Thread Rating:
  • 43 Vote(s) - 2.74 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy ভূতের রাজা দিল বর
১৫। চাইনিস পেগ

মার এই এক ভাল দিক। গতকাল ই রবি বাবু যে আসলে রবিউল সেটা জানার পর ঠিক যে পরিমাণ হতাশা এসেছিল আজ তা সম্পূর্ণ উধাও। সকালে যখন জিন্স আর টপ পড়ে বেরোয় যেন ডানা কাটা পরী। আসলে বাবা কথা রেখেছে। বাবা মা বেরোনোর অনেক পরে পিসেমসাই আসে।
পিসেমশাইকে ডাকার প্ল্যান টা আমার ই ছিল। নয়ত ঠিক পিসেমশাই বাবা মাকে ডিসটার্ব করতে বেরিয়ে পড়ত।

'চল তোকে আজ ঝাড়গ্রাম নিয়ে যাই। অরন্য আমার খুব প্ৰিয় জায়গা।'
মনে মনে একবার বলে উঠলাম, 'বাবা মাও ঝাড়গ্রাম এর দিকে যায়নি তো?'

যতটুকু জ্যাম ছিল তা ওই দ্বিতিয় হুগলি সেতু অবধি। তারপরে বাইপাশে গাড়িটা উঠতেই একদম ফাঁকা রাস্তা। কোলাঘাট এর কাছে একটা ধাবায় গাড়িটা দাঁড় করালো পিসেমশাই। গাড়ী থেকে নেমেই মিনিট পাচেক একমনে মেসেজ এ যেন কার সাথে কথা বলে নিল। আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমায় লক্ষ্য করে আমার কাঁধে একটা চাপর দিয়ে বলল,
'আমরা কোথায় জাচ্ছি জানিস তো?'
আমি উত্তর দিলাম
'ঝাড়গ্রাম'
'ধুর বোকা আমরা জাচ্ছি ঘাটশিলা। আপাতত ঘাটশীলা, তারপর জানিনা'
আমার মনে কেমন খটকা লাগলো। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ছিল গন্তব্য ঝাড়গ্রাম তারপর কোলাঘাটে দাঁড়িয়ে পিসেমশাই কার সাথে যেন মেসেজে কথা বলল আর এখন নতুন গন্তব্য হোল ঘাটশিলা। আর পিসেমশাই এর কথায় মনে হোল তাও চেঞ্জ হতে পারে।
যাই হোক লাইন ধাবার খাবার বরাবর ই আমার খুব ভাল লাগে।
প্রায় 4 টে লুচি খেয়ে ফেললাম।
আমাদের গাড়িটা আবার যাত্রা স্টার্ট করল।
আমরা যখন ঘাটশিলার কাছাকাছি তখন বাইপাসের ওপর আবার পিসেমশাই গাড়ী টা দাঁড় করালো। দিয়ে আবার কাউকে মেসেজ করে যেন তার মেসেজ এর রিপ্লাই এর অপেক্ষা করল। বেশ কিছুক্ষন।
কেন জানিনা এই এতটা রাস্তায় পিসেমশাই সেভাবে মনে রাখার মতো কিছুই বলল না। যেন খুব চিন্তিত। কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বা ফলো করছে।
অনেক দিন পর বাবা আর মাকে একসাথে এতো খুশি দেখছি। আসলে বাবার কাজের চাপ টা খুব বেশী করে প্রভাব ফেলেছে। আমি কিছুতেই চাই না যে সত্যিই পিসেমশাই বাবা মার মাঝে আজ যাক।
পিসেমশাই হয়ত খেয়াল করেনি আমি লুকিয়ে হাতে মোবাইল থাকা অবস্থায় হঠাৎ মেসেজ বক্স টার দিকে তাকাই।
'এই তো ঘাটশিলা ঢুকছে। কোনদিকে যাবো কিছুই তো বুঝতে পারছি না। তুই এখন কোন জায়গা টায়।'
মেসেজ করে চুপ করে বসে থাকে পিসেমশাই। কোন রিপ্লাই আসেনা। এদিকে জঙ্গল এরিয়া, সন্ধ্যেও প্রায় নেমে গেছে। হালকা হালকা ঠান্ডাও লাগছিল।
