28-10-2022, 09:20 PM
মায়া তার দেহের কোমর পর্য্যন্ত নদীর পানিতে রেখে, বুকটা তুলে আবারো বললো, কি হলো, জিজ্ঞেস করলাম না, সাতার পারো কিনা?
আমি না বোধক মাথা নাড়লাম শুধু।
মায়া অবাক হয়ে বললো, বলো কি? সাতার না জানলে তো জিবনের আট আনা মূল্যও নেই।
আমি বললাম, তোমার তো ষোল আনা মূল্য! কিন্তু তুমি তো তোমার পোশাক ভিজিয়ে ফেলেছো! এই পোশাকে বাড়ী যাবে কেমনে?
মায়া বললো, আমার কথা ভেবো না। এগুলো স্পোর্টস কস্টিউম। খানিকক্ষণ রোদে থাকলেই শুকিয়ে যায়। তা ছাড়া এসব ভেদ করে দেহে পানিও লাগে না। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি তোমাকে সাতারটাও শেখাবো।
আমি বললাম, না, পানি আমার ভয় করে।
মায়া বললো, আমি জানি। ঠিক মতো গোসলটাও তো তুমি করো না। এখন থেকে সব হবে।
মায়াকে আবারো বিরক্ত লাগে। জোড় করেই যেনো আমার উপর একটা আধিপত্য প্রসার করতে চায়। আমি বললাম, ওসব সাতার কাটা শিখে কি হবে?
মায়া বললো, ওমা, আবার জিগায়? দেশে কখন কোথায় বন্যা হয় ঠিক আছে? তখন প্রাণ বাঁচানোর জন্যে সাতারই হলো একমাত্র মাধ্যম।
আমি বললাম, বন্যার দৃশ্য টি, ভি, তে দেখেছি। আমাদের এখানে বন্যা হয় না।
মায়া খানিকটা রাগ করেই বললো, খোকা, তুমি শুধু বর্তমানটা নিয়েই ভাবো। ভবিষ্যতে কখন কোথায় যেতে হবে, তা কি তুমি জানো?
মায়ার উপর আমার প্রচণ্ড রাগই হয়। জিবীত থাকা কালীন সময়ে মা তো দূরের কথা, বাবাও কখনো আমার সাথে ধমকে কথা বলেনি। আমিও রাগ করে বললাম, আমি শিখতে না চাইলে কি, তুমি আমাকে জোড় করে সাতার শেখাবে?
মায়া নদীর স্বল্প পানিতে কাৎ হয়ে, মায়াবী গলাতেই বলে, না খোকা সাহেব, কাউকে কখনো জোড় করে কোন কিছু শেখানো যায় না।
আমার কি হলো বুঝলাম না। কেনো যেনো মনে হলো মায়ার জন্যে এই গভার্নেসের চাকুরীটা খুব প্রয়োজন। আমাকে খুশী করে হলেও সে কিছুতেই চাকুরীটা হারাতে চায় না। মায়ার উপর সত্যিই আমার মায়া জেগে উঠলো। আমি বললাম, তুমি তো খুব বুদ্ধিমতী, তাহলে এরকম একটা কাজ নিলে কেনো?
মায়া উঠে বসলো, বললো, ওটা তো আমার ভাগ্যি! ঠিক সময় মতো পেয়ে গেছি।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, আমার জন্যে দুর্ভাগ্যি!
মায়াও উঠে দাঁড়ায়। বলতে থাকে, যদি সত্যিই একটা বয়স্কা, বিধবা এসে তোমার গভার্নেস হতো তাহলে খুব খুশী হতে তাই না?
আমি বললাম, আমি তো চাইনি! আব্বু কেনো যে শুধু শুধু!
মায়া বললো, সেটা হলো তোমার ভাগ্যি! আমার মা বাবাকেই দেখো, কোথায় আমার পড়ালেখার জন্যে একটা টিউটর নিয়োগ করবে, অথচ তা না। আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে না ভেবে, তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চাইছে।
আমি বললাম, তুমি বিয়ে করো কি না করো, সেটা তোমার ব্যাপার, আমার গভার্নেস চাই না।
আমি হন হন করে বাড়ীর দিকেই ছুটতে থাকি। নারকেল গাছটার নীচে হঠাৎই দেখি মায়া আমার মুখুমুখি। বললো, ঠিক আছে, গভার্নেস না। তোমার যদি একটা বড় বোন থাকতো, তাহলে কি এমন করে এড়িয়ে যেতে পারতে?
