28-10-2022, 03:04 PM
ডাইনীদের কথা রূপকথার গল্পে পড়েছিলাম। এ কোন এক ডাইনীর কবলে পরলাম আমি? ঠাকুরমার ঝুলিতেতেও এমন গল্প নেই!
মায়া, খুবই দীর্ঘাঙ্গী একটা মেয়ে। চেহারাটাও মায়াতে ভরপুর। বুকটা সাংঘাতিক রকমে উঁচু। আর এতই উঁচু যে, আমার তো মনে হয় সাংঘাতিক রকমে ঝুলেও গেছে।
পরদিন সকাল ছয়টা বাজতে না বাজতেই আমি জানালার পাশ থেকে মৃদু গান নাকি ছড়া আবৃত্তির শব্দ শুনতে পেলাম, কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমি শুধু শুনতে পাচ্ছি, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। জানালাটা খুলে বাইরে তাঁকালাম। দেখলাম, মায়া জগিং করছে স্পোর্টস ওয়েয়ার পরে। আর আমার দিকে তাঁকিয়ে হাসতে হাসতেই হাত আর পায়ে তাল মিলিয়ে বলতে থাকলো, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর ওয়ান টু।
আমি টিটকারীর সুরেই বললাম, এই ভিখারিনী, রাত কেটেছে কোথায়? সাত সকালে চলে এসেছিস ভিক্ষা করতে?
মায়া জগিং থামিয়ে রাগ করার ভান করে বললো, কি বললে, আমি ভিখারিনী?
আমি মুখ ভ্যাংচিয়ে বললাম, না ভিখারিনী না, চাকরাণী।
মায়া মায়াবী ঠোটেই হাসে। আবারো জগিং করতে করতে বলে, তারপরও কিন্তু রাণী! হুম! কি সুন্দর ভোর! এই ভোরে জগিং করলে স্বাস্থ্য থাকে ভালো। হ্যা, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
আমি মায়াকে ভ্যঙ্গাতে থাকি, ওয়ান টু, মায়া বড় ভিখারিনী, ওয়ান টু!
মায়াও বলতে থাকে, মায়া খোকার জননী, ওয়ান টু!
ধ্যাৎ! আমার অসহ্য লাগে। এত্ত জোয়ান মেয়ে আমার জননী হয় কি করে? আমি হিসেব করতে থাকি, আমি পড়ি ক্লাশ এইটে। আর মায়া পড়ে ক্লাশ টুয়েলভে। আমার চেয়ে মাত্র চার বছর এর বড় হবে। আমি বিছানাতে বসে বসেই দেহটা দোলাতে থাকি। আর গাইতে থাকি, ফাইভ সিক্স সেভেন এইট, খোকা ধরলো টাকা ছাড়া বেইট। নাইন টেন, এলিভেন টুয়েলভ, ভিখারিনী মায়ার আর নেই সেইভ।
মায়া আবারো জগিং থামিয়ে আমার জানালাটার কাছে এসে দাঁড়ালো। মিষ্টি হেসে বললো, তুমি কি সত্যি সত্যিই স্যারকে সব বলে দেবে?
আমি বললাম, কেনো বলবো না? তুমি একটা বিরক্তিকর মেয়ে। আমার মজার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলে?
মায়া বললো, এই ঘুম ঘুম না, আরো ঘুম আছে। এই ঘুমেরে হারাম করলে, যাইবা সুখের কাছে।
আমি বললাম, তুমি খেলাধুলায় ভালো জানতাম, ছড়াও যে ভালো বানাতে পারো জানতাম না। তোমার মতলবটা কি বলো তো?
মায়া বললো, মতলব আবার কিসের? আমি তোমার গভার্নেস এর চাকুরীটা পেয়েছি। দায়ীত্ব বলে একটা কথা আছে না? তোমার বাবা কি আমাকে এমনি এমনি বেতন দেবে? তোমাকে ঠিক মতো ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঠিক মতো নাস্তা করতে হবে। ঠিক মতো গোসল সেরে কলেজে যেতে হবে। কলেজ থেকে ফিরে এসে মাঠে খেলতে যেতে হবে। সন্ধ্যার পর পড়তে বসতে হবে। রাতের খাবারটা খেয়ে একটু টিভি দেখা, তারপর দশটা বাজলেই ঘুম!
আমি বললাম, এত সব রূটিন আমি মানতে পারবো না।
মায়া বললো, তাহলে চলে এসো।
আশ্চর্য্য মেয়ে তো বাপ! কোথায় চলে আসবো, কেনো চলে আসবো কিছুই বললো না। আবারো জগিং করতে থাকলো, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
কেমন জানি কানে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকে সেই শব্দ। আমি বিছানা থেকে লাফিয়ে নামি। ছুটে যাই উঠানে। খানিকটা গর্জন করেই বলি, এই ভিখারিনীর বাচ্চা চাকরাণী! তুই কি থামবি?
