29-10-2022, 05:18 AM
মান অভিমান এর পর্বটা শেষ হয়। মায়া আমাকে মুক্ত করে, আবারো উঁচুতে নারকেল পাতাটা ধরে দাঁড়িয়ে চোখ দুটি নামিয়ে বললো, ধন্যবাদ খোকা। আসলে আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু কোথায় যাবো, ঠিক আমিও বুঝতে পারছিলাম না। মা বাবার উপর রাগ করে কিছু না বলেই চলে এসেছিলাম। এতগুলো দিন পর, সেখানে ফিরে যাওয়াও সম্ভব ছিলো না।
আমি বললাম, আর যাবার কথা বলবে না মায়া আপু। তুমি শুধু আমার মায়া আপু হয়ে থাকবে। তোমার কিংবা আব্বুর ধারনা আমি পড়ালেখা করি না। ঠিক মতো কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না ঠিকই। খেলাধূলা ওসবও ভালো লাগে না। সারাদিন ঘরে বসে কিন্তু আমি পড়ালেখা করি।
মায়া বললো, ঘরে বসে কি পড়ালেখা হয়? শুধু কি বই এ লেখা পড়া শিখলেই হয়? কলেজে যেতে হয়, অনেকের সাথে মিশতে হয়। বই এর বাইরেও অনেক কিছু শিখতে হয়।
আমি বললাম, আমি কারো সাথে মিশতে পারি না। মানুষ দেখলেই আমার ভয় করে।
মায়া বললো, মানুষকে নিয়েই তো সমাজ! মানুষ দেখে ভয় করবে কেনো?
আমি বললাম, জানি না। শুধু মনে হয় সবাই আমাকে দেখে টিটকারী করছে। আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
মায়া বললো, বুঝতে পেরেছি, তার মানে তোমার ভালো কোন বন্ধু নেই। তাই তো?
আমি হ্যা বোধক মাথা নাড়লাম শুধু।
মায়া মিষ্টি হাসিতে বললো, নো সমস্যা! এখন থেকে আমি তোমার বন্ধু। কিন্তু কাউকে বন্ধু করে পেতে হলে কি করতে হয় জানো তো? একে অপরের কথা শুনতে হয়! এখন থেকে দুজন এর সুখ দুঃখ সব কিন্তু শেয়ার করতে হবে!
আমি হঠাৎই বললাম, মায়া আপু, আমি দৌঁড়াবো। চলো দৌঁড়ে দৌঁড়ে বাড়ী ফিরে যাই।
মায়া বললো, তুমি কি আমাকে খুশী করতে চাইছো?
আমি বললাম, হ্যা, করছিই তো!
এই বলে আমি দৌঁড়ানোর একটা প্রস্তুতি নিতে থাকি। মায়া ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতেই বলে, না খোকা, মনের উপর জোড় করতে নেই। ইচ্ছার বিরূদ্ধে কোন কিছু করতেও নেই। এই আমাকে দেখছো না? বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়নি, তাই কোন কিছু না ভেবেই বাড়ী ছেড়ে চলে এসেছি!
আমি বললাম, তোমার কাছে কি তোমার মা বাবার জন্যে একটুও খারাপ লাগে না?