আমি বললাম, মায়া আপু, আমি ছোট খোকা নই। অনেক কিছুই বুঝি। তোমার কাজটা যে খুব দরকার, তাও বুঝি। আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না। তারপরও আমাকে জগিং করতে বলবে না, দৌঁড়াতে বলবে না, সাতার কাটা শিখতে বলবে না। সন্ধ্যার পর আমাকে পড়াটা বুঝিয়ে দেবে বাস। আমি ঠিক মতো কলেজেও যাবো। তাহলে বাবা আর তোমাকে কিছু বলবে না।
আমি না বোধক মাথা নাড়লাম শুধু।
মায়া অবাক হয়ে বললো, বলো কি? সাতার না জানলে তো জিবনের আট আনা মূল্যও নেই।
আমি বললাম, তোমার তো ষোল আনা মূল্য! কিন্তু তুমি তো তোমার পোশাক ভিজিয়ে ফেলেছো! এই পোশাকে বাড়ী যাবে কেমনে?
মায়া বললো, আমার কথা ভেবো না। এগুলো স্পোর্টস কস্টিউম। খানিকক্ষণ রোদে থাকলেই শুকিয়ে যায়। তা ছাড়া এসব ভেদ করে দেহে পানিও লাগে না। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি তোমাকে সাতারটাও শেখাবো।
আমি বললাম, না, পানি আমার ভয় করে।
মায়া বললো, আমি জানি। ঠিক মতো গোসলটাও তো তুমি করো না। এখন থেকে সব হবে।
মায়াকে আবারো বিরক্ত লাগে। জোড় করেই যেনো আমার উপর একটা আধিপত্য প্রসার করতে চায়। আমি বললাম, ওসব সাতার কাটা শিখে কি হবে?
মায়া বললো, ওমা, আবার জিগায়? দেশে কখন কোথায় বন্যা হয় ঠিক আছে? তখন প্রাণ বাঁচানোর জন্যে সাতারই হলো একমাত্র মাধ্যম।
আমি বললাম, বন্যার দৃশ্য টি, ভি, তে দেখেছি। আমাদের এখানে বন্যা হয় না।
মায়া খানিকটা রাগ করেই বললো, খোকা, তুমি শুধু বর্তমানটা নিয়েই ভাবো। ভবিষ্যতে কখন কোথায় যেতে হবে, তা কি তুমি জানো?
মায়ার উপর আমার প্রচণ্ড রাগই হয়। জিবীত থাকা কালীন সময়ে মা তো দূরের কথা, বাবাও কখনো আমার সাথে ধমকে কথা বলেনি। আমিও রাগ করে বললাম, আমি শিখতে না চাইলে কি, তুমি আমাকে জোড় করে সাতার শেখাবে?
মায়া নদীর স্বল্প পানিতে কাৎ হয়ে, মায়াবী গলাতেই বলে, না খোকা সাহেব, কাউকে কখনো জোড় করে কোন কিছু শেখানো যায় না।
আমার কি হলো বুঝলাম না। কেনো যেনো মনে হলো মায়ার জন্যে এই গভার্নেসের চাকুরীটা খুব প্রয়োজন। আমাকে খুশী করে হলেও সে কিছুতেই চাকুরীটা হারাতে চায় না। মায়ার উপর সত্যিই আমার মায়া জেগে উঠলো। আমি বললাম, তুমি তো খুব বুদ্ধিমতী, তাহলে এরকম একটা কাজ নিলে কেনো?
মায়া উঠে বসলো, বললো, ওটা তো আমার ভাগ্যি! ঠিক সময় মতো পেয়ে গেছি।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, আমার জন্যে দুর্ভাগ্যি!
মায়াও উঠে দাঁড়ায়। বলতে থাকে, যদি সত্যিই একটা বয়স্কা, বিধবা এসে তোমার গভার্নেস হতো তাহলে খুব খুশী হতে তাই না?
আমি বললাম, আমি তো চাইনি! আব্বু কেনো যে শুধু শুধু!
মায়া বললো, সেটা হলো তোমার ভাগ্যি! আমার মা বাবাকেই দেখো, কোথায় আমার পড়ালেখার জন্যে একটা টিউটর নিয়োগ করবে, অথচ তা না। আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে না ভেবে, তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চাইছে।
আমি বললাম, তুমি বিয়ে করো কি না করো, সেটা তোমার ব্যাপার, আমার গভার্নেস চাই না।
আমি হন হন করে বাড়ীর দিকেই ছুটতে থাকি। নারকেল গাছটার নীচে হঠাৎই দেখি মায়া আমার মুখুমুখি। বললো, ঠিক আছে, গভার্নেস না। তোমার যদি একটা বড় বোন থাকতো, তাহলে কি এমন করে এড়িয়ে যেতে পারতে?
আমি বললাম, মায়া আপু, আমি ছোট খোকা নই। অনেক কিছুই বুঝি। তোমার কাজটা যে খুব দরকার, তাও বুঝি। আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না। তারপরও আমাকে জগিং করতে বলবে না, দৌঁড়াতে বলবে না, সাতার কাটা শিখতে বলবে না। সন্ধ্যার পর আমাকে পড়াটা বুঝিয়ে দেবে বাস। আমি ঠিক মতো কলেজেও যাবো। তাহলে বাবা আর তোমাকে কিছু বলবে না।