03-12-2022, 01:13 AM
(This post was last modified: 08-12-2022, 12:12 AM by মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা (২). Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
প্রিয় পাঠক সমীপেষু,
এই পত্র লিখিবার কালে একটী সংস্কৃত শ্লোক স্মরণে আসিতেছে,
"কার্য্যে কারণতা জাতা কারণে নহি কার্য্যতা।
কারণত্বং ততো গচ্ছেৎ কার্য্যাভাবে বিচারতঃ।।"
পক্ষাদিকাল উত্তীর্ণ হইয়া মাসাদিকালের অন্তিমে পা দিয়াছে আমার শেষ লেখা রাজনন্দিনী (১৮ই কার্ত্তিক হইতে আজ ১৬ই অগ্রহায়ণ)! তাহার পর হইতে আর কোন লেখ প্রকাশিত হয় নাই! ইহার জন্য আমি যারপরনাই লজ্জ্বিত ও ব্যথিত। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, যেইপ্রকার কারণ ও কার্য্যের সমীকরণ সিদ্ধ রহিয়াছে সেইপ্রকার আমার কার্য্যাভাবের কারণও রহিয়াছে!
প্রায় মাসাদিকাল হইল আমি রোগশয্যায় শায়িত রহিয়াছি। যদ্দুর মনে পড়ে, বাবানের সহিত যেই সন্ধ্যায় গল্প করিয়া সায়রা দেবীর মানভঞ্জন করিলাম সেই রাত্তিরেই সুস্থ কায়া ব্যস্ত হইল আমার! পাতালে যাহিতে কেহ কভু খুশী হয় নাই, হাঁসফাঁস করিয়া যাইতে তো গুরুতর আপত্তি থাকে, সেইস্থানে হাসপাতালে যাইতে আমার ঘোরতর আপত্তি ছিল কিন্তু চিত্ত ও শরীরের যুদ্ধে শরীর জয়ী হইল অতএব হাঁসফাঁস করিয়া অ্যাম্বূল্যান্সে চাপিয়া হাসপাতালে দৌড়াইলাম! বর্ত্তমানে, ডাক্তারের নির্দ্দেশে আমার শরীরের দক্ষিণদিকের কোনরূপ অঙ্গচালনার প্রতি নিষেধ রহিয়াছে। তবে চাপ নাই, যেইরকম বুঝিতেছি তাহাতে সম্ভবতঃ আর এক সপ্তাহ পরেই পুনরায় চাঙ্গা হইয়া যাইব।
ইতিমধ্যে আরও একটী ঘটনা ঘটিয়াছে তাহা হইলো, আমার পূর্ব্বতন চলভাষখানি এক পকেটমার ভাইয়ের পছন্দ হওয়ায় উনি উহা পকেটস্থ করিয়া চম্পট দিয়াছেন আমাকে না বলিয়াই, সম্ভবতঃ তাঁহার মনে হইয়াছিল বলিলে আমি রুষ্ট হইয়া তাহাকে চপেটাঘাত করিয়া কষ্ট দিতে পারি তাই শিষ্ট জ্ঞানে উনি লহিয়াছেন। দুর্ভাগ্য হইল এই অধম মহাবীর্য্যের এই ফোরামে আসিবার তালাচাবি উভয়েই উহাতে সংরক্ষিত ছিল সুতরাং অদ্য নতুন একখানা চলভাষ কিনিয়া এইখানে ঢুকিতে গিয়া দেখি চাবিখানি স্মরণে আসিতেছে না। আপনি কহিবেন ইমেল দিয়া নতুন পাসওয়ার্ড বানাইয়া লউন কিন্তু, আমি সেই মহাপণ্ডিত ভৃত্যকে নিজ গুরু মানিয়াছি যে সিন্দুকের ভিতরে সিন্দুকেরই নকল চাবি রাখিয়া দিয়ে তালা মারিয়া দেয় পাছে নকল চাবি হারাইয়া যায়! আমারও তাহাই হইয়াছে! আশা করি দ্বিতীয়বার মহাবীর্য্যের আগমনের কারণখানি বুঝিয়াছেন।
আপনাদের সকলের নিকট, এই অধমের অধম মহাবীর্য্য নতমস্তকে ক্ষমা চাহিতেছে। স্মরণে আসে, একদা বুম্বাকে বলিয়াছিলাম কায়া সুস্থ থাকিলে মসী ঘষিতে থাকিবে, জগদীশ আমাকেই পঞ্চত্ব প্রাপ্তির সম্মুখে নিয়া গিয়া সেই সদুপদেশের মান রাখিলেন!