মায়া বললো, লাগে। তারপরও অভাব এর সংসারে মনকে শক্ত করে রাখতে হয়। বাবা মায়ের বা কি দোষ। বাবা খুব বেশী লেখাপড়া করেনি বলে বড় বড় শিক্ষিত লোকদের সারা জিবন সম্মান করেও, মর্যাদা দিয়েও আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারছিলো না। আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলে তো অন্যের ঘরেই চলে যেতাম। মেয়েদের আসলে নিজ মা বাবারা চিরদিন এর জন্যে থাকে না। ওদের নিজস্ব কোন বাড়ী থাকে না। কখনো বাবার বাড়ী, কখনো স্বামীর ঘর, আবার কখনো সন্তান এর সংসারেও থাকতে হয়।
আমি হঠাৎই দাঁড়িয়ে বললাম, মায়া আপু, তোমার মনে অনেক দুঃখ, তাই না? তোমাকে দেখে মনেই হয় না, তোমার মনে অনেক দুঃখ।
মায়া বললো, চেহারা দেখে মানুষ এর দুঃখ কষ্ট বুঝা যায় না। যাকে দেখবে খুব হাসি খুশী, সে আসলে দুঃখটাকে ভুলে থাকার জন্যে হাসে। আর যাকে দেখবে খুব মন খারাপ করে আছে, তার আসলে কোন দুঃখই নেই। নুতন কোন বিলাসিতার কথা ভাবছে।
আমি বললাম, আর যাবার কথা বলবে না মায়া আপু। তুমি শুধু আমার মায়া আপু হয়ে থাকবে। তোমার কিংবা আব্বুর ধারনা আমি পড়ালেখা করি না। ঠিক মতো কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না ঠিকই। খেলাধূলা ওসবও ভালো লাগে না। সারাদিন ঘরে বসে কিন্তু আমি পড়ালেখা করি।
মায়া বললো, ঘরে বসে কি পড়ালেখা হয়? শুধু কি বই এ লেখা পড়া শিখলেই হয়? কলেজে যেতে হয়, অনেকের সাথে মিশতে হয়। বই এর বাইরেও অনেক কিছু শিখতে হয়।
আমি বললাম, আমি কারো সাথে মিশতে পারি না। মানুষ দেখলেই আমার ভয় করে।
মায়া বললো, মানুষকে নিয়েই তো সমাজ! মানুষ দেখে ভয় করবে কেনো?
আমি বললাম, জানি না। শুধু মনে হয় সবাই আমাকে দেখে টিটকারী করছে। আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
মায়া বললো, বুঝতে পেরেছি, তার মানে তোমার ভালো কোন বন্ধু নেই। তাই তো?
আমি হ্যা বোধক মাথা নাড়লাম শুধু।
মায়া মিষ্টি হাসিতে বললো, নো সমস্যা! এখন থেকে আমি তোমার বন্ধু। কিন্তু কাউকে বন্ধু করে পেতে হলে কি করতে হয় জানো তো? একে অপরের কথা শুনতে হয়! এখন থেকে দুজন এর সুখ দুঃখ সব কিন্তু শেয়ার করতে হবে!
আমি হঠাৎই বললাম, মায়া আপু, আমি দৌঁড়াবো। চলো দৌঁড়ে দৌঁড়ে বাড়ী ফিরে যাই।
মায়া বললো, তুমি কি আমাকে খুশী করতে চাইছো?
আমি বললাম, হ্যা, করছিই তো!
এই বলে আমি দৌঁড়ানোর একটা প্রস্তুতি নিতে থাকি। মায়া ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতেই বলে, না খোকা, মনের উপর জোড় করতে নেই। ইচ্ছার বিরূদ্ধে কোন কিছু করতেও নেই। এই আমাকে দেখছো না? বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়নি, তাই কোন কিছু না ভেবেই বাড়ী ছেড়ে চলে এসেছি!
আমি বললাম, তোমার কাছে কি তোমার মা বাবার জন্যে একটুও খারাপ লাগে না?
মায়া বললো, লাগে। তারপরও অভাব এর সংসারে মনকে শক্ত করে রাখতে হয়। বাবা মায়ের বা কি দোষ। বাবা খুব বেশী লেখাপড়া করেনি বলে বড় বড় শিক্ষিত লোকদের সারা জিবন সম্মান করেও, মর্যাদা দিয়েও আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারছিলো না। আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলে তো অন্যের ঘরেই চলে যেতাম। মেয়েদের আসলে নিজ মা বাবারা চিরদিন এর জন্যে থাকে না। ওদের নিজস্ব কোন বাড়ী থাকে না। কখনো বাবার বাড়ী, কখনো স্বামীর ঘর, আবার কখনো সন্তান এর সংসারেও থাকতে হয়।
আমি হঠাৎই দাঁড়িয়ে বললাম, মায়া আপু, তোমার মনে অনেক দুঃখ, তাই না? তোমাকে দেখে মনেই হয় না, তোমার মনে অনেক দুঃখ।
মায়া বললো, চেহারা দেখে মানুষ এর দুঃখ কষ্ট বুঝা যায় না। যাকে দেখবে খুব হাসি খুশী, সে আসলে দুঃখটাকে ভুলে থাকার জন্যে হাসে। আর যাকে দেখবে খুব মন খারাপ করে আছে, তার আসলে কোন দুঃখই নেই। নুতন কোন বিলাসিতার কথা ভাবছে।