02-11-2022, 05:40 PM
মুম্বাইয়ে এসেছি প্রায় ২ মাস হয়ে গেল। কি করে যে ২ মাস কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। প্রথমে ঠিক করেছিলাম অফিসের পাশে ঘর ভাড়া নেবো, কিন্তু বাড়ি ভাড়া দেখে তো চক্ষু চরক গাছ। তারপরে ভাবলাম পিজি, দু চারটে দেখলামও। কিন্তু পছন্দ হলো না, ওভাবে কি থাকা যায়! শেষমেষ আবার ঘর ভাড়া, এবার মুম্বাইয়ে না একটু দূরে ঠানেতে।
এখন জীবন মানে সকালে ঘুম থেকে ওঠো, রেডি হও, ট্রেনে করে অফিস যাও, কাজ শেখো, জ্ঞান শোনো, আবার ট্রেনে করে বাড়ি ফেরো। তারপরে যদিও অখন্ড অবসর। মাস খানেক আগে সুমনের সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। ফলে এখন আর রাত জেগে ফোন করা, লুকিয়ে দেখা করা, এইসব আর কিছুই নেই। খুব যে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম তা নয়, জানতো প্রায় সবাই। শুধু আমরা অফিশিয়ালি কিছু ডিক্লেয়ার করিনি, ব্যাপারটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট টাইপ ছিল।
মুম্বাই চলে আসার পর মাঝেমাঝে ওর কথা মনে পড়ে। আমাদের কলেজ লাইফের প্রেম। আমার ইকোনমিক্স অনার্স ছিল, ওর কেমিস্ট্রি। প্যারামাউন্ট এর শরবত খেতে খেতে আমাকে প্রপোজ করেছিল, আমি না করিনি, হ্যাঁ বলিনি যদিও। গ্রাজুয়েশন এর পরে আমি ক্যাট দিয়ে IIMC আর ও খড়্গপুরে মাস্টার্স করতে গেল। তারপরও সম্পর্কটা টিকে ছিল যেভাবে লং ডিস্ট্যান্স রিলেশন টিকে থাকে। তারপরে একসময় বুঝলাম সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে, অনেকটা কর্তব্য পালন করার মত। সন্ধ্যেবেলার দু'ঘণ্টার ফোন কল গুলো কমতে কমতে ১০-১৫ মিনিটের হয়ে গেল। শেষমেষ সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিলাম, মুম্বাইয়ের চাকরিটাও হয়ে গেল।
এখন জীবন মানে সকালে ঘুম থেকে ওঠো, রেডি হও, ট্রেনে করে অফিস যাও, কাজ শেখো, জ্ঞান শোনো, আবার ট্রেনে করে বাড়ি ফেরো। তারপরে যদিও অখন্ড অবসর। মাস খানেক আগে সুমনের সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। ফলে এখন আর রাত জেগে ফোন করা, লুকিয়ে দেখা করা, এইসব আর কিছুই নেই। খুব যে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম তা নয়, জানতো প্রায় সবাই। শুধু আমরা অফিশিয়ালি কিছু ডিক্লেয়ার করিনি, ব্যাপারটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট টাইপ ছিল।
মুম্বাই চলে আসার পর মাঝেমাঝে ওর কথা মনে পড়ে। আমাদের কলেজ লাইফের প্রেম। আমার ইকোনমিক্স অনার্স ছিল, ওর কেমিস্ট্রি। প্যারামাউন্ট এর শরবত খেতে খেতে আমাকে প্রপোজ করেছিল, আমি না করিনি, হ্যাঁ বলিনি যদিও। গ্রাজুয়েশন এর পরে আমি ক্যাট দিয়ে IIMC আর ও খড়্গপুরে মাস্টার্স করতে গেল। তারপরও সম্পর্কটা টিকে ছিল যেভাবে লং ডিস্ট্যান্স রিলেশন টিকে থাকে। তারপরে একসময় বুঝলাম সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে, অনেকটা কর্তব্য পালন করার মত। সন্ধ্যেবেলার দু'ঘণ্টার ফোন কল গুলো কমতে কমতে ১০-১৫ মিনিটের হয়ে গেল। শেষমেষ সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিলাম, মুম্বাইয়ের চাকরিটাও হয়ে গেল।
অতসী বন্দোপাধ্যায়