28-10-2022, 03:03 PM
মায়া বড় ভিখারিনী জননী
বাড়ীতে কোন বাড়তি মানুষ ভালো লগে নাকি? মা মারা গেছে তাতে কি হয়েছে? আমি কি এতই ছোট খোকা? আমার জন্যে একজন গভার্নেস লাগবে? তার চাইতে বাবা যদি আবারো একটা বিয়ে করে আমাকে একটা মা এনে দিতো, তাহলে আরো খুশী হতাম।
আমি ঠিক মতো খাচ্ছিলাম না, পড়ালেখা করছিলাম না, তা ঠিক। তাই বলে বাবা পত্রিকায় গভার্নেসের বিজ্ঞাপণ দেবে? আর সেই বিজ্ঞাপণটা পত্রিকায় ছাপানোর পর ঠিক মতো বিলি হতে না হতেই মায়া অমন করে কলেজ থেকে কলেজের পোষাকে ভিখারিনীর মতো ছুটে আসবে?
বাবা আসলে মায়াকে রাখতে চায়নি। বলেছিলো, না মা, আমি আরেকটু বয়স্কা মেয়ে খোঁজছিলাম। মানে বিয়ে হয়েছিলো, অথচ স্বামী নেই, অভাব এর সংসার। একটা চাকুরী খুব দরকার! তুমি তো ছোট্ট একটা মেয়ে! খোকার মা হবে কিভাবে? তোমারই তো একজন মা দরকার!
মায়া বলেছিলো, আমাকে ছোট মেয়ে বলছেন? আপনি জানেন না। আমার বিয়ে হয়েছিলো। বাচ্চাও হয়েছিলো। আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি আবারো কলেজে ভর্তি হয়েছি। পাশাপাশি একটা চাকুরী খোঁজছি। আমি এক ভিখারিনী স্যার! চাকুরীটা আমাকে দিন!
বাবা বলেছিলো, না না, তোমার নিজেরই যদি সন্তান থাকে, তাহলে দরকার নেই। তুমি তো নিজ সন্তান এর কথাই শুধু ভাববে। আমার ছেলের দেখাশুনা করবে কি?
মায়া বাবার পায়ে পরে বলেছিলো, নিজ সন্তান এর কথা ভাববো কি? ও তো ডায়েরীয়াতেই মারা গেছে। একটু দয়া করুন স্যার! চাকুরীটা আমার খুব দরকার!
মায়া বাবাকে সব মিথ্যে বলেছিলো। আমি জানি, মায়া শহরের সবচেয়ে নামকড়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী। পরিবারে অভাব অনটন খানিকটা থাকলেও থাকতে পারে। তাই বলে, বিয়ে যে হয়নি, তা আমি হান্ড্রেট পার্সেন্ট সিউর।
আমি তখন ক্লাশ এইটে পড়ি। সবেমাত্র হাফপ্যান্ট ছেড়ে ফুলপ্যান্ট পরা শুরু করেছি। আর মায়া হঠাৎই কোথা থেকে উড়ে এসে আমার উপর খবরদারী করতে শুরু করলো। নিজে কলেজ ড্রেসটা পরে, আমাকেও বলতে থাকলো, কি খোকা, বাবা আমার! আর কত ঘুমুবে? উঠো, নাস্তাটা করে আমার সংগেই স্কুলে যাবে।
আমার মেজাজটাই খারাপ হয়। কিসের বাবা? বাবা যদি আরো কয়েক বছর আগে বিয়ে করতো, তাহলে এমন একটি বড় বোনও আমার থাকতো। আমার মা হবার কি শখ? আমি বালিশে মাথাটা ঘুরিয়ে বললাম, তোমার কলেজে যেতে ইচ্ছে হলে যাও। আমি আরেকটু ঘুমুবো।
মায়া বলতে থাকে, ঠিক আছে বাবা, আরেকটু ঘুমুও। শুধু আজকেই। কালকে থেকে আর কোন অনিয়ম মানবো না। ঠিক ছয়টায় ঘুম থেকে উঠা, সাতটায় নাস্তা শেষ, আটটায় গোসল করে স্কুলে যাবার জন্যে ফুল রেডী। নইলে?
আমি রাগ সামলাতে পারি না। হঠাৎই উঠে বসি। বলি, নইলে কি করবে?
