04-11-2022, 11:49 AM
খাবার পর একটু টিভি দেখলাম। ফ্রান্সের জন্য সবাই হা হুতাশ করছে। স্বাভাবিক, মানুষ মানুষের জন্যেই হা হুতাশ করবে। তবে এই মানুষগুলোকেই যেন সিরিয়ার জন্য হা হুতাশ করার সময় খুঁজে পাওয়া যায়না। কেউ কেউ আবার এক কদম এগিয়ে ফেসবুকে ফ্রান্সের জন্য টেম্পোরারি প্রোফাইল পিকচারও সেট করে রেখেছেন। বাহ রে বাহ। এসব খবর দেখতে খুব একটা ভালো লাগেনা কখোনই আমার, মনের মধ্যে কেমন যেন অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। তাই উঠে এলাম।
বিছানায় শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে নোটিফিকেশন দেখলাম। ইন্সটাগ্রাম, জিমেইল, ফেইসবুক চেক করার পর দেখি লোকাল একটা মেসেজও এসে আছে আমার মোবাইলে! এযুগে লোকাল মেসেজ পাই শুধু অপারেটরদের কাছ থেকে তাই না দেখেই নোটিফিকেশন এরিয়া ক্লিয়ার করে দিলাম। ইয়ারফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছি আর গেম খেলছি, হঠাত নোটিফিকেশন হেডসের কল্যানে দেখলান আরেকটি এসএমএস এসেছে যার হাইলাইটসে লেখা 'কি ব্যাপার? উত্তর নাই যে?'!! আমি অবাক হলাম। গেম বাদ দিয়ে মেসেজে ঢুকে দেখলাম ঐ নাম্বার থেকেই আগের মেসেজটি এসেছিল। প্রথম মেসেজে লেখা ছিল -
' শুনলাম, তুমি নাকি আরও বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ?'
আর এরপর কোন উত্তর না পেয়ে পরেরটা পাঠিয়েছে। নাম্বারটা একদমই অচেনা আমার তবে কথার ধরণ দেখে কেন যেন মনে হচ্ছিল এটা শশী! তবে নিশ্চয়ই আমি নিশ্চিত ছিলাম না সে সময়টাতে। লিখলাম -
- হু ইজ দিস?
- ভুলে গেলে?
- দেখুন, নাম্বারটা আমার মোবাইলে সেভ করা নেই।
- তাতে কি?
- তাতে কি মানে? সেভ করা না থাকলে কীভাবে চিনব? যাই হোক, কে আপনি?
- হায়রে পোড়া কপাল আমার! আমি শশী!
- শশী? নতুন নাম্বার যে?
- কি করব! তুমিতো পাত্তা দিলানা, কিন্তু অন্য ছেলেরা এতই পাত্তা দেয় যে শেষ পর্যন্ত নাম্বার চেঞ্জ করতে বাধ্য হলাম।
- ও..
- আচ্ছা শোনো, আমার মোবাইলে না ক্রেডিট নেই। তুমি একটু ফোন দিতে পারবে? কথা ছিল কিছু।
- হুম, দিচ্ছি।
------------------------------------
শশীর সাথে কথা বলা আমারও দরকার ছিল। ভালোই হল ও যোগাযোগ করায়। কিন্তু এখন কেন যেন ফোনে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না, আবার ফোন না করাটাও খারাপ দেখা যায়। মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করার পর ইথিকসেরই জয় হল।
- হ্যালো শশী?
- হ্যাল্লো ডিয়ার..
- কি অবস্থা?
- এইতো আছি! তুমি আগে বল আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থেমে গেল কেন?
- কই? আসলে পড়াশোনার চাপ খুব বেড়ে গিয়েছিল হঠাত করেই.. তাই আরকি!
- হইছে! তুমি তনিমাকে পড়াতে যেতে সময় পাও আর আমার খোজ নেয়ার টাইম পাও না?
বুঝলাম! তনিমার সাথে ওর কথা হয়েছে।
- না আসলে, রাসেল..
- জানি। বাইরে গেছে। এক মাস তুমি তনিমাকে পড়াবা এইতো?
- হুম..
- আমি জানি তনিমা আমার চাইতে অন্নেক সুন্দরি তাই বলে কি আমার খোজ ও নিবানা?
