09-12-2022, 02:45 PM
তুক -4
----------------------------------
“রান্না বেশ ভাল হয়েছে, মায়া”, গোগা বাবার প্রোৎসাহন মায়ার খুব ভাল লাগে। কারণ মায়া নিজের রান্না নিজে খেয়ে অবাক,কারণ নুন, হলুদ, তেল আর মসলা সব কিছুই যেন একেবারে সঠিক মিশ্রণ হয়েছে।
সূর্যাস্তের পর মায়া স্নান করে আসে। গোগা বাবার কথা মত, সে নিজের চুল এলো রাখে আর তার পরনে সেই তাঁতের শাড়ি গোগা বাবা শুধু নিজে র ল্যাঙটি পরেই যজ্ঞ কোরতে বসে
মায়া লক্ষ্য করে যে গোগা বাবার উচ্চারণ করা মন্ত্র গুলি যেন কোন অজানা ভাষায়... সে তাতে অত শত কান দেয়না শুধু গোগা বাবার ইশারা অনুযায়ী, যজ্ঞের অগ্নিতে, ঘী ঢালতে থাকে।
সব কিছু যেন হিসেব করাছিল, গোগা বাবার মন্ত্র উচ্চারণ শেষ হয় আর কুণ্ডের আগুনও যেন নিজে নিজে নিভে যায়।
“মায়া, এই যজ্ঞ তোমার সুরক্ষার জন্য করা হয়ে ছিল। আসল তদন্ত এবং প্রতিকার এখন থেকে শুরু হবে... তুমি একজন অল্পবয়স্ক এবং সম্পূর্ণরূপে বিকশিত বালিকা, যে নাকি প্রজননের বয়সে পৌঁছেছে কেন তুমি আমার যৌনাঙ্গের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে? তোমার মধ্যে কি কোনরকমের যৌনক্ষুধা জাগ্রত হয়েছে?”
“না, বাবা, ক্ষমা করেন”, মায়া বিস্মিত হয়ে প্রতিবাদ করে।
“তুমি কি নিশ্চিত, যে তুমি জীবনে কোন পুরুষ মানুষের যৌনাঙ্গের আকাঙ্ক্ষা করনি?”
“আজ্ঞে... আমার মনে মাঝে মধ্যে এইসব আজে বাজে খেয়াল উদ্ভট কল্পনা আসে... ”, গোগা বাবা বুঝতে পারলো যে মায়া আরও কিছু বলতে গিয়ে যেন আটকে গেল।
“তাতে কনও অসুবিধে নেই... তুমি একটি সাধারণ মেয়ে... এই সব একেবারে স্বাভাবিক”, গোগা বাবা বলে, “তোমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা সেই বদ আত্মার আসল মতলবটা আমি বের করেই ছাড়ব... এই স্থান থেকে নড়বে না, মায়া... আমি একটু নিজের ঘরের ভিতর থেকে আসছি”
মায়া আকাশের দিকে তাকিয়ে দ্যাখে, পৃথিবীর ছায়াতে আধ খাওয়া চাঁদ যেন মেঘের মধ্যে লুকো চুরি খেলছে... ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে তাতে একটি যেন ভিজে ভাব... বৃষ্টি হবেই!
গোগা বাবা ঘর থেকে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে বেরিয়ে আসে।
মায়া সকাল থেকে এক্ষণ অবধি গ্রামে ছিল, ও ভাবতেও পারেনি যে এই পল্লি গ্রামের পরিবেশে- যেখানে নাকি মেয়েদের ব্লাউজ ছাড়া শুধু শাড়ি দিয়ে অঙ্গ ঢেকে রাখাও সরল ভাবে স্বীকার্য- শেখানে কারুর কাছে একটি টেপ রেকর্ডার থাকতে পারে।
“এই টেপটা আমাকে আমার এক ভক্ত দান করেছিল”, গোগা বাবা বলে। এবার মায়ার আর কোন সন্দেহ নেই যে গোগা বাবা মানুষের মনের কথা জানতে পারে।
“এই বার আমি তোমাকে সম্মোহিত করে তোমার অবচেতন মনে প্রবেশ করার চেষ্টা করবো। সেই খানেই আমার মনে হয় ঔ দুষ্ট আত্মাটা বাসা বেঁধেছে... তুমি ভয় পেয় না”
“হ্যাঁ বাবা”, বলে মায়া আবার আকাশের দিকে তাকায়। মেঘ আরও ঘন হয়ে এসেছে, বাতাস মাঝে মাঝে আরও জোরে জোরে বইছে... মায়া গোগা বাবার চোখের দিকে তাকায়। ওর হাত পা যেন অসাড় হয়ে যেতে থাকে, মাথা অল্প ঘুরতে থাকে মায়ার আর মনে হয় যেন ওর দেহটা হাল্কা হয়ে যাচ্ছে... গোগা বাবা টেপ রেকর্ডার চালু করে, বতাম টেপার শব্দ মায়া শুনতে পারে... এরপর আর তার কিছু মনে নেই।
খুট্*! খুট্*! খুট্*!
