24-10-2022, 08:43 PM
(৩)
সরলা মাসির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে।সরলা মাসি আমাকে রান্না করে দেন।তারপর উনি বাড়ি চলে যান।
- দাদাবাবু রাতের খাবার বানিয়ে দিয়েছি।
- ঠিক আছে।
- তাহলে আমি যাই।
সরলা মাসি চলে যান।আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি যে সন্ধ্য হয়ে গেছে।১ ঘন্টা ঘুমে ছিলাম।আমি মুখ ধুয়ে হরি কাকার দোকানের দিকে যাই।আমি হরি কাকার দোকানে বসতেই কাকা বলেন।
- বুধো বাবু এত ডাকলাম শুনলে না যে।
এবার কাকাকে কি বলি যে, বাড়া ঠান্ডা করতে বাড়ি গেছিলাম।এটাত আর বলা যায় না।
- না বাড়িতে একটু কাজ ছিল।দাও তো একটা চা দাও।
হরি কাকা চা বানাতে লাগলেন।চা বানাতে বানাতে হরি কাকা বলেন।
- খবর কিছু জান বুধো বাবু।
কোন খবরের কথা বলতেছে আমার বোধগোম্য হল না।
- কি খবর?
- আরে লখাইকে কে জেন হেবি মারছে।
এই কথা শুনেত আমি থ। লখাইদাকে আবার কে মারল।
- বল কি।কে? কখন?
- কে সেটা ত জানা গেল না।একটু আগে মাথায় পট্টি করে ঘরে আনছে।সমাজ সেবা করে হয়ত কারো ভালো লাগল না।
আমি দাড়িয়ে গেলাম লখাইদাকে দেখার জন্য।
- আরো কোথায় যাচ্ছ।
- লখাইদাকে দেখে আসি।
- চা টা তো খেয়ে যাও।
- না আজ আর খাব না।
আমি লখাইদার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।লখাইদা আমার জন্য অনেক করেছেন আজ উনার খারাপ সময়ে আমাকে ওনার পাশে থাকা উচিত।জলদি আমি লখাইদার বাড়ি চলে আসলাম।বাড়ি থেকে দেখলাম পটিক বের হচ্ছে।
পটিক পার্টি করে।একটু নেতা নেতা ভাব আছে।তবে আমাকে দেখলে একটু সম্মানের সাথে কথা বলে।বলবে নাই কেন আমি যে তার থেকে ১ বছরের বড়।
- বুধোদা লখাইদাকে দেখতে যাচ্ছ বুঝি।
- হ্যা।কিভাবে হল এসব?
- আর বল না।কিছুদিন আগে পূব পাড়ার এক ছেলে মেয়েদেরকে রাস্তায় বিরক্ত করত।লখাইদা তাকে শাসায়।হয়ত ওটাই এই কাজ করেছে।
- তাহলে তোরা কিছু করছিস না কেন?