মায়া হঠাৎই কেমন যেনো চুপসে যায়। খানিকটা ভয়ে ভয়েই বলে, খোকা সাহেব, আমি স্যরি। আমি নাস্তা বানাতে যাই।
মায়া, খুবই দীর্ঘাঙ্গী একটা মেয়ে। চেহারাটাও মায়াতে ভরপুর। বুকটা সাংঘাতিক রকমে উঁচু। আর এতই উঁচু যে, আমার তো মনে হয় সাংঘাতিক রকমে ঝুলেও গেছে।
পরদিন সকাল ছয়টা বাজতে না বাজতেই আমি জানালার পাশ থেকে মৃদু গান নাকি ছড়া আবৃত্তির শব্দ শুনতে পেলাম, কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমি শুধু শুনতে পাচ্ছি, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। জানালাটা খুলে বাইরে তাঁকালাম। দেখলাম, মায়া জগিং করছে স্পোর্টস ওয়েয়ার পরে। আর আমার দিকে তাঁকিয়ে হাসতে হাসতেই হাত আর পায়ে তাল মিলিয়ে বলতে থাকলো, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর ওয়ান টু।
আমি টিটকারীর সুরেই বললাম, এই ভিখারিনী, রাত কেটেছে কোথায়? সাত সকালে চলে এসেছিস ভিক্ষা করতে?
মায়া জগিং থামিয়ে রাগ করার ভান করে বললো, কি বললে, আমি ভিখারিনী?
আমি মুখ ভ্যাংচিয়ে বললাম, না ভিখারিনী না, চাকরাণী।
মায়া মায়াবী ঠোটেই হাসে। আবারো জগিং করতে করতে বলে, তারপরও কিন্তু রাণী! হুম! কি সুন্দর ভোর! এই ভোরে জগিং করলে স্বাস্থ্য থাকে ভালো। হ্যা, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
আমি মায়াকে ভ্যঙ্গাতে থাকি, ওয়ান টু, মায়া বড় ভিখারিনী, ওয়ান টু!
মায়াও বলতে থাকে, মায়া খোকার জননী, ওয়ান টু!
ধ্যাৎ! আমার অসহ্য লাগে। এত্ত জোয়ান মেয়ে আমার জননী হয় কি করে? আমি হিসেব করতে থাকি, আমি পড়ি ক্লাশ এইটে। আর মায়া পড়ে ক্লাশ টুয়েলভে। আমার চেয়ে মাত্র চার বছর এর বড় হবে। আমি বিছানাতে বসে বসেই দেহটা দোলাতে থাকি। আর গাইতে থাকি, ফাইভ সিক্স সেভেন এইট, খোকা ধরলো টাকা ছাড়া বেইট। নাইন টেন, এলিভেন টুয়েলভ, ভিখারিনী মায়ার আর নেই সেইভ।
মায়া আবারো জগিং থামিয়ে আমার জানালাটার কাছে এসে দাঁড়ালো। মিষ্টি হেসে বললো, তুমি কি সত্যি সত্যিই স্যারকে সব বলে দেবে?
আমি বললাম, কেনো বলবো না? তুমি একটা বিরক্তিকর মেয়ে। আমার মজার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলে?
মায়া বললো, এই ঘুম ঘুম না, আরো ঘুম আছে। এই ঘুমেরে হারাম করলে, যাইবা সুখের কাছে।
আমি বললাম, তুমি খেলাধুলায় ভালো জানতাম, ছড়াও যে ভালো বানাতে পারো জানতাম না। তোমার মতলবটা কি বলো তো?
মায়া বললো, মতলব আবার কিসের? আমি তোমার গভার্নেস এর চাকুরীটা পেয়েছি। দায়ীত্ব বলে একটা কথা আছে না? তোমার বাবা কি আমাকে এমনি এমনি বেতন দেবে? তোমাকে ঠিক মতো ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঠিক মতো নাস্তা করতে হবে। ঠিক মতো গোসল সেরে কলেজে যেতে হবে। কলেজ থেকে ফিরে এসে মাঠে খেলতে যেতে হবে। সন্ধ্যার পর পড়তে বসতে হবে। রাতের খাবারটা খেয়ে একটু টিভি দেখা, তারপর দশটা বাজলেই ঘুম!
আমি বললাম, এত সব রূটিন আমি মানতে পারবো না।
মায়া বললো, তাহলে চলে এসো।
আশ্চর্য্য মেয়ে তো বাপ! কোথায় চলে আসবো, কেনো চলে আসবো কিছুই বললো না। আবারো জগিং করতে থাকলো, ওয়ান, টু, ওয়ান টু, ওয়ান টু থ্রী ফৌর, ওয়ান টু।
কেমন জানি কানে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকে সেই শব্দ। আমি বিছানা থেকে লাফিয়ে নামি। ছুটে যাই উঠানে। খানিকটা গর্জন করেই বলি, এই ভিখারিনীর বাচ্চা চাকরাণী! তুই কি থামবি?
মায়া হঠাৎই কেমন যেনো চুপসে যায়। খানিকটা ভয়ে ভয়েই বলে, খোকা সাহেব, আমি স্যরি। আমি নাস্তা বানাতে যাই।