01-11-2022, 10:04 AM
জাহিদ আবারো অম্মৃতার দিকে এগিয়ে যায়। কানে কানে কি জানি বলে। অম্মৃতা খিল খিল হাসিতেই ফেটে পরে। এত সুন্দর লাগে অম্মৃতার হাসিটা! মনে হয় অনেকদিন পরই যেনো অম্মৃতা নুতন এক জীবন ফিরে পেয়েছে।
জাহিদ বিদায় নিয়ে চলে যায়। আমি রহস্যের কিছুই বুঝিনা। অম্মৃতা হঠাৎই ঘোষনা করে, আজকে আমি তোদের মানে আপনাদেরও এক নুতন গলপো শুনাবো। গলপোটা আমারও জানা ছিলো না। এই একটু আগে যে ভদ্র লোকটি চলে গেলেন, উনিই আমাকে প্রথম জানালেন।
সবাই কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, কেমন গলপো?
অম্মৃতা বললো, আমার হাসব্যাণ্ডকে সবাই খোকা নামে ডাকলেও, ওর আসল নাম কিন্তু রাখাল। কেমন বিদঘুটে নাম না? সবাই শুনেই বলে, তুমি কি গরু চড়াও? আমার সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়েছিলো, তখনও আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাখাল? মানে গরু চড়ান? ও ও তখন খুব লজ্জা পেয়ে বলেছিলো, এক সময় চড়াতাম, কিন্তু এখন মেয়ে চড়াই।
পুরু বসার ঘরটা অট্ট হাসিতে ফেটে পরলো। বলতে থাকলো, তারপর? তারপর?
অম্মৃতা বাম হাতটা উপরে তুলে বড় গলা করেই বলতে থাকলো, তোরা তো সবাই আমার দুধ খেতে চাইছিলি। আমি সাবইকেই খেতে দেবো। তবে, তার আগে আমি আমার স্বামীর গলপোটা তোদের বলি। ওর আসল নাম তো তোদের বললাম। ওর নামটা এমনি এমনিতেই এমন হয়নি। ওর পাঁচশ গাভী ছিলো। সে ওই পাঁচশটা গাভীর দুধও খেয়েছে!
সাবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকলো। কে যেনো বলে উঠলো, পাঁচশ? তা ও আবার গাভী? মানে অম্মৃতার মতো? ওরকম পাঁচশ মেয়ের দুধ খেয়েছে?
আরেকজন বলে উঠলো, তাইতো! উনি শুধু অতক্ষণ ওখানে চুপচাপ বসে বসে আমাদের মতি গতিই তো দেখছে, কিছুই বলছে না! তার মানে অম্মৃতা উনার পাঁচশ এক নাম্বার গাভী? আর আমরা অম্মৃতার দুধ খাবার জন্যে বসে আছি?
আরেকজন বললো, ওরে বাবা, রাখালরা খুব সাংঘাতিক হিংস্র হয়। একবার আমি রাখাল ছেলের যে দৌঁড়ানীটা খেয়েছি না! আমি যাই।
এই বলে একটা ছেলে হঠাৎই পালিয়ে গেলো। আমি যেমন কিছুই বুঝতে পারলাম না, অম্মৃতাও তেমনি কিছু বুঝতে পারলো না। সে হাত দুটি নামিয়ে এদিক সেদিক তাঁকাতে থাকলো। অসহায় গলাতেই বলতে থাকলো, কিরে, তোরা আমার দুধ খাবি না?
আরেকটি ছেলেকে দেখলাম, কেমন যেনো হামাগুড়ি দিয়েই বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে!
অম্মৃতা খুব আগ্রহ করেই বলতে থাকলো, কিরে, দুধ খাবি না? আমার দুধ! তোরা কি কেউ আমাকে পছন্দ করিস না?
সেই কথা শুনার পর, অম্মৃতার সব বন্ধুরাই একে একে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলো।
অম্মৃতা অবাক হয়েই বললো, এ কি ঘটছে? সবাই এমন করে পালিয়ে যাচ্ছে কেনো?
