20-12-2022, 11:24 AM
।ফুটবল।
প্রতি লিওনেল মেসির একটা কিলিয়ান এমবাপে থাকে।
যে তাকে মনে করিয়ে দেবে ,
জয়ের ঠিক পাশ ঘেঁষে পরাজয় বসে থাকে,
কখন যে ওরা নাম পাল্টাপাল্টি করবে ,
কোনো ঠিক নেই।
প্রতি আর্জেন্তিনা পিছু একটা সৌদি আরব থাকে,
যে বুঝিয়ে দেবে,
বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন মানে সর্বজয়ী নয়,
সুযোগের সদ্ব্যবহার করলে
তাকেও হারাতে পারে নামহীন কেউ।
জীবন তোমার কাঁধে ওইরকমই এক বা এক কোটি লোকের দায়িত্ব চাপিয়ে পেনাল্টি মারতে পাঠাবে কখনো।
তোমার সামনে নিশ্চিত হার, গ্যালারি প্রতিপক্ষ সমর্থকে ভরা,
আর কেউ নেই যে তোমার কাজটা করতে পারে।
তুমি হয়তো সীমান্তের এক সৈনিক, যে প্রথম অনুপ্রবেশকারীকে দেখেছো।
অথবা ডাক্তার, যে বুঝেছো এবারে জ্বরটা যেন অন্য অসুখ, অচেনা মহামারীর সংকেত,
কিংবা এত বড় কিছু না, রেলের ইঞ্জিন বা বাসের ড্রাইভারি সিট থেকে দেখছো,
অদূরে কাটছে পথ কলেজের কিশোরী।
তোমার হাতে বন্দুক, স্টেথোস্কোপ, স্টিয়ারিং।
অথবা তোমার পায়ে ফুটবল।
ওই রেফারির বাঁশি বাজলো। তুমি শট নিলে…
গোল হলে এমবাপে তুমি। যুগের নায়ক।
না হলে হ্যারি কেন। পরের জীবন বড় কষ্টদায়ক।
অবশ্য স্ট্রাইকারই নও সর্বদা,
কখনো গোলের আগে তুমি লাস্ট ম্যান।
একমনে বল দেখো, পেনাল্টি স্পটে আছে যেটা বসানো,
বুকে ধুকপুক বাড়ে, দুই হাত ছড়ানো তোমার,
কানে আসে কারো চিৎকার , কাম অন, কাম অন কিপার!
হঠাৎই প্রিয়জনের বায়োপ্সি পজিটিভ,
মেডিক্লেম নেই,
অথবা দুম করে চাকরিটা চলে গেছে,
সামনে মেয়ের পরীক্ষা ,
কলেজের ফি’জ দিতে হবে,
কিংবা এসব কিছু নয়,
বোনকে টিটকিরি মারে বলে প্রতিবাদ করতে যেতে হবে পাড়ার ক্লাবকে,
মোট কথা উল্টোদিকে প্রবল প্রতিপক্ষ,
গোল আগলে তুমি একা,
তোমায় ঠিক করে নিতে হবে ডাইনে না বাঁয়ে ঝাঁপাবে।
বাঁচাতে পারলে তুমি হিরো,
নয় গোল খেয়ে যাওয়া হেরো,
মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হবে এইবারে..
আরেঃ, চললে কোথায়?
একখানা খেলা শেষ, টুর্নামেন্ট তো বাকি আরো।
হেরোর কান্না হোক,
অথবা চওড়া থাক বিজয়ীর হাসি
কালকে আরেকখানা দিন ।
জার্সিটা পরে ফেলো,
চলো আরেকটা দিন জীবনের ফুটবল তেড়ে খেলে আসি।
চলো চলো, সময় হয়েছে। কান পাতো, শোনা যায় রেফারির বাঁশি…
আর্যতীর্থ
প্রতি লিওনেল মেসির একটা কিলিয়ান এমবাপে থাকে।
যে তাকে মনে করিয়ে দেবে ,
জয়ের ঠিক পাশ ঘেঁষে পরাজয় বসে থাকে,
কখন যে ওরা নাম পাল্টাপাল্টি করবে ,
কোনো ঠিক নেই।
প্রতি আর্জেন্তিনা পিছু একটা সৌদি আরব থাকে,
যে বুঝিয়ে দেবে,
বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন মানে সর্বজয়ী নয়,
সুযোগের সদ্ব্যবহার করলে
তাকেও হারাতে পারে নামহীন কেউ।
জীবন তোমার কাঁধে ওইরকমই এক বা এক কোটি লোকের দায়িত্ব চাপিয়ে পেনাল্টি মারতে পাঠাবে কখনো।
তোমার সামনে নিশ্চিত হার, গ্যালারি প্রতিপক্ষ সমর্থকে ভরা,
আর কেউ নেই যে তোমার কাজটা করতে পারে।
তুমি হয়তো সীমান্তের এক সৈনিক, যে প্রথম অনুপ্রবেশকারীকে দেখেছো।
অথবা ডাক্তার, যে বুঝেছো এবারে জ্বরটা যেন অন্য অসুখ, অচেনা মহামারীর সংকেত,
কিংবা এত বড় কিছু না, রেলের ইঞ্জিন বা বাসের ড্রাইভারি সিট থেকে দেখছো,
অদূরে কাটছে পথ কলেজের কিশোরী।
তোমার হাতে বন্দুক, স্টেথোস্কোপ, স্টিয়ারিং।
অথবা তোমার পায়ে ফুটবল।
ওই রেফারির বাঁশি বাজলো। তুমি শট নিলে…
গোল হলে এমবাপে তুমি। যুগের নায়ক।
না হলে হ্যারি কেন। পরের জীবন বড় কষ্টদায়ক।
অবশ্য স্ট্রাইকারই নও সর্বদা,
কখনো গোলের আগে তুমি লাস্ট ম্যান।
একমনে বল দেখো, পেনাল্টি স্পটে আছে যেটা বসানো,
বুকে ধুকপুক বাড়ে, দুই হাত ছড়ানো তোমার,
কানে আসে কারো চিৎকার , কাম অন, কাম অন কিপার!
হঠাৎই প্রিয়জনের বায়োপ্সি পজিটিভ,
মেডিক্লেম নেই,
অথবা দুম করে চাকরিটা চলে গেছে,
সামনে মেয়ের পরীক্ষা ,
কলেজের ফি’জ দিতে হবে,
কিংবা এসব কিছু নয়,
বোনকে টিটকিরি মারে বলে প্রতিবাদ করতে যেতে হবে পাড়ার ক্লাবকে,
মোট কথা উল্টোদিকে প্রবল প্রতিপক্ষ,
গোল আগলে তুমি একা,
তোমায় ঠিক করে নিতে হবে ডাইনে না বাঁয়ে ঝাঁপাবে।
বাঁচাতে পারলে তুমি হিরো,
নয় গোল খেয়ে যাওয়া হেরো,
মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হবে এইবারে..
আরেঃ, চললে কোথায়?
একখানা খেলা শেষ, টুর্নামেন্ট তো বাকি আরো।
হেরোর কান্না হোক,
অথবা চওড়া থাক বিজয়ীর হাসি
কালকে আরেকখানা দিন ।
জার্সিটা পরে ফেলো,
চলো আরেকটা দিন জীবনের ফুটবল তেড়ে খেলে আসি।
চলো চলো, সময় হয়েছে। কান পাতো, শোনা যায় রেফারির বাঁশি…
আর্যতীর্থ