20-12-2022, 04:56 PM
বিধাতা আমার মত পাঁচীর সুখ বেশিদিন সইলেননা। মাস পাঁচেক পর মা টা আমার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আমি খবর পেয়ে শশুর কে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসলাম। মা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে মিতালী দিদিও আসলেন। মার শেষ ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়য়ার পর শশ্বর আমাকে বললেন ‘পাঁচী আমার বাড়ি যেতে হবে, অনেক কাজ’।
আমি বললাম ‘আপনি যান বাবা, আমাদেরতো আর কেউ নেই, আমি ২/১ দিন পর বাড়ি-ঘর গুছিয়ে রেখে তালা মেরে চলে আসছি, ২/১ দিনের বেশি আমি একটুও থাকব না’।
শ্বশুর চলে গেলেন, আমি একা বাড়িতে রাত্রে শুয়ে রইলাম। গ্রামের মেয়েদের কাছে এইগুলা কোনো ব্যাপার না। শহুরে মেয়েরা হলে হয়তোবা ঢং করে অনেক স্যুটিং করত।
রাতের বেলায় ঘরের ভিতর হায়েনা ঢুকল। অন্ধকার ঘরে আমি কিছুই দেখলাম না। শুধু এটুকুই বুঝলাম তারা দুই জন লোক ছিল। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করলাম, বললাম ‘আমার পেটে বাচ্চা, আমাকে দয়া করুন, ছেড়ে দিন’। কিন্তু তারা আমার কথা শুনল না। মানুষ মানুষের কথা শুনে, গৃহপালিত কুকুরও মানুষের কথা শুনে, কিন্তু হায়েনা কোনোদিন মানুষের কথা শুনেনা। তারা দুইজন আমাকে একাধিকবার উপর্জপুরি ;., করে চলে গেল। আমার প্রচুর ব্লিডিং হল কিন্তু সারারাত ;.,ের পরেও আমার চোখ থেকে কোনো জল/পানি/অশ্রু বের হলনা।
পরদিন সকাল বেলা পুলিশ আসল। পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে পারলাম না রাত্রে কে কে ছিল? এমনকি পুলিশকে কোনো ক্লুও দিতে পারলাম না। কিন্তু আমার মন বলছিল মামুন স্যার আর কেষ্টা দার কথা কেননা একবার কে যেন বলেছিল ‘স্যার অনেক মজা পাইলাম, গলাটা পুরোপুরি শিওর না হলেও কেষ্টা দার বলে মনে হল (৩০%)। এতটুকু সন্দেহে আমি তাদের নাম বলতে পারছিলাম না। আমার কাছে দ্বিধা দ্বিধা লাগছিল। যদি আমার ভুল হয়? তাহলে দুই জন নিষ্পাপ ব্যক্তির জীবনে সারা জীবনের মত কলঙ্ক লেপে থাকবে।
খবর পেয়ে আমার শ্বশুর আজকে আবারো আমাদের বাড়িতে আসলেন। পুলিশের কথমত শ্বশুর আমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন। হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা আমাকে বললেন হাসপাতালে ভর্তি হতে আর শ্বশুরকে বললেন যে আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা শুনে আমি অনেক কান্না কাটি করলাম। দুইদিন চিকিৎসা শেষে তিন দিনের দিন সুমনকে হাসপাতালে দেখলাম। তাকে দেখেই আমার কান্না আটকে রাখতে পারলাম না। সুমন আমার কাছে এসে আমাকে এক ধমক দিল। ধুমক দিয়ে বলল, ‘কি হয়েছেরে পাগলী, কিছুই হয়নাই, আমিতো আইছি, তোর আর কোনো ভয় নাই’। ডাক্তারের কথামত সুমন আমাকে নিয়ে শহরে বড় ডাক্তারের কাছে গেল। সেখানে বড় ডাক্তার আমার নতুন নতুন অনেকগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করল। তারপর ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলল যে আমি আর কোনোদিন ‘মা’ হতে পারব না।
______________________________
আমি বললাম ‘আপনি যান বাবা, আমাদেরতো আর কেউ নেই, আমি ২/১ দিন পর বাড়ি-ঘর গুছিয়ে রেখে তালা মেরে চলে আসছি, ২/১ দিনের বেশি আমি একটুও থাকব না’।
শ্বশুর চলে গেলেন, আমি একা বাড়িতে রাত্রে শুয়ে রইলাম। গ্রামের মেয়েদের কাছে এইগুলা কোনো ব্যাপার না। শহুরে মেয়েরা হলে হয়তোবা ঢং করে অনেক স্যুটিং করত।
রাতের বেলায় ঘরের ভিতর হায়েনা ঢুকল। অন্ধকার ঘরে আমি কিছুই দেখলাম না। শুধু এটুকুই বুঝলাম তারা দুই জন লোক ছিল। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করলাম, বললাম ‘আমার পেটে বাচ্চা, আমাকে দয়া করুন, ছেড়ে দিন’। কিন্তু তারা আমার কথা শুনল না। মানুষ মানুষের কথা শুনে, গৃহপালিত কুকুরও মানুষের কথা শুনে, কিন্তু হায়েনা কোনোদিন মানুষের কথা শুনেনা। তারা দুইজন আমাকে একাধিকবার উপর্জপুরি ;., করে চলে গেল। আমার প্রচুর ব্লিডিং হল কিন্তু সারারাত ;.,ের পরেও আমার চোখ থেকে কোনো জল/পানি/অশ্রু বের হলনা।
পরদিন সকাল বেলা পুলিশ আসল। পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে পারলাম না রাত্রে কে কে ছিল? এমনকি পুলিশকে কোনো ক্লুও দিতে পারলাম না। কিন্তু আমার মন বলছিল মামুন স্যার আর কেষ্টা দার কথা কেননা একবার কে যেন বলেছিল ‘স্যার অনেক মজা পাইলাম, গলাটা পুরোপুরি শিওর না হলেও কেষ্টা দার বলে মনে হল (৩০%)। এতটুকু সন্দেহে আমি তাদের নাম বলতে পারছিলাম না। আমার কাছে দ্বিধা দ্বিধা লাগছিল। যদি আমার ভুল হয়? তাহলে দুই জন নিষ্পাপ ব্যক্তির জীবনে সারা জীবনের মত কলঙ্ক লেপে থাকবে।
খবর পেয়ে আমার শ্বশুর আজকে আবারো আমাদের বাড়িতে আসলেন। পুলিশের কথমত শ্বশুর আমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন। হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা আমাকে বললেন হাসপাতালে ভর্তি হতে আর শ্বশুরকে বললেন যে আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা শুনে আমি অনেক কান্না কাটি করলাম। দুইদিন চিকিৎসা শেষে তিন দিনের দিন সুমনকে হাসপাতালে দেখলাম। তাকে দেখেই আমার কান্না আটকে রাখতে পারলাম না। সুমন আমার কাছে এসে আমাকে এক ধমক দিল। ধুমক দিয়ে বলল, ‘কি হয়েছেরে পাগলী, কিছুই হয়নাই, আমিতো আইছি, তোর আর কোনো ভয় নাই’। ডাক্তারের কথামত সুমন আমাকে নিয়ে শহরে বড় ডাক্তারের কাছে গেল। সেখানে বড় ডাক্তার আমার নতুন নতুন অনেকগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করল। তারপর ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলল যে আমি আর কোনোদিন ‘মা’ হতে পারব না।
______________________________