03-12-2022, 09:06 PM
(16-11-2022, 11:49 PM)Henry Wrote:অসম্ভব ডিটেল। এর মাধুর্য আলাদা। লেখার শক্তি এখানেই দীপ্যমান।
এ যেন সংহিতার প্রাচীন গান্ধর্ব নিয়ম।
জানালার পর্দা ভেদ করে আলো এসে পড়ছে ঘরে। এই বুঝি রাত শুরু হয়েই শেষ হয়ে গেল। কাবেরীর ভোরে ওঠার অভ্যাসের আজও একচুল এদিক-ওদিক হল না। হলদে আলোয় ভেসে যাচ্ছে পুবের দিকে সিঁড়িখানা। এ যাবৎ একদিনও ছাদে যায়নি কাবেরী। ছাদের ঘরগুলো অব্যবহৃত বলেছিলেন হেমেন দা। আজ যেন সিঁড়িতে পড়া সুষমা কাবেরীকে হাতছানি দিচ্ছে। মুখ হাত ধুয়ে চা খেয়ে ঘড়ি দেখল পাঁচটা চল্লিশ। হেমেন দা সাড়ে ছ'টার দিকেই ওঠেন। কাবেরী সিঁড়ি ধরে উঠে দেখল লম্বা টানা বারান্দায় চারখান ঘর। সবকটার শেকল তোলা। একটা বাদে সবগুলোতেই তালা দেওয়া। তালাহীন দরজাটা খুলে ফেলল সে। কাঠের পুরোনো আসবাব, বেশিরভাগ ভাঙাচোরায় ঠাসা। তার মধ্যে রয়েছে একটা পোট্রেট সাইজ তৈলচিত্র। নির্ঘাত কাবেরীদের কোনো পূর্বজর হবে।
---ওমা! চমকে উঠল কাবেরী। এ যে রবি ঠাকুরের ছবি। কে এঁকেছে, শিল্পীর নাম ছোট ছোট অক্ষরে লেখা; মৃগাঙ্ক রায়চৌধুরী, ১৩৪৮। ঠিক রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর বছরেই আঁকা হয়েছে ছবিটা।
হেমেন রায় ঢুকেছেন তাঁর ঘরের লাগোয়া বাথরুমে। কুন্তী সকালে পড়তে বসেছে। কুশিকে দুদিন আগেই যোগ শিখিয়েছে কাবেরী। একগাদা যোগ খাতায় তুলে দিতেই পেনসিলের পেছনটা মুখে কামড় দিতে দিতে খুব মনোযোগ দিয়েছে ও। কাবেরী হেমেন দার জন্য চা বানিয়ে রাখল ইজি চেয়ারের পাশে।
----দিদিমণি conjugation টা জিগাইবেন না?