গোগা বাবার তিন বার তুড়ি মারাতেই মায়ার আচ্ছন্ন কেটে যায়।
মায়া দ্যাখে, তার সুন্দর ভাবে আঁচড়ান এলো চুল যেটা পিটের উপর খেলান ছিল সিতি বিশৃঙ্খল হয়ে মুখে কাঁধে ছড়ান, তার সাড়ীর আঁচল মাটীতে লুটচ্ছিল আর সুডৌল বুক জোড়া ছিল আদুড়। আর সে তখন আর বসে নেই একটা জন্তুর মত হামাগুড়ি দিয়া অবস্থানে গোগা বাবার দিকে তাক করে ছিল, মায়া বিস্মিত হয়ে বলে, “কি হল? আমি এই অবস্থায়ে কি করে এলাম?”
“মায়া মনে হয় তুমি খুব বিপদে পড়েছ...”, গম্ভীর স্বরে গোগা বাবা বলে।
তাড়াতাড়ি নিজের মেয়েলি বক্ষ স্থল ঢেকে, মুখ থেকে চুল সরিয়ে, মায়া দেখল যে সারা আকাশে মেঘ সেজে গেছে। আর কিরকম যেন লালচে একটা আভা। মায়া যানে না যে কতটা সময় ও সম্মোহিত হয়েছিল মট কথা বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেছে, মনে হয়ে ঝড় আসবে আর নামবে প্রচণ্ড বৃষ্টি।
“আপনি একটু বিস্তারে বলুন, বাবা...”
“তাহলে শোন, মায়া, তোমাকে সম্মোহিত করে আমি ঐ প্রেত আত্মাকে তোমার উপর ভর করিয়ে ছিলাম। এটা জানার জন্যে যে ও কি চায়... আমি তার সাথে কথা বলেছি... আমাদের মধ্যে যা কথা বার্তা হয়েছে সেটা টেপ করা আছে... এতে তুমি আমার আর তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে, কিন্তু শুধু কণ্ঠস্বরটাই তোমার, কথা গুলি হচ্ছে জোনাকির”, গোগা বাবা বলে।
“জোনাকি? সেটা আবার কে?”, মায়া জানতে চায়।
“ওই মেয়েটির আত্মা যেটা নাকি তমায় গ্রাস কোরতে চায় আর তোমার উপরে ভর করে আছে”, বলে গোগা বাবা টেপ রিওয়াইন্ড করে চালু করে।
----------------------------------
“রান্না বেশ ভাল হয়েছে, মায়া”, গোগা বাবার প্রোৎসাহন মায়ার খুব ভাল লাগে। কারণ মায়া নিজের রান্না নিজে খেয়ে অবাক,কারণ নুন, হলুদ, তেল আর মসলা সব কিছুই যেন একেবারে সঠিক মিশ্রণ হয়েছে।
সূর্যাস্তের পর মায়া স্নান করে আসে। গোগা বাবার কথা মত, সে নিজের চুল এলো রাখে আর তার পরনে সেই তাঁতের শাড়ি গোগা বাবা শুধু নিজে র ল্যাঙটি পরেই যজ্ঞ কোরতে বসে
মায়া লক্ষ্য করে যে গোগা বাবার উচ্চারণ করা মন্ত্র গুলি যেন কোন অজানা ভাষায়... সে তাতে অত শত কান দেয়না শুধু গোগা বাবার ইশারা অনুযায়ী, যজ্ঞের অগ্নিতে, ঘী ঢালতে থাকে।
সব কিছু যেন হিসেব করাছিল, গোগা বাবার মন্ত্র উচ্চারণ শেষ হয় আর কুণ্ডের আগুনও যেন নিজে নিজে নিভে যায়।
“মায়া, এই যজ্ঞ তোমার সুরক্ষার জন্য করা হয়ে ছিল। আসল তদন্ত এবং প্রতিকার এখন থেকে শুরু হবে... তুমি একজন অল্পবয়স্ক এবং সম্পূর্ণরূপে বিকশিত বালিকা, যে নাকি প্রজননের বয়সে পৌঁছেছে কেন তুমি আমার যৌনাঙ্গের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে? তোমার মধ্যে কি কোনরকমের যৌনক্ষুধা জাগ্রত হয়েছে?”
“না, বাবা, ক্ষমা করেন”, মায়া বিস্মিত হয়ে প্রতিবাদ করে।
“তুমি কি নিশ্চিত, যে তুমি জীবনে কোন পুরুষ মানুষের যৌনাঙ্গের আকাঙ্ক্ষা করনি?”
