21-12-2022, 03:44 PM
বাবুল ঠিক করল সে ক্যামব্রিজ ফিরে যাবে তাই সে তার একমাত্র প্রাণপ্রিয় বাল্যবন্ধু নিতাইর গ্যারেজে গিয়ে নিতাইর সাথে দেখা করল। নিতাই সব শুনে বলল তুই তো কোর্টে গিয়েও কেস হেরে যাবি, তোর কাছে কোনো ডকুমেন্টসই নেই।
বাবুল বলল-‘না আমি আর কেস ফেসের ভিতর যাবনা, তোর কাছে আসছি আমাকে কিছু টাকা ধার দে, প্লেনের টিকিট কাটতে হবে’।
নিতাই- ‘তুই আমার কাছে কোনোদিন টাকা চেয়ে ফেরত গেছিস?’
বাবুল- না।
নিতাই- ‘তাহলে টাকা নিয়ে টেনশন করিস না। আমি বলতেছি কি তুই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাবি? আমি হলে শালারে খুন করে যেতাম। আর পোড়া কপাল আমার এমনই কারবার যে আমি চাইলেও শালারে মারতে পারবনা। গাড়ির গ্যারেজে তো আর মানুষ মারা যায়না! তয় তোর চাচা যেহেতু আমার রেগুলার কাস্টমার, এখন থেকে আসলে আমি চার্জ বেশি রাখব, ভালো পার্টস নষ্ট বানাব’।
বাবুল কোনো কথা বললনা, চুপ করে থাকল।
নিতাই- ‘সন্ধ্যার পরে এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবি’।
নিতাইর কাছ থেকে আসার পর বাবুলের কানে নিতাইর (তুই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাবি? আমি হলে শালারে খুন করে যেতাম।) কথাটা বাজতে থাকল। আসলেই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাওয়াটা কেমন কাপুরেষের মত মনে হচ্ছে। তার চেয়ে বড় কথা বাবুলের কেমন যেন মনে হতে লাগল প্রতিশোধ নিলে তার কিছুই হবেনা। কেননা মানিক মজুমদারের উপর প্রতিশোধ নেয়াটা অনেকটাই প্রকৃতির ইচ্ছা।
বাবুল ঐ রাত্রে গুগল করল কিভাবে সন্দেহ ছাড়া মানুষ মারা যায়। সে দেখল ব্রাউজার ‘রেস্টিকটেড সার্চ’ দেখাচ্ছে! কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটির পর একটি লিঙ্ক পেয়ে গেল ‘সন্দেহ ছাড়া মানুষ মারার সর্বোৎকৃষ্ট ৭টি উপায়’। কিন্তু সাইটটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছিলনা। ISI (Inter-Services Intelligence) এর সিকিউরড সাইট। বাবুল দুই মিনিটের ভিতর ঐ সিকিউরড সাইটের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে ঢুকে গেল। সেখানে সে যে তালিকাটা দেখতে পেল তা সহজলভ্যতা এবং বাস্তবায়নে পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
১। ইলেকট্রিক শকে মারা।
২। গাড়ি দূর্ঘটনা
৩। আগুনে পুড়িয়ে মারা
৪।.....................
৫।...............
৬।...............
৭। ............
গাড়ি দূর্ঘটনার ব্যাপারটা বাবুলের পছন্দ হল। সে এই পয়েন্টটা ভালো মত পড়ল। পাকিস্তানি এই ওয়েব সাইটে তারা বলেছে ‘অন্য গাড়ি দিয়ে টার্গেটের গাড়িকে চাপা দিতে’। কিন্তু এই ব্যাপারটা বাবুলের মোটেই পছন্দ হলনা। সে মনে মনে বলতে লাগল ‘কি এদের বুদ্ধি! গাড়ি দিয়ে চাপা দাও! এরা আজীবনই পাকিস্তানি থেকে গেল, মানুষ হলনা’।
বাবুল বলল-‘না আমি আর কেস ফেসের ভিতর যাবনা, তোর কাছে আসছি আমাকে কিছু টাকা ধার দে, প্লেনের টিকিট কাটতে হবে’।
নিতাই- ‘তুই আমার কাছে কোনোদিন টাকা চেয়ে ফেরত গেছিস?’
বাবুল- না।
নিতাই- ‘তাহলে টাকা নিয়ে টেনশন করিস না। আমি বলতেছি কি তুই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাবি? আমি হলে শালারে খুন করে যেতাম। আর পোড়া কপাল আমার এমনই কারবার যে আমি চাইলেও শালারে মারতে পারবনা। গাড়ির গ্যারেজে তো আর মানুষ মারা যায়না! তয় তোর চাচা যেহেতু আমার রেগুলার কাস্টমার, এখন থেকে আসলে আমি চার্জ বেশি রাখব, ভালো পার্টস নষ্ট বানাব’।
বাবুল কোনো কথা বললনা, চুপ করে থাকল।
নিতাই- ‘সন্ধ্যার পরে এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবি’।
নিতাইর কাছ থেকে আসার পর বাবুলের কানে নিতাইর (তুই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাবি? আমি হলে শালারে খুন করে যেতাম।) কথাটা বাজতে থাকল। আসলেই কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে চলে যাওয়াটা কেমন কাপুরেষের মত মনে হচ্ছে। তার চেয়ে বড় কথা বাবুলের কেমন যেন মনে হতে লাগল প্রতিশোধ নিলে তার কিছুই হবেনা। কেননা মানিক মজুমদারের উপর প্রতিশোধ নেয়াটা অনেকটাই প্রকৃতির ইচ্ছা।
বাবুল ঐ রাত্রে গুগল করল কিভাবে সন্দেহ ছাড়া মানুষ মারা যায়। সে দেখল ব্রাউজার ‘রেস্টিকটেড সার্চ’ দেখাচ্ছে! কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটির পর একটি লিঙ্ক পেয়ে গেল ‘সন্দেহ ছাড়া মানুষ মারার সর্বোৎকৃষ্ট ৭টি উপায়’। কিন্তু সাইটটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছিলনা। ISI (Inter-Services Intelligence) এর সিকিউরড সাইট। বাবুল দুই মিনিটের ভিতর ঐ সিকিউরড সাইটের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে ঢুকে গেল। সেখানে সে যে তালিকাটা দেখতে পেল তা সহজলভ্যতা এবং বাস্তবায়নে পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
১। ইলেকট্রিক শকে মারা।
২। গাড়ি দূর্ঘটনা
৩। আগুনে পুড়িয়ে মারা
৪।.....................
৫।...............
৬।...............
৭। ............
গাড়ি দূর্ঘটনার ব্যাপারটা বাবুলের পছন্দ হল। সে এই পয়েন্টটা ভালো মত পড়ল। পাকিস্তানি এই ওয়েব সাইটে তারা বলেছে ‘অন্য গাড়ি দিয়ে টার্গেটের গাড়িকে চাপা দিতে’। কিন্তু এই ব্যাপারটা বাবুলের মোটেই পছন্দ হলনা। সে মনে মনে বলতে লাগল ‘কি এদের বুদ্ধি! গাড়ি দিয়ে চাপা দাও! এরা আজীবনই পাকিস্তানি থেকে গেল, মানুষ হলনা’।