16-12-2022, 01:08 PM
(সংগৃহীত)
*গল্পের নাম -*আমার বিয়ে*
আমার বিয়ের জন্য আজ মেয়ে দেখতে যাবো।
আমার সাথে আমার বাবা মা, আমার এক কলিগ আর এক কাকাও যাবেন।
এই অব্দি ঠিক ছিলো কিন্তু না, আমার সাথে আরো যাবেন মামা-মামী, মাসি-মেসো, পিসি-পিসোমশাই, মামাতো ভাইবোন, মাসতুতো ভাইবোন, মার একবান্ধবী আর তার ছেলে আরো কয়েকজন যাবে যাদের আমি নিজেই ভালো করে চিনি না।
এত মানুষ দেখে আমি বাবাকে বললাম,
-- বাবা, এইসব কি! এতজন কেন?
বাবা মুখ গোমড়া করে বললো,
- আমি নিজেও জানি না। তোর মাকে জিজ্ঞেস কর।
আমি মাকে আলাদাভাবে ডেকে বললাম,
-- মা আমি তো মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। মেয়ে তুলে আনতে তো যাচ্ছি না। আমি যতদূর জানি মেয়ের বাবা হাই কলেজের মাস্টার আর মেয়ের একটা ছোট ভাই আছে ক্লাস এইটে পড়ে। সেই হিসাবে ওরা মেয়ে দেখানোর নাম করে আমাকে কিডন্যাপ করার চান্স নেই। তাহলে শুধু শুধু এত সামরিক বাহিনী নিয়ে যাচ্ছি কেন?
মা কিছুটা রেগে বললো,
- তুই এতসব বুঝবি না। আমার একমাত্র ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাবো। এতজন নিয়ে যাচ্ছি কারণ মেয়ের কোন খুঁত(সমস্যা) থাকলে কারো না কারো চোখে নিশ্চয়ই পড়বে।
আমি এই মুহুর্তে কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। যাত্রা পথে মেয়ের বাড়ির জন্য বাবা দোকান থেকে যখন ১৫ কেজি মিষ্টি কিনছিলো তখন পিছন থেকে মা'র বান্ধবী বলে উঠলো,
~আরে জামাইবাবু, আপনার কি বুদ্ধি-শুদ্ধি জীবনেও হবে না? মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময় এত মিষ্টি কিনে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার? দেখা গেলো মেয়ে পছন্দ হলো না তখন মিষ্টি সাথে নিয়ে ফিরে আসাও যাবে না। তারচেয়ে বরং ৫কেজি মিষ্টি নিন।
বাবা আমতা আমতা করে বললো,
- এতজন মানুষ শুধু ৫কেজি মিষ্টি নিয়ে যাবো?
মা তখন বললো,
-- রিনা ঠিক কথা বলেছে। মেয়ে পছন্দ না হলে শুধু শুধু এতগুলো টাকার মিষ্টি জলেই যাবে।
আমার নিরীহ বাবা, মা'র উপর কখনোই কিছু বলার সাহস পায় না। তাই মা'র কথা মতই ৫কেজি মিষ্টি কিনলো। আমি বাবার চেয়েও আরো বেশি নিরীহ। মা'র উপর আমারও কিছু বলার সাহস নেই...
মেয়ে দেখার আগে সবাই ভরপেট খাওয়া দাওয়া করে নিলো। কারণ পরে মেয়ে পছন্দ না হলে খেয়ে নাকি তৃপ্তি পাওয়া যাবে না। তাই আগে খাওয়া-দাওয়া পরে মেয়ে দেখা।
খাওয়া শেষ করে সবাই যখন মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তার কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। পরনে হলুদ শাড়ি আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকে মেয়েটাকে ভয়ংকর রকমের সুন্দর লাগছিলো। মেয়েটা আমার পাশের সোফাতে মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইলো। এমন সময় আমার পিসি মেয়েকে বললো,
~মা, একটু হেঁটে দেখাও তো!
মেয়েটি মুচকি হেসে আমার পিসিকে বললো,
-আমি তো কিছুক্ষণ আগে হেঁটে এসেই এইখানে বসলাম। উড়ে উড়ে এসে তো আর বসি নি, যে এখন হেঁটে দেখাতে হবে!
মেয়ের কথা শুনে বাবা বললো,
- সাধু-সাধু, মেয়ে দেখছি বুদ্ধিমতী। মেয়ের কথায় যুক্তি আছে।
আমি বাবার হাতে চাপ দিয়ে বাবার কানে কানে বললাম চুপ থাকতে কারণ মা রেগে যাচ্ছে..