- ....... (কি জবাব দিব ভাবছিলাম)
- আচ্ছা শোনো, তোমার সাথে আমার কথা আছে..
- বলো..
- না, ফোনে না.. একটু টাইম দাও। বাইরে দেখা করি?
- আমারতো এখন হাতে তিনটা টিউশনি..
- এভাবে বাহানা করলে কিন্তু আমি তনিমার বাসাতেই চলে যাব বললাম..
- আচ্ছা। কবে বসতে চাও বল?
- কাল, সকাল বেলা।
- কোথায়?
- বোটানিক্যাল গার্ডেন?
- না না, জায়গাটা বাজে.. অনেক বাজে মানুষ যায়..
- আমরাতো আর বাজে কাজ করতে যাবো না তাইনা?
- এর চাইতে চলো ধানমন্ডির ওদিকটায় বসা যাক।
- না!!! এইখানে যাওয়া যাবেনা যে..
- তোমার বাসা কোথায়?
- কয়বার বলতে হবে তোমাকে?
- সরি, একদমই ভুলে গিয়েছি।
- আমার বাসা ধানমন্ডি!
- তাহলেতো ধানমন্ডিতে গেলেই তোমার সুবিধা হয় তাইনা?
- না!! এখানে কেউ না কেউ ঠিকই দেখে ফেলবে। এর চাইতে আমি মিরপুর গেলে ওদিকে আমার কেউ নেই।
- আচ্ছা! কি আর করার.. তবে আগেই বললাম জায়গাটা তোমার ভালো লাগবেনা..
- তুমি পাশে থাকলে ভুতের গলিও আমার ভালো লাগবে গো হ্যান্ডসাম!
- (হাসলাম, ভাবছি কি হচ্ছে..)
- চুপ কেন?
- কই, নাহ..
- তনিমার কাছ থেকে শুনলাম তুমি বলে আরও সুন্দর হয়ে গিয়েছ?
- কি বলতেছ এগুলা? বাদ দাও..
- ওরে রে! কি লজ্জা ছেলের..
- লজ্জা না। যাই হোক, তাহলে কাল ফোন দিও বের হবার সময়..
- তা তো দিবই! রেডি থাইকো..
শেষ কথাটা বলেই লাইন কেটে দিল শশী। ওর এই 'রেডি থাইকো' কথাটা আমার ভালো লাগলো না। না, ভাষাগত সমস্যা নয়.. ওর বলার ধরণটা আমার ভালো লাগলোনা।
বিছানায় শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে নোটিফিকেশন দেখলাম। ইন্সটাগ্রাম, জিমেইল, ফেইসবুক চেক করার পর দেখি লোকাল একটা মেসেজও এসে আছে আমার মোবাইলে! এযুগে লোকাল মেসেজ পাই শুধু অপারেটরদের কাছ থেকে তাই না দেখেই নোটিফিকেশন এরিয়া ক্লিয়ার করে দিলাম। ইয়ারফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছি আর গেম খেলছি, হঠাত নোটিফিকেশন হেডসের কল্যানে দেখলান আরেকটি এসএমএস এসেছে যার হাইলাইটসে লেখা 'কি ব্যাপার? উত্তর নাই যে?'!! আমি অবাক হলাম। গেম বাদ দিয়ে মেসেজে ঢুকে দেখলাম ঐ নাম্বার থেকেই আগের মেসেজটি এসেছিল। প্রথম মেসেজে লেখা ছিল -
' শুনলাম, তুমি নাকি আরও বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ?'
আর এরপর কোন উত্তর না পেয়ে পরেরটা পাঠিয়েছে। নাম্বারটা একদমই অচেনা আমার তবে কথার ধরণ দেখে কেন যেন মনে হচ্ছিল এটা শশী! তবে নিশ্চয়ই আমি নিশ্চিত ছিলাম না সে সময়টাতে। লিখলাম -
- হু ইজ দিস?
- ভুলে গেলে?
- দেখুন, নাম্বারটা আমার মোবাইলে সেভ করা নেই।
- তাতে কি?
- তাতে কি মানে? সেভ করা না থাকলে কীভাবে চিনব? যাই হোক, কে আপনি?