বেশ কিছুক্ষন পরে রিপ্লাই আসে,
'দাদা একটা বিপদে পড়েছি। '
'হঠাৎ গাড়ির সামনে কয়েকটা ছাগল চলে আসে বাচাতে গিয়ে গাড়ী যেই ডান দিকে কাটালাম সোজা ক্ষেতের মধ্যে'
'শুন শান জায়গা। আসে পাশে কেউ নেই। মনে হয়না কাল সকালের আগে গাড়িটা বার করতে পারব'
আমার আর বুঝতে কোন অসুবিধে রইল না যে এটা আমার বাবা মার গাড়ির ড্রাইভার।
পিসেমশাই বাবা মার পিছু নিয়েছে।
'আরে আছিস কোন জায়গায় তা তো বলবি '
সাথে সাথে উত্তর চলে আসে,
'এটা ঘাটশিলা আর রাখামাইন্স এর মাঝামাঝি কোন জায়গা'
'আর ওরা দুজন কোথায়?'
রাস্তার ধারেই একটা ছোট পাহাড় আছে। ওর ওপর একটা রেস্ট হাউস। এই ওনারা দুজন এবার ওদিকে যাবেন। হয়ত আজ রাত টা ওখানেই কাটাবেন'
সাথে সাথে পিসেমশাই এর রিপ্লাই,
'তুই রাস্তার ওপর ই দাঁড়িয়ে থাক। নয়ত আমি বুঝতে পারবো না'
.....................................................................….......................................
প্রায় মিনিট 15 পর ড্রাইভার এর দেখা পেলাম। পিসেমশাই এর পিছু পিছু ধাপে ধাপে কাটা পাহাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম। রেস্ট হাউসের ঠিক সামনে এক দারোয়ান দাঁড়িয়ে। সে আমাদের পথ আটকালো।
'স্যার আমাদের একটাই কটেজ ওয়ার্কিং আছে। আর সেটা এই আধ ঘণ্টা হোল বুক হয়ে গেছে'
একটু চালাকি করে পিসেমশাই উত্তর দেয়,
'এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে বাচ্চা ছেলেটা কে নিয়ে কোথায় যাই বলো তো'
সেই দারোয়ান সাথে সাথে উত্তর দেয়,
'স্যার, আর 4 কিমি দূরে ঠিক এরম ই একটা রেস্ট হাউস পেয়ে যাবেন। আপনারা বরং ওটায় চলে যান'
মাথা চুলকাতে চুলকাতে পিসেমশাই উত্তর দেয়,
'আসলে আমাদের গাড়ী টাও খারাপ হয়ে গেছে। খুব বিপদে পড়ে এখানে এসেছি'
সেই দারোয়ান কোন উত্তর দেয়না।
'বলছি কটেজ টায় যারা আছেন একটু কথা বলা যাবে কি। যদি ওনারা শেয়ার করতে রাজি থাকেন'
'একটা ফ্যামিলি আছে স্যার। মনে হয়না ওনারা রাজি হবেন'
'আপনারা এখানে দাঁড়ান। আমি একবার গিয়ে কথা বলে আসছি'

বেশ কিছুক্ষন পর সেই দারোয়ান ফিরে আসে।
'না স্যার, ওনারা রাজি নন'
অগত্যা আমি আর পিসেমশাই ফিরে যেতে লাগলাম।
কি হোল কি জানি। পিসেমশাই ঘুরে আবার সেই দারয়ানের কাছে গেল।
'আপনাদের রেস্ট হাউস টার অনেক নাম শুনেছি। থাকতে তো পারলাম না। একটু ঘুরে দেখা যাবে কি। যদি কটেজ টাও একবার দেখান।'
যাই হোক এবার দারোয়ান টা রাজি হয়ে যায়।
কিছুদুর যাওয়ার পর ই একটা ঝর্না। আর ঝর্ণার গা বরাবর একটা কটেজ। আরো কিছু কটেজ কনস্ট্রাকশন চলছে।
'একটু যদি কটেজ টার ভেতর টা দেখান। পরের বার যখন আসবো তখন এটাতেই থাকবো'
কিছুটা অনিচ্ছা সহকারে হলেও দারোয়ান দরজায় নক করে।

