28-10-2022, 06:22 PM
আমি বুঝতে পারিনা, মায়া আমার কাছে এত বিরক্তিকর, তারপরও কেমন যেনো এক প্রকার মায়ার জালে আবদ্ধ করে ফেলেছিলো। মায়া যদি সত্যিই কখনো চলে যায়, তাহলে বুকে এক প্রকার শূণ্যতারই সৃষ্টি হবে। আমি নিজের অজান্তেই অভিমানী একটা মন নিয়ে নদীর কিনারায় বালুচড়ে বসে পরি।
মায়া আমার সামনা সামনি হাঁটু গেড়ে দাঁড়ায়। মুচকি হেসে বললো, কি হলো ছাত্র সাহেব?
আমি রাগ করেই বললাম, আমাকে ছাত্র সাহেব ডাকবে না তো!
মায়া বললো, ঠিক আছে ডাকবো না। তাহলে খোকা সাহেব বলে ডাকবো।
আমি বললাম, ওই সাহেব লাগানোর দরকারটা কি?
মায়া বললো, মালিক পক্ষদের কি সম্মান না করলে চলে?
আমি বললাম, আমি কি তোমার মালিক? মালিক হলেও আমার আব্বু। তা ছাড়া আমি তোমার চাইতে অনেক ছোট।
মায়া বললো, বয়সে ছোট বড় কোন ব্যাপার না, সমাজে কার অবস্থানটা কোথায় সেটাই ব্যাপার। বড় বড় পদে যারা থাকে, তারা বয়সে ছোট হলেও বুড়ু বুড়ু কর্মচারীরাও তাদের স্যার স্যার ডেকে সম্মান করে। আর সেই সাহেবরা বাপের বয়েসী একটা লোককেও নাম ধরে ডাকে।
এই বলে খানিকটা উদাস হয়ে অন্যত্র তাঁকিয়ে থাকে।
আমি বললাম, কি হলো মায়া আপু?
মায়া খানিকটা সম্ভিত ফিরে পায়। মিষ্টি হেসে বলতে থাকে, না, আমার মনেও অনেক স্বপ্ন। অনেক লেখাপড়া করবো আমি। অনেক বড় অফিসার হবো। অনেক বড়!
মায়া মিষ্টি সাদা দাঁতগুলো বেড় করে হঠাৎই বলে, আচ্ছা, তোমার স্বপ্ন কি?
আমি বললাম, জানিনা।
মায়া অবাক হয়ে বললো, জানো না? তুমি তো ক্লাশ এইটে পড়ো। এখন থেকেই তো জিবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তার উপর ভিত্তই করে ক্লাশ নাইনে সায়েন্স নেবে, নাকি কমার্স নেবে, নাকি আর্টস নেবে সব ঠিক করতে হবে।
আমি নীরস গলায় বললাম, আমার পড়ালেখা ভালো লাগে না।
মায়া বললো, পড়ালেখা কারোরই ভালো লাগে না। তারপরও করতে হয়। জিবনের প্রয়োজনে করতে হয়।
আমি বললাম, আমার প্রয়োজন নেই।
মায়া হঠাৎই তার ডান পা টা নদীর পানিতে ডুবিয়ে বললো, আহ! কি ঠাণ্ডা পানি! দেখো দেখো!
মায়াকে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। বিরক্তিকর হলেও, কোথায় যেনো একটা বিশেষ বৈচিত্র্য আছে। আমি ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে থাকি শুধু। মায়া আবারো বলে, কই, এসো! পানিতে একটু পা ডুবিয়ে দেখো!
আমি বসে থেকেই বলি, আমার লাগবে না।
মায়া বললো, আমার তো খুব গোসল করতে ইচ্ছে করছে।
এই বলে মায়া নদীর পানিতে ডুবে সাতার কাটতে থাকে। সাতার কেটে বেশ খানিক দূর এগিয়ে আবারো ফিরে আসে নদীর ধারে। বলতে থাকে, জানো, আমি কিন্তু ভালো সাতারও কাটতে পারি। তুমি পারো?
