29-10-2022, 12:00 PM
আমি কখনো জিবনকে নিয়ে গভীর ভাবে ভাবিনি। মা নেই, মনে মনে একটু চাপা দুঃখ ছিলো। তা ছাড়া আর কোন দুঃখ আমার ছিলো না। কোন কিছু দরকার হবার আগেই বাবার কাছ থেকে সব পেয়েছি। কোন কিছুরই অভাব আমি কখনো অনুভব করিনি। এমন কি সবাই যখন পায়ে হেঁটে কলেজে যায়, তখন ড্রাইভার আমাকে গাড়ীতে চড়িয়ে কলেজে নিয়ে যেতে চায়। তারপরও আমার কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ, মায়াকে দেখে মনে হলো, তার মনেও অনেক কষ্ট। আমি বললাম, ভাই নেই বলে সমস্যাটা কোথায়? তোমার মা বিষন্ন থাকে কেনো? তোমার বাবার মেজাজ খিটখিটে থাকে কেনো?
মায়া আমার বিছানাটার উপরই চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর, মাথাটা তুলে বললো, যখন বড় হবে, বিয়ে করবে, বাবা হবে, তখন সব বুঝবে।
আমি বললাম, আমি বড় হলে আমাকে বিয়ে করবে?
মায়া বিছানা থেকে উঠে আসে। আমার নাকটা টিপে ধরে বললো, বিয়ে করবে আমাকে? তুমি কখন বড় হবে, আর আমি তার জন্যে অপেক্ষা করবো? আমার বিয়ের বয়স তো হয়েই আছে। শুধু ইউনিভার্সিটিতে পড়বো বলে বিয়ে করতে চাইছি না।
আমি বললাম, ও।
মায়া বললো, কি, আবারো মন খারাপ করলে?
আমি না বোধক মাথা নাড়লাম।
মায়া বললো, গুড! এখন গোসলটা সেরে, কলেজে যাবার জন্যে রেডী হও।
মায়া খালি নাস্তার প্লেটগুলো নিয়ে ও ঘরে চলে যেতে থাকে। আমার গোসল করতে যেতে ইচ্ছে করে না।
আমি এক প্রকার ঘোর এর মাঝে হারিয়ে যেতে থাকি। এই কিছুদিন আগেও এই পুরু বাড়ীতে শুধু আমি আর বাবা। রান্নার জন্যে একটা বুয়া ছিলো। গেইটে দারোয়ান, আর গাড়ী বারান্দায় ড্রাইভার। তেমন একটি বাড়ীতে মায়া এসে যেনো সব বদলে দিতে থাকলো। যেখানে ইচ্ছে হলে খেতাম, ইচ্ছে না হলে গোসল করতাম না, সবই যেনো আবারো রুটিনে আবদ্ধ করতে থাকলো।
না, সব কিছুই ঠিক আছে, শুধু বিরক্তিকর খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, জগিং, দৌঁড়ানো, আবার সাতারও কাটা?
আমার চোখে হঠাৎই ভেসে উঠলো, মায়া নদীতে সাতার কাটছে। খুব সুন্দর লাগছিলো তখন। আর যখন ভেজা দেহে নদীর পারে উঠে এসেছিলো তখন আরো চমৎকার লাগছিলো। আমি বিড় বিড় করলাম, নিজে নিজেই, মায়া আপুর সব কথা আমি শুনবো। গোসলও করবো। কলেজে যাবার জন্যে রেডীও হবো। মায়া আপুর হাত ধরে হেঁটে হেঁটে কলেজে যাবো।
মায়া গোসলটা সেরে নাস্তা করে কলেজে যাবার জন্যেও রেডী হয়ে আমার ঘরের দিকেই আসতে থাকে। বলার উদ্যোগ করে, খোকা সাহেব রে?