'একি দিনুদা আপনি?'
বাবার পেছন থেকে মা মুচকি মুচকি হাসে। যেন এরম ই কিছুর একটা আশঙ্কা আগেই করেছিল।
............................................................................................................................................
'মণি তোদের কাঁটা হয়ে গেলাম না তো?'
মায়ের মুখের বিরক্তি টা লুকানো সম্ভব নয়। তাও ভদ্রতার খাতিরে উত্তর দেয়,
'আরে নানা। ভালই তো হল আপনি এলেন।'
মায়ের পড়নে সেই সাদা টি শার্ট টা। পিসেমশাই একবার মার উন্মুক্ত থাই দুটোর দিকে দেখে মুখটা আবার ঘুরিয়ে নিল। বাবা মা দুজনেই তা খেয়াল করে।

বিরক্তি বাবার ও মুখে। টেবিলের ওপর রাখা বিদেশি হুইস্কির বোতল টা দেখে পিসেমশাই বলে ওঠে,
'বাবা বিদেশি হুইস্কি। দাঁড়া আমি পেগ বানাবো'
মা আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
'যা সোমু ভেতরের ঘরে গিয়ে বস'
আমি মেনে নিলাম। ভেতরের ঘরটা থেকে বাইরের ঘরটা স্পষ্ট ই দেখা যায়। তাই কোন অসুবিধে নেই।

'তোদের আজ খাওয়াবো চাইনিস পেগ'
বাবা একটু অন্যমনস্ক ছিল তাই খেয়াল করেনি, পিসেমশাই একটা গ্লাসে প্রায় অর্ধেক আর একটা গ্লাসে খুব অল্প হুইস্কি ঢেলে দুটোতেই অল্প জল মেশাল। যেটায় বেশী সেটা বাবার হাতে আর যেটায় কম সেটা নিজে নিল। আমি আর মা দুজনেই খেয়াল করেছি।
'প্রথম দুটো পেগ অনলি ফর মেন'
মা বোঝে যে এটা শুধু বাবা আর পিসেমশাই এর। শুধুই একটু মুচকি হাসে।
'প্রথম পেগ টার নাম ঝটকা পেগ।'
এতক্ষনে বাবার একটু হুঁশ ফেরে।
'শোন এটা শেষ করার নিয়ম হচ্ছে এক চুমুকে শেষ করে গ্লাস টা নিচে রাখবি'
বলেই নিজের হাতের গ্লাস টা এক ঢোক এ শেষ করে গ্লাস টা নিচে রেখে সামনে রাখা প্লেট থেকে একটু নিমকি তুলে মুখে দিলো। পিসেমশাই এর দেখাদেখি বাবাও এক ঝটকায় পুরো টা শেষ করে গ্লাস টা নিচে রাখল। মাথাটা দুদিকে বারবার করে ঝাকিয়ে বুঝিয়ে দিলো যে খুব কড়া আর মাথাটা অল্প অল্প ঘুরাচ্ছে।