- বুধোদা শুধু সাসপেক্ট হিসেবে তো কিছু করতে পারব না।
- আচ্ছা আমি ভিতরে যাই।
- ঠিক আছে।
পটিক চলে যায়।আমি ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি লখাইদা সোফায় বসে আছেন আর মাথায় পট্টি লেগে আছে।আমাকে দেখে বললেন।
- আরে আয় আয় বুধো।
আমি গিয়ে উনার সাথে বসি।
- লখাইদা এখন কেমন আছেন।
কান্তা বৌদি রাগত স্বরে বললেন।
- কেমন আর থাকবেন বাবু।মাথা ফাটিয়ে বসে আছেন।
কান্তা বৌদির মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা রাগে আছেন।
- বৌদি শান্ত হও না।
- যা ভালো বুজো কর।আমি কার কে হই।
এই বলে বৌদি ভিতরে চলে যান।আমি লখাইদার সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি।বাড়ির দিকে হাটতে হাটতে ভাবতে থাকি যে ভালো কাজ করাও কত বড় পাপ।এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরে আসি।আর আমার একাকিত্ব শুরু হয়।নিজের মত করে রাতে থাকি।কারো সাথে কথা বলার ঝো নাই।
সরলা মাসির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে।সরলা মাসি আমাকে রান্না করে দেন।তারপর উনি বাড়ি চলে যান।
- দাদাবাবু রাতের খাবার বানিয়ে দিয়েছি।
- ঠিক আছে।
- তাহলে আমি যাই।
সরলা মাসি চলে যান।আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি যে সন্ধ্য হয়ে গেছে।১ ঘন্টা ঘুমে ছিলাম।আমি মুখ ধুয়ে হরি কাকার দোকানের দিকে যাই।আমি হরি কাকার দোকানে বসতেই কাকা বলেন।
- বুধো বাবু এত ডাকলাম শুনলে না যে।
এবার কাকাকে কি বলি যে, বাড়া ঠান্ডা করতে বাড়ি গেছিলাম।এটাত আর বলা যায় না।
- না বাড়িতে একটু কাজ ছিল।দাও তো একটা চা দাও।
হরি কাকা চা বানাতে লাগলেন।চা বানাতে বানাতে হরি কাকা বলেন।
- খবর কিছু জান বুধো বাবু।
কোন খবরের কথা বলতেছে আমার বোধগোম্য হল না।
- কি খবর?
- আরে লখাইকে কে জেন হেবি মারছে।
এই কথা শুনেত আমি থ। লখাইদাকে আবার কে মারল।
- বল কি।কে? কখন?
- কে সেটা ত জানা গেল না।একটু আগে মাথায় পট্টি করে ঘরে আনছে।সমাজ সেবা করে হয়ত কারো ভালো লাগল না।
আমি দাড়িয়ে গেলাম লখাইদাকে দেখার জন্য।
- আরো কোথায় যাচ্ছ।
- লখাইদাকে দেখে আসি।
- চা টা তো খেয়ে যাও।
- না আজ আর খাব না।
আমি লখাইদার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।লখাইদা আমার জন্য অনেক করেছেন আজ উনার খারাপ সময়ে আমাকে ওনার পাশে থাকা উচিত।জলদি আমি লখাইদার বাড়ি চলে আসলাম।বাড়ি থেকে দেখলাম পটিক বের হচ্ছে।
পটিক পার্টি করে।একটু নেতা নেতা ভাব আছে।তবে আমাকে দেখলে একটু সম্মানের সাথে কথা বলে।বলবে নাই কেন আমি যে তার থেকে ১ বছরের বড়।
- বুধোদা লখাইদাকে দেখতে যাচ্ছ বুঝি।
- হ্যা।কিভাবে হল এসব?
- আর বল না।কিছুদিন আগে পূব পাড়ার এক ছেলে মেয়েদেরকে রাস্তায় বিরক্ত করত।লখাইদা তাকে শাসায়।হয়ত ওটাই এই কাজ করেছে।
- তাহলে তোরা কিছু করছিস না কেন?
- বুধোদা শুধু সাসপেক্ট হিসেবে তো কিছু করতে পারব না।
- আচ্ছা আমি ভিতরে যাই।
- ঠিক আছে।
পটিক চলে যায়।আমি ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি লখাইদা সোফায় বসে আছেন আর মাথায় পট্টি লেগে আছে।আমাকে দেখে বললেন।
- আরে আয় আয় বুধো।
আমি গিয়ে উনার সাথে বসি।
- লখাইদা এখন কেমন আছেন।
কান্তা বৌদি রাগত স্বরে বললেন।
- কেমন আর থাকবেন বাবু।মাথা ফাটিয়ে বসে আছেন।
কান্তা বৌদির মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা রাগে আছেন।
- বৌদি শান্ত হও না।
- যা ভালো বুজো কর।আমি কার কে হই।
এই বলে বৌদি ভিতরে চলে যান।আমি লখাইদার সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি।বাড়ির দিকে হাটতে হাটতে ভাবতে থাকি যে ভালো কাজ করাও কত বড় পাপ।এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরে আসি।আর আমার একাকিত্ব শুরু হয়।নিজের মত করে রাতে থাকি।কারো সাথে কথা বলার ঝো নাই।