মায়া বললো, তখন এর টা তখনই দেখে নিও।
আমিও বললাম, আমিও সব ফাস করে দেবো বাবার কাছে। তোমার কখনোই বিয়ে হয়নি। তুমি আমাদের স্কুলেই খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলে। শুধু তাই নয়, স্পোর্টস, জিমন্যাস্টিক এসবেও তোমার অনেক কৃতিত্ব আছে।
মায়া ঠোটে আঙুল চেপে বললো, চুপ! তুমি ঘুমুও।
বাড়ীতে কোন বাড়তি মানুষ ভালো লগে নাকি? মা মারা গেছে তাতে কি হয়েছে? আমি কি এতই ছোট খোকা? আমার জন্যে একজন গভার্নেস লাগবে? তার চাইতে বাবা যদি আবারো একটা বিয়ে করে আমাকে একটা মা এনে দিতো, তাহলে আরো খুশী হতাম।
আমি ঠিক মতো খাচ্ছিলাম না, পড়ালেখা করছিলাম না, তা ঠিক। তাই বলে বাবা পত্রিকায় গভার্নেসের বিজ্ঞাপণ দেবে? আর সেই বিজ্ঞাপণটা পত্রিকায় ছাপানোর পর ঠিক মতো বিলি হতে না হতেই মায়া অমন করে কলেজ থেকে কলেজের পোষাকে ভিখারিনীর মতো ছুটে আসবে?
বাবা আসলে মায়াকে রাখতে চায়নি। বলেছিলো, না মা, আমি আরেকটু বয়স্কা মেয়ে খোঁজছিলাম। মানে বিয়ে হয়েছিলো, অথচ স্বামী নেই, অভাব এর সংসার। একটা চাকুরী খুব দরকার! তুমি তো ছোট্ট একটা মেয়ে! খোকার মা হবে কিভাবে? তোমারই তো একজন মা দরকার!
মায়া বলেছিলো, আমাকে ছোট মেয়ে বলছেন? আপনি জানেন না। আমার বিয়ে হয়েছিলো। বাচ্চাও হয়েছিলো। আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি আবারো কলেজে ভর্তি হয়েছি। পাশাপাশি একটা চাকুরী খোঁজছি। আমি এক ভিখারিনী স্যার! চাকুরীটা আমাকে দিন!
বাবা বলেছিলো, না না, তোমার নিজেরই যদি সন্তান থাকে, তাহলে দরকার নেই। তুমি তো নিজ সন্তান এর কথাই শুধু ভাববে। আমার ছেলের দেখাশুনা করবে কি?
মায়া বাবার পায়ে পরে বলেছিলো, নিজ সন্তান এর কথা ভাববো কি? ও তো ডায়েরীয়াতেই মারা গেছে। একটু দয়া করুন স্যার! চাকুরীটা আমার খুব দরকার!
মায়া বাবাকে সব মিথ্যে বলেছিলো। আমি জানি, মায়া শহরের সবচেয়ে নামকড়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী। পরিবারে অভাব অনটন খানিকটা থাকলেও থাকতে পারে। তাই বলে, বিয়ে যে হয়নি, তা আমি হান্ড্রেট পার্সেন্ট সিউর।
আমি তখন ক্লাশ এইটে পড়ি। সবেমাত্র হাফপ্যান্ট ছেড়ে ফুলপ্যান্ট পরা শুরু করেছি। আর মায়া হঠাৎই কোথা থেকে উড়ে এসে আমার উপর খবরদারী করতে শুরু করলো। নিজে কলেজ ড্রেসটা পরে, আমাকেও বলতে থাকলো, কি খোকা, বাবা আমার! আর কত ঘুমুবে? উঠো, নাস্তাটা করে আমার সংগেই স্কুলে যাবে।
আমার মেজাজটাই খারাপ হয়। কিসের বাবা? বাবা যদি আরো কয়েক বছর আগে বিয়ে করতো, তাহলে এমন একটি বড় বোনও আমার থাকতো। আমার মা হবার কি শখ? আমি বালিশে মাথাটা ঘুরিয়ে বললাম, তোমার কলেজে যেতে ইচ্ছে হলে যাও। আমি আরেকটু ঘুমুবো।
মায়া বলতে থাকে, ঠিক আছে বাবা, আরেকটু ঘুমুও। শুধু আজকেই। কালকে থেকে আর কোন অনিয়ম মানবো না। ঠিক ছয়টায় ঘুম থেকে উঠা, সাতটায় নাস্তা শেষ, আটটায় গোসল করে স্কুলে যাবার জন্যে ফুল রেডী। নইলে?
আমি রাগ সামলাতে পারি না। হঠাৎই উঠে বসি। বলি, নইলে কি করবে?
মায়া বললো, তখন এর টা তখনই দেখে নিও।
আমিও বললাম, আমিও সব ফাস করে দেবো বাবার কাছে। তোমার কখনোই বিয়ে হয়নি। তুমি আমাদের স্কুলেই খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলে। শুধু তাই নয়, স্পোর্টস, জিমন্যাস্টিক এসবেও তোমার অনেক কৃতিত্ব আছে।
মায়া ঠোটে আঙুল চেপে বললো, চুপ! তুমি ঘুমুও।