পরিশেষে,
ভাই বাবান,
তোমার আমার প্রতি ক্ষোভ রহিবে আমি জানি কিন্তু বিশ্বাস করিতে পার, স্বেচ্ছায় আমি উত্তর দিতে পারি নাই তাহা নহে, আদতে উত্তর দিবার পরিস্থিতিতেই আদৌ উপস্থিত থাকিতে পারি নাই। মিত্র সম্মুখে হেঁট মস্তক করিতে নাই তাই সেই স্পর্ধা করিলাম না শুধু সম্ভবপর হইলে নিজ মিত্রকে ক্ষমা করিয়া দিও।
সায়রা দেবী,
আপনি অনন্যা! এই শর্ম্মাজীর সকল ক্ষোভ মান অভিমান সকলই আপনি ক্ষমাসুন্দর চক্ষে সহিয়াছেন। আগামীতেও আপনাকে জ্বালাইব কমসে কম যদ্দিন না পঞ্চভূতে বিলীন হই।
Ddey333
ভাই আমার ভাণ্ডারের সামনে তোমায় মাথা কুটিতে দেখিয়া আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে। ফিরিয়া আসিব চিন্তা নাই। একটু বিলম্ব হইবে এই যা। একটাই আক্ষেপ বুঝিলে ভায়া ৩৯ খানা রেপু সরলবাবু আর রাজনন্দিনী দুইজনে আনিয়া দিয়াছিল তাহা সম্পূর্ণ হারাইলাম। যদি দৈবাৎ ওপারের ডাক আসিয়া যায় আর আমাকে তটস্থ হইয়া চলিয়া যাইতে হয় তো পারিলে মাঝেমধ্যে আমার রাজনন্দিনী বা সরলবাবুকে তোমার মিউজিয়ামে ঠাঁই দিও। লোকে কমসে কম জানিবে কেহ একজন ছিল যে না পারিলেও লিখিত, তাহার কালি মসীতে বসিত না সত্য কিন্তু তবুও সে ঘষিত!
এই পত্র লিখিবার কালে একটী সংস্কৃত শ্লোক স্মরণে আসিতেছে,
"কার্য্যে কারণতা জাতা কারণে নহি কার্য্যতা।
কারণত্বং ততো গচ্ছেৎ কার্য্যাভাবে বিচারতঃ।।"
পক্ষাদিকাল উত্তীর্ণ হইয়া মাসাদিকালের অন্তিমে পা দিয়াছে আমার শেষ লেখা রাজনন্দিনী (১৮ই কার্ত্তিক হইতে আজ ১৬ই অগ্রহায়ণ)! তাহার পর হইতে আর কোন লেখ প্রকাশিত হয় নাই! ইহার জন্য আমি যারপরনাই লজ্জ্বিত ও ব্যথিত। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, যেইপ্রকার কারণ ও কার্য্যের সমীকরণ সিদ্ধ রহিয়াছে সেইপ্রকার আমার কার্য্যাভাবের কারণও রহিয়াছে!
