02-12-2022, 11:55 AM
উপেক্ষা -২ (first chapter ending)
সন্ধ্যা ৭.৪৫ এর মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে নেন অখিলবাবু,৮ টা বাজলে তাঁর ডিউটি শেষ। তিনি বসে বসে রাতের স্টেশন মাস্টার সঞ্জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো, সে আসলে তবেই তিনি যেতে পারবে।
সঞ্জয় তালুকদার,পূর্ব পুরুষ একটা সময় জমিদার ছিল, সেই জমিদারির জল ধুয়ে খেতে খেতে একটা সময় নিঃস্ব হয়ে পড়ে সঞ্জয়ের বাবা বিজয় তালুকদার, সাথে ছিল নারীসুধার আসক্তি। জমিদারি বলতে শুধুমাত্র বাড়িটুকুই ছিল শেষ সম্বল কিন্তু অবশেষে সেটিও হাত থেকে যাওয়ার পড়ে পথে এসে পড়েন সঞ্জয়ের বাবা বিজয় তালুকদার এবং কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের ইতিহাসের দৌলতে চাকরিটা পায় সঞ্জয় তালুকদার। পরে বিয়েও করেন কিন্তু বিয়ের তিন বছর হতে না হতেই স্ত্রী মারা যান, তারপরে ৬ বছর হয়ে গেছে তিনি এখনো বিয়ে করেনি তবে নারীসঙ্গ যে তিনি পাননা তা একদমই নয়,শোনা যায় গ্রামের শেষের নোংরা বস্তিতে তাঁর যাওয়া আসা আছে।
সঞ্জয়বাবু আসলেন ৮.০৪ মিনিটে। অখিল বাবু বেরিয়ে যাবেন এমন সময় তাঁর একটা বিষয় মনে পড়লো। তিনি সঞ্জয় বাবুকে বললেন:"আচ্ছা, কালকে রাতে কি স্টেশণের আসে পাশে কিছু ঘটেছিলো? "
সঞ্জয়বাবুর চোখে ভ্রূকুটি দেখা দিলো। তিনি বললেন:"হঠাৎ এরকম কথা বলছো কেন?"
অখিল:"না আসলে কয়েকদিন ধরেই লাইনের উপর মদের বোতল লক্ষ্য করছি, আজকে সেখানে কয়েকফোঁটা রক্তও লক্ষ্য করেছি"
সঞ্জয় বাবুর চোখটি যেন এক মুহূর্তের জন্য জ্বলে উঠল তিনি যেন উত্তেজনা চেপে বললো:"আমারতো মনে হচ্ছে কোনো মাতালের দল এসে সেখানে মদ খাই, কালকে হয়তো মারামারিও করেছে, তাঁর সেই রক্ত। এসব নিয়ে খামখা ভেবে আর বি.পি বাড়াবেননা।"
অখিল বাবুর কথাটা মনে না ধরলেও সবচেয়ে যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যা এটাই হয় কারণ গ্রামে তো কেউ খুন বা মারা যায়নি, তাহলে নিশ্চই মারামারি করেছে মাতালগুলো। অখিলবাবু কিছুক্ষন চুপ করে থেকে তারপর বললো:"ঠিক বলেছেন, আমি বেশিই চিন্তা করে ফেলেছি।"
অখিলবাবু রওনা হলেন বাড়ির জন্য।
======================================
নিখিল বাড়িতে এসে দেখলো যে মূর্তির এখনো রং বদলায়নি। সেটাকে নিয়ে সে চিলেকোঠার ঘরে পুরোনো জিনিসপত্রের পিছনে একটা ভালো জায়গা খুঁজে লুকিয়ে রাখলো। এই ঘরে কেউ আসেনা তেমন তাই কারো দেখার সম্ভাবনাও নেই।অখিলবাবুর আসার সময় হয়ে গেছে তাই নীলিমা দেবী খাবার বসিয়ে দিলেন আর নিখিলকে বললেন ভাইয়ের পাশে বসতে। নিখিল অনেক্ষন বসে বসে ভাবতে লাগলো আকাশ পাতাল
""আচ্ছা শুভমের মা পালিয়ে গেলো কেন? শুভমের মা কি শুভমকে ভালোবাসেনা, তাঁর মাওতো রেগে গেলে মাঝে সাঝে বলে যে সে সবকিছু ছেড়ে চলে যাবে, তাহলে কি তাঁর মাও শুভমের মায়ের মতো পালিয়ে যেতে পারে, তাঁর মা যদি পালিয়ে যায় তাহলে তাঁর কি হবে, তারতো ভীষণ দুঃখ হবে""
নিখিলের চিন্তায় বাঁধা পড়লো কারণ রিক্সা দাঁড়ানোর শব্দ এলো বাইরে থেকে। নিখিল বুঝতে পারলো তাঁর বাবা এসেছে, নিখিল দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললো:"বাবা জানো!আমাদের গ্রামে সার্কাস হবে!"