*গল্পের নাম -*আমার বিয়ে*
আমার বিয়ের জন্য আজ মেয়ে দেখতে যাবো।
আমার সাথে আমার বাবা মা, আমার এক কলিগ আর এক কাকাও যাবেন।
এই অব্দি ঠিক ছিলো কিন্তু না, আমার সাথে আরো যাবেন মামা-মামী, মাসি-মেসো, পিসি-পিসোমশাই, মামাতো ভাইবোন, মাসতুতো ভাইবোন, মার একবান্ধবী আর তার ছেলে আরো কয়েকজন যাবে যাদের আমি নিজেই ভালো করে চিনি না।
এত মানুষ দেখে আমি বাবাকে বললাম,
-- বাবা, এইসব কি! এতজন কেন?
বাবা মুখ গোমড়া করে বললো,
- আমি নিজেও জানি না। তোর মাকে জিজ্ঞেস কর।
আমি মাকে আলাদাভাবে ডেকে বললাম,
-- মা আমি তো মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। মেয়ে তুলে আনতে তো যাচ্ছি না। আমি যতদূর জানি মেয়ের বাবা হাই কলেজের মাস্টার আর মেয়ের একটা ছোট ভাই আছে ক্লাস এইটে পড়ে। সেই হিসাবে ওরা মেয়ে দেখানোর নাম করে আমাকে কিডন্যাপ করার চান্স নেই। তাহলে শুধু শুধু এত সামরিক বাহিনী নিয়ে যাচ্ছি কেন?
মা কিছুটা রেগে বললো,
- তুই এতসব বুঝবি না। আমার একমাত্র ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাবো। এতজন নিয়ে যাচ্ছি কারণ মেয়ের কোন খুঁত(সমস্যা) থাকলে কারো না কারো চোখে নিশ্চয়ই পড়বে।
আমি এই মুহুর্তে কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। যাত্রা পথে মেয়ের বাড়ির জন্য বাবা দোকান থেকে যখন ১৫ কেজি মিষ্টি কিনছিলো তখন পিছন থেকে মা'র বান্ধবী বলে উঠলো,
~আরে জামাইবাবু, আপনার কি বুদ্ধি-শুদ্ধি জীবনেও হবে না? মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময় এত মিষ্টি কিনে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার? দেখা গেলো মেয়ে পছন্দ হলো না তখন মিষ্টি সাথে নিয়ে ফিরে আসাও যাবে না। তারচেয়ে বরং ৫কেজি মিষ্টি নিন।
বাবা আমতা আমতা করে বললো,
- এতজন মানুষ শুধু ৫কেজি মিষ্টি নিয়ে যাবো?
মা তখন বললো,
-- রিনা ঠিক কথা বলেছে। মেয়ে পছন্দ না হলে শুধু শুধু এতগুলো টাকার মিষ্টি জলেই যাবে।
আমার নিরীহ বাবা, মা'র উপর কখনোই কিছু বলার সাহস পায় না। তাই মা'র কথা মতই ৫কেজি মিষ্টি কিনলো। আমি বাবার চেয়েও আরো বেশি নিরীহ। মা'র উপর আমারও কিছু বলার সাহস নেই...
মেয়ে দেখার আগে সবাই ভরপেট খাওয়া দাওয়া করে নিলো। কারণ পরে মেয়ে পছন্দ না হলে খেয়ে নাকি তৃপ্তি পাওয়া যাবে না। তাই আগে খাওয়া-দাওয়া পরে মেয়ে দেখা।
খাওয়া শেষ করে সবাই যখন মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তার কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। পরনে হলুদ শাড়ি আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকে মেয়েটাকে ভয়ংকর রকমের সুন্দর লাগছিলো। মেয়েটা আমার পাশের সোফাতে মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইলো। এমন সময় আমার পিসি মেয়েকে বললো,
~মা, একটু হেঁটে দেখাও তো!
মেয়েটি মুচকি হেসে আমার পিসিকে বললো,
-আমি তো কিছুক্ষণ আগে হেঁটে এসেই এইখানে বসলাম। উড়ে উড়ে এসে তো আর বসি নি, যে এখন হেঁটে দেখাতে হবে!
মেয়ের কথা শুনে বাবা বললো,
- সাধু-সাধু, মেয়ে দেখছি বুদ্ধিমতী। মেয়ের কথায় যুক্তি আছে।
আমি বাবার হাতে চাপ দিয়ে বাবার কানে কানে বললাম চুপ থাকতে কারণ মা রেগে যাচ্ছে..