21-12-2022, 04:40 PM
বাবুল এবার গাড়ি সাবোটাজের ব্যাপারে আরো কিছু খোঁজাখুঁজির পর একটা লিঙ্ক পেয়ে গেল। Mi6 এর সিকিউরড লিঙ্ক। এখানে ঢোকার জন্য বাবুলকে আবার সিকিউরিটি ব্রেক করতে হল। তবে এবার আর ISI এর ওয়েব সাইটের মত ‘পানির মত সহজে’ সিকিউরিটি ব্রেক করতে পারলনা। তাকে বেশ একটু কষ্ট করতে হল। তবে বাবুল তার কষ্টের ফল হাতে নাতে পেয়ে গেল। এখানে টার্গেট গাড়ির ইঞ্জিনে কিভাবে কোন নাট টি কতটুকু ঢিল করে রাখলে এবং সেই সাথে কোন নাটটি কতটুকু বেশি টাইট দিয়ে রাখলে এবং সেই সাথে কোন পার্টস টি মডিফিকেশন করলে ইঞ্জিনে চলতি অবস্থায় নিদৃষ্ট সময় পর আগুন ধরে যাবে তা বিস্তারিত ভিডিও সহকারে দেখানো আছে। সেই সাথে দেখানো আছে। কি করলে গাড়ির পিছনের তিনটি দরজা একবার বন্ধ করার পর লক হয়ে থাকবে। সম্পুর্ণ ভিডিওটি বাবুল নামাল। নামিয়ে নিতাইর গ্যারেজে গেল। নিতাই বলল যে যেহেতু মানিক জ্যাঠা তার গাড়ি আমার গ্যারেজ থেকেই সার্ভিসিং করায়, এর পর গাড়ি গ্যারেজে আসলে ভিডিওতে দেখানো কাজ সে করে দিতে পারবে। এ কাজ খুব সিম্পল কাজ। কিন্তু কাজ কতটুকু হবে সে বিষয়ে নিতাই কোনো গ্যারান্টি দিতে পারেনা।
কপাল কার ভালো বলা যাচ্ছেনা। ২ দিন পর মানিক মজুমদার নিতাইর গ্যারেজে আসল। বলল- গাড়িটি অনেক দিন চেক করা হয়না। দ্রুত চেক করে দিতে। সে পরের দিন কক্সবাজারে যাবে। নিতাই ইঞ্জিনের শব্দ শুনল আর মানিক মজুমদারকে বলল জ্যাঠা ইঞ্জিনে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে, ইঞ্জিন ডাউন দিতে হবে। পরেরদিন ডেলিভারি দিতে না পারলে যেন একদিন পরে কক্সবাজারে যায়।
মানিক তাকে বলল ‘না পরেরদিন তাকে মহেশখালী যেতেই হবে, মহাজনদের সাথে জরুরী মিটিং আছে’।
নিতাই বাবুলকে ফোন দিল। বাবুল সাথে সাথেই ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল। তারপর কমিশনারের সাথে দেখা করল। আর বলল যে সে ইংল্যান্ড ফিরে যাচ্ছে, আজই ঢাকা যাবে। ভোর রাত্রে ফ্লাইট। কমিশনারের কাছে বাবুল আশির্বাদ চাইল। তারপর বাবুল নিতাইর গ্যারেজে গেল। আর বলল ‘নিতাই তুই আমার জীবন চেঞ্জ করে দিলি। সবাই জানবে আমি ইংল্যান্ড যাচ্ছি। তুইও জানবি আমি ইংল্যান্ড যাচ্ছি, তবে আমি যেহেতু ইংল্যান্ড যাচ্ছিনা তাই তোর টাকাটা দিতে দেরী হবে, কবে দিব বলতে পারিনা। তবে বেঁচে থাকলে দিব’।
নিতাই- ‘কোথায় যাচ্ছিস জানতে চাইব না। আমার টাকার কথা ভুলে গেলে আমার সমস্যা নেই। তবে আমাকে কোনোদিন ভুলিসনা’। এই বলে সে বাবুলকে বিদায় দিল।
কপাল কার ভালো বলা যাচ্ছেনা। ২ দিন পর মানিক মজুমদার নিতাইর গ্যারেজে আসল। বলল- গাড়িটি অনেক দিন চেক করা হয়না। দ্রুত চেক করে দিতে। সে পরের দিন কক্সবাজারে যাবে। নিতাই ইঞ্জিনের শব্দ শুনল আর মানিক মজুমদারকে বলল জ্যাঠা ইঞ্জিনে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে, ইঞ্জিন ডাউন দিতে হবে। পরেরদিন ডেলিভারি দিতে না পারলে যেন একদিন পরে কক্সবাজারে যায়।
মানিক তাকে বলল ‘না পরেরদিন তাকে মহেশখালী যেতেই হবে, মহাজনদের সাথে জরুরী মিটিং আছে’।
নিতাই বাবুলকে ফোন দিল। বাবুল সাথে সাথেই ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল। তারপর কমিশনারের সাথে দেখা করল। আর বলল যে সে ইংল্যান্ড ফিরে যাচ্ছে, আজই ঢাকা যাবে। ভোর রাত্রে ফ্লাইট। কমিশনারের কাছে বাবুল আশির্বাদ চাইল। তারপর বাবুল নিতাইর গ্যারেজে গেল। আর বলল ‘নিতাই তুই আমার জীবন চেঞ্জ করে দিলি। সবাই জানবে আমি ইংল্যান্ড যাচ্ছি। তুইও জানবি আমি ইংল্যান্ড যাচ্ছি, তবে আমি যেহেতু ইংল্যান্ড যাচ্ছিনা তাই তোর টাকাটা দিতে দেরী হবে, কবে দিব বলতে পারিনা। তবে বেঁচে থাকলে দিব’।
নিতাই- ‘কোথায় যাচ্ছিস জানতে চাইব না। আমার টাকার কথা ভুলে গেলে আমার সমস্যা নেই। তবে আমাকে কোনোদিন ভুলিসনা’। এই বলে সে বাবুলকে বিদায় দিল।