02-11-2022, 10:39 PM
কলবেল চেপে দাঁড়িয়ে আছি। সময় হিসেব করিনি তবে মনে হল অন্ততকাল পরে দরজার কাছে কেউ এগিয়ে আসছে। শার্ট টার্ট টেনে টুনে ঠিক করলাম, ভালো একটা ইমেজ বজায় রাখার চেষ্টা বলা যেতে পারে। দরজা খুললেন একটা মহিলা, বয়স আন্দাজ করা সম্ভব হলনা আমার পক্ষে। উনি যে ভেতরে কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন তা তার কাপড় পড়ার ধরণ দেখেই বোঝা গেল। চেহারা ঘামে ভিজে আছে। মিষ্টি চেহারাই বলা চলে.. আমি ততক্ষনে এসব ভাবতে ভাবতে আরও এক ভাবনার জগতে ঢুকে গিয়েছি যেন। আবারও আমার ভাবনার জগত ভেঙে গেল মহিলার কথায়..
মহিলা - কি চাই?
চিন্তা-ভাবনা যদি কারও কথায় বা ডাকে ভেঙে যায় তবে মানুষ স্থিত হতে এমনিতেই কিছুটা সময় নিয়ে থাকে তবে মহিলার কর্কশ কন্ঠের কারণে যেন আমার সেই সময়টা আরও কিছুটা বেশিই লাগল। মহিলাটা দেখতে আহামরি সুন্দর না হলেও বিয়ন্ড এভারেজতো হবেই। আর আমরা মানুষ জাতি একটি বিষয়ের সাথে অন্য একটি বিষয়কে মিলিয়ে কিছু ফলাফল আশা করে থাকি বা ভেবে রাখি। যেমন, সুন্দর চেহারা মানে কোকিলকণ্ঠী! আমি এরকমও অবশ্য ভাবার সময় পাইনি তবে এরকম রুক্ষ মেজাজের কোন প্রশ্নও অবশ্যই আশা করিনি তার কাছ থেকে।
আমি - আমি.. মানে, এটা মাসুদদের বাসা না?
মহিলা - তুমি কি ওকে পড়াইতে আসছ?
আমি - জ্বি, এক মাসের টিচা..
কথা শেষ না হতেই মহিলার চোখ মুখে কিছুটা শিথিলতা দেখতে পাই যেন। দরজা খুলে দিয়ে বলেন,
মহিলা - এসো এসো.. ভিতরে এসে বসো।
বলেই সরে জায়গা করে দিলেন। আমি ঢুকলাম, ঢুকেই বসার রুম দেখতে পেলাম। একটা সোফার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ভাবছি সিংগেল চেয়ারে বসা উচিত না ডাবল চেয়ারে! সিংগেল-ডাবলেও কি কোন প্রকার ভদ্রতা প্রকাশ পায়? জড়তাই জড়তা! মরার জড়তা যেন ক্রমেই আজ জেকে বসছে আমার উপর! এর মধ্যেই মহিলা এসে সিংগেল একটি সোফায় বসে তার সামনের সোফার দিকে ইংগিত করে বসতে বললেন..
মহিলা - ওকি.. দাঁড়িয়ে আছো কেন? বোসো।
আমি - জ্বি.. বসলাম।
মহিলা - আমি মাসুদের আম্মু। আমার নাম সিথি, তুমি আমাকে আপাও বলে ডাকতে পারো আবার সিথি আপা বলেও ডাকতে পারো.. যেটাতে তুমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো আরকি..
আমি - আচ্ছা সিথি আপা..
সিথি আপা - আচ্ছা, তাহলে সিথি আপাই তোমার পছন্দ? বেশ। তাহলে সিথি আপাই.. তোমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম তুমি নাকি বেশ ভালো ছাত্র, এমনকি ওর চাইতেও কয়েকগুণ ভালো?
আমি - না না.. বাড়িয়ে বলেছে একদমই। আমি একদমই পড়াশোনায় মনযোগী নই। এজন্য আমার আম্মু কত বকে..
সিথি আপা - তুমি দেখি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছ একেবারে। তুমি যে এত লাজুক তা তো তোমার বন্ধু বলেনি.. যাই হোক, মাসুদ অনেক পাজি, তোমার মাথা নষ্ট করে দিবে। আর একদমই পড়তে চায়না। পড়তে বসলেই নানা রকম বাহানা দেখাবে.. পানি খেয়ে আসি, বাথরুম পেয়েছে, আম্মু ডাকছে, পেট ব্যাথা আরও কতকি যে বলবে, তুমি কিচ্ছু আমলে নিবা না। আর যদি কথা একদমই না শোনে আমাকে ডাক দিবা, আমি দেখব। আচ্ছা?
আমি - জ্বি, কোন সমস্যা হলে আপনাকে ডাকবো।
সিথি আপা মিষ্টি করে হাসলেন। আমি এই সিথি আপার সাথে প্রথমের সেই রাগি মহিলার কোন মিলই খুঁজে পেলাম না যেন। অদ্ভুত। আপা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হয়তোবা বোঝার চেষ্টা করলেন আর কিছু বলার আছে কি না, এরপর বললেন,
সিথি আপা - তাহলে যাও, ঐযে মাসুদের রুম। ঘরেই আছে। একটু আগে একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে এসেছিলাম.. যাও। আমার অনেক কাজ বাকি পরে গেছে আজ.. বুয়া আসেনাই জানো!! আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি, কিছু দরকার হলে আমাকে ডেকো..
বলেই উনি উঠে চলে গেলেন। উঠতে উঠতে কারও উদ্দেশ্যে বললেন,
সিথি আপা - অ্যাই শেফা, মাসুদের নতুন টিচার এসেছে রে..
মহিলা - কি চাই?
চিন্তা-ভাবনা যদি কারও কথায় বা ডাকে ভেঙে যায় তবে মানুষ স্থিত হতে এমনিতেই কিছুটা সময় নিয়ে থাকে তবে মহিলার কর্কশ কন্ঠের কারণে যেন আমার সেই সময়টা আরও কিছুটা বেশিই লাগল। মহিলাটা দেখতে আহামরি সুন্দর না হলেও বিয়ন্ড এভারেজতো হবেই। আর আমরা মানুষ জাতি একটি বিষয়ের সাথে অন্য একটি বিষয়কে মিলিয়ে কিছু ফলাফল আশা করে থাকি বা ভেবে রাখি। যেমন, সুন্দর চেহারা মানে কোকিলকণ্ঠী! আমি এরকমও অবশ্য ভাবার সময় পাইনি তবে এরকম রুক্ষ মেজাজের কোন প্রশ্নও অবশ্যই আশা করিনি তার কাছ থেকে।
আমি - আমি.. মানে, এটা মাসুদদের বাসা না?
মহিলা - তুমি কি ওকে পড়াইতে আসছ?
আমি - জ্বি, এক মাসের টিচা..
কথা শেষ না হতেই মহিলার চোখ মুখে কিছুটা শিথিলতা দেখতে পাই যেন। দরজা খুলে দিয়ে বলেন,
মহিলা - এসো এসো.. ভিতরে এসে বসো।
বলেই সরে জায়গা করে দিলেন। আমি ঢুকলাম, ঢুকেই বসার রুম দেখতে পেলাম। একটা সোফার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ভাবছি সিংগেল চেয়ারে বসা উচিত না ডাবল চেয়ারে! সিংগেল-ডাবলেও কি কোন প্রকার ভদ্রতা প্রকাশ পায়? জড়তাই জড়তা! মরার জড়তা যেন ক্রমেই আজ জেকে বসছে আমার উপর! এর মধ্যেই মহিলা এসে সিংগেল একটি সোফায় বসে তার সামনের সোফার দিকে ইংগিত করে বসতে বললেন..
মহিলা - ওকি.. দাঁড়িয়ে আছো কেন? বোসো।
আমি - জ্বি.. বসলাম।
মহিলা - আমি মাসুদের আম্মু। আমার নাম সিথি, তুমি আমাকে আপাও বলে ডাকতে পারো আবার সিথি আপা বলেও ডাকতে পারো.. যেটাতে তুমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো আরকি..
আমি - আচ্ছা সিথি আপা..
সিথি আপা - আচ্ছা, তাহলে সিথি আপাই তোমার পছন্দ? বেশ। তাহলে সিথি আপাই.. তোমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম তুমি নাকি বেশ ভালো ছাত্র, এমনকি ওর চাইতেও কয়েকগুণ ভালো?
আমি - না না.. বাড়িয়ে বলেছে একদমই। আমি একদমই পড়াশোনায় মনযোগী নই। এজন্য আমার আম্মু কত বকে..
সিথি আপা - তুমি দেখি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছ একেবারে। তুমি যে এত লাজুক তা তো তোমার বন্ধু বলেনি.. যাই হোক, মাসুদ অনেক পাজি, তোমার মাথা নষ্ট করে দিবে। আর একদমই পড়তে চায়না। পড়তে বসলেই নানা রকম বাহানা দেখাবে.. পানি খেয়ে আসি, বাথরুম পেয়েছে, আম্মু ডাকছে, পেট ব্যাথা আরও কতকি যে বলবে, তুমি কিচ্ছু আমলে নিবা না। আর যদি কথা একদমই না শোনে আমাকে ডাক দিবা, আমি দেখব। আচ্ছা?
আমি - জ্বি, কোন সমস্যা হলে আপনাকে ডাকবো।
সিথি আপা মিষ্টি করে হাসলেন। আমি এই সিথি আপার সাথে প্রথমের সেই রাগি মহিলার কোন মিলই খুঁজে পেলাম না যেন। অদ্ভুত। আপা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হয়তোবা বোঝার চেষ্টা করলেন আর কিছু বলার আছে কি না, এরপর বললেন,
সিথি আপা - তাহলে যাও, ঐযে মাসুদের রুম। ঘরেই আছে। একটু আগে একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে এসেছিলাম.. যাও। আমার অনেক কাজ বাকি পরে গেছে আজ.. বুয়া আসেনাই জানো!! আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি, কিছু দরকার হলে আমাকে ডেকো..
বলেই উনি উঠে চলে গেলেন। উঠতে উঠতে কারও উদ্দেশ্যে বললেন,
সিথি আপা - অ্যাই শেফা, মাসুদের নতুন টিচার এসেছে রে..