ঘরে ঢুকে আমাকে রেডী থাকতে দেখে বললো, ও রেডী হয়েই আছো? চলো, ড্রাইভার অপেক্ষা করছে।
আমি বললাম, আমি গাড়ীতে যাবো না।
মায়া বললো, গাড়ীতে যাবে না মানে?
আমি বললাম, তোমার সংগে হেঁটে যাবো। নেবে না তোমার সংগে?
মায়া আমার হাতটা টেনে ধরে বললো, পাগল ছেলে! চলো!
আমি মায়ার হাতটা শক্ত করেই ধরে রাখি।
মায়া আমার বিছানাটার উপরই চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর, মাথাটা তুলে বললো, যখন বড় হবে, বিয়ে করবে, বাবা হবে, তখন সব বুঝবে।
আমি বললাম, আমি বড় হলে আমাকে বিয়ে করবে?
মায়া বিছানা থেকে উঠে আসে। আমার নাকটা টিপে ধরে বললো, বিয়ে করবে আমাকে? তুমি কখন বড় হবে, আর আমি তার জন্যে অপেক্ষা করবো? আমার বিয়ের বয়স তো হয়েই আছে। শুধু ইউনিভার্সিটিতে পড়বো বলে বিয়ে করতে চাইছি না।
আমি বললাম, ও।
মায়া বললো, কি, আবারো মন খারাপ করলে?
আমি না বোধক মাথা নাড়লাম।
মায়া বললো, গুড! এখন গোসলটা সেরে, কলেজে যাবার জন্যে রেডী হও।
মায়া খালি নাস্তার প্লেটগুলো নিয়ে ও ঘরে চলে যেতে থাকে। আমার গোসল করতে যেতে ইচ্ছে করে না।
আমি এক প্রকার ঘোর এর মাঝে হারিয়ে যেতে থাকি। এই কিছুদিন আগেও এই পুরু বাড়ীতে শুধু আমি আর বাবা। রান্নার জন্যে একটা বুয়া ছিলো। গেইটে দারোয়ান, আর গাড়ী বারান্দায় ড্রাইভার। তেমন একটি বাড়ীতে মায়া এসে যেনো সব বদলে দিতে থাকলো। যেখানে ইচ্ছে হলে খেতাম, ইচ্ছে না হলে গোসল করতাম না, সবই যেনো আবারো রুটিনে আবদ্ধ করতে থাকলো।
না, সব কিছুই ঠিক আছে, শুধু বিরক্তিকর খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, জগিং, দৌঁড়ানো, আবার সাতারও কাটা?
আমার চোখে হঠাৎই ভেসে উঠলো, মায়া নদীতে সাতার কাটছে। খুব সুন্দর লাগছিলো তখন। আর যখন ভেজা দেহে নদীর পারে উঠে এসেছিলো তখন আরো চমৎকার লাগছিলো। আমি বিড় বিড় করলাম, নিজে নিজেই, মায়া আপুর সব কথা আমি শুনবো। গোসলও করবো। কলেজে যাবার জন্যে রেডীও হবো। মায়া আপুর হাত ধরে হেঁটে হেঁটে কলেজে যাবো।
মায়া গোসলটা সেরে নাস্তা করে কলেজে যাবার জন্যেও রেডী হয়ে আমার ঘরের দিকেই আসতে থাকে। বলার উদ্যোগ করে, খোকা সাহেব রে?
ঘরে ঢুকে আমাকে রেডী থাকতে দেখে বললো, ও রেডী হয়েই আছো? চলো, ড্রাইভার অপেক্ষা করছে।
আমি বললাম, আমি গাড়ীতে যাবো না।
মায়া বললো, গাড়ীতে যাবে না মানে?
আমি বললাম, তোমার সংগে হেঁটে যাবো। নেবে না তোমার সংগে?
মায়া আমার হাতটা টেনে ধরে বললো, পাগল ছেলে! চলো!
আমি মায়ার হাতটা শক্ত করেই ধরে রাখি।