- হায়রে পোড়া কপাল আমার! আমি শশী!
- শশী? নতুন নাম্বার যে?
- কি করব! তুমিতো পাত্তা দিলানা, কিন্তু অন্য ছেলেরা এতই পাত্তা দেয় যে শেষ পর্যন্ত নাম্বার চেঞ্জ করতে বাধ্য হলাম।
- ও..
- আচ্ছা শোনো, আমার মোবাইলে না ক্রেডিট নেই। তুমি একটু ফোন দিতে পারবে? কথা ছিল কিছু।
- হুম, দিচ্ছি।
------------------------------------
শশীর সাথে কথা বলা আমারও দরকার ছিল। ভালোই হল ও যোগাযোগ করায়। কিন্তু এখন কেন যেন ফোনে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না, আবার ফোন না করাটাও খারাপ দেখা যায়। মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করার পর ইথিকসেরই জয় হল।
- হ্যালো শশী?
- হ্যাল্লো ডিয়ার..
- কি অবস্থা?
- এইতো আছি! তুমি আগে বল আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থেমে গেল কেন?
- কই? আসলে পড়াশোনার চাপ খুব বেড়ে গিয়েছিল হঠাত করেই.. তাই আরকি!
- হইছে! তুমি তনিমাকে পড়াতে যেতে সময় পাও আর আমার খোজ নেয়ার টাইম পাও না?
বুঝলাম! তনিমার সাথে ওর কথা হয়েছে।
- না আসলে, রাসেল..
- জানি। বাইরে গেছে। এক মাস তুমি তনিমাকে পড়াবা এইতো?
- হুম..
- আমি জানি তনিমা আমার চাইতে অন্নেক সুন্দরি তাই বলে কি আমার খোজ ও নিবানা?
- ....... (কি জবাব দিব ভাবছিলাম)
- আচ্ছা শোনো, তোমার সাথে আমার কথা আছে..
- বলো..
- না, ফোনে না.. একটু টাইম দাও। বাইরে দেখা করি?
- আমারতো এখন হাতে তিনটা টিউশনি..
- এভাবে বাহানা করলে কিন্তু আমি তনিমার বাসাতেই চলে যাব বললাম..
- আচ্ছা। কবে বসতে চাও বল?
- কাল, সকাল বেলা।
- কোথায়?
- বোটানিক্যাল গার্ডেন?
- না না, জায়গাটা বাজে.. অনেক বাজে মানুষ যায়..
- আমরাতো আর বাজে কাজ করতে যাবো না তাইনা?
- এর চাইতে চলো ধানমন্ডির ওদিকটায় বসা যাক।
- না!!! এইখানে যাওয়া যাবেনা যে..
- তোমার বাসা কোথায়?
- কয়বার বলতে হবে তোমাকে?
- সরি, একদমই ভুলে গিয়েছি।
- আমার বাসা ধানমন্ডি!
- তাহলেতো ধানমন্ডিতে গেলেই তোমার সুবিধা হয় তাইনা?
- না!! এখানে কেউ না কেউ ঠিকই দেখে ফেলবে। এর চাইতে আমি মিরপুর গেলে ওদিকে আমার কেউ নেই।
- আচ্ছা! কি আর করার.. তবে আগেই বললাম জায়গাটা তোমার ভালো লাগবেনা..
- তুমি পাশে থাকলে ভুতের গলিও আমার ভালো লাগবে গো হ্যান্ডসাম!
- (হাসলাম, ভাবছি কি হচ্ছে..)
- চুপ কেন?
- কই, নাহ..
- তনিমার কাছ থেকে শুনলাম তুমি বলে আরও সুন্দর হয়ে গিয়েছ?
- কি বলতেছ এগুলা? বাদ দাও..
- ওরে রে! কি লজ্জা ছেলের..
- লজ্জা না। যাই হোক, তাহলে কাল ফোন দিও বের হবার সময়..
- তা তো দিবই! রেডি থাইকো..
শেষ কথাটা বলেই লাইন কেটে দিল শশী। ওর এই 'রেডি থাইকো' কথাটা আমার ভালো লাগলো না। না, ভাষাগত সমস্যা নয়.. ওর বলার ধরণটা আমার ভালো লাগলোনা।