18-11-2022, 12:21 PM
(18-11-2022, 09:11 AM)Sanjay Sen Wrote: কত কিছু পেলাম এই পর্বে। বর্ণালী দেবীর সেই বিভীষিকাময় রাতের স্মৃতিচারণ, প্রদীপের জন্ম রহস্যের উন্মোচন - তাই আমি ভাবছিলাম যে আগের দিন দলের একটা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওইভাবে ঘেমে-নেয়ে একসা হচ্ছিল কেন হারামি বিধায়কটা। এখন বুঝলাম মালটাই ওর অবৈধ বাপ। এরপর বলতেই হবে সন্দীপের বীর বিক্রমে আগমন এবং বাকিদের কাছে তো বটেই, উপরন্তু একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে ঝাড় খেয়ে লেজ গুটিয়ে পলায়ন। ব্যাপারটা দারুন এনজয় করেছি আর তার সঙ্গে ওদের কথোপকথন গুলো পুরো সিনেম্যাটিক ছিল - একদম মারকাটারি যাকে বলে। তবে এই পর্বের পুরোটাই ব্যালেন্স করে গেছে এই উপন্যাসের আমার সব থেকে প্রিয় চরিত্র সুজাতা। বাইরে যাই করুক বাড়িতে ছেলেকে নিজের কন্ট্রোলে রেখেছে, সন্দীপের বাঁদরামি almost চেপে দিয়েছে আর শেষে কাবেরীকে যেভাবে দাবড়ে দিলো, তাতে আজকের এই পর্ব সুজাতাময়। কিন্তু না, এখানেই একটা টুইস্ট আছে। আজকের পর্বে সুজাতা, গোগোল, হিয়া এদের মতো রথী মহারথীরা প্রেজেন্ট থাকলেও সবার নজর কেড়ে নিয়েছে ওই so-called অর্ধশিক্ষিত মুদিখানার দোকানদারের মেয়ে টগর - তার উপস্থিতিতে, তার বাচন ভঙ্গিমায়, তার বক্তব্য প্রেম প্রকাশে। হিয়া শেষ পর্যন্ত থাকুক আর নাই থাকুক টগর যেন থাকে - এটাই একমাত্র অনুরোধ তোমার কাছে। কারণ, তুমি মানুষটা তো ভীষণ আনপ্রেডিক্টেবল, সর্বোপরি টগরের সাইকেল চালিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা পড়তে পড়তে কেন জানি না মনে হচ্ছিল তোমার মাথায় অন্য কিছু ঘটছে। থাক এর বেশি আর কিছু বললাম না। সবশেষে এটা বলতেই হবে মহারাজা তোমারে সেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধুবর এইরকম মন্তব্য পেলে ভালো কিছু লেখার তাগিদ হাজারগুন বেড়ে যায়।পাঠকদের বিশেষ করে প্রিয় পাঠকের অনুরোধ রাখতে পারলে লেখকের থেকে খুশি বোধহয় আর বেশি কেউ হয় না। তবে এখনই বেশি কিছু না বলে এটুকুই বলতে পারি .. দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। আর সবশেষে সেই এক ফাটা রেকর্ডের মতো বলবো - সঙ্গে থাকো আর পড়তে থাকো।