প্রায় মাসাদিকাল হইল আমি রোগশয্যায় শায়িত রহিয়াছি। যদ্দুর মনে পড়ে, বাবানের সহিত যেই সন্ধ্যায় গল্প করিয়া সায়রা দেবীর মানভঞ্জন করিলাম সেই রাত্তিরেই সুস্থ কায়া ব্যস্ত হইল আমার! পাতালে যাহিতে কেহ কভু খুশী হয় নাই, হাঁসফাঁস করিয়া যাইতে তো গুরুতর আপত্তি থাকে, সেইস্থানে হাসপাতালে যাইতে আমার ঘোরতর আপত্তি ছিল কিন্তু চিত্ত ও শরীরের যুদ্ধে শরীর জয়ী হইল অতএব হাঁসফাঁস করিয়া অ্যাম্বূল্যান্সে চাপিয়া হাসপাতালে দৌড়াইলাম! বর্ত্তমানে, ডাক্তারের নির্দ্দেশে আমার শরীরের দক্ষিণদিকের কোনরূপ অঙ্গচালনার প্রতি নিষেধ রহিয়াছে। তবে চাপ নাই, যেইরকম বুঝিতেছি তাহাতে সম্ভবতঃ আর এক সপ্তাহ পরেই পুনরায় চাঙ্গা হইয়া যাইব।
ইতিমধ্যে আরও একটী ঘটনা ঘটিয়াছে তাহা হইলো, আমার পূর্ব্বতন চলভাষখানি এক পকেটমার ভাইয়ের পছন্দ হওয়ায় উনি উহা পকেটস্থ করিয়া চম্পট দিয়াছেন আমাকে না বলিয়াই, সম্ভবতঃ তাঁহার মনে হইয়াছিল বলিলে আমি রুষ্ট হইয়া তাহাকে চপেটাঘাত করিয়া কষ্ট দিতে পারি তাই শিষ্ট জ্ঞানে উনি লহিয়াছেন। দুর্ভাগ্য হইল এই অধম মহাবীর্য্যের এই ফোরামে আসিবার তালাচাবি উভয়েই উহাতে সংরক্ষিত ছিল সুতরাং অদ্য নতুন একখানা চলভাষ কিনিয়া এইখানে ঢুকিতে গিয়া দেখি চাবিখানি স্মরণে আসিতেছে না। আপনি কহিবেন ইমেল দিয়া নতুন পাসওয়ার্ড বানাইয়া লউন কিন্তু, আমি সেই মহাপণ্ডিত ভৃত্যকে নিজ গুরু মানিয়াছি যে সিন্দুকের ভিতরে সিন্দুকেরই নকল চাবি রাখিয়া দিয়ে তালা মারিয়া দেয় পাছে নকল চাবি হারাইয়া যায়! আমারও তাহাই হইয়াছে! আশা করি দ্বিতীয়বার মহাবীর্য্যের আগমনের কারণখানি বুঝিয়াছেন।
আপনাদের সকলের নিকট, এই অধমের অধম মহাবীর্য্য নতমস্তকে ক্ষমা চাহিতেছে। স্মরণে আসে, একদা বুম্বাকে বলিয়াছিলাম কায়া সুস্থ থাকিলে মসী ঘষিতে থাকিবে, জগদীশ আমাকেই পঞ্চত্ব প্রাপ্তির সম্মুখে নিয়া গিয়া সেই সদুপদেশের মান রাখিলেন!
পরিশেষে,
ভাই বাবান,
তোমার আমার প্রতি ক্ষোভ রহিবে আমি জানি কিন্তু বিশ্বাস করিতে পার, স্বেচ্ছায় আমি উত্তর দিতে পারি নাই তাহা নহে, আদতে উত্তর দিবার পরিস্থিতিতেই আদৌ উপস্থিত থাকিতে পারি নাই। মিত্র সম্মুখে হেঁট মস্তক করিতে নাই তাই সেই স্পর্ধা করিলাম না শুধু সম্ভবপর হইলে নিজ মিত্রকে ক্ষমা করিয়া দিও।
সায়রা দেবী,
আপনি অনন্যা! এই শর্ম্মাজীর সকল ক্ষোভ মান অভিমান সকলই আপনি ক্ষমাসুন্দর চক্ষে সহিয়াছেন। আগামীতেও আপনাকে জ্বালাইব কমসে কম যদ্দিন না পঞ্চভূতে বিলীন হই।
Ddey333
ভাই আমার ভাণ্ডারের সামনে তোমায় মাথা কুটিতে দেখিয়া আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে। ফিরিয়া আসিব চিন্তা নাই। একটু বিলম্ব হইবে এই যা। একটাই আক্ষেপ বুঝিলে ভায়া ৩৯ খানা রেপু সরলবাবু আর রাজনন্দিনী দুইজনে আনিয়া দিয়াছিল তাহা সম্পূর্ণ হারাইলাম। যদি দৈবাৎ ওপারের ডাক আসিয়া যায় আর আমাকে তটস্থ হইয়া চলিয়া যাইতে হয় তো পারিলে মাঝেমধ্যে আমার রাজনন্দিনী বা সরলবাবুকে তোমার মিউজিয়ামে ঠাঁই দিও। লোকে কমসে কম জানিবে কেহ একজন ছিল যে না পারিলেও লিখিত, তাহার কালি মসীতে বসিত না সত্য কিন্তু তবুও সে ঘষিত!