ গল্পে সবথেকে যে জিনিসটা পাঠকদের আকর্ষণ করে সেটা হলো চমক। আর তোমার মতো এইরকম চমক সৃষ্টি করতে আমি আর কাউকে দেখিনি। টিজার দেওয়ার পর যখন আমরা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করি তখন কি রকম একটা বোকা বোকা মুখ করে সবার 'হ্যাঁ' তে হ্যাঁ মেলাও। অথচ ভেতরে ভেতরে নিজের প্ল্যানমাফিক কাজ করতে থাকো।
সত্যি, আমি অন্তত ভাবতে পারিনি টগর আবার ফিরে আসবে। রনিতাকে আগে থেকে যতই না চিনুক এবং জঙ্গলের মধ্যে গভীর অন্ধকারে যতই উল্টোদিকের মানুষটার সম্পর্কে কোনও ধারণা না করা যাক (এই দুটো জিনিসই সুকৌশলে উল্লেখ করেছো বারংবার) তবুও রনিতাকে টগর বলে ভুল করাটা উচিত হয়নি সন্দীপের মতো পুলিশ অফিসারের। যদিও গল্পের স্বার্থে এটার প্রয়োজন ছিল বলেই আমি মনে করি। রনিতা যেরকমই স্বভাবের মেয়ে হোক না কেন, এরকম আকস্মিকভাবে তার চলে যাওয়ার খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগছিল। সন্দীপকে বেধারক ঠ্যাঙানি দেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে গোগোলের হাতে কয়েক ঘা খেলে আরো বেশি খুশি হতাম। পিতা-মাতা যতই অসৎ এবং খারাপ মানুষ হোক না কেন তাদের সন্তানকে সর্বদা ভালোবাসে। তার মেয়ে রনিতাকে খুঁজে না পেয়ে বস্তিতে এসে সেখানকার প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চাওয়ার ব্যাপারটা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল, দুর্দান্তভাবে ফুটিয়ে তুলেছো ওই সিকোয়েন্সটা। আর সবশেষে সন্দীপের আত্মহত্যা -- গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। এইভাবেই এগিয়ে চলো, জয় হোক তোমার
তোমার মতো একজন বুদ্ধিদীপ্ত পাঠকের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য পাওয়ার পর লেখকের সেই অর্থে কিছু বলার থাকে না। তবে এ কথা অবশ্যই বলবো রনিতাকে দেখেনি বা রনিতার অস্তিত্ব সম্পর্কে যেরকম ওয়াকিবহাল ছিলো না সন্দীপ, ঠিক তেমনিই টগরকেও মাত্র দু'বার দেখেছিলো সন্দীপ .. তাও দুজনের মধ্যে কোনো শারীরিক স্পর্শ হয়নি। তাই অত্যন্ত উত্তেজিত অবস্থায় এবং ভেতরে চাপা ঈর্ষা, ক্ষোভ এবং রাগ নিয়ে কোন নারীকে সে ভোগ করছে সেটা ওই সিচুয়েশনে বোঝা সম্ভবপর ছিলো না সন্দীপের পক্ষে। অসংখ্য ধন্যবাদ সঙ্গে থাকো এবং পড়তে থাকো।