“আজ্ঞে... আমার মনে মাঝে মধ্যে এইসব আজে বাজে খেয়াল উদ্ভট কল্পনা আসে... ”, গোগা বাবা বুঝতে পারলো যে মায়া আরও কিছু বলতে গিয়ে যেন আটকে গেল।
“তাতে কনও অসুবিধে নেই... তুমি একটি সাধারণ মেয়ে... এই সব একেবারে স্বাভাবিক”, গোগা বাবা বলে, “তোমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা সেই বদ আত্মার আসল মতলবটা আমি বের করেই ছাড়ব... এই স্থান থেকে নড়বে না, মায়া... আমি একটু নিজের ঘরের ভিতর থেকে আসছি”
মায়া আকাশের দিকে তাকিয়ে দ্যাখে, পৃথিবীর ছায়াতে আধ খাওয়া চাঁদ যেন মেঘের মধ্যে লুকো চুরি খেলছে... ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে তাতে একটি যেন ভিজে ভাব... বৃষ্টি হবেই!
গোগা বাবা ঘর থেকে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে বেরিয়ে আসে।
মায়া সকাল থেকে এক্ষণ অবধি গ্রামে ছিল, ও ভাবতেও পারেনি যে এই পল্লি গ্রামের পরিবেশে- যেখানে নাকি মেয়েদের ব্লাউজ ছাড়া শুধু শাড়ি দিয়ে অঙ্গ ঢেকে রাখাও সরল ভাবে স্বীকার্য- শেখানে কারুর কাছে একটি টেপ রেকর্ডার থাকতে পারে।
“এই টেপটা আমাকে আমার এক ভক্ত দান করেছিল”, গোগা বাবা বলে। এবার মায়ার আর কোন সন্দেহ নেই যে গোগা বাবা মানুষের মনের কথা জানতে পারে।
“এই বার আমি তোমাকে সম্মোহিত করে তোমার অবচেতন মনে প্রবেশ করার চেষ্টা করবো। সেই খানেই আমার মনে হয় ঔ দুষ্ট আত্মাটা বাসা বেঁধেছে... তুমি ভয় পেয় না”
“হ্যাঁ বাবা”, বলে মায়া আবার আকাশের দিকে তাকায়। মেঘ আরও ঘন হয়ে এসেছে, বাতাস মাঝে মাঝে আরও জোরে জোরে বইছে... মায়া গোগা বাবার চোখের দিকে তাকায়। ওর হাত পা যেন অসাড় হয়ে যেতে থাকে, মাথা অল্প ঘুরতে থাকে মায়ার আর মনে হয় যেন ওর দেহটা হাল্কা হয়ে যাচ্ছে... গোগা বাবা টেপ রেকর্ডার চালু করে, বতাম টেপার শব্দ মায়া শুনতে পারে... এরপর আর তার কিছু মনে নেই।
খুট্*! খুট্*! খুট্*!
গোগা বাবার তিন বার তুড়ি মারাতেই মায়ার আচ্ছন্ন কেটে যায়।
মায়া দ্যাখে, তার সুন্দর ভাবে আঁচড়ান এলো চুল যেটা পিটের উপর খেলান ছিল সিতি বিশৃঙ্খল হয়ে মুখে কাঁধে ছড়ান, তার সাড়ীর আঁচল মাটীতে লুটচ্ছিল আর সুডৌল বুক জোড়া ছিল আদুড়। আর সে তখন আর বসে নেই একটা জন্তুর মত হামাগুড়ি দিয়া অবস্থানে গোগা বাবার দিকে তাক করে ছিল, মায়া বিস্মিত হয়ে বলে, “কি হল? আমি এই অবস্থায়ে কি করে এলাম?”
“মায়া মনে হয় তুমি খুব বিপদে পড়েছ...”, গম্ভীর স্বরে গোগা বাবা বলে।
তাড়াতাড়ি নিজের মেয়েলি বক্ষ স্থল ঢেকে, মুখ থেকে চুল সরিয়ে, মায়া দেখল যে সারা আকাশে মেঘ সেজে গেছে। আর কিরকম যেন লালচে একটা আভা। মায়া যানে না যে কতটা সময় ও সম্মোহিত হয়েছিল মট কথা বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেছে, মনে হয়ে ঝড় আসবে আর নামবে প্রচণ্ড বৃষ্টি।
“আপনি একটু বিস্তারে বলুন, বাবা...”
“তাহলে শোন, মায়া, তোমাকে সম্মোহিত করে আমি ঐ প্রেত আত্মাকে তোমার উপর ভর করিয়ে ছিলাম। এটা জানার জন্যে যে ও কি চায়... আমি তার সাথে কথা বলেছি... আমাদের মধ্যে যা কথা বার্তা হয়েছে সেটা টেপ করা আছে... এতে তুমি আমার আর তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে, কিন্তু শুধু কণ্ঠস্বরটাই তোমার, কথা গুলি হচ্ছে জোনাকির”, গোগা বাবা বলে।
“জোনাকি? সেটা আবার কে?”, মায়া জানতে চায়।
“ওই মেয়েটির আত্মা যেটা নাকি তমায় গ্রাস কোরতে চায় আর তোমার উপরে ভর করে আছে”, বলে গোগা বাবা টেপ রিওয়াইন্ড করে চালু করে।