মায়ার দেহে ভেজা স্পোর্ট কস্টিউম গায়ের সাথে স্যাপ্টে থাকে। তখন আরো বেশী অপূর্ব লাগে তাকে। আমি শুধু মায়াকেই দেখতে থাকি।
মায়া আমার সামনা সামনি হাঁটু গেড়ে দাঁড়ায়। মুচকি হেসে বললো, কি হলো ছাত্র সাহেব?
আমি রাগ করেই বললাম, আমাকে ছাত্র সাহেব ডাকবে না তো!
মায়া বললো, ঠিক আছে ডাকবো না। তাহলে খোকা সাহেব বলে ডাকবো।
আমি বললাম, ওই সাহেব লাগানোর দরকারটা কি?
মায়া বললো, মালিক পক্ষদের কি সম্মান না করলে চলে?
আমি বললাম, আমি কি তোমার মালিক? মালিক হলেও আমার আব্বু। তা ছাড়া আমি তোমার চাইতে অনেক ছোট।
মায়া বললো, বয়সে ছোট বড় কোন ব্যাপার না, সমাজে কার অবস্থানটা কোথায় সেটাই ব্যাপার। বড় বড় পদে যারা থাকে, তারা বয়সে ছোট হলেও বুড়ু বুড়ু কর্মচারীরাও তাদের স্যার স্যার ডেকে সম্মান করে। আর সেই সাহেবরা বাপের বয়েসী একটা লোককেও নাম ধরে ডাকে।
এই বলে খানিকটা উদাস হয়ে অন্যত্র তাঁকিয়ে থাকে।
আমি বললাম, কি হলো মায়া আপু?
মায়া খানিকটা সম্ভিত ফিরে পায়। মিষ্টি হেসে বলতে থাকে, না, আমার মনেও অনেক স্বপ্ন। অনেক লেখাপড়া করবো আমি। অনেক বড় অফিসার হবো। অনেক বড়!
মায়া মিষ্টি সাদা দাঁতগুলো বেড় করে হঠাৎই বলে, আচ্ছা, তোমার স্বপ্ন কি?
আমি বললাম, জানিনা।
মায়া অবাক হয়ে বললো, জানো না? তুমি তো ক্লাশ এইটে পড়ো। এখন থেকেই তো জিবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তার উপর ভিত্তই করে ক্লাশ নাইনে সায়েন্স নেবে, নাকি কমার্স নেবে, নাকি আর্টস নেবে সব ঠিক করতে হবে।
আমি নীরস গলায় বললাম, আমার পড়ালেখা ভালো লাগে না।
মায়া বললো, পড়ালেখা কারোরই ভালো লাগে না। তারপরও করতে হয়। জিবনের প্রয়োজনে করতে হয়।
আমি বললাম, আমার প্রয়োজন নেই।
মায়া হঠাৎই তার ডান পা টা নদীর পানিতে ডুবিয়ে বললো, আহ! কি ঠাণ্ডা পানি! দেখো দেখো!
মায়াকে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। বিরক্তিকর হলেও, কোথায় যেনো একটা বিশেষ বৈচিত্র্য আছে। আমি ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে থাকি শুধু। মায়া আবারো বলে, কই, এসো! পানিতে একটু পা ডুবিয়ে দেখো!
আমি বসে থেকেই বলি, আমার লাগবে না।
মায়া বললো, আমার তো খুব গোসল করতে ইচ্ছে করছে।
এই বলে মায়া নদীর পানিতে ডুবে সাতার কাটতে থাকে। সাতার কেটে বেশ খানিক দূর এগিয়ে আবারো ফিরে আসে নদীর ধারে। বলতে থাকে, জানো, আমি কিন্তু ভালো সাতারও কাটতে পারি। তুমি পারো?
মায়ার দেহে ভেজা স্পোর্ট কস্টিউম গায়ের সাথে স্যাপ্টে থাকে। তখন আরো বেশী অপূর্ব লাগে তাকে। আমি শুধু মায়াকেই দেখতে থাকি।