"আচ্ছা তাই নাকি "
"হ্যাঁ বাবা, আমাকে নিয়ে যাবে তো?"
"যদি সত্যি সার্কাস বসে থাকে তাহলে শুধু তুই কেন, আমরা সবাই মিলে গিয়ে দেখে আসবো"
নিখিল কথাগুলো তাঁর মাকেও বলেছিল তবে সে জানে যে বাবার অনুমতি ছাড়া কিছু হয়না এই বাড়িতে।
রাতে নিখিল একাই ঘুমাই, যদিও ভাই হওয়ার আগে সে মা বাবার সাথেই ঘুমাতো। তবে মাঝে মাঝে সেও মা বাবার সাথে ঘুমাই, যেমন কালকে ঘুমিয়েছিলে। তবে আজকে সে একাই ঘুমাবে কারন তাঁর বার বার মূর্তিটা দেখার ইচ্ছা হচ্ছে এবং সেটা সবাই ঘুমিয়ে পড়লেই সে করতে পারবে।
রাত যখন সাড়ে বারোটা বাজে তখন নিখিলের মনে হলো যে এটাই সঠিক সময়। সে আসতে আসতে খুব সাবধানে ঘরের দরজা খুললো এবং পা টিপে টিপে এগোতে লাগলো সিঁড়ির দিকে, সেদিকে যাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের ঘরের সামনে দিয়ে যেতে হয়।সে যখন বাবা মায়ের ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো তখন সে একটা শব্দ শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়ালো, কিছু একটা নড়ার শব্দ, খাট বা সেই জাতীয় কিছু, কারণ সেটা থেকে কঁচ কঁচ শব্দ হচ্ছিলো, নিখিল সেটাকে উপেক্ষা করে আবার ছাদের দিকে পা বাড়ালো। চিলেকোঠার ঘরে পৌঁছে সে আস্তে করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো আর যেখানে সে মূর্তিটা রেখেছিলো সে দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল, সেখানথেকে যেন সামান্য দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে, সে দ্যুতির রং নীল।সে জিনিসপত্রের পিছন থেকে মূর্তিটাকে বের করলো, হ্যাঁ ওটা থেকেই বেরোচ্ছে আলোটা তবে সেটার তীব্রতা খুবই কম। নিখিলের মনে ভয় এবং রোমাঞ্চ দুটোই একসাথে দেখা দিলো, সে কিছুক্ষন সেটার দিকে তাকিয়ে থাকে থাকতেই সেটার দ্যুতি আরও কমতে শুরু করলো এবং একটা সময় সেটি আবার নিজের রং বদলে নীল থেকে সবুজ হয়ে গেলো। পুরো ঘটনাটি ঘটতে পাঁচ মিনিট সময় লাগলো।নিখিল আবার সেটাকে যথাস্থানে রেখে দরজা বন্ধ করে দিলো। এবং পা টিপে টিপে সিঁড়ি থেকে নেমে নিজের ঘরের দিকে যেতে লাগলো কিন্তু এবার আর সে মা বাবার ঘর থেকে কোনো শব্দ শুনতে পেলোনা।
নীলিমা দেবীর ঘুম আসছেনা, বার বার নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন তিনি কোনো বড়োসড়ো পাপ করে ফেলেছেন, তাঁর সতীত্বে যেন দাগ লেগে গেছে। মনে হলো যেন নিজেকে শেষ করে ফেলবেন তিনি তবেই এই পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। নিজের স্বামীর সাথে মিলিত হওয়ার সময় কিভাবে তিনি একজন পরপুরুষের কথা ভাবতে পারেন, তাও একজন নোংরা মাতাল যার সাথে তাঁর স্বামীর তুলনায় হয়না। তাঁর বার বার কেন মনে পড়ছিল মাটিতে ধুলো মাখা সেই নোংরা লিঙ্গটির কথা, এই প্রথম বার স্বামীর সাথে সঙ্গম করার পরেও কেন মনে হচ্ছিলো যে তিনি পরিপূর্ণ নয়। মনে মনে বললেন"ছিঃ নীলিমা ছিঃ, তুইনা একজন ব্রাহ্মনের স্ত্রী,দুই বাচ্চার মা,তুই কোনো বস্তির মেয়ে কমলা নয় যে নষ্টা মেয়ের মতো তোর মাথায় এসব ঘুরবে। "
অনেকটা জোর করেই নিজের চোখ বুঝলেন নীলিমা দেবী।