'এরম করলে হবে। এটা তো মেনস পেগ। তোর পৌরুশ দেখানোর এই তো মওকা'
পৌরুশ কথাটা শুনে মা মুখে হাত দিয়ে হাসে।
'এবার যে পেগ টা বানাবো তার নাম আফটার শক পেগ'
বাবা সাথে সাথে হাত নেড়ে না বলতে থাকে।
'আচ্ছা তাহলে এক কাজ করি মনিকে একটা পেগ বানিয়ে দি'
মা বেশ কিছুবার না বলেও শেষে পিসেমশাই এর হাত থেকে গ্লাস টা নেয়। রাজি হয় এই কারণে যে মাও খেয়াল করে যে পেগ টা যথেষ্ট লাইট।
'আরে নিচ এ নেমে আয়। আমরা নিচে থাকবো আর তুই উপরে বসে খাবি তা তো হয়না'
সাথে সাথে মাও নিচে নেমে আসে।
এতক্ষনে যেন শীতের আমেজ টা সরিয়ে একটু উত্তাপ বয়ে আসে। নিচে বসতেই আর শার্ট এর সামনে দুটো বাটান না থাকার জন্য মার বিশাল দুটো স্তন দৃশ্য মান হয়। পিসেমশাই নিজের পেগ টা হাতে নিয়ে এক দৃষ্টিতে সেদিকেই তাকিয়ে থাকে। খুব অস্বস্তি হয় মার। একবার নজর টা অন্যদিকে সরিয়ে নেয়। কিন্তু কতক্ষন আর অন্যদিকে মুখ করে থাকবে।
'চল আমরা তাহলে এবার আফটার শক পেগ টা বানাই'
এবার আর বাবা বাধা দেয়না।
পিসেমশাই আগে মার আরেকটা লাইট পেগ বানিয়ে দেয়। তারপর নিজেদের দুটো গ্লাসে খুব মোটা করে হুইস্কি ঢালে। একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ধোঁয়া টা গ্লাসের ওপর ছেড়ে হাত দিয়ে মুখটা বন্ধ করে বাবাকে দেয়। হাতের ইশারায় বোঝায় যে এক বারে খেয়ে শেষ করে ফেলতে। বাবাও সেই মতো একেবারেই শেষ করে দেয়। পিসেমশাই ও একবারেই শেষ করে। দুজনেই বেশ কিছুক্ষন মাথাটা ধরে বসে থাকে।
'মণি তোকে আরেকটা পেগ বানিয়ে দি?'
মার বারবার না বলা স্বত্ত্বেও পিসেমশাই মার জন্য একটা পেগ বানায়। তবে এবার আমি আর মা দুজনেই লক্ষ্য করি যে পেগ টা বেশ মোটা। মা বেশ ভয়ে ভয়ে গ্লাস টা হাতে নেয়।
এদিকে প্রথম দু পেগ খাওয়ার পর বাবার ইন্দ্রিয় গুলো যে আর মস্তিস্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না তা বেশ ভাল করেই বোঝা যায়। কারণ কাঁপা কাঁপা হাতে বেশ কয়েকবার পেগ বানিয়ে বাবা মুখে ঢেলে নেয়। আর সব দেখে পিসেমশাই মুচকি মুচকি হাসতে থাকে।
এই পেগ টা শেষ হলে পিসেমশাই মার গ্লাসে আবার হুইস্কি ভর্তি করে আর এবার পরিমাণ টা আরেকটু বেশী।
মাকে দেখেই বোঝা যায় যে মার ও বেশ মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
বাবা টলতে টলতে যায় খাটের দিকে।
'কিরে শুয়ে পরছিস নাকি?'
'মাথাটা খুব ঘোরাচ্ছে। একটু শুয়ে নি'
বলে বাবা বিছানায় শরীর টা ফেলে দেয়।
.......….......................................................….....….........................................................................................
'চল আমরা দুজন তাহলে কন্টিনিউ করি'
মার চোখ মুখে বেশ নার্ভাস নেসের ছাপ। দোনোমনা করতে করতে গ্লাস টা ওঠায় মা। চুকচুক করে মিনিট 2 3 এর মধ্যে পুরো টা শেষ করে দেয়। মার চোখগুলো অল্প অল্প লাল। হঠাৎ কিছুটা বাজের আওয়াজে চমকে যাওয়ার মতো চমকে যায় মা। পিসেমশাই এর হাতটা মায়ের থাই এর ওপর ঘোরাফেরা করছিল।
মাকে ঐভাবে লাফ দিয়ে দূরে সরে যেতে দেখে বাবাও উঠে বসে।
কিছুটা পিসেমশাই ও নার্ভাস হয়ে যায়।
'কিরে আর খাবি নাকি'
বাবা টলতে টলতে নিচে এসে বলে,
'ছেড়ে দিন দিনুদা। বেশ রাত হয়ে গেছে '
ভয়ংকর হতাশ হয় পিসেমশাই।
...…...................................................................….......................................
পরদিন ভোর ভোর আমরা যখন ফিরছি, সবচেয়ে বেশী হতাশ ছিল আমাদের মধ্যে পিসেমশাই। যেন কতদিনের প্ল্যান কিছুই কাজ করল না।
[+] 6 users Like golpokar's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: ভূতের রাজা দিল বর - by golpokar - 10-11-2022, 09:04 PM



Users browsing this thread: 8 Guest(s)