29-10-2022, 05:12 AM
মায়া নারকেল গাছটার দীর্ঘ পাতাটা ধরে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর বলে, ঠিক আছে খোকা সাহেব?
আমি রাগ করেই বললাম, কি ঠিক আছে?
মায়া বললো, ওই যে তুমি বললে, সন্ধ্যার পর শুধু পড়াটা বুঝিয়ে দিতে?
আমি আরো রাগ করে বললাম, তুমি কিচ্ছু বুঝো নাই। তুমি কি করে বুঝবে মা হারানোর কষ্ট কত?
মায়া বললো, ঠিক আছে, আমি তোমাকে মায়ের আদর স্নেহ দেবো।
মায়ার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আমি আবারো হন হন করে ছুটতে থাকি। মায়া পেছন থেকে বললো, ঠিক আছে, আমাকে যদি তোমার এতই বিরক্তি লাগে, তাহলে আমি চলে যাবো। আজ, এখন, এখান থেকেই।
আমি হঠাৎই থেমে দাঁড়াই। ঘুরে ফিরে আসি মায়ার সামনে। মুখ ভ্যাংচিয়ে বলি, চলে যাবো! আজ, এখন, এখান থেকেই! তাহলে মায়া দেখাতে এসেছিলে কেনো?
মায়া আমার দিকে অভিমানী চোখ করেই তাঁকিয়ে থাকে। আমি বললাম, কই যাচ্ছো না কেনো? যাও! জানি, আমার জন্যে কেউ থাকবে না। মা কি থেকেছিলো? তুমিও থাকবে না। আমি জানি তো!
মায়া খানিকটা বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকে। খানিকটা রাগে, খানিকটা অভিমানে দাঁতে দাঁত চেপে থাকে। তারপর চোখ দুটি ঠিকরে বেড় করার উপক্রম করে বললো, আমার কি করা উচিৎ!
আমিও কিছু বলতে পারি না। মায়ার কি করা উচিৎ আমি কি করে বলবো? আমার কি করা উচিৎ, আমি নিজেই তো বুঝতে পারি না। আমি বললাম, আমি কি করে বলবো?
মায়া বললো, আমি তো চলেই যেতে চেয়েছিলাম। তাহলে ফিরে এলে কেনো?
আমি বললাম, যেতেই তো বলছি। পেছন থেকে যাবে কেনো? গেলে আমার সামনে থেকে যাও।
এই বলে আমি হু হু করে কাঁদতে থাকি।
মায়ার কি হয় বুঝতে পারি না। সে হঠাৎই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। অনেক দীর্ঘাঙ্গী মায়া। আমার মুখটা তার নরোম বুকে চেপে থাকে। মায়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, তোমার মায়ের মতো করে হয়তো আদর স্নেহ করতে পারবো না। তারপরও চেষ্টা করে দেখবো।
আমার মুখে কোন কথা ফুটে না। শুধু মনে হয়, মায়া যেনো আমার যুগ যুগ ধরে আপন কেউ ছিলো। নইলে এমন করে আমাকে তার বুকে চেপে ধরবে কেনো? মায়ার উপর থেকে আমার সমস্ত রাগ ঝরে যায়। আমি বিড় বিড় করে বলি, মায়া বড় ভিখারিনী, জননী।
আমি রাগ করেই বললাম, কি ঠিক আছে?
মায়া বললো, ওই যে তুমি বললে, সন্ধ্যার পর শুধু পড়াটা বুঝিয়ে দিতে?
আমি আরো রাগ করে বললাম, তুমি কিচ্ছু বুঝো নাই। তুমি কি করে বুঝবে মা হারানোর কষ্ট কত?
মায়া বললো, ঠিক আছে, আমি তোমাকে মায়ের আদর স্নেহ দেবো।
মায়ার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আমি আবারো হন হন করে ছুটতে থাকি। মায়া পেছন থেকে বললো, ঠিক আছে, আমাকে যদি তোমার এতই বিরক্তি লাগে, তাহলে আমি চলে যাবো। আজ, এখন, এখান থেকেই।
আমি হঠাৎই থেমে দাঁড়াই। ঘুরে ফিরে আসি মায়ার সামনে। মুখ ভ্যাংচিয়ে বলি, চলে যাবো! আজ, এখন, এখান থেকেই! তাহলে মায়া দেখাতে এসেছিলে কেনো?
মায়া আমার দিকে অভিমানী চোখ করেই তাঁকিয়ে থাকে। আমি বললাম, কই যাচ্ছো না কেনো? যাও! জানি, আমার জন্যে কেউ থাকবে না। মা কি থেকেছিলো? তুমিও থাকবে না। আমি জানি তো!
মায়া খানিকটা বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকে। খানিকটা রাগে, খানিকটা অভিমানে দাঁতে দাঁত চেপে থাকে। তারপর চোখ দুটি ঠিকরে বেড় করার উপক্রম করে বললো, আমার কি করা উচিৎ!
আমিও কিছু বলতে পারি না। মায়ার কি করা উচিৎ আমি কি করে বলবো? আমার কি করা উচিৎ, আমি নিজেই তো বুঝতে পারি না। আমি বললাম, আমি কি করে বলবো?
মায়া বললো, আমি তো চলেই যেতে চেয়েছিলাম। তাহলে ফিরে এলে কেনো?
আমি বললাম, যেতেই তো বলছি। পেছন থেকে যাবে কেনো? গেলে আমার সামনে থেকে যাও।
এই বলে আমি হু হু করে কাঁদতে থাকি।
মায়ার কি হয় বুঝতে পারি না। সে হঠাৎই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। অনেক দীর্ঘাঙ্গী মায়া। আমার মুখটা তার নরোম বুকে চেপে থাকে। মায়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, তোমার মায়ের মতো করে হয়তো আদর স্নেহ করতে পারবো না। তারপরও চেষ্টা করে দেখবো।
আমার মুখে কোন কথা ফুটে না। শুধু মনে হয়, মায়া যেনো আমার যুগ যুগ ধরে আপন কেউ ছিলো। নইলে এমন করে আমাকে তার বুকে চেপে ধরবে কেনো? মায়ার উপর থেকে আমার সমস্ত রাগ ঝরে যায়। আমি বিড় বিড় করে বলি, মায়া বড় ভিখারিনী, জননী।