সন্ধ্যা ৭.৪৫ এর মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে নেন অখিলবাবু,৮ টা বাজলে তাঁর ডিউটি শেষ। তিনি বসে বসে রাতের স্টেশন মাস্টার সঞ্জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো, সে আসলে তবেই তিনি যেতে পারবে।
সঞ্জয় তালুকদার,পূর্ব পুরুষ একটা সময় জমিদার ছিল, সেই জমিদারির জল ধুয়ে খেতে খেতে একটা সময় নিঃস্ব হয়ে পড়ে সঞ্জয়ের বাবা বিজয় তালুকদার, সাথে ছিল নারীসুধার আসক্তি। জমিদারি বলতে শুধুমাত্র বাড়িটুকুই ছিল শেষ সম্বল কিন্তু অবশেষে সেটিও হাত থেকে যাওয়ার পড়ে পথে এসে পড়েন সঞ্জয়ের বাবা বিজয় তালুকদার এবং কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের ইতিহাসের দৌলতে চাকরিটা পায় সঞ্জয় তালুকদার। পরে বিয়েও করেন কিন্তু বিয়ের তিন বছর হতে না হতেই স্ত্রী মারা যান, তারপরে ৬ বছর হয়ে গেছে তিনি এখনো বিয়ে করেনি তবে নারীসঙ্গ যে তিনি পাননা তা একদমই নয়,শোনা যায় গ্রামের শেষের নোংরা বস্তিতে তাঁর যাওয়া আসা আছে।
সঞ্জয়বাবু আসলেন ৮.০৪ মিনিটে। অখিল বাবু বেরিয়ে যাবেন এমন সময় তাঁর একটা বিষয় মনে পড়লো। তিনি সঞ্জয় বাবুকে বললেন:"আচ্ছা, কালকে রাতে কি স্টেশণের আসে পাশে কিছু ঘটেছিলো? "
সঞ্জয়বাবুর চোখে ভ্রূকুটি দেখা দিলো। তিনি বললেন:"হঠাৎ এরকম কথা বলছো কেন?"
অখিল:"না আসলে কয়েকদিন ধরেই লাইনের উপর মদের বোতল লক্ষ্য করছি, আজকে সেখানে কয়েকফোঁটা রক্তও লক্ষ্য করেছি"
সঞ্জয় বাবুর চোখটি যেন এক মুহূর্তের জন্য জ্বলে উঠল তিনি যেন উত্তেজনা চেপে বললো:"আমারতো মনে হচ্ছে কোনো মাতালের দল এসে সেখানে মদ খাই, কালকে হয়তো মারামারিও করেছে, তাঁর সেই রক্ত। এসব নিয়ে খামখা ভেবে আর বি.পি বাড়াবেননা।"
অখিল বাবুর কথাটা মনে না ধরলেও সবচেয়ে যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যা এটাই হয় কারণ গ্রামে তো কেউ খুন বা মারা যায়নি, তাহলে নিশ্চই মারামারি করেছে মাতালগুলো। অখিলবাবু কিছুক্ষন চুপ করে থেকে তারপর বললো:"ঠিক বলেছেন, আমি বেশিই চিন্তা করে ফেলেছি।"
অখিলবাবু রওনা হলেন বাড়ির জন্য।
======================================
নিখিল বাড়িতে এসে দেখলো যে মূর্তির এখনো রং বদলায়নি। সেটাকে নিয়ে সে চিলেকোঠার ঘরে পুরোনো জিনিসপত্রের পিছনে একটা ভালো জায়গা খুঁজে লুকিয়ে রাখলো। এই ঘরে কেউ আসেনা তেমন তাই কারো দেখার সম্ভাবনাও নেই।অখিলবাবুর আসার সময় হয়ে গেছে তাই নীলিমা দেবী খাবার বসিয়ে দিলেন আর নিখিলকে বললেন ভাইয়ের পাশে বসতে। নিখিল অনেক্ষন বসে বসে ভাবতে লাগলো আকাশ পাতাল
""আচ্ছা শুভমের মা পালিয়ে গেলো কেন? শুভমের মা কি শুভমকে ভালোবাসেনা, তাঁর মাওতো রেগে গেলে মাঝে সাঝে বলে যে সে সবকিছু ছেড়ে চলে যাবে, তাহলে কি তাঁর মাও শুভমের মায়ের মতো পালিয়ে যেতে পারে, তাঁর মা যদি পালিয়ে যায় তাহলে তাঁর কি হবে, তারতো ভীষণ দুঃখ হবে""
নিখিলের চিন্তায় বাঁধা পড়লো কারণ রিক্সা দাঁড়ানোর শব্দ এলো বাইরে থেকে। নিখিল বুঝতে পারলো তাঁর বাবা এসেছে, নিখিল দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললো:"বাবা জানো!আমাদের গ্রামে সার্কাস হবে!"
"আচ্ছা তাই নাকি "
"হ্যাঁ বাবা, আমাকে নিয়ে যাবে তো?"
"যদি সত্যি সার্কাস বসে থাকে তাহলে শুধু তুই কেন, আমরা সবাই মিলে গিয়ে দেখে আসবো"
নিখিল কথাগুলো তাঁর মাকেও বলেছিল তবে সে জানে যে বাবার অনুমতি ছাড়া কিছু হয়না এই বাড়িতে।
রাতে নিখিল একাই ঘুমাই, যদিও ভাই হওয়ার আগে সে মা বাবার সাথেই ঘুমাতো। তবে মাঝে মাঝে সেও মা বাবার সাথে ঘুমাই, যেমন কালকে ঘুমিয়েছিলে। তবে আজকে সে একাই ঘুমাবে কারন তাঁর বার বার মূর্তিটা দেখার ইচ্ছা হচ্ছে এবং সেটা সবাই ঘুমিয়ে পড়লেই সে করতে পারবে।
রাত যখন সাড়ে বারোটা বাজে তখন নিখিলের মনে হলো যে এটাই সঠিক সময়। সে আসতে আসতে খুব সাবধানে ঘরের দরজা খুললো এবং পা টিপে টিপে এগোতে লাগলো সিঁড়ির দিকে, সেদিকে যাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের ঘরের সামনে দিয়ে যেতে হয়।সে যখন বাবা মায়ের ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো তখন সে একটা শব্দ শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়ালো, কিছু একটা নড়ার শব্দ, খাট বা সেই জাতীয় কিছু, কারণ সেটা থেকে কঁচ কঁচ শব্দ হচ্ছিলো, নিখিল সেটাকে উপেক্ষা করে আবার ছাদের দিকে পা বাড়ালো। চিলেকোঠার ঘরে পৌঁছে সে আস্তে করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো আর যেখানে সে মূর্তিটা রেখেছিলো সে দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল, সেখানথেকে যেন সামান্য দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে, সে দ্যুতির রং নীল।সে জিনিসপত্রের পিছন থেকে মূর্তিটাকে বের করলো, হ্যাঁ ওটা থেকেই বেরোচ্ছে আলোটা তবে সেটার তীব্রতা খুবই কম। নিখিলের মনে ভয় এবং রোমাঞ্চ দুটোই একসাথে দেখা দিলো, সে কিছুক্ষন সেটার দিকে তাকিয়ে থাকে থাকতেই সেটার দ্যুতি আরও কমতে শুরু করলো এবং একটা সময় সেটি আবার নিজের রং বদলে নীল থেকে সবুজ হয়ে গেলো। পুরো ঘটনাটি ঘটতে পাঁচ মিনিট সময় লাগলো।নিখিল আবার সেটাকে যথাস্থানে রেখে দরজা বন্ধ করে দিলো। এবং পা টিপে টিপে সিঁড়ি থেকে নেমে নিজের ঘরের দিকে যেতে লাগলো কিন্তু এবার আর সে মা বাবার ঘর থেকে কোনো শব্দ শুনতে পেলোনা।
নীলিমা দেবীর ঘুম আসছেনা, বার বার নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন তিনি কোনো বড়োসড়ো পাপ করে ফেলেছেন, তাঁর সতীত্বে যেন দাগ লেগে গেছে। মনে হলো যেন নিজেকে শেষ করে ফেলবেন তিনি তবেই এই পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। নিজের স্বামীর সাথে মিলিত হওয়ার সময় কিভাবে তিনি একজন পরপুরুষের কথা ভাবতে পারেন, তাও একজন নোংরা মাতাল যার সাথে তাঁর স্বামীর তুলনায় হয়না। তাঁর বার বার কেন মনে পড়ছিল মাটিতে ধুলো মাখা সেই নোংরা লিঙ্গটির কথা, এই প্রথম বার স্বামীর সাথে সঙ্গম করার পরেও কেন মনে হচ্ছিলো যে তিনি পরিপূর্ণ নয়। মনে মনে বললেন"ছিঃ নীলিমা ছিঃ, তুইনা একজন ব্রাহ্মনের স্ত্রী,দুই বাচ্চার মা,তুই কোনো বস্তির মেয়ে কমলা নয় যে নষ্টা মেয়ের মতো তোর মাথায় এসব ঘুরবে। "
অনেকটা জোর করেই নিজের চোখ বুঝলেন নীলিমা দেবী।