অবশেষে আমার বন্ধুরাও উঠে দাঁড়ালো। আমার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে বললো, দোস্ত আসিরে! হ্যাভী একটা খাবার হয়েছে!
জাহিদ বিদায় নিয়ে চলে যায়। আমি রহস্যের কিছুই বুঝিনা। অম্মৃতা হঠাৎই ঘোষনা করে, আজকে আমি তোদের মানে আপনাদেরও এক নুতন গলপো শুনাবো। গলপোটা আমারও জানা ছিলো না। এই একটু আগে যে ভদ্র লোকটি চলে গেলেন, উনিই আমাকে প্রথম জানালেন।
সবাই কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, কেমন গলপো?
অম্মৃতা বললো, আমার হাসব্যাণ্ডকে সবাই খোকা নামে ডাকলেও, ওর আসল নাম কিন্তু রাখাল। কেমন বিদঘুটে নাম না? সবাই শুনেই বলে, তুমি কি গরু চড়াও? আমার সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়েছিলো, তখনও আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাখাল? মানে গরু চড়ান? ও ও তখন খুব লজ্জা পেয়ে বলেছিলো, এক সময় চড়াতাম, কিন্তু এখন মেয়ে চড়াই।
পুরু বসার ঘরটা অট্ট হাসিতে ফেটে পরলো। বলতে থাকলো, তারপর? তারপর?
অম্মৃতা বাম হাতটা উপরে তুলে বড় গলা করেই বলতে থাকলো, তোরা তো সবাই আমার দুধ খেতে চাইছিলি। আমি সাবইকেই খেতে দেবো। তবে, তার আগে আমি আমার স্বামীর গলপোটা তোদের বলি। ওর আসল নাম তো তোদের বললাম। ওর নামটা এমনি এমনিতেই এমন হয়নি। ওর পাঁচশ গাভী ছিলো। সে ওই পাঁচশটা গাভীর দুধও খেয়েছে!
সাবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকলো। কে যেনো বলে উঠলো, পাঁচশ? তা ও আবার গাভী? মানে অম্মৃতার মতো? ওরকম পাঁচশ মেয়ের দুধ খেয়েছে?
আরেকজন বলে উঠলো, তাইতো! উনি শুধু অতক্ষণ ওখানে চুপচাপ বসে বসে আমাদের মতি গতিই তো দেখছে, কিছুই বলছে না! তার মানে অম্মৃতা উনার পাঁচশ এক নাম্বার গাভী? আর আমরা অম্মৃতার দুধ খাবার জন্যে বসে আছি?
আরেকজন বললো, ওরে বাবা, রাখালরা খুব সাংঘাতিক হিংস্র হয়। একবার আমি রাখাল ছেলের যে দৌঁড়ানীটা খেয়েছি না! আমি যাই।
এই বলে একটা ছেলে হঠাৎই পালিয়ে গেলো। আমি যেমন কিছুই বুঝতে পারলাম না, অম্মৃতাও তেমনি কিছু বুঝতে পারলো না। সে হাত দুটি নামিয়ে এদিক সেদিক তাঁকাতে থাকলো। অসহায় গলাতেই বলতে থাকলো, কিরে, তোরা আমার দুধ খাবি না?
আরেকটি ছেলেকে দেখলাম, কেমন যেনো হামাগুড়ি দিয়েই বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে!
অম্মৃতা খুব আগ্রহ করেই বলতে থাকলো, কিরে, দুধ খাবি না? আমার দুধ! তোরা কি কেউ আমাকে পছন্দ করিস না?
সেই কথা শুনার পর, অম্মৃতার সব বন্ধুরাই একে একে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলো।
অম্মৃতা অবাক হয়েই বললো, এ কি ঘটছে? সবাই এমন করে পালিয়ে যাচ্ছে কেনো?
অবশেষে আমার বন্ধুরাও উঠে দাঁড়ালো। আমার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে বললো, দোস্ত আসিরে! হ্যাভী একটা